আমার বাংলা ব্লগ
মহানাম সংকীর্তন শুনার অভিজ্ঞতা
হ্যালো,
🙏নমস্কার ও আদাব আমার বাংলা ব্লগের সকল ভাই বোন বন্ধুরা আপনারা সবাই কেমন আছেন?আশা করছি সবাই ভালো আছেন সুস্থ আছেন ৷আজকে আপনাদের মাঝে একটি নতুন ব্লগ নিয়ে হাজির হয়েছি ৷আমি @gopiray একজন বাংলাদেশী ও একজন সনাতন ধর্মীয় অথাৎ আমি মনে প্রানে হিন্দু ধর্ম পালন করি৷ আমি আপনাদের মাঝে গতকাল মহানাম সংকীর্তন শুনতে যাওয়ার অভিজ্ঞতা আলোকচিত্র উপস্থাপন করবো ৷আশা করছি আপনাদের ভালো লাগবে ৷
গতকাল ছিল বুধবার সকাল বেলা মামা-তো ভাই হঠাৎ ফোন দিয়ে বললো তাদের বাড়ির পাশে মহানাম কীর্তন হবে ৷তাই আমাকে যেতে বললো আমি বললাম ঠিক আছে দেখি সন্ধা বেলায় যদি যেতে পারি ৷এই বলে ফোন রাখলাম তো সারাদিন যাওয়ার পর ঠিক সন্ধায় মামার বাড়ির উদেশ্যে রওনা দিলাম ৷
তারপর মামা-তো ভাই গেলাম মহানাম সংকীর্তন শুনার জন্য ৷আর সত্যি বলতে আমার কীর্তন শুনতে অনেক ভালো লাগে ৷তাই যেখানে হোক না আমি যাওয়ার চেষ্টা করি ৷
লোকেশন
কীর্তন শুনার আগে আমরা আগে মন্দির গেলাম এটা রাধা কৃষ্ণ মন্দির ৷মন্দিরে গিয়ে প্রনাম ও প্রতোক্ষিন করে৷আমরা কীর্তন শ্রবন করি ৷ কীর্তন শুনার মুল লক্ষ্য হলো এই কলিযুগে সনাতন হিন্দু ধর্মীয় বলে এই কলিযুগে কৃষ্ণ নাম বিহনে গতি নাই গতি নাই ৷তাই শ্রী চৈতন্য মহাপ্রভু বলেছে নাম করো নাম ভজ নাম ছারা গতি নাই ৷
আবার,
এই হিন্দু ধর্মীয় শাত্রে বলেছেন জীবের মৃত্যু হলে যে ব্যক্তি ধর্মের পথে ধর্মের নিয়ম কানুন করে সে ব্যাক্তি সর্গ লাভ করে ৷
যেমন:মুসলিম ধর্মে বলে যে ব্যক্তি ধর্মের পথে আমাকে স্বরন করে ৷পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ কায়েম করে ৷সে ব্যাক্তি আমার অতি প্রিয় এবং ওই ব্যাক্তি মৃত্যুর পর জান্নাত বাসি হন ৷
আসল কথা সব ধর্ম একি কথা বলেছে ৷শুধু পালন করার নিয়ম আলাদা ৷কেউ ডাকে আল্লাহ ,কেউ ডাকে ভগবান ,কেউ ডাকে গট, কিন্তু দিন শেষে আমরা সবাই মানুষ ৷একজন মুসলিম ভাইয়ের যে রক্ত একজন হিন্দু মানুষের শরীরেও ওই একি রক্ত ৷তাই আমাদের উচিত কোনো ধর্মকে ছোট না দেখার ৷
যাই হোক অনেক কথা বললাম এবার আসি সেখানকার ঘটনা নিয়ে ৷
এরপর তো আমরা কীর্তন শুনতে বসলাম ৷অনেক ভক্তদের আগমন ঘটেছে ৷ নারী পুরুষ ছোট বড় সবাই যেন কৃষ্ণ নামে মেতে উঠেছে ৷রাতের আলোয়ে যেন ঝলমলে এই মহানাম সংকীর্তন অনুষ্ঠান ৷কীর্তন শুনার কিছুক্ষণ পর আবার প্রসাদ খেলাম ৷আসলে সেখানে প্রসাদের আয়োজন করেছে ৷
কীর্তন শুনার সময় একটু ভিডিও করেছি ৷
নিচে তা দেওয়া হলো:
লোকেশন
যে দলটি নাম সংকীর্তন পরিবেশনা করেছে নারীর দল অর্থাৎ তারাই গান গাচ্ছে ঢল বাজাচ্ছে কীর্তন করছে ৷সত্যিই অসাধারণ ৷
তো প্রায় চার ঘন্টা কীর্তন শুনার পর রাত এক টায় আবার মামা তো ভাই সহ তাদের বাড়ি গেলাম ৷
পরের দিন সকাল বেলা খেয়ে আমি বাড়ি চলে আসি ৷
যাই হোক কীর্তন শুনার পর মনটা অনেক ভালো লেগেছে ৷
লোকেশন
তো বন্ধুরা এই ছিলো আজকের আমার ধর্মীয় পোষ্ট জানি না আপনাদের কী রকম লাগবে ৷আশা করছি আপনাদের ভালো লাগবে ৷এই প্রার্থানা রেখে এখানেই শেষ করছি ৷সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন এই কামনা করি ঈশ্বরের কাছে৷