আজ - ২৫শে, অগ্রহায়ণ |১৪৩০ বঙ্গাব্দ, | গ্রীষ্ম-কাল |
নমস্কার - আদাব। মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ, আশা করি সবাই ভালো আছেন।
প্রিয় আমার বাংলা ব্লগের সকল ভাই বোন বন্ধুগণ আপনারা সবাই কেমন আছেন ?? আশা করি সবাই অনেক ভালো আছেন সুস্থ আছেন এবং নিরাপদে আছেন । সেই সাথে আমার বাংলা ব্লগ পরিবারের সাথেই রয়েছেন। শত ব্যস্ততার মাঝেও আমিও আপনাদের আশীর্বাদ দোয়া সব মিলিয়ে ভালোই আছি। যা হোক আজকে প্রায় বেশ কয়েকদিন পরেই আবারো একটি নতুন ইউনিক ব্লগ নিয়ে হাজির হলাম।
আসলে জীবনের স্মৃতি অনেক মারাত্মক অনুভূতির নাম। সময় যাবে দিন যাবে কিন্তু ফেলে আসা সেই সময়ের স্মৃতিগুলো জীবনের খাতায় কিংবা ডায়েরির পাতায় রয়ে যায়। আজীবন সেটা হোক দুঃখ সুখ ভালো-মন্দ কিংবা জীবনে ঘটে যাওয়া এমন কোন ঘটনা। যাই হোক সবই থাকে জীবনের খাতায় স্মৃতি হিসেবে ।
স্মৃতি হোক ভালো কিংবা মন্দ জীবনে চলার পথে সেই স্মৃতিগুলোকে আঁকড়ে ধরে বেচে না থেকে জীবনকে নতুন করে এগিয়ে নিয়ে যাওয়াই বুদ্ধিমতার কাজ বলে আমি মনে করি। তবুও জানিনা কেন যেন সেই পুরনো স্মৃতিগুলো জীবনে এসে এক পাহাড় সমান সৃষ্টি হয় ।যা জীবনে চলার পথে ব্যাঘাত ঘটায়।
আর যা আমার জীবনে ঘটে চলেছে । তো যা হোক সব মিলিয়ে যেন সব কিছুই ছুরে ফেলে আবার নতুন করে নতুন পথ সৃষ্টি করতে পারি এমনটাই আশা প্রত্যাশা বা দোয়া আশীর্বাদ চাইছি সবার কাছ থেকে।
প্রিয় বন্ধুরা আজকে আমি আপনাদের মাঝে যে ব্লগটি উপস্থাপন করতে চলেছি সেটি মূলত দূর্গা পূজার এপিসোড । অর্থাৎ কিছুদিন আগেই সনাতন ধর্মাবলম্বীর সবচেয়ে বড় উৎসব হল শ্বারদীয় দুর্গা উৎসব। আর সেই সময় আমি ব্লগিং থেকে দূরে ছিলাম। তাই দুর্গোৎসবে কাটানো মুহূর্তগুলো আপনাদের সাথে শেয়ার করতে পারেনি । কিন্তু সেই দুর্গাপুজোতে কাটানো কিছু মুহূর্ত ফটো ফ্রেমের বন্দী হয়ে আছে এখনো। তাই তো আজকে ইচ্ছা করলো আপনাদের মাঝে আমাদের এলাকার সবচেয়ে বড় শ্বারদীয় দুর্গা উৎসব এর স্মৃতির মুহূর্ত গুলোই আপনাদের মাঝে শেয়ার করি।
ছবিটি হয়তো বা দেখতে পারছেন যে ইয়া বড় একটি পূজা মণ্ডপ । অর্থাৎ ডেকারেশন আবার অনেকেই গেইট বলে থাকে। সত্যি বলতে নতুন কাপড় দিয়ে সাজানো পূজা মন্ডপ দেখতে অনেক সুন্দর আর অসাধারণ ছিল । সেই সাথে হালকা আলোর সজ্জা সবমিলিয়ে পূজা মন্ডপের এমন সুন্দর এক সাজসজ্জার উপরন্তি বেশ ভালোই ছিল।
যতটা মনে পড়ছে আমি পুজোর তৃতীয় দিন গিয়েছিলাম । তাই প্রচুর পরিমাণে মানুষজনের সমাগম ছিল। নারী পুরুষ ছোট বড় অর্থাৎ পরিবারের সকলে মিলে পূজোতে আনন্দ উদযাপন করার উদ্দেশ্যেই । ঠাকুর দেখার আনন্দের সবাই নিজ নিজ পরিবার নিয়ে আনন্দ করে। আমিও আমার পরিবার নিয়ে গিয়েছিলাম ।
কারণ আর যাই হোক পরিবারকে নিয়ে পুজোর উদযাপন গুলো কাটাতে সত্যিই এক আনন্দদায়ক বটে ।
এরপর হালকা কিছু ফটোগ্রাফি এর পর পরিবারকে নিয়ে খাওয়া দাওয়া ঘুরা-ফেরা সবমিলে অনেক ইনজয় করেছিলাম ৷
যাহোক ঠাকুর দেখার হালকা ঘোরাফেরা সেইসাথে কিছু ফটোগ্রাফি এর পরেই আমরা আবার অন্য ঠাকুর দেখার উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলাম । তবে আমাদের এলাকার সবচেয়ে বড় দুর্গাউৎসব ৷ তাই আপনাদের শেয়ার করলাম ৷ তবে আপনাদের সবারই অনেক ভালো লেগেছে ঠাকুর প্রতিমা গুলো দেখে৷,
যাহোক প্রিয় বন্ধুগণ আপনারা সবাই আমার জন্য আশীর্বাদ দোয়া রাখবেন । যেন আমি সবকিছু পুরনো স্মৃতিকে ভুলে আবার নতুন করে আপনাদের সাথে ব্লগিংয়ের কাজে নিযুক্ত থেকে আমার মেধা সৃজনশীলতা গুলোকে যেন আপনাদের মাঝে নিংড়ে দিতে পারি । এমনটাই আশা প্রত্যাশা করছি সেই সাথে চেষ্টা করবো এখন থেকে প্রতিনিয়তই আপনাদের সাথে নিজের সর্বোচ্চটা দিয়ে কাজ করার ৷
তো প্রিয় বন্ধুরা আজকে আপনাদের কাছে এখানে বিদায় নিচ্ছি ৷ আবার নতুন কোন ইউনিক ব্লগ নিয়ে হাজির হবো৷ এমন প্রত্যাশা আশা আকাঙ্ক্ষা রেখে এখানেই শেষ করছি৷
ভুল ত্রুটি ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন৷
কমিউনিটি | আমার বাংলা ব্লগ |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @gopiray |
ডিভাইস | realme 12 |
ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজায় কাটানো পুরানো মুহূর্তটুকু আপনি খুবই সুন্দর ভাবে আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন। পূজা মন্ডপটি দেখতে অসাধারণ সুন্দর লাগছে। আপনার এরকম সুন্দর পরিবেশে কাটানো মুহূর্তটুকু নিঃসন্দেহে আনন্দের ছিল। অনেক সুন্দর একটি পোস্ট পড়ে আমার অনেক ভালো লাগলো।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit