২০২৪ সালে বাংলাদেশে ছাত্র-ছাত্রীদের কোটা আন্দোলন একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা ছিল। এই আন্দোলন মূলত সরকারি চাকরিতে বিদ্যমান কোটা ব্যবস্থার সংস্কারের দাবিতে সংগঠিত হয়েছিল।
আন্দোলনের কারণ:
বাংলাদেশে সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতি দীর্ঘদিন ধরেই বিতর্কিত ছিল। মেধা ভিত্তিক নিয়োগ প্রক্রিয়া উপেক্ষা করে কোটার মাধ্যমে অনেকেই সুযোগ পাচ্ছিল, যা ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে অসন্তোষের জন্ম দেয়। বিশেষ করে, মুক্তিযোদ্ধা কোটার নামে মেধাবী শিক্ষার্থীদের পিছনে ফেলে অনেকেই সুবিধা পাচ্ছিল।
আন্দোলনের প্রাথমিক ধাপ:
আন্দোলনটি মূলত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মাধ্যমে শুরু হয় এবং তা দ্রুতই দেশের অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ে ছড়িয়ে পড়ে। শিক্ষার্থীরা শান্তিপূর্ণভাবে প্রতিবাদ করে, স্লোগান দেয় এবং র্যালি আয়োজন করে।
সরকারের প্রতিক্রিয়া:
শিক্ষার্থীদের এই আন্দোলনের প্রেক্ষিতে সরকার প্রথমে নীরবতা পালন করলেও পরে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় এবং প্রশাসনিক কর্মকর্তারা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনায় বসেন।
ফলাফল:
অবশেষে, সরকারের উচ্চ পর্যায়ে আলোচনা শেষে কোটা পদ্ধতির সংস্কার বা পরিবর্তনের ঘোষণা আসে। তবে, এই পরিবর্তন সম্পূর্ণ কোটার বিলোপ ঘটায়নি, বরং মেধাবী শিক্ষার্থীদের জন্য কিছুটা জায়গা তৈরি করেছে।
সামাজিক প্রতিক্রিয়া:
সামাজিক মাধ্যম এবং সংবাদ মাধ্যমেও এই আন্দোলন ব্যাপক প্রচার পায়। সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে বিভিন্ন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব পর্যন্ত এ বিষয়ে মন্তব্য করেন।
এই আন্দোলন বাংলাদেশের শিক্ষাক্ষেত্রে একটি নতুন অধ্যায়ের সূচনা করেছে, যেখানে শিক্ষার্থীরা তাদের অধিকার আদায়ের জন্য ঐক্যবদ্ধ হতে পেরেছে।