নমস্কার
জেনারেল রাইটিং: "ফিরে এসেছে সতীদাহের মতো অমানবিক প্রথা"
বন্ধুরা,প্রতিনিয়ত আমি ভিন্ন ভিন্ন পোষ্ট করতে ও লিখতে ভালোবাসি।তাই আজ আমি আপনাদের সামনে আবারো উপস্থিত হয়েছি সম্পূর্ণ ভিন্নধর্মী একটি পোস্ট নিয়ে। আজ আমি আপনাদের সঙ্গে যন্ত্রনা সম্পর্কে আমার নিজস্ব অনুভূতি শেয়ার করবো।বর্তমান যুগ আধুনিক।কিন্তু এই আধুনিকতাকে সামনে রেখে ঘটে চলেছে নানা অমানবিক ঘটনা।এ ক্ষেত্রে কারো কারো মত ভিন্ন হতে পারে তবে আমি শুধুমাত্র আমার নিজের অনুভূতি প্রকাশ করছি। যাইহোক তো চলুন শুরু করা যাক----
বন্ধুরা, যুগটা হয়তো আধুনিক হতে পারে।কিন্তু মানুষের চিন্তাশক্তি ,মননচিন্তা কিছুটা আদিকালের বন্য প্রাণীদের মতো রইয়ে গেছে এটা আমি অকপটে বলতে পারি।আপনারা বর্তমান সমাজের পরিস্থিতি একটু লক্ষ্য করলে বুঝতে পারবেন মানুষ কতটা নির্মম হয়ে যাচ্ছে দিন দিন।এই নির্মমতা রূপ নিচ্ছে হিংস্রতায়।আর তার ফল বা প্রভাব গিয়ে পড়ছে সেই সৎ কিংবা ভালো কোনো পরিবারের উপর কিংবা গোটা বিশ্বের উপর।এই পরিস্থিতিকে অনেকেই চেষ্টা করে মানিয়ে নেওয়ার জন্য কিন্তু মানুষের নির্মমতার কাছে নিজেদের ভালো রাখা বড্ড বেশি কঠিন হয়ে পড়ে জনগণের কাছে।
এখন আসি সতীদাহ প্রথার কথায়।এটা বহু পুরোনো একটি রীতি ছিল হয়তো অনেকেই এটা কি তা জানেন না আবার একটু জেনেও থাকবেন।সতীদাহ প্রথা হচ্ছে একটি অমানবিক প্রথা।যেখানে হিন্দু ধর্মাবলম্বী কোনো সদ্য বিধবা নারীকে স্বামীর চিতায় সহমরণ বা আত্মাহুতি দিতে বাধ্য করা হতো।স্বামীর মৃত দেহের সঙ্গে বেঁধে কিংবা জ্বলন্ত আগুনে ছুঁড়ে/নিক্ষেপ করে পুড়িয়ে দেওয়া হতো।সেই সময়ের নারীদের আকুতি ও যন্ত্রণার কথা ভাবলেই শিউরে উঠতে হয়, আরো একবার মনে পড়ে তাদের অতৃপ্ত আত্মার কথা।ছোট্ট জীবনে নিজেদের মনের বিরুদ্ধে জোর করে মানুষের নির্মমতার কাছে হার মানার কথা।হ্যাঁ, তবে এটার মুক্তির সমাধান বা এই প্রথা রোধ করেন রাজা রামমোহন রায়।
বর্তমানে ফিরে এসেছে সেই সতীদাহের মতো অমানবিক প্রথা।হয়তো আধুনিকতার বদৌলতে তার কিছুটা পার্থক্য ঘটেছে।বর্তমানে এখনো নারীদের ছোট চোখে দেখা হয়।কিছু মানুষ সেই পুরোনো প্রথাকে টেনে নিয়ে আসছে অন্যভাবে।যেখানে সেই একই নির্মমতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে,একইভাবে নারীদের চিৎকার ও মনের বিরোধের ঝংকার কানে ভেসে আসে।আর ধর্ষণ নামক নতুন প্রথার সৃষ্টি হয়েছে।বর্তমানে এর সংখ্যাও বেড়ে গিয়েছে আবার নারীদেরকেই দোষারোপ করা হয় উল্টে।
সতীদাহ প্রথা ও ধর্ষণ এই দুটির মধ্যে অনেক পার্থক্য ।কিন্তু এই পার্থক্যের মধ্যেও একই বিষয় আমি তুলে ধরতে চেয়েছি যেটা হচ্ছে অমানবিকতা এবং নারীদের নিজেদের রক্ষা করার প্রাণপণ চিৎকারের কথাকে।দিন দিন মানুষের মধ্যে হিংস্রতা ও পশুত্ব মনোভাব চরমে উঠেছে।অমানবিকতাই সেখানে আসল পরিচয় হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে আমার মনে হয়।হয়তো সতীদাহ রোধ করা গিয়েছিল অনেক কিছুর পরে কিন্তু এখানে নির্মমতার কোনো বিচার নেই।
আধুনিক যুগে হয়তো উন্নত প্রযুক্তি ও উন্নত বিদ্যার বিস্তার ঘটেছে।কিন্তু কিছু মানুষের চিন্তাধারা সেই আদিকালের প্রথার মধ্যে আটকে রয়েছে এখনো।তাই চিন্তাধারার পরিবর্তন আনাটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ,অমানবিকতাকে এড়িয়ে চলাটা জরুরী।।
পোষ্ট বিবরণ:
শ্রেণী | জেনারেল রাইটিং |
---|---|
ডিভাইস | poco m2 |
অভিবাদন্তে | @green015 |
লোকেশন | বর্ধমান |
আমার পরিচয় |
---|
আমি সবসময় ভিন্নধর্মী কিছু করার চেষ্টা করি নিজের মতো করে।কবিতা লেখা ও ফুলের বাগান করা আমার শখ।এছাড়া ব্লগিং, রান্না করতে, ছবি আঁকতে,গল্পের বই পড়তে এবং প্রকৃতির নানা ফটোগ্রাফি করতে আমি খুবই ভালোবাসি।
টুইটার লিংক
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ভীষণ সময়োপযোগী ও প্রাসঙ্গিক কথাগুলো বললে। মানুষের ওপর তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোর করে কিছু চাপিয়ে দেওয়া কখনোই উচিত নয়। প্রত্যেকটি মানুষ তার ব্যক্তি স্বাধীনতার উপর প্রতিষ্ঠিত। এখানে সার্বিক আঘাত তাকে ভেঙ্গে দেওয়ার জন্য যথেষ্ট। মৃত্যুই শুধু একমাত্র শেষ হয়ে যাওয়া নয়। তার আগেও মানুষ সমাজের সঙ্গে লড়াই করতে করতে বহুবার শেষ হয়ে যায়। মানুষের শিক্ষার বড়াই ধীরে ধীরে যেন আরো অশিক্ষার অন্ধকারে মিলিয়ে দিচ্ছে সমাজকে। প্রকৃত শিক্ষা মানুষের অন্ধকার দূর করুক এটিই কাম্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আসলেই সমাজে টিকে থাকতেই মানুষকে বহুবার মৃত্যুবরণ করতে হয় আবার পুনরায় জন্ম নিতেও হয় লড়াইয়ের সফলতার মাধ্যমে। আপনার মূল্যবান মতামতের জন্য ধন্যবাদ দাদা।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
এটা একেবারেই ঠিক বলেছেন আপু ।আমরা শিক্ষায় আধুনিক হয়েছি কিন্তু মানবিকতা সেই আদিম যুগের মতো রয়ে গেছে। যেখানে মেয়েদেরকে কেবল ভোগের বস্তু হিসাবে দেখা হতো। কোন যুগেই মানুষ হিসাবে দেখা হয়নি। তাইতো মেয়েরা এখনও শিক্ষিত মানুষদের দ্বারা লাঞ্ছিতো হয়। বেশ গুরুপূর্ণ বিষয় নিয়ে লিখেছেন আপু। ধন্যবাদ লিখাটি শেয়ার করার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
একদম-ই ঠিক বলেছেন আপু।মেয়েরা ভোগের বস্তু এই আধুনিক যুগেও সেটা ভাবা হয়।ধন্যবাদ আপনাকে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আসলে একটা সময় যখন এরকম খারাপ পরিস্থিতি ছিল তখনকার থেকে এখনকার পরিস্থিতি আরো অনেকটাই খারাপ৷ মেয়েদেরকে কোন ধরনের সম্মান করা তো হয়ই না৷ অথচ তাদেরকে শুধুমাত্র ভোগের বস্তু মনে করা হয়৷ আসলে এই আধুনিক যুগে যখন এরকম কিছু মনে করা হয় তখন বোঝা যায় যে তারা আধুনিক হয়েছে তবে তাদের মন মানসিকতা কোনভাবে আধুনিক হয়নি৷
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আসলেই মানসিকতাগুলি আধুনিক করা খুবই জরুরি।ধন্যবাদ আপনাকে ভাইয়া।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit