নমস্কার
"কৃষ্ণসায়র ফুলমেলা"
প্রাকৃতিক দৃশ্যের ফটোগ্রাফি পর্ব : 11
শীতকাল শেষ হয়ে বসন্তকাল চলছে।তবে শীতকালেই দেখা যায় প্রচুর পরিমাণে নানান রঙিন ফুলের সমাহার।দেখলে যেন চোখ জুড়িয়ে যায়।আর আমি শীতকালেই সংগ্রহ করেছিলাম নানারকমের শেয়ার করা ছবিগুলো।তো আমাদের বর্ধমান ইউনিভার্সিটি ও কৃষ্ণসায়র উৎসব কমিটির যৌথ উদ্যোগে একটি ফুলের মেলার আয়োজন করা হয়।যেখানে কৃষি-শিল্প-চিত্র ও পুষ্প সব মিলিয়ে জমজমাট এক মিলনমেলা দেখতে পাওয়া গিয়েছিল।এই ফুলের মেলায় মানুষ তার ফুলের গাছসহ নানা উদ্ভিদ নিয়ে আসে শুধুমাত্র মানুষের দর্শনের জন্য।তো আমি আজ সেই মানুষদের উদ্যোগে তৈরি কৃষি, শিল্প-চিত্র কিংবা পুষ্প কোনো কিছুই শেয়ার করবো না।আমি শেয়ার করবো-- কৃষ্ণসায়র ফুলমেলার ভিতরের যে প্রাকৃতিক পরিবেশ তার দৃশ্য।চারিদিকে যে স্থায়ী দৃশ্য ছিল তার কয়েকটি সৌন্দর্য্য তুলে ধরার চেষ্টা করছি।আশা করি ভালো লাগবে আপনাদের কাছে।তো চলুন শুরু করা যাক---
প্রকৃতির ফটোগ্রাফি:
এটা হচ্ছে ঝিলের পাড়ে টিনের ছাউনি দেওয়া সুন্দর একটি বসার জায়গা।যেখানে বসার স্থান পাকা করা ছিল আর একজন বসে বসে ফোন ঘাটাঘাটিও করছিলো।ঝিলের জলের নির্মল বাতাস ছুঁয়ে দিচ্ছিলো বারবার শরীরকে।আর আশেপাশের বড় গাছগুলি দেখতে বেশিই আকর্ষণীয় লাগছিলো।
ঝিলের পাড়ের পাশ দিয়ে চলে গিয়েছে মেঠো রাস্তাটি।রাস্তার দুই পাশ দিয়ে সারি সারি পার্কের গাছগুলো লাগানো হয়েছে।যেগুলো কাটাই -ছাঁটাই করে একেবারেই ছাতার মতো দেখতে লাগছিলো।আমাদের এক বান্ধবী তো আগে আগেই হেঁটে চলেছে, তাছাড়া একজন আন্টি দূরে বসেছিলো তার পোষা পাপ্পিকে কোলে নিয়ে।
গাছের ফাক দিয়ে যখন আমরা ঝিলটি উপভোগ করছিলাম তখন বেশ কিছু জুটি বোটে চড়ে বেড়াচ্ছিলো।আর ঝিলটি যেহেতু খুবই বড় তাই দুইপাশে ঘাটের ব্যবস্থাও করা রয়েছে।আমাদের বান্ধবিগুলি তো এখানে পোজ মেরে নিজেদের ফটোগ্রাফি করতেই ব্যস্ত হয়ে পড়লো।
মেলার সময়ে ঝিল পাড়ের নানান গাছে লাইটের ব্যাবস্থা করা হয়েছিলো।তেমনি এই নারিকেল গাছটি,নীল রঙের আলো টিম টিম করে জ্বলছিলো।তো এমন লাইটিং এর ব্যবস্থা নারিকেল ও আম গাছসহ অন্যান্য গাছেও করা হয়েছিলো।
ঝিলের অপর পাশটি ছিল জঙ্গলের মতো কিছুটা।অর্থাৎ পাহাড়ি অঞ্চলের মতো দৃশ্য।অনেকটা উঁচু স্থান ও নিচু স্থানে বিভিন্ন ধরনের গাছের সমাহার।আর এই পাহাড়ের মতো জায়গায় বেশ কিছু প্রেমিক-প্রেমিকার জুটি বসেছিলো একান্তে সময় কাটানোর জন্য।আর মাটিতে লুটোপুটি খাচ্ছিলো গাছ থেকে ঝরে পড়া শুকনো খসখসে পাতা,যেন চাদরের মতোই বিছানো ছিল।
মেলার মধ্যে পাহাড়ি অঞ্চলের মতো জায়গায় একটি দুটি খাবারের দোকান ছিল আর বাচ্চারা বেশ আনন্দ করছিলো সেখানে।উঁচু স্থানে দুই একটা ঘরও ছিল, তবে ঢালু স্থানে ছিল ফুলের বাগান।সবমিলিয়ে বেশ নিরিবিলি একটি পরিবেশ তবে এই নিরিবিলি পরিবেশে আবার কিছু হনুমানকে আমরা দেখতে পেয়েছিলাম।
এটি সন্ধ্যা নামার কিছু মুহূর্ত আগের ছবি।যেখানে ঝিলের পাড়ের দোকানগুলোতে তখনো ভিড় জমেনি,বন্ধ অবস্থায় রয়েছে।ঝিলের পাড়ের মেঠো রাস্তা দিয়ে হাঁটতে হাঁটতে মেলায় একপাশে বসা কসমেটিকস এর দোকানগুলোর সামনে কাপড়ের পর্দা টাঙানো ছিল।
পোষ্ট বিবরণ:
শ্রেণী | ফটোগ্রাফি |
---|---|
ডিভাইস | poco m2 |
অভিবাদন্তে | @green015 |
লোকেশন | বর্ধমানের গোলাপবাগ |
আমার পরিচয় |
---|
আমি সবসময় ভিন্নধর্মী কিছু করার চেষ্টা করি নিজের মতো করে।কবিতা লেখা ও ফুলের বাগান করা আমার শখ।এছাড়া ব্লগিং, রান্না করতে, ছবি আঁকতে,গল্পের বই পড়তে এবং প্রকৃতির নানা ফটোগ্রাফি করতে আমি খুবই ভালোবাসি।।
টুইটার লিংক
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
টাস্ক প্রুফ:
কমেন্ট লিংক--
https://x.com/green0156/status/1905485711442411913
https://x.com/green0156/status/1905487788243648709
https://x.com/green0156/status/1905490472946336113
https://x.com/green0156/status/1905492760699809877
https://x.com/green0156/status/1905494876528992270
https://x.com/green0156/status/1905498705807245629
https://x.com/green0156/status/1905497710968668412
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit