আজ ০৭ই , চৈত্র | ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, | বসন্ত-কাল |
নমস্কার - আদাব। মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ, আশা করি সবাই ভালো আছেন।
জীবন যেখানে যেমন ঠিক সেভাবেই জীবনকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হয় এটি হলো বাস্তবতা। ক'দিন ধরে কেন যেন বর্ষার সিজন হয়ে গেছে ঝিরিঝিরি বৃষ্টি দমকা হাওয়া বাতাস সবমিলি য়ে পরিবেশটা বেশ ঠান্ডা করে দিয়েছে। যা হোক প্রতিদিনের মতো আজও আপনাদের মাঝে হাজির হলাম নতুন একটি ব্লগ নিয়ে ।চেষ্টা করি প্রতিনিয়তই ভিন্ন ধরনের কিছু উপস্থাপন করার । গত সপ্তাহে শিবরাত্রি মেলা যাওয়ার প্রথম পর্ব শেয়ার করেছিলাম ।আর আজকে দ্বিতীয় পর্বের ব্লগটি নিয়েই আপনাদের মাঝে উপস্থাপন করছি। আশা করছি মেলার আলোচিত্র ও আমার কাটানো অনুভব অনুভূতি মুহূর্ত গুলো আপনাদের কাছে ভালো লাগবে। আর সেই আশা প্রত্যাশা ব্যক্ত রেখে শুরু করছি আমার আজকের ব্লগ।
আমি সেদিনও বলেছিলাম যে গ্রাম বাংলার মেলা মানেই এক অন্যরকম পরিবেশ । যেখানে হয়তো শহরের মেলায় অনেক কিছু ভিন্ন বড় বড় জাঁকজমক অনুষ্ঠান সব মিলিয়ে এটা বড় মেলা বলা যায় । কিন্তু গ্রাম বাংলার মেলার মধ্যে একটা অন্যরকম অনুভব-অনুভূতি কাজ করে । সবকিছু সিম্পিল থাকার পরও গ্রামের পরিবেশের মেলাটা একটা ঐতিহ্যবাহী বিশেষ করে গ্রামীন কিছু পুরনো দৃশ্যপট থাকে যা গ্রামীণ মেলাটাকে আরো রুপ সৌন্দর্য করে তোলে। যেমন ধরুন বিভিন্ন রকম খেলনার দোকান আরে গ্রামের মেলা মানেই শৈশবের জীবনের অনেক কিছু মুহূর্ত স্মৃতি জড়িত রয়েছে। যেমন বড়দের বা ও অভিভাবকদের সঙ্গে মেলায় যাওয়া মুহূর্ত কোনো কিছু কেনার বাহানা বা খাবার বাহানা সব মিলে এই গ্রামের মেলার মধ্যে একটা অন্যরকম অনুভব অনুভূতি জড়িয়ে রয়েছে। সবার শৈশব বিশেষ করে যারা গ্রামের পরিবেশে বড় হয়েছে তাদের কমবেশি সবারই এই শৈশব জীবনের কিছু মুহূর্ত স্মৃতি রয়ে গেছে ।
সেদিন মেলায় তৃতীয় দিন গিয়েছিলাম। তাই খুব একটা ভিড় ছিল না বলা যায় । অনেকটাই ফাঁকা পরিবেশ বিকেলের শেষ মুহূর্তে অর্থাৎ সন্ধ্যার মুহূর্তে মেলায় গিয়েছিলাম। তাই মানুষের আনাগোনা খুব একটা বেশি ছিল না ।আর গ্রামের পরিবেশে মেলায় এটা সবচেয়ে বেশি ভালো লাগে যে সন্ধ্যার পর খুব একটা মানুষের সমাগম ঘটে না । যা হোক মেলায় ঘোরাঘুরি করার পর বিভিন্ন রকম ফটোগ্রাফি করা । দেখতে পাচ্ছেন ছবিতে যে কিছু চপ জাতীয় খাবার এসব চপ খেতে ভীষণ ভালো লাগে। বিশেষ করে বার্গার ডিমের চপ বেগুনের চপ ধনিয়া পাতার চপ সব মিলে দোকানটি বেশ ভালোভাবে সাজিয়েছে। তবে আমি চিংড়ি মাছের চপ খেয়েছি দুটি বেশ ভালই স্বাদ ছিল।
এরপর আবার বিভিন্ন রকমের দোকান বিশেষ করে গ্রামীণ মেলার সবচেয়ে জনপ্রিয় গুড়ের জিলাপি আর গরম গরম জিলাপি খাওয়ার যে স্বাদ সেটা আসলে যারা গ্রামীণ মেলার পরিবেশে খেয়েছে তারাই বলতে পারবে। মেলা থেকে আসার সময় আমি এক কেজি বা কিলোমিটার জিলাপি বাড়ির জন্য এনেছিলাম। ঠিক সেই সময় তোলা কিছু ছবি তুলেছি মানুষটা কি সুন্দর করে জিলাপি ভাজতেছে।
গ্রামের মেলায় আরো একটি জনপ্রিয় সেটা হল গ্রামীণ ঢোল যেগুলো বিশেষ করে শৈশব জীবনে । অর্থাৎ ছোট বাচ্চাগুলো কিনে থাকে ঠিক এমনই একটা দোকান দেখতে পেলাম ।এখানে বিভিন্ন রকম ছোট ঢোল বিক্রি করছে সেই সাথে রয়েছে মাটির বিভিন্ন তৈজসপত্র মাটির খেলনা এবং রয়েছে কসমেটিকস দোকানে ভরা । এরপর দেখতে পেলাম সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয় মিষ্টি পানের দোকান। হয়তোবা কম বেশি সবাই খায় মিষ্টি পান খাওয়ার একটা ভালো দিক সেটা হল ঠোঁট বেশি লাল টকটকে হয় বিষয়টা বেশ ভালোই লাগে আমার কাছে।
বিভিন্ন রকম মসলা নারিকেল গুঁড়া খয়ার সবমিলিয়ে একটি পান অনেক কিছু জাতীয় জিনিস দিয়ে তৈরি করা হয়। ছবিতে দেখতেই পারতেছেন ।
মেলা কাটানোর মুহূর্ত ছিল অনেক সুন্দর মেলায় বিভিন্ন দোকানের ফটোগ্রাফি করেছি যেগুলো আপনাদের মাঝে উপস্থাপন করছি ।গ্রাম বাংলার মেলা দৃশ্যপট গুলো দেখলেই এক অন্যরকম অনুভূতি জাগ্রত হয় মনে ।
প্রিয় বন্ধুরা সর্বোপরি এই ছিল আমার আজকের ব্লগ। মেলায় ঘোরাঘুরি করার অভিজ্ঞতা ও ফটোগ্রাফি ।আশা করছি আপনাদের কাছে সবার ভালো লাগবে এমনটাই আশা প্রত্যাশা করছি ।
প্রিয় বন্ধুরা আজকে আপনাদের কাছে এখানে বিদায় নিচ্ছি । আবার নতুন কোন ইউনিক ব্লগ নিয়ে হাজির হবো। এমন প্রত্যাশা আশা আকাঙ্ক্ষা রেখে এখানেই শেষ করছি৷
ভুল ত্রুটি ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।
পোষ্ট বিবরন
শিবযাত্রি মেলার ঘোরাঘুরি ও আলোকচিত্র
ক্যামেরাঃ realme C12
ছবি ক্যাপচারঃ gopiray
লোকেশনঃhttps://w3w.co/slotted.inward.quartered
আমার বাংলা ব্লগ ❤।। বাংলাদেশ।।
https://twitter.com/gopiray36436827/status/1770834587377168469?t=e5eP2-UcfS8hjhARSSp4eQ&s=19
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আপনি শিবরাত্রি মেলার অভিজ্ঞতা ও আলোকচিত্রগুলোকে খুব সুন্দর করে তুলে ধরেছেন। আপনার ফটোগ্রাফির কাজটিও অসাধারণ, বিশেষ করে জিলাপি ও চপের ছবিগুলো দেখে মুখে জল আসে। আপনার ব্লগের মাধ্যমে গ্রাম বাংলার মেলার সৌন্দর্য ও সারল্য আমাদের কাছে আরো স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। আপনাকে আপনার এই সুন্দর কাজের জন্য ধন্যবাদ।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
শিবযাত্রি মেলায় অনেক সুন্দর একটি সময় অতিবাহিত করেছিলাম ৷ আ গ্রামের মেলা দৃশ্যপট গুলো ফটোগ্রাফি করেছি ৷
ধন্যবাদ আপনার সুন্দর মতামতের জন্য এভাবেই পাশে থাকবেন ৷
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
শিবযাত্রি মেলায় যাওয়ার খুব সুন্দর কিছু অভিজ্ঞতা ও আলোকচিত্র শেয়ার করেছেন আপনি৷ আপনার কাছ থেকে এরকম সুন্দর কিছু আলোকচিত্র দেখে খুবই ভালো লাগছে৷ এখানে অনেক ধরনের ভিন্ন ভিন্ন জিনিস দেখা যাচ্ছে যা আমি আগে কখনো দেখিনি৷ আপনার মাধ্যমে এখানে অনেক কিছু দেখতে পেলাম৷ অসংখ্য ধন্যবাদ এরকম সুন্দর কিছু জিনিস আমাদের মাঝে শেয়ার করে এগুলোকে আমাদের সাথে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার জন্য৷
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আসলে গ্রামীন মেলার আলোকচিত্র গুলো ব্লগে তুলে ধরার চেষ্টা করেছি ৷ আপনার কাছে আলোকচিত্র গুলো দেখে অনেক ভালো লাগলো ৷
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আমার শহরের মেলার থেকে গ্রামীন মেলাই বেশি ভাল লাগে। অনেক আন্তরিক মনে হয় গ্রামীন বেলা,জাকজমক ও বেশ ভাল থাকে।দাদা শিবযাত্রী হবে নাকি শিবরাত্রির মেলা হবে? আমাদের এদিকে এমন মেলা হয়না। অনেক ভাললাগল আপনার মেলা ভ্রমণের অভিজ্ঞতা পড়ে। (বেশ কিছু বানান ভুল গেছে।পান কে বান লিখেছেন,যাতায়াত কে সনাতন লিখেছেন।আশা করি ঠিক করে নেবেন)।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ওহ দাদা আসলে খেয়াল করি নি ৷ধন্যবাদ ভুল গুলো ধরিয়ে দেওয়ার জন্য ৷
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit