সন্তানের অসুস্থতা

আসসালামু আলাইকুম/আদাব
আমার বাংলা ব্লগ স্টিম কমিউনিটির বন্ধুগন
আমি @fatema001 বাংলাদেশ থেকে
আজকে রবিবার , ৩ নভেম্বর২০২৪

আমার বাংলা ব্লগ স্টিম কমিউনিটির বন্ধু গণ আপনারা সবাই কেমন আছেন। আশা করছি আপনারা সবাই সুস্থ ও ভালো আছেন। আমি আল্লাহর রহমতে শারীরিক ভাবে সুস্থ থাকলে মানসিকভাবে খুবই অসুস্থ। গত চারদিন ধরে আমার ছেলে আবু রায়হান অনেক অসুস্থ। আপনার এখানে বয়স দশ মাস পার হয়ে ১১ মাস চলছে এর মধ্যে আমি সম্পূর্ণ সময়টাতে ও যখন অসুস্থ হত তখন হোমিওপ্যাথি খাওয়ানো হতো। কিন্তু গত বৃহস্পতিবার দিন রাতে হঠাৎ করে অসুস্থ হয়ে যায় আবু রায়হান। সারাদিন অনেক ভালো ছিল আর রাত দশটা থেকে ভীষণ জ্বর। এরপর আমরা সকালে উঠেই ডাক্তারের কাছে নিয়ে গেলাম। যদিও এই ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাওয়ার একটি পোস্ট আপনাদের সাথে শেয়ার করেছি। আশা করি আপনারা সবাই শুনেছেন যে আমার বাবু অসুস্থ। তারপর দুইদিন হোমিওপ্যাথি ঔষধ খাওয়ালাম এবং তৃতীয় দিনও দেখা চেষ্টা করলাম যে কি হয়। কিন্তু এবার হোমিওপ্যাথি ঔষধ খেয়ে আবু রায়হান যেনো সুস্থই হচ্ছিল না। এরপর আমরা আবারো হোমিওপ্যাথি ডাক্তারের কাছে নিয়ে যায়। ডক্টর আবু রায়হানকে দেখে ওষুধ পরিবর্তন করে দেয়। কিন্তু সেই দিন রাতে অর্থাৎ কালকের দিন কত রাতে আবু রায়হান আরও বেশি অসুস্থ হয়ে যায়।

যদি আমি ওর একদম ছোটবেলা থেকে হোমিওপ্যাথি খাওয়াই। তারপরেও এবার যেন আমার মনে একদমই টান ছিল না হোমিওপ্যাথি খাওয়ানোর দিকে। কেননা হোমিওপ্যাথি ঔষধ হল খাওয়ানোর ২-৩ দিন পর বোঝা যায় যে সুস্থ হবে কিনা। আমার ছেলে তেমন একটা সুস্থ হচ্ছিল না। আর আপনারা খেয়াল করে দেখবেন এই কয়দিন আমি ঠিক ভাবে কাজ করতে পারিনি এমন কি কোন কাজই করিনি। সব সময় বাবুর সাথে সাথে ছিলাম। তবে যেহেতু দুইদিন পোস্ট করেনি তাই ভাবলাম আজকে আপনাদের সাথে একটু নিজের মনের ভাবটা প্রকাশ করি। যাই হোক রাতে বাবু আরও বেশি অসুস্থ হয়ে যাবার পর আজকে সকালে নিয়ে গেলাম এলাপতি ডাক্তার দেখানোর জন্য । যেহেতু এর আগে কখনো খায়নি তাই আজকে প্রথম বার বাবুকে এই ঔষধ হাতে অনেক কষ্ট হয়েছে।

আমরা সকাল দশটার দিকে হসপিটালে চলে গেলাম। সেখানে গিয়ে সিরিয়াল করে ডাক্তার দেখাতে দেখাতে প্রায় এগারোটা। এরপর ঔষধ নিয়ে চলে এলাম। ডক্টর আবু রায়হানকে একটি এন্টিবায়োটিক সিরাপ তার সাথে আরো তিনটি সিরাপ দিয়েছে। এবং দুইদিন তিনবেলা গ্যাস দিতে বলেছে। বাবু ঠান্ডা জ্বর ও অনেক কাশি। কাশির সাথে সাথে বারবার বমি করছে। ঠান্ডা চাপ অনেক বেশি হয়ে গেছে। তাই বাবুকে গ্যাস দিতে বলেছে। বাড়িতে এলে সে তো ঔষধ খেতে একদমই চায় না। যদিও জোর করে দুই একবার ঔষধ দিয়েছি তবে তখনই বমি করে দিয়েছে। আর গ্যাস দেবার সময় তো সে কি কান্না। এখন গ্যাসের এই মেশিন টা দেখলেও বাবু ভয় পাচ্ছে এমনটা মনে হচ্ছে।

অনেক কষ্টের সাথে প্রথমবার গ্যাস দিয়েছি। এখন রাতে গ্যাস দেওয়া বাকি। কিভাবে যে দিব আর কিভাবে যে ঔষধ গুলো খাওয়াবো সেটা নিয়ে অনেক চিন্তা-ভাবনাই আছি আমি। ছোট বাচ্চা অসুস্থ হলে বাড়ির সবারই অনেক কষ্ট। আর বর্তমান আবহাওয়াটা অনেক খারাপ। যার কারনে ছোট বড় সবাই প্রায় অনেক অসুস্থ আছে। এই আবহাওয়ায় সবাই সাবধানে সুস্থ থাকবেন। সবাই আমার ছেলের জন্য দোয়া করবেন। আবু রায়হান যেন দ্রুত সুস্থ হয়ে যায়। আমার ছেলে অসুস্থ থাকায় আমি আপনাদের সাথে নিয়মিত কথাবার্তা বলা বা কাজ করতে পারছি না। আশা করছি আমার ছেলে দ্রুত সুস্থ হয়ে গেলে আমি আবার আপনাদের মাঝে সঠিকভাবে কাজ করতে পারব। আজকে এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের মাঝে আবার নতুন কোন পোস্ট নিয়ে হাজির হবার চেষ্টা করব। সবাই ভালো ও সুস্থ থাকবেন শুভকামনা রইল।