নমস্কার
হাওয়া মহল থেকে বের হয়ে আরো কিছু পথ:
বন্ধুরা, অনেকেই জানেন আমি বর্তমানে বর্ধমান ইউনিভার্সিটিতে অধ্যয়নরত আছি।আর সেটাও বর্ধমান ইউনিভার্সিটির মেইন ক্যাম্পাসে ,যেটি গোলাপবাগে অবস্থিত।আমি আপনাদেরকে বর্ধমান ইউনিভার্সিটির কিছু অংশ দেখিয়েছিলাম আগের দিনগুলিতে, যেটা বর্ধমানের রাজবাড়ী নামেও পরিচিত।হাওয়া মহল থেকে বের হয়ে আরো কিছু পথ হাঁটা শুরু করলাম।
হাওয়া মহল থেকে বাইরে বের হয়ে সামনের দিকে এগিয়ে গেলাম।উদ্ভিদবিদ্যা বিভাগের পাশে কিছু পাতাবাহার গাছ লাগানো রয়েছে।নানা ধরনের পাতাবাহার গাছের ছবি তুলে চললাম সামনের দিকে।বর্ধমান ইউনিভার্সিটির চারিদিকের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য মানুষকে মুগ্ধ করে।বিশেষ করে চেনা-অচেনা নানা সবুজ গাছের দৃশ্যগুলি।অসংখ্য পাখি ও কাঠবিড়ালির বসবাস এই সমস্ত গাছগুলোতে।তাছাড়া গাছগুলো দেখতে দেখতে মাঝে মাঝেই রয়েছে ছোট ছোট মন্দিরের মতো একটি করে বিল্ডিং।এই বিল্ডিংগুলো দেখতে মন্দিরের মতো হলেও আসলে এগুলো মন্দির নয়।হয়তো রাজা ও রানীদের বসে আড্ডা দেওয়ার ঘর এগুলো।বিকেল কিংবা সন্ধ্যার সময় এই সমস্ত জায়গাগুলো পূর্বে চায়ের আড্ডায় মেতে উঠতো ঘরটি,কিন্তু এখন সবকিছু স্মৃতি ।এখন আগাছা ও শ্যাওলা জমেছে বিল্ডিং এর গায়ে,চারিপাশে শুধু জঙ্গলকায় অবস্থা।তালাবদ্ধ অবস্থায় পড়ে আছে এই সমস্ত সুন্দর সুন্দর বসার জায়গাগুলো।
দুরের জলাশয় পেরিয়ে যে বিল্ডিংগুলি দেখা যাচ্ছে সেই অবধি আমাদের বর্ধমান ইউনিভার্সিটিটি।এই বিল্ডিংগুলি সবই আলাদা ডিপার্টমেন্ট এর।এই সমস্ত জলাশয়গুলি ইউনিভার্সিটির মধ্যে থাকায় এখানে মাছ চাষ করা হয়।অনেক পুরোনো একটি কাঠের পুল রয়েছে যেটা দিয়ে পুকুর অব্দি পৌঁছানো যায়।মনে হচ্ছিলো দৌড়ে গিয়ে পুলটির উপরে দিয়ে হেঁটে আসি।এই পুলটি একেবারেই নতুনের মতো মনে হলেও এমন আরো কয়েকটি সাঁকো রয়েছে যেগুলো সবই ভাঙা ও বিপদজনক।দূরের এরিয়া নিয়ে গঠিত ইউনিভার্সিটিতে হোস্টেলও রয়েছে তবে বেশ দূরে সেগুলো।যেটা সময়সাপেক্ষ ঘুরে দেখা।
আমার সঙ্গে যে বন্ধু ছিল সে সকালে যেহেতু না খেয়ে এসেছিলো তাই তার কথা ভেবে ঘোরাঘুরি শেষ করলাম।আমরা সাইন্স এর একটি ডিপার্টমেন্ট এর সামনে পর্যন্ত গিয়েছিলাম।বন্ধুটি ক্যান্টিন থেকে খাওয়া দাওয়া করবে তাই আমরা আমাদের ডিপার্টমেন্ট এর দিকে চলে আসলাম।তাছাড়া হাঁটাহাঁটি করতে মনও চাইছিলো না।তাই আমি আমাদের ক্লাসে যাওয়ার জন্য পা বাড়ালাম আর বন্ধুটি ক্যান্টিনে চলে গিয়েছিল ভাত খাওয়ার উদ্দেশ্যে।তো আজ এই পর্যন্তই ,চেষ্টা করবো আরো নতুন কোনো দৃশ্যের অনুভূতি প্রকাশ করার জন্য পরবর্তী কোনো সমেয়ে।।
পোষ্ট বিবরণ:
শ্রেণী | জেনারেল রাইটিং |
---|---|
ডিভাইস | poco m2 |
অভিবাদন্তে | @green015 |
লোকেশন | বর্ধমান |
আমার পরিচয় |
---|
আমি সবসময় ভিন্নধর্মী কিছু করার চেষ্টা করি নিজের মতো করে।কবিতা লেখা ও ফুলের বাগান করা আমার শখ।এছাড়া ব্লগিং, রান্না করতে, ছবি আঁকতে,গল্পের বই পড়তে এবং প্রকৃতির নানা ফটোগ্রাফি করতে আমি খুবই ভালোবাসি।।
টাস্ক প্রুফ:
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit