আজ ১৬ই, চৈত্র | ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, | বসন্ত-কাল |
নমস্কার - আদাব। মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ, আশা করি সবাই ভালো আছেন।
সুপ্রিয় ,আমার বাংলা ব্লগের সকল ব্লগার বন্ধুগণ আশা করি সবাই অনেক ভালো আছেন সুস্থ আছেন ।আর ভালো থাকারই কথা আর মাত্র কয়েক দিনের অপেক্ষা ইতিমধ্যেই ঈদের শোয়া চারদিকে ছড়িয়ে পড়েছে। ইতিমধ্যে অনেকে এই ঈদের শপিং কেনাকাটা সম্পন্ন করেছে। আবার কেউ হয়তো এই কয়েকদিনের মধ্যেই করে ফেলবে। সবমিলিয়ে সবার ঈদ উদযাপন হোক অনেক আনন্দের এমনটাই আশা প্রত্যাশা ব্যক্ত করছি। জীবনে আর যাই হোক ভালো থাকাটাই সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ । এই ছোট্ট জীবনে চলার পথে আমাদের প্রতি সময়ে ভালো থাকতে হবে এবং কি অপরকে ভালো রাখতে হবে।
যা হোক আজকে আমি আপনাদের মাঝে আমাদের হিন্দু সনাতন ধর্মীয় ইসকন মন্দির ঘুরতে গিয়েছিলাম ।আর তার ঐ অনুভব অনুভূতি এবং কি আলোচিত্র নিয়ে আজকের ব্লগটি উপস্থাপন করতে চলেছি। আশা করি আপনাদের সবার অনেক ভালো লাগবে এমনটাই প্রত্যাশা ব্যক্ত করছি।
প্রথমত বলতে হয় আমাদের হিন্দু সনাতন ধর্মীয় বর্তমানে ইসকন সম্প্রদায় বেশ ভালো এগিয়ে যাচ্ছে ।চারদিকেই ইসকন সম্প্রদায় ধর্মের দিকে বা ধর্মের নিয়ম সবকিছুই বেশ ভালোভাবেই পরিচালনা করছে ।সে দিক থেকে বর্তমান বিভিন্ন সম্প্রদায়ের থেকে ইসকন সম্প্রদায় বেশ ভালো এবং কি সবাই অন্তর্ভুক্ত হচ্ছে। যা হোক কিছুদিন আগেই ঘুরতে গিয়েছিলাম ইসকন মন্দির যে মন্দিরটি আমার বাড়ি থেকে প্রায় ২৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত ছিল । ঠাকুরগাঁও জেলার অবস্থিত গড়েয়া ইসকন মন্দির ।
মন্দিরের অনেক প্রভু এবং সেখানকার সকল সনাতন ধর্মীয় মানুষ জন্য প্রভুগণ মিলে এই মন্দির টি পরিচালনা করে থাকে । মন্দিরের এড়িয়া বড়ই ছিল সেখানে থাকার জন্য দূর দূরান্ত থেকে কোনো ভক্ত মানুষজন ঘুরতে এলে এখানে ইচ্ছে করলে থেকো যেতে পারে । এছাড়াও এখানে আরো একটি ভালো দিক শিশু আশ্রম অর্থাৎ ছোট ছোট বাচ্চাদের ধর্মপ্রতি বা ধর্মের জ্ঞান তাদের মনে উপলব্ধি করার জন্য শিক্ষার ব্যবস্থার নিয়েছেন। যেখানে সকল বিষয় পড়ানো হয় শিখানো এবং কি ধর্ম এক কথায় সব বিষয়ে শেখানো হয়। এই বিষয়টা আমার কাছে সবচেয়ে বেশি ভালো লেগেছে তবে সচরাচর আমাদের বাংলাদেশ এমন শিশু আশ্রম খুব একটা থাকে না।
তবে ভারতের মন্দিরগুলোতে প্রায় শিশু আশ্রম রয়েছে যেখানে গুরুর নিকট শিক্ষা দান করে থাকেন। ঠিক তেমনি এই ইসকন মন্দিরও শিশু আশ্রম ছিল প্রায় বেশ কয়েকটি বাচ্চা ছিল মোটামুটি ২০ থেকে ২৫ জন সব মিলিয়ে মন্দিরের পরিবেশ অনেক সুন্দর আর প্রাণবন্তর ছিল।
যা হোক মন্দিরে প্রবেশ করার পরেই প্রথমেই সেই রাধা কৃষ্ণ মন্দির শরণাপন্ন হলাম । প্রণামি দিয়ে ভক্তি করলাম যদিও ভিতরে যেতে চেয়েছিলাম। কিন্তু কিছু কারণবশত ভিতরে যাওয়া নিষিদ্ধ ছিল কিছু সময়ের জন্য। তাই খুব একটা জের করি নি দূর থেকেই প্রণামী করি।
এরপরে মন্দিরে চারিপাশে আরো কারো কাজ চলছে বিভিন্ন দেবদেবীর মূর্তি । এছাড়াও ইসকন এর প্রতিষ্ঠাতা অভয়চরণ শ্রীল প্রভুবাদ তার স্কেচ বানিয়ে রেখেছে ।এরপর শিব নারায়ণ প্রহল্লাদের সেই হরি ভক্তির নৃসিংহ দেব মূর্তি ও দর্শন করলাম। কিন্তু সেগুলো পুরোপুরি কাজ এখনো সম্পন্ন হয় নি। তবে আশা করি কিছুদিন পরেই এ সমস্ত অসম্পূর্ণ কাজ সম্পন্ন হয়ে যাবে।
ইসকন মন্দিরে অনেক সুন্দর একটি সময় অতিবাহিত করেছিলাম । আসলে একটা কথা কি মন্দির দর্শন করলেই মনের ভেতর ধর্ম ভিত্তিক জ্ঞানের উদয় হয় ।তখন ইচ্ছে করে সব কিছু বাদ দিয়ে এইমাত্র গুরুর নিকট বা ভগবানের নিকট শরণাপন্ন হই । কিন্তু দিনশেষে দেখুন আমরা সবাই এ সংসারের মায়ার বন্ধনে আবদ্ধ হইয়াছে । শুধু সময়ের ফাঁকে আমরা এই ঈশ্বরের ভক্তি বা ঈশ্বরের প্রতি ভালোবাসা প্রকাশ করছি।
তাই আমাদের সনাতন ধর্মীয় সকল দাদা ও বোনদের প্রতি আবেদন আসুন আমরা সবাই ধর্মের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করি। নিজের ধর্মকে বিশ্বাস করি এবং নিজের ধর্মের নিয়ম কানুন মেনে চলার চেষ্টা করি। তবেই এই মানব জীবন সার্থক। কারণ এই ছোট্ট কিছুদিনের জন্য আমরা এই সুন্দর পৃথিবীতে এসেছি। দিনশেষে একদিন আমাদের কে চলে যেতেই হবে এই পৃথিবীর সকল মায়া পরিত্যাগ করে । তাই এই মায়া পরিত্যাগ করার আগেই আমাদের কিছু ধর্মের বিষয়ে ধর্মে জ্ঞানের আলোর অধীনে সে নিজের ভালো কর্ম কে বেছে নিয়ে এ জীবন ত্যাগ করা উচিত।
গীতায় সু- স্পষ্ট লেখা আছে যে ৮৪ লক্ষ যোনি ভ্রমণ করার পর এই মানুষজনম । অর্থাৎ পৃথিবীতে আমরা এই মানুষ জন্ম নেওয়ার আগ মুহূর্তে ৮৪ জন্ম লাভ করেছি । সেটা হতে পারে পোকা মাকর গরু ছাগল অর্থাৎ পৃথিবীর সমস্ত কী উৎপাদঙ্গ থেকে শুরু করে সব যোনি ভ্রমণ করার পর এই মানব জন্মে। আমাদের সেই প্রভু বা সৃষ্টিকর্তা এ সুন্দর পৃথিবীতে পাঠিয়েছে । শুধু ধর্মের প্রতিষ্ঠার জন্য এবং ধর্মকে প্রতিপালন করার জন্য।
তাই আমাদের সকল সনাতন ধর্মীয় দাদা বোনদের প্রতি এতটাই আকুল আবেদন বা বিনীত নিবেদন ।আমরা সবাই নিজের ধর্ম কি প্রাণ ভরে পালন করি।
প্রিয় বন্ধুরা তো এই ছিল আমার আজকের ইসকন মন্দির দর্শনের সেখানকার কাটানো অনুভব অনুভূতি এবং কি কিছু আলোকচিত্র। এছাড়াও শেষ মুহূর্তে সনাতন ধর্মীয় বিষয়ে কিছু আমার জানা কথা যেগুলো প্রকাশ করলাম ।আশা করি আপনাদের সবার অনেক ভালো লাগবে এমনটাই আশা প্রত্যাশা ব্যক্ত রেখে আজকের ব্লগটি এখানেই শেষ করছি।
প্রিয় বন্ধুরা আজকে আপনাদের কাছে এখানে বিদায় নিচ্ছি ৷ আবার নতুন কোন ইউনিক ব্লগ নিয়ে হাজির হবো৷ এমন প্রত্যাশা আশা আকাঙ্ক্ষা রেখে এখানেই শেষ করছি৷
ভুল ত্রুটি ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন৷
কমিউনিটি | আমার বাংলা ব্লগ |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @gopiray |
ডিভাইস | realme 12 |
সবাইকে ধন্যবাদ
|
---|
https://twitter.com/gopiray36436827/status/1774460030806307097?t=-04ZGj_YyICsm40hJ1ebPw&s=19
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit