গ্রামীণ মেলা ভ্রমণ ও ফটোগ্রাফি। 10 শতাংশ লাজুক শেয়ালের জন্য।

in hive-129948 •  3 years ago 

আজ- ২৩ চৈত্র /৬ এপ্রিল| ১৪২৮, বঙ্গাব্দ/২০২২ খ্রিস্টাব্দ| বুধবার | বসন্তকাল |


আসসালামু-আলাইকুম।

কেমন আছেন বন্ধুরা। আশা করি সবাই ভাল আছেন। আবহমানকাল থেকেই বাংলার সংস্কৃতিতে মেলার আয়োজন জড়িয়ে আছে। বিভিন্ন ঋতুতে বিভিন্ন উৎসবp0কে কেন্দ্র করে গ্রামে গঞ্জের হাট বাজারে আয়োজিত হয়ে থাকে বিভিন্ন মেলা। কৃষি মেলা, বস্ত্র মেলা, বানিজ্য মেলা, পাটজাত পণ্যের মেলা সহ কিছু মেলা আয়োজিত হয়ে থাকে ঐতিহ্যগতভাবে। ছোট বাচ্চাদের পাশাপাশি এ সমস্ত মেলায় সব বয়সী মানুষেরাই ভিড় করে থাকে। আমাদের এলাকার পার্শ্ববর্তী একটি বাজারে এমনই একটা মেলার আয়োজন করা হয়েছিল কয়েকদিন আগে। স্থানীয় লোকেরা এ মেলাটিকে বারং বাজার বা বারুনী মেলা বলে থাকে। চৈত্র মাসের কোন একদিন বছরে একবার এই মেলাটি জাঁকজমকের সঙ্গে পালিত হয়।

20220330_185634.jpg

20220330_185535.jpg

তিন বছর আগে বন্ধুর সঙ্গে একবার গিয়েছিলাম এই মেলায়। দারুণ অভিজ্ঞতা হয়েছিল সেবার। তারপর থেকেই পরিকল্পনা ছিল যেভাবেই হোক আর কখনোই মিস করা যাবে না এই মেলা কিন্তু চাইলেই তো আর সব করা যায় না। তাই বিভিন্ন ঝামেলায় পড়ে দুটি বছর আর যাওয়া সম্ভব হয়নি। এবছর মেলারদিনেই বন্ধুর কাছ থেকে জানতে পারলাম মেলার কথা। জানা মাত্রই বিকেলবেলা হেঁটে রওনা হয়ে গেলাম মেলার মাঠের দিকে। প্রসঙ্গত আমাদের বাড়ি থেকে মেলার মাঠের দূরত্ব প্রায় 10 কিলোমিটার। যাতায়াতের আধুনিক সুযোগ-সুবিধা থাকলেও আমরা দুই বন্ধু ইচ্ছে করেই রওনা হলাম পায়ে হেঁটে।

20220330_190217.jpg

20220330_190019.jpg

20220330_185711.jpg

প্রায় দুই ঘণ্টা একটানা হাঁটার পরে উপস্থিত হলাম মেলার মাঠে। সাধারণ গ্রাম্য মেলা যেমন হয় তার থেকে মেলাটা কিছুটা ব্যতিক্রম ছিল। হরেক রকম পণ্যের পাশাপাশি মানুষের ভিড় ছিল অনেক বেশি। তবে পায়ে হেঁটে আসার কারণে প্রচন্ড ক্লান্তি বোধ করায় মেলার আনন্দ অনেকটাই মাটি হয়ে গিয়েছিল।

20220330_192424.jpg

20220330_192359.jpg

দীর্ঘক্ষন মেলার মাঠে ঘোরাঘুরি করার পর ফিরতি পথ ধরলাম বাড়ির উদ্দেশ্যে। এবার পায়ে হাঁটার সাধ্য নেই তাই একটি রিক্সা ভাড়া করে দুই বন্ধু গল্প করতে করতে ফিরে গেলাম যার যার বাড়িতে। মেলার ছবি গুলো কেমন লাগলো আশা করি জানাবেন।

20220330_192311.jpg

20220330_191122.jpg

20220330_190308.jpg

আজকের মতো এতোটুকুই। আবার কথা হবে অন্য কোন বিষয় নিয়ে। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন এই কামনায় আজকের মত এখানেই শেষ করছি।

Location

Photographer@ferdous3486
DeviceSamsung M21
Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

আপনি মেলায় ঘুরতে গিয়েছেন দেখে আমার ও মেলায় ঘুরতে যেতে খুব ইচ্ছে করছে ভাইয়া। আমাদের এই দিকে গত এক বছর থেকে কোন মেলা ইচ্ছে না। তাই মেলায় ঘুরতে যাওয়া হয় না। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া এত সুন্দর মেলার দৃশ্যে আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।

মেলায় ঘুরতে আমারও ভীষণ ভালো লাগে। তবে আপনার মত আমিও খুব বেশি মেলায় ঘোরার সুযোগ পাই না। সামনে বৈশাখী মেলা আছে তখন চেষ্টা করবেন ঘুরতে। ধন্যবাদ আপনার মতামত শেয়ার করার জন্য

আপনার গ্রামীণ মেলা ভ্রমণ কাহিনীটি পড়ে অনেক ভালো লাগলো । সুন্দরভাবে ভ্রমণ করার পাশাপাশি ফটোগ্রাফি গুলো সুন্দর ভাবে আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন।
আপনার জন্য শুভকামনা রইল

আমার পোস্টে আপনার মতামত শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া

হাটা শরীরের জন্য ভাল। বহুদিন ঢ্যাপের মোয়া খাই না। দেখলাম ঢ্যাপের খৈ বিক্রি হচ্ছে। মেলাটা বেশ জাকজমক মনে হল। আমার বাড়ী থেকে বেশ দূরে । ইচ্ছা থাকলেও যাওয়া হয়নি। সময় টি ভালই কাটলো মেলায় আপনার। আচার গুলো কিন্তু খাবেন না কখনও। রাতের আধারে ছবি গুলো সুন্দর ছিল। ধন্যবাদ। আগামীতে চেষ্টা থাকবে যাবার। ভাল থাকবেন।

আপনার চোখ তো ভীষণ শক্তিশালী ঢেপের খই পর্যন্ত চিনে ফেললেন। মন্তব্য করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। পরেরবার আপনাকে অবশ্যই জানাবো।

গ্রামীণ মেলা এই অসাধারণ একটি মুহূর্ত কাটিয়েছেন দেখে বোঝা যাচ্ছে ভাই। এরকম মেলাগুলো অনেক ভালো হয়ে থাকে। সবসময় উৎসবমুখর হয়। তবে সবচেয়ে মেলার একটি দৃশ্য আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে। মাটির তৈরি কারুকাজ গুলো দেখতে অসম্ভব সুন্দর লাগছে। আপনি খুব সুন্দর করেই মেলা সব কিছু বর্ণনা আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন। সুন্দর সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। এরকম সুন্দর একটি মুহূর্ত আমাদের সাথে ভাগাভাগি করে নেওয়ার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। শুভকামনা রইল ভাই আপনার জন্য।

গ্রামীণ মেলা গুলোতে ঘুরতে ভালই লাগে। তাছাড়া এই মেলাটি অনেক বড় পরিসরে আয়োজিত হয়েছিল। এক দিনের মেলা হলেও মেলাটিতে প্রায় সবরকম বিনোদনের ব্যবস্থাই ছিল।অসংখ্য ধন্যবাদ আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।

আমাদের এলাকার মেলার কথা মনে পড়ে গেলো। বৈশাখী মেলা এবার হবে না আমাদের এলাকায় । রোজা থাকার কারণে। আপনার মাধ্যমে মেলায় ঘুরার ফিল গুলোর কথা মনে স্মরন হয়ে গেল। ধন্যবাদ আপনাকে

আমাদের এলাকাতেও এবার বৈশাখী মেলা হবে না। আমাদের এলাকার একটা বিখ্যাত মেলা হচ্ছে পল্লীকবির জন্মস্থানে জসিম মেলা কিন্তু সেটাও বহু বছর হলো আর হয় না। ধন্যবাদ আপনার মতামত শেয়ার করার জন্য

অনেকদিন হলো আমাদের এদিক এ কোনো মেলা হয়না। আপনার মেলার ভ্রমণ কাহিনি টি পড়ে ভালো লাগলো। আপনি খুব সুন্দর ভাবে মেলাটির বর্ননা আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন। ধন্যবাদ ও শুভ কামনা রইলো।

আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ আপনার অনুভূতি গুলো শেয়ার করার জন্য

গ্রামীণ মেলায় কাটানো খুবই সুন্দর আনন্দঘন কিছু মুহূর্ত আজকে আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন ভাইয়া। আপনি আমাদের মাঝে যে মৃৎশিল্প গুলো শেয়ার করেছেন সেগুলো এখন আমাদের দেশে প্রায় বিলুপ্ত হয়ে গেছে। মাটির তৈরি জিনিস গুলো দেখে আমার কাছে অনেক ভালো লাগলো।

আসলেই এখন আর মৃৎশিল্পের কোন জিনিস তেমন একটা দেখা যায়না। একসময় এগুলো ছিল আমাদের ঐতিহ্য কিন্তু এখন আমরা ঐতিহ্য হারিয়ে ফেলছি দিন দিন। ধন্যবাদ আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য