নমস্কার
বন্ধুরা,আপনারা সবাই কেমন আছেন?আশা করি সকলেই ভালো ও সুস্থ আছেন।আজ আমি @rme দাদার আয়োজিত শারদীয়া ১৪৩১ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে যাচ্ছি।আসলে এই বছর দুর্গাপূজা দেখবার অতটা ইচ্ছে ছিল না আমার।তবুও একদিন বের হয়ে ছিলাম দুর্গাপূজা দেখতে।তবে আমি ভেবেছিলাম পুসের চক্করে হয়তো এই কন্টেস্টের কথা সবাই ভুলেই গিয়েছে।কিন্তু দেরিতে হলেও শারদীয়া কন্টেস্টের আয়োজন করা হয়েছে দেখে ভীষণ-ই ভালো লেগেছে।এইজন্য দাদাকে জানাই অশেষ ধন্যবাদ।
★বর্ধমানের পূজা প্যান্ডেল ,ক্লাব ও থিমের নামসহ কিছু সংক্ষিপ্ত বর্ণনা :(তারিখ ও সময়সহ)
সবুজ সংঘ ক্লাব থেকে পুলিশ লাইনের দূর্গাপুজা কিছুটা দূরে ছিল।পুলিশ লাইনের দূর্গাপূজা দেখার জন্য আলাদাই একটা কাজ করে আমার মনে।কারন এখানে প্রতিবছর নানারকম পেইন্টিং এর দৃশ্য ফুটিয়ে তোলা হয় জলরঙ্গের মাধ্যমে।যেগুলো কাগজ কিংবা কাপড়ের গায়ে করা হতো কিন্তু এই বছর পুরোটাই ব্যতিক্রম দেখলাম।এই বছর তেমন কোনো পেইন্টিং ছিল না প্যান্ডেলের বাইরে ,শুধুমাত্র ভিতরে নারীদের নিয়ে কিছু বানী লেখা ছিল।এই পূজা প্যান্ডেলটি পুলিশ টিমেরাই আয়োজন করে থাকে।
পুলিশ লাইন আবাসিক বৃন্দ দুর্গোৎসব কমিটির দুর্গামা দর্শন
◆থিমের নাম: (আমার শহর)
পুলিশ লাইন আবাসিক বৃন্দ দুর্গোৎসব কমিটি তেমন কোনো বড় প্যান্ডেলের আয়োজন করেনি।তবে প্যান্ডেলের ভিতরের থিম সংক্রান্ত বিষয় আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে।আসলে থিমের নাম আমি সঠিকভাবে বলতে পারছি না তবে মনে হচ্ছে আমার শহর-ই হবে।কারন এই প্যান্ডেলের মাধ্যমে নারীদের নানা বিষয় সম্পর্কে তুলে ধরা হয়েছে।প্যান্ডেলের ভিতরে প্রবেশ করেই খোলা আকাশের নিচে মাঠে দেখা যাবে একটি পাল তোলা নৌকা।আর মাঠের একপাশে রয়েছে অসংখ্য ছোট বড় বিচারের মঞ্চ।
এখন মূল প্যান্ডেলের ভিতরে প্রবেশ করে বর্ধমান শহরের বিখ্যাত জায়গাগুলোর বিভিন্ন চিত্র চোখে পড়লো।যেমন---ভারতবর্ষের দ্বিতীয় বৃহত্তম রেল ওভারব্রিজের দৃশ্য,একশ আট মন্দিরের শিবলিঙ্গ,কার্জন গেটের দৃশ্য,বিরহাটার বড় ঘড়ি ইত্যাদি আর্টের মাধ্যমে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে।
এখানে রয়েছে মায়ের সুন্দর প্রতিমা।যেখানে মায়ের বড় মূর্তি তৈরি করা হয়েছিলো এবং পূজা চলছিলো সকালবেলায়।খোলা আকাশের নিচে একপাশে বিচারের মঞ্চ এর প্রত্যেকটি জায়গা আলাদা বিশেষত্ব বহন করে।যদিও ওগুলো ফাঁকা বলেই কেউ আর আলাদাভাবে দেখতে যাচ্ছে না।তবে ওখানে মূর্তি কিংবা পেইন্টিং এর ব্যবস্থা রাখলে আরো সুন্দর হতো মানুষের বুঝতে।
আসলে বর্তমানে চারিদিকে নারীদের নিয়ে যে অরাজকতা, খুন ও ধর্ষণের মতো নির্মম কর্মকান্ড শুরু হয়েছে তারই পরিপ্রেক্ষিতে এই প্যান্ডেলটি তৈরি করা হয়েছে।সেখানে আমার শহরের নারীদের নিরাপত্তা ও সমাজে গুরুত্ব সম্পর্কে অনেক লেখা ফুটিয়ে তোলা হয়েছে।
সমাজে নারীরাই পরিবর্তন নিয়ে আসে,নারী শিক্ষিত হলে সমস্ত সমাজ শিক্ষিত হবে এবং নারী জেগে উঠলে সমাজও জেগে উঠবে এই সুন্দর সুন্দর কথাগুলোই ফুটিয়ে তোলা হয়েছে প্যান্ডেলের দেওয়ালে দেওয়ালে।
এখানে বর্ধমান শহরের নানা লোকগীতি ও সংস্কৃতির চিত্র অঙ্কন করা হয়েছে।এছাড়া একপাশে খেটে খাওয়া মানুষের জীবনের প্রতিচ্ছবিও দেখা যাচ্ছে।সবকিছুতেই নারী সুরক্ষায় পুলিশের ভূমিকাকেও তুলে ধরা হয়েছে বিভিন্ন ফোন কলের মাধ্যমে।
এখানে পুলিশের নানা দায়িত্বের ও কর্মের কথা তুলে ধরা হয়েছে।যেখানে পুলিশের প্রতি বিশ্বাস ও ভরসা রাখতে হবে।দিনের যেকোনো সময় তারা নারীদেরকে নিরাপত্তা দেবে এমন প্রতিশ্রুতির উল্লেখ রয়েছে।
সবশেষে সমাজে নারীর ক্ষমতা গড়ে তুলতে হবে এমন দৃশ্য তুলে ধরা হয়েছে।নারীরা বিভিন্ন কর্মক্ষেত্রে নিয়োজিত থাকলে সমাজে অত্যাচারের শিকার হতে হবে না।এককথায় নারীদের নিজের পায়ে দাঁড়াতে হবে কোনো কর্মক্ষেত্রের মাধ্যমে।যার দ্বারা নারীরা নিজের আত্মমর্যাদা টিকিয়ে রাখতে পারে সর্বদা সেটারই প্রতিচ্ছবি এই প্যান্ডেলের বিষয়বস্তু।
পোষ্ট বিবরণ:
বিষয় | শারদীয়া কনটেস্ট ১৪৩১: "অষ্টমী/নবমী দুর্গাপূজার ফটোগ্রাফি-০২" |
---|---|
শ্রেণী | ফটোগ্রাফি |
ডিভাইস | poco m2 এবং redmi note 10 pro max |
অভিবাদন্তে | @green015 |
লোকেশন | বর্ধমান |
আমার পরিচয় |
---|
আমি সবসময় ভিন্নধর্মী কিছু করার চেষ্টা করি নিজের মতো করে।কবিতা লেখা ও ফুলের বাগান করা আমার শখ।এছাড়া ব্লগিং, রান্না করতে, ছবি আঁকতে,গল্পের বই পড়তে এবং প্রকৃতির নানা ফটোগ্রাফি করতে আমি খুবই ভালোবাসি।।
টুইটার লিংক
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
Thanks.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
Thank you for following our account. We will try to support your articles for a week.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit