চলছে পুজোর কাজ || @shy-fox 10% beneficiary

in hive-129948 •  2 years ago 

আজ- ১৩ই, আশ্বিন , | ১৪২৯ , বঙ্গাব্দ | শরৎকাল ||



নমস্কার-আদাব
মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি
আমার বাংলা ব্লগ এর ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ, আশা করি সবাই ভাল আছেন।

মায়ের আগমনী বার্তায়
জেগে উঠুক প্রকৃতি
দূর হোক পৃথিবীর সমস্ত অকল্যাণময়
বিনাশ হোক সকল অশুভ শক্তির
মঙ্গলময় আনন্দময় প্রেমময়ও
হয়ে উঠুক এই ধরণী
এই কামনায় সবাইকে জানাই
শারদীয় দুর্গাপূজার শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন৷

দেখতে দেখতে সময় যেন চলে এলো৷ বাঙ্গালীদের সবচেয়ে বড় উৎসবের নাম শারদীয় দুর্গা উৎসব৷ সনাতন ধর্মীয় হিন্দু বাঙ্গালীদের মনে আনন্দের জোয়ার উঠেছে চারদিকে শুধু পুজোর ধুম আর আমেজ শুরু হয়ে গেছে ৷আর মাত্র তিন দিনের অপেক্ষা৷ ঠিক জানি না এবার পুজোঁ কেমন কাটবে তবে আশা ও প্রাপ্তি রাখছি৷ যে পুজো এবার বার অনেক ভালো এবং কি আনন্দের সহিত কাটবে৷ এই প্রত্যাশা রাখি সেই মায়ের কাছে যেন এবার পুজো সুস্থ এবং কি ভালোভাবে কাটাতে পারি ৷

যা হোক বন্ধুরা প্রায় কয়েকদিন আগে পুজোর কেনাকাটা করার জন্য গিয়েছিলাম ৷ আর কেনাকাটা শেষে দেবীগঞ্জ থানার সবচেয়ে বড় দুর্গা উৎসব যেখানে পালিত হয় ৷ বলতে গেলে আমাদের এলাকার বেশ বড় এবং কি জাঁকজমকপূর্ণ ভাবে এখানে পুজো করা হয়৷ তো কেনাকাটা শেষ করার পরে
সেখানে একটু ঘুরতে গিয়েছিলাম৷ যে পুজোর কাজ কতদূর এগোচ্ছে তা দেখতে ৷ তো সেখান কারি কিছু আলোচিত আপনাদের মাঝে শেয়ার করছি ৷

IMG20220925164207_01.jpg

আপনার নিশ্চয়ই দেখতে পাচ্ছেন৷ অনেকগুলো বাঁশ দিয়ে কত উঁচু করছে ৷ সত্যি এটি শুধু এক দু দিনের কাজ নয়৷ প্রায় একমাস আগে থেকেই এসব কাজ করে আসছে ৷একটি বাঁশের সাথে আরেকটি বাঁশ বেঁধে এভাবেই কত উঁচুতে তুলেছে ৷ যদিও সবচেয়ে উুচু তে কাপড় লাগিয়েছে৷ নিচেগুলোতে লাগায় নি ৷তবে হয়তোবা এখন পুরোপুরি কাজ সম্পন্ন হয়েছে ৷যেহেতু আমি তিন চার দিন আগে গিয়েছিলাম ৷

তারপর দেখতে পেলাম অনেকজন কর্মচারী বা মানুষ মাটিতে বসে কাঠের কিছু জিনিস তৈরি করতেছে ৷তার সাথে শলা দিয়ে নকশা অনেক কিছু কাজ করতেছে করতে৷ বলেত গেলে প্রচুর ব্যস্ততার কাটাচ্ছে এই সময় তারা ৷ কারণ কদিন পরেই পুজো আর এই পুজোর আগে সম্পূর্ণ কাজ তাদের প্রস্তুত রাখতে হবে এ নিয়ে হয়তোবা তাদের মধ্যে অনেক ব্যস্ততার সময় কাটাচ্ছে ৷ নকশা করছে কেউবা শলা দিয়ে আবার কেউ উপরের ছাউনি লাগাতে ব্যস্ত ৷

IMG20220925164239_01.jpg

IMG20220925164439_01.jpg

IMG20220925164616_01.jpg

এসব কাজকর্ম দেখার পর এগিয়ে গেলাম মন্দিরের উদ্দেশ্যে ৷ আসলে প্রতিমা গুলো বানানো হয়েছে কিনা সেগুলো দেখার জন্য ৷ কিন্তু আসলে মন্দিরে চারদিকে ঘেরা থাকার জন্য ভিতরে যাওয়া সম্ভব হচ্ছিল না ৷ তো দূর থেকে দেখলাম সম্পূর্ণ ঠাকুর বানানো কাজ শেষ আর প্রতিমা গুলো দেখতেও বেশ চমৎকার লাগছিল৷ যদি শুধু রং করার কাজটা বাকি ছিল ৷হয়তোবা খুব তাড়াতাড়ি দু-একদিনের মধ্যেই সেরে ফেলবে ৷ সত্যি কুমারদের হাতের নৈপুণ্য দেখে মনোমুগ্ধকর ৷এত সুন্দর করে যে রূপ দিচ্ছে তা সত্যি বলার অপেক্ষা রাখে না ৷ তবে গতবারের চেয়ে এবার ঠাকর গুলোকে অনেক সুন্দর লাগছিল ৷

IMG20220925164521_01.jpg

IMG20220925164528_01.jpg

এরপর লক্ষ করলাম যে চারদিকে বেশ ভালই দোকানও বসেছে৷ আসলে এক সপ্তাহ আগেই দোকানঘর গুলো সাজিয়ে রাখে৷ আর এখন শুধু তারা মালামাল গুলো দোকানে সাজিয়ে রাখবে এজন্যই হয়তো বা তারা এক সপ্তাহ বা ১০ দিন আগেই এসব সবকিছু ঠিকঠাক করে নিয়ে নেয়৷ তবে একটি আচারের দোকান সবার প্রথমে দেখলাম বেশ ভালো লাগছিল নানান ধরনের আচার আর বলতে গেলে আচার খেতে বেশ ভালোই লাগে৷ আর আসার মধ্যে সবচেয়ে চালতা রথ একটা আমার খুবই প্রিয়৷ তাই সেখানেই দেরি না করে ২০ টাকার আচার নিয়েই নিলাম৷
আবার কিছু নাগরদোলা ওএসেছে৷যে যাই বলুন গত বছর নাগরদোলায় উঠে আমার মাথা ঘুরে গেছে ৷সত্যি বলতে আমি নাগরদোলায় একদমই চড়তে পারি না ৷চড়লে যেন মনে হচ্ছে গোটা পৃথিবীটা ঘুড়ছে এমন মনে হয়৷

IMG20220925164642.jpg

IMG20220925165529.jpg

যাহোক সবগুলো ঘুরে ঘুরে দেখলাম ৷যে প্রায় সব কাজ বেশ অনেকটাই এগিয়ে গেছে ৷হয়তো পুজো আস্তে আস্তে সম্পূর্ণ কাজ প্রস্তুত হয়ে যাবে এমনটাই প্রত্যাশা৷ এছাড়া বিভিন্ন রঙের কাপড় যেগুলো দিয়ে মন্দিরের চারপাশটা সাজাবে৷
কিছু আলোচিত্র সেগুলো নিচে দেওয়া হলো ৷

IMG20220925164700_01.jpg

IMG20220925164259.jpg

IMG20220925164332_01.jpg

তো বন্ধুরা এত দিয়েছিল আমার ব্লগ৷ আসলে পুজোর কেনাকাটা করতে গিয়ে ৷ হঠাৎ ভাবলাম যে একটু মন্দিরে গিয়ে ঘুরে আসি যে পূজোর কাজ ঠিক কতদূর এগিয়েছে ৷আর তাই সেখানে গিয়ে কিছু ফটোগ্রাফি করি৷ যেগুলো এখন আপনাদের মাঝে আমি শেয়ার করলাম৷ পুজোতেও কাটানো আনন্দ মুহূর্তগুলো আপনাদের মাঝে শেয়ার করব৷ এমনটাই প্রত্যাশা রেখে আজকের মত এখানেই বিদায় নিচ্ছি৷

সমাপ্ত

@gopiray

কমিউনিটিআমার বাংলা ব্লগ
-----
ফটোগ্রাফার@gopiray
লোকেশনhttps://w3w.co/

সবাইকে ধন্যবাদ

C3TZR1g81UNaPs7vzNXHueW5ZM76DSHWEY7onmfLxcK2iNzq2MSXKSji21JRspt4nqpkXPR5ea7deLzvmJtuzVBwdLJUpBqtgAZ5gHtHPbayD2jR3CWqjkJ.png

4N7u1ckX2rqpV3R2NtB6sQ3Ebe7Ccci3Bs7Y69YWThVL6rmhhgg7XengdNkaYLCW8ZgKHpRNy5T9ixZoj8QqMZZEPcPrRc3Nbr6zczd6QX...PgYGgSVZcLKRxcTzJ6wpa6gwQopJ9FDVdoN1UwXF86aTmAuUvrGLJWeb6v1CKLLWJdWFgZE33ad6Ch4UFpz4TqzNgcYrHE2hpuGntCY9ennRPXyvdAfDaVNnG6.png

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

আপনাদের দেশের পূজা হিসেবে মনে হচ্ছে আপনাদের এলাকায় সত্যিই বেশ জাঁকজমকপূর্ণ পুজো হচ্ছে।প্যান্ডেলটি খুব সুন্দর আশা করি পূজার আগেই কাজ সম্পন্ন করতে সক্ষম হবেন সুন্দরভাবে।তাছাড়া মায়ের মূর্তিগুলো ও বেশ সুন্দর।আপনার মাধ্যমে ছবিগুলো দেখে ভালো লাগলো,পূজার কেনাকাটা করতে গিয়ে মন্দির পরিদর্শন করে ভালোই করেছেন।এটা খুবই সময়সাপেক্ষ কাজ,পূজা ভালো কাটুক সকলের এটাই প্রত্যাশা করি।ধন্যবাদ আপনাকে।

হ্যাঁ আমাদের দেশেও খুব যে বেশি ভালো তা নয় ৷ শুনেছি আপনাদের দেশেই না কি জাঁকজমক পূর্ন হয় ৷যদি এবার যেতে চেয়েছিলাম ৷ কিন্তু হলো না ৷

আর মাত্র একদিন পরেই পুজা শুরু আমাদের এদিকের আশে পাশের মন্দির গুলো বেশ যাক যমক ভাবে সাজিয়ে রাখা হয়েছে।

হুম ভাই সবকিছু প্রস্তুত হয়ে গেছে ৷ পুজো এবার জমবে বেশ

বাংলাদেশেও তো দেখছি বেশ সুন্দর এবং জাঁকজমকপূর্ণ পুজোর আয়োজন হয়। বিশ্বাস করবেন কিনা জানিনা, মনের ভিতরটাতে কেমন যেন একটা শান্তির হাওয়া বয়ে গেল আপনার ফটো গুলো দেখে। তবে ঠিকই বলেছেন এই পুজোর কাজগুলো অনেক আগে থেকেই শুরু করা হয়, না হলে শেষ করতে সমস্যা হতে পারে। তবে ওখানকার মন্দিরগুলো তে দেখলাম মন্দিরের ভেতরেই ঠাকুর বানানো হয় কিন্তু আমাদের এখানে বাইরে থেকে ঠাকুর এনে পুজোর দিন মন্দিরের ভিতরে রাখা হয়।

জি দাদা আমাদের এই দিকে মন্দিরে বানানো হয় ৷ দাদা পুজো হলেও তেমন ভালো মানের হয় না ৷ তবে এবার পাড়ার সবাইকে বেশি করে চাঁদা দিয়ে আয়োজন৷ ধন্যবাদ দাদা ৷