আজ- ২২ই,ভাদ্র , | ১৪২৯ , বঙ্গাব্দ | শরৎকাল |
নমস্কার।
মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর এপার ওপার সকল সদস্যগণ, আশা করি সবাই ভাল আছেন। আমি ঈশ্বরের কৃপায় ভালোই আছি ৷
মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর এপার ওপার সকল সদস্যগণ, আশা করি সবাই ভাল আছেন। আমি ঈশ্বরের কৃপায় ভালোই আছি ৷
যাহোক এবার আসি আসল কোথায় বেশ কয়েকদিন ধরে আমার বাড়ির পাশে একটি বড় ভাই বলছিলো ৷ যে আমি কি করছি তো আমি সরাসরি উত্তর দিয়ে দিলাম যে কলেজ যাচ্ছি আর বাড়িতে এসে টুকটাক কাজ এই আর কি ৷ সেই বড় ভাই আবার কম্পিউটারের কাজ করে অর্থাৎ স্টুডিওতে সামান্য একজন কর্মচারী হিসেবে কাজ করে ৷ মাইনে মোটামুটি সাত হাজার মতো ৷ এরপর আমাকে বলল যে তুই তো খুব একটা কোন কাজ করিস না ৷শুধু কলেজ যাছ আর আসিছ এই সময় ফাকে যদি একটু সময় করিস তাহলে কম্পিউটারের বিষয়ে কিছু খুঁটিনাটি শিখতে পারিছ৷তাহলে ভবিষ্যতের জন্য হয়তো বা কাজে লাগলেও লাগতে পারে৷ কথা শুনে প্রথমে একটু কি রকম লাগলো যে কলেজ শেষ করে আবার দোকানে যাওয়া এবং তারপর আবার বাড়ি এসে বই পোড়া সবমিলেই চাপ হবে না তো ৷ কিছুক্ষণ মনে মনে ভাবলাম ৷ পরে সিদ্ধান্ত নিলাম যে সময়টা অপচয় করে কি করবো৷ যেহেতু অফারটা পেয়ে গেলাম সেহেতু কাজে লাগাটাই বুদ্ধিমানের কাজ হবে ৷হয়তো একটু কষ্ট হবে তাতে কোন যায় আসে না সময় বিনিময়ে কিছু তো শিখতে পারবো৷ এরপর বড় ভাইকে বললাম ঠিক আছে তাহলে কলেজ ছুটির পর দুপুরবেলা এক থেকে দুই ঘণ্টার মতো সময় দিতে পারব৷ বাজার খুব বেশি দূরে না, প্রায় দুই কিলোমিটার দূরে তো হাটি হাটি পা পা করে সন্ধ্যা বেলার দিক বাজারে গেলাম বাজারের নাম লক্ষীরহাট বাজার৷ বেশ জনপ্রিয় একটি বাজার অবশ্য প্রায় সব জিনিসই পাওয়া যায় এই লক্ষিরহাট বাজার থেকে৷ গিয়ে দেখলাম দোকানদার ভাই তো প্রচুর ব্যস্ত আর কাস্টমারও ছিল অনেক ৷ তাই আমি কিছুক্ষণ অপেক্ষা করলাম যখন কাস্টমারে ভিড় অনেকটা কমে গেল তখন দোকানদার ভাইকে জিজ্ঞেস করলাম যে কম্পিউটারে চালায় যে কি-বোর্ড পাওয়া যাবে ৷ তারপরও তো দোকানদার ভাই কি-বোর্ড বের করে দিলো৷ প্রায় তিন-চারটে আইটেম বের করে দিল তারপর তো আমি জিজ্ঞাসা করলাম যে ভাই কোনটির কত দাম দোকানদারি বলল যে আপনি কোথায় ব্যবহার করবেন অর্থাৎ কম্পিউটারে না মোবাইল ফোন ইউজ করবেন ৷আমি যখন বললাম যে ভাই আসলে আমিতো টাইপিং শেখার জন্য ৷তাই ভাবলাম যে বাড়িতে যদি সময়ের ফাঁকে শিখা যায় ৷তখন দোকানদার ভাই বললো তাহলে নরমাল টাই নেন ৷ আর যখন টাইপিং একবারে পাকাপোক্ত হয়ে যাবেন তখন না হয় ভালো দাম দেখে নিয়েন ৷ ঠিক তাই করলাম দোকানদার ভাই এর কথা মতো ৷ সত্যি বলতে আমার কাছেও খুব বেশি টাকা ছিল না ৷৩০০ টাকা দিয়ে একটা কি-বোর্ড নিলাম ৷ এবং এটিকে ব্যবহার করার জন্য যে একটি ইউএসবি অর্থাৎ যাকে বলা হয় ওটিজি সেটিও নিলাম ৷ সর্বমোট ৩৫০ টাকা ৷ তো বন্ধুরা এই ছিল আমার ছোট্ট একটি ব্লগ৷ আবারো হাজিরা অন্য কোন নতুন ইউনি ব্লগ নিয়ে এই আশা-আকাঙ্ক্ষা প্রত্যাশা রেখে ৷আজকের মতো আপনাদের কাছে এখানেই বিদায় নিচ্ছি ৷সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন এবং নিরাপদে থাকবেন ভুল ত্রুটি ক্ষমা দৃষ্টিতে দেখবেন!! সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ
সময় তো চলছে তার নিয়মে আর কতদিন এভাবে জীবনে কোনো কিছু করতে না পারলে কেউ কেউ কাউকে দাম দেয় না এটাই পৃথিবীর নিয়ম ৷তোমার যখন অনেক কিছু থাকবে তখন তোমার বন্ধুবান্ধব আপনজন সবকিছুই পাশে থাকবে ৷আর যখন তোমার কাছে কিছু থাকবে না তুমি নিঃস্ব তখন তুমি তোমার পিছন দিকে তাকিয়ে দেখো ৷তোমার সাথে কেউ নেই যে মানুষগুলো তোমার এক সময় খুব কাছের বন্ধু বান্ধব আপনজন ছিল সেগুলো দেখবে অনেক দূরে আর এটাই হয়তো বাস্তব৷
এরপর মনে মনে ভাবলাম যেহেতু কম্পিউটার সম্বন্ধে শিখব তাই সবার আগে টাইপিং এর কাজ শেখাবে৷ মূলত সবার আগে টাইপিং গুরুপূর্ন বলে আমি মনে করি আর তাইতো ভাবলাম যে তাহলে আগে একটি কি-বোর্ড নিলে আরো ভালো কাজে আসবে৷ তাহলে সময়ের ফাঁকে ফাঁকে বাড়িতেও মোবাইলের মাধ্যমে চর্চাটা ধরে রাখতে পারব ৷আর দ্রুত সম্ভব শিখতেও পারবো৷আর তাইতো আজ সন্ধ্যাবেলায় কি-বোর্ড কেনার জন্য বাজারের উদ্দেশ্যে গেলাম ৷
তো আমি সরাসরি চলে গেলাম ইলেকট্রনিকেল দোকানে যেখানে মোবাইলের যাবতীয় জিনিসপত্র বিক্রি করা হয় অর্থাৎ মোবাইলের দোকানে৷
লোকেশন
যাহোক নতুন কিছু শেখার আনন্দটাই আলাদা ৷ সত্যি তো সময়টাকে অপচয় না করে ৷যদি সময়ের মূল্যটাকে একটু কাজে লাগা যায় তাহলে তো কোন দোষ নেই ৷ কাল থেকে আমার নতুন শিকার যাত্রা শুরু ৷ যাই হোক বড় ভাই টি আমাকে অনেকটা ভালো পরামর্শ দিয়েছে ৷যেখানে শিখতে গেলে টাকার প্রয়োজন ৷সেখানে বড় ভাই ফ্রি শিখাবে সত্যি অনেক ভালো লাগতেছে ৷
https://twitter.com/gopiray36436827/status/1567181850048876551?t=jjjlks92NwOy0TVrIxcLkA&s=19
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
নতুন কিছু শিখতে সবারই ইচ্ছে করে। কিন্তু কারো সুযোগ থাকতেও তারা সেটার প্রতি অবহেলা করে। আর যাদের সুযোগ বা সামর্থ্য নেই তারাই এইসবের প্রতি বেশী আগ্রহ হয়। ঠিক তেমনি ভাই আপনি নতুন কিছু শেখার অনুভূতিটি আমাদের সাথে অনেক সুন্দর ভাবে শেয়ার করেছেন। সুন্দরভাবে শেয়ার করার পাশাপাশি ফটোগ্রাফ গুলো অনেক সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছেন।
আপনার জন্য শুভ কামনা রইল
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ভাই আমাদের উচিত যে যার কোনো সুযোগ সামর্থ নেই ৷তাকে সবাই মিলে সাহায্যের হাত বারিয়ে দেয়া
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
সুন্দর কিছু মূহূর্ত ছবি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন ভাইয়া। নতুন কিছু শিখতে বেশ ভালো লাগে। কিন্তু শেখার আগ্রহ টা ধরে রাখতে পারলে ভালো কিছু সম্ভব। আপনার জন্য অগ্রিম শুভকামনা রইলো। আপনার পথচলা আরো ভালো কাটুক এই কামনা করছি। শুভ কামনা রইলো আপনার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
জি নতুন কিছু শেখার মজাই আলাদা ৷দোয়া করবেন ভাই যাতে আগ্রহা ধরে রাখতে পারি
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আসলে শিখার কোন শেষ নেই আপনি যেটা শিখবেন ভবিষ্যতে আপনার কাজে লাগবেই লাগবে। তারপরও আপনার এই বড় ভাইটা অনেক ভালো মনের একজন মানুষ তা না হলে আপনাকে উনি এভাবে একটা পরামর্শ দিত না বা বিনামূল্যে আপনাকে কিছু শিখিয়ে দিবে এরকম কাজ করত না। বর্তমানে অবশ্য এরকম মানুষ পাওয়া মুশকিল কেউ কারো স্বার্থ ছাড়া কোন কাজ করে না সে ক্ষেত্রে আপনার বড় ভাই ভালো একটা উদ্যোগ নিয়েছে আমি মনে করি এরকম লোক সব জায়গায় সব সময় যদি থাকতো দেশের অনেক উন্নতি হতো।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
জি ভাই শিখার কোনো শেষ নেই ৲তাই তো বড় ভাইয়ের কথা মতো কাজ করার চেষ্টা ৷জানি না সফলতা পাবো কি না ৲
কিন্তু দিন শেষে এরকম মানুষ আছে বলে পৃথিবী আছে
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit