আমার বাংলা ব্লগ স্টিম কমিউনিটির বন্ধুগন
আমি @fatema001 বাংলাদেশ থেকে
আজকে রবিবার,২৭ অক্টোবর ২০২৪
আমার বাংলা ব্লগ স্টিম কমিউনিটির বন্ধু গণ আপনারা সবাই কেমন আছেন ।আশা করছি আপনারা সবাই ভালো ও সুস্থ আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। প্রতিদিনের মতো আজকে আমি আবারো আপনাদের মাঝে নতুন একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করব ঘরে বসেই নতুন কাপড় কেনার অনুভূতি ।বাড়িতে বসে এখন প্রায় সব জিনিস পাওয়া যায় বলা যায় গ্রামগুলো এখন প্রায় শহরের মতোই হয়ে গেছে। কিছুদিন আগে আমি মায়ের বাসায় বেড়াতে গিয়েছিলাম। আর সেখানে গিয়ে আমার বোনেরা ও আমার ফুফু এসেছিল। বোনেরা মানে আমার বড় ও মেজ আব্বুর মেয়েরা। আমরা যখন মায়ের বাসায় যাই সবাই একসাথে আসি। তাহলে সবার সাথে সবার দেখা হয় আর অনেক গল্প ,আড্ডা ,মজা দেওয়া যায়। এবার আমি মায়ের বাসায় বেড়াতে গিয়ে প্রায় দেড় মাস ছিলাম। ছোট বাচ্চা তো তাই যেখানেই থাকি অনেক দিন ধরে থাকি। আমরা সব বোনেরা যখন এক জায়গায় থাকি তখন আমাদের ছোট ফুফু কেউ ডেকে নেই। কেননা ফুফু আমাদের সাথে অনেক ঘনিষ্ঠ। এরপর আমরা সবাই মিলে অনেক মজা করলাম। আমার ফুফু তিন দিন ছিল আমাদের সাথে তাই আমরা একটি প্ল্যান করলাম।
ফুফু যেদিন আসে সেদিন আমরা আমার দাদির ভাই অর্থাৎ দাদাকে দেখতে গিয়েছিলাম। এরপর দ্বিতীয় দিন পিকনিক করছিলাম। আর পিকনিকের দিন সবাই ভাবলাম আমরা সবাই একই রকম ড্রেস পড়বো। ফুফু আর মাত্র একদিন থাকবে তাই বাজারে গিয়ে ড্রেস কিনে এনে বানিয়ে পড়তে অনেক সময় লেগে যাবে। যদি আমাদের বাড়িতে একটি সেলাই মেশিন আছে সেখানে আমরা সবাই কাজ করি। এমনকি আমরা সবাই প্রায় সেলাই মেশিনের কাজ করতে পারি। তারপরেও বাজার থেকে জামা কাপড় কিনে এনে বানাতে গেলে অনেক সময় লেগে যাবে। তাই আমরা মাঝে মাঝেই যে আঙ্কেলের কাছ থেকে জামা কাপড় কিনি ওনাকে একটি কল দিলাম। কেননা আমরা সবাই কাপড় কিনব আর একই রকম ড্রেস। উনি বললেন বিকেলে আসবে। তারপর আঙ্কেল যখন বিকেলে আসলো তখন আমরা পছন্দ করে সবাই একই রকমের গজ কাপড় কিনে নিলাম। এরপর ম্যাচিং করে পাজামা ওড়না সিট কিনে নিলাম।
এরপর আমরা বিকেলে সবার জামাকাপড় গুলো একই রকম করে কেটে রেখে দিলাম। জামা কাপড়ের সাথে আমার ছেলের জন্য ম্যাচিং করে প্যান্ট এবং ফতোয়া তৈরি করার জন্য একই রকম কাপড় নিয়ে নিলাম। রাতে আমার ছেলের জন্য প্যান্ট ও ফতোয়া তৈরি করে ফেললাম। এরপর সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত আমরা সব জামাকাপড় তৈরি করে ফেললাম। তারপর বাড়ির সবাই মিলে একটি পিকনিকের আয়োজন করলাম। পিকনিকে অনেক মজা করেছি তবে তেমন একটা ফটোগ্রাফি করা হয়নি। আর আমরা একই রকম ড্রেস পড়ে অনেকগুলো ছবি তুলেছি। সবাই একই রকম ড্রেস পড়া দেখে আমার ছেলে তো বারবার সবার দিকে তাকাচ্ছিল।
যেহেতু খুবই আনন্দ হচ্ছিল তাই আমার ফুফু কে আরো একদিন থাকার জন্য আমরা সবাই খুবই জোর করলাম। উনি যদিও থাকতে চাই ছেলে না তার পরেও আমরা ওনার বাড়িতে কল দিয়ে ওনাকে আরও একদিন আমাদের সাথে সময় কাটানোর সুযোগ করে দিলাম। তবে এই বেড়ানোতে সবথেকে বেশি মজা হয়েছে সবাই একই রকম ড্রেস পরে ঘুরে বেড়ানোটা। আর এটা সম্ভব হয়েছে সিট কাপড় বিক্রি করা আঙ্কেলের জন্য । কেননা উনি যদি দ্রুত কাপড় গুলো না আনতেন তাহলে হয়তো বা আমরা নিতেও পারতাম না আর এভাবে সবাই একসাথে আনন্দটাও করতে পারতাম না। বর্তমান সময়ে সব জিনিস গ্রামাঞ্চলে পাওয়া যায়। আমাদের এদিকে তো সব সময় রাস্তাঘাটে মাইকে এটা ওটা বলতেই থাকে।
ঘরে বসে যে আমরা এতসব জিনিস পেয়ে যাই এটা দেখে আমার খুবই ভালো লাগে। মাঝে মাঝে এমনও হয় আমার খুবই প্রয়োজনীয় একটা জিনিস কিন্তু বাসায় নেই। দেখা যাচ্ছে কয়েক ঘন্টা অপেক্ষা করলেই কোন এক বিক্রেতা চলে আসে। এমনকি এখন তো গ্রাম অঞ্চলের মানুষ বাজার করে বাড়ি বসে। যাই হোক যদি এমনভাবে সব জিনিস পাওয়া যায়। দেখা যাচ্ছে হুট করে কোন আত্মীয় চলে আসলো বাসায়। এবার তাদের যদি কাপড় কেনার জন্য বাজারে যেতে হয় তাহলে তো তাদের বাসায় একা রেখে যেতে হবে। আর সে সময় আমরা যদি বাড়িতে বসেই জামা কাপড় পেয়ে যায় তাহলে তো মন্দ না। আজকে অনেক কথাই বলে ফেললাম। তবে এখানেই আজকে শেষ করছি। পরবর্তীতে আবারো আপনাদের মাঝে নতুন কোন পোস্ট নিয়ে হাজির হবার চেষ্টা করব। তবে আপনাদের গ্রাম গুলোতে ও কি এরকম ভাবে সব জিনিস পাওয়া যায় সেটা অবশ্যই জানাবেন। সবাই ভালো ও সুস্থ থাকবেন শুভকামনা রইল।
আমি মোছাঃ ফাতেমা খাতুন। আমি এই প্লাটফর্মে ২০২৩ সালের জুন মাসের ২৩ তারিখে যুক্ত হয়েছি। আমি বিবাহিত। আমার একটি ছেলে আছে। আমার শখ বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতে যাওয়া। বিভিন্ন ধরনের নতুন নতুন রেসিপি এবং রঙিন কাগজ ব্যবহার করে যেকোনো ধরনের জিনিস তৈরি করতে আমার কাছে ভীষণ ভালো লাগে।প্রাকৃতিক সৌন্দর সহ বিভিন্ন ধরনের আর্ট করতে ও আমার কাছে খুবই ভালো লাগে। আমার বাংলা ব্লগে কাজ করতে পেরে আমি অনেক আনন্দিত।।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
সবাই মিলে একই ড্রেস পরবেন জেনে খুবই ভালো লাগলো আপু। সবাই একই ড্রেস পড়লে কিন্তু অনেক ভালো লাগে আপু। আপনি নিজের প্রয়োজনীয় কাপড় কিনেছেন জেনে খুবই খুশি হলাম ধন্যবাদ আপনাকে আপনার এই পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
বাড়িতে সবাই মিলে এক ধরনের কাপড় পড়ে খুব সুন্দর মুহূর্ত অতিবাহিত করেছিলাম ভাইয়া।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
সবাই একরকম ড্রেস পড়ে পিকনিক করেছেন। এই ধরনের মুহূর্ত গুলো বেশ ভালো লাগে। সবাই একরকম ড্রেস পড়ায় আপনার ছেলে সম্ভবত কনফিউজড হয়ে গিয়েছিল। যাই হোক বাড়িতে বসে খুব সুন্দর ড্রেস কিনেছেন। মুহূর্তগুলো আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ঠিক বলেছেন আপু সবার গায়ে একই রকম ড্রেস দেখে আমার ছেলে কিছু বুঝতেই পারছিল না। ধন্যবাদ আপু।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
বেশ কিছুদিন ধরে লক্ষ্য করছি এই জাতীয় কাপড় বিক্রেতা বাড়ির পাশ দিয়ে চলাচল করছে। গতকাল তোমার মামনি বলেছিল বাড়ির কাছে সুন্দর সুন্দর সিট কাপড় বিক্রয় চলছে, বামুন্দি বাজার থেকে আনার দরকার নাই। তার আগে এখানে দেখা দরকার। যাই হোক এ কথা মনে থাকতে থাকতেই তোমার সুন্দর পোস্ট। অনেক কিছু উপস্থাপন করেছ। এরই মধ্যে দিয়ে বেশ অনেক কিছু জানতে পারলাম। তোমার দাদুর সুস্থতা কামনা করি।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আগে এই ধরনের কাপড় বিক্রেতা অনেক কম ছিল এখন অনেক বেশি হয়ে গেছে। দেখা যাচ্ছে দিনের মধ্যে পাঁচ ছয়টাও মানুষ আসে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ঘরে বসে খুব সহজেই পছন্দ মত কাপড় কিনে নিয়েছিলেন। সবাই একই রকম দেখতে ড্রেস কিনেছিলেন শুনে অনেক ভালো লাগলো। আসলে একই রকম ড্রেস পড়ার বিষয়টা আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। বুঝতে পারছি একই রকম ড্রেস পড়ায় সবাইকে খুব ভালো লাগছিল দেখতে। সবাই একসাথে পিকনিক করেছিলেন শুনে ভালো লাগলো।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
জ্বী আপু ভীষণ মজা হয়েছিল ওই দিনটি। তবে আপনাদের সাথে শেয়ার করার মতো তেমন কোন সুযোগ পাইনি আর ফটোগ্রাফি ও ধারণ করা হয়েছিল না। ধন্যবাদ আপু।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit