নমস্কার
হঠাৎ জ্যামে ফেঁসে যাওয়া:
জীবন সর্বদাই বহমান।আর এই নদীর মতো বহমান জীবনে মানুষ পাখির মতোই ছুটতে থাকে নানা প্রয়োজনে।তেমনি পরশুদিন সন্ধ্যাতে আমরা যাচ্ছিলাম কিছু কাজ মেটাতে ও অল্প সবজি কেনার উদ্দেশ্যে।কিন্তু কিছুদূর যাওয়ার পর দেখলাম অধিকাংশ দোকান বন্ধ রয়েছে।আর কি কারনে দোকান বন্ধ বা কি কারনে আমরা জ্যামে ফেঁসে গিয়েছিলাম সেটাই বলবো আপনাদের সঙ্গে বন্ধুরা--
বাড়িতে নতুন ফসল উঠেছে।তার উপরে এখানের স্থানীয় লোকেরা আবার নবান নামের এক ধরনের উৎসব খুবই পালন করে থাকে।সেইজন্যই সবাই ব্যস্ত সময় পার করছে
আত্মীয়-স্বজনের সঙ্গে।
কিছুটা যেতেই হলো বিপত্তি।একদম সাইকেল নিয়ে জ্যামের মধ্যে গেলাম ফেঁসে।এখানে মানুষ ভাসানের জন্য ঠাকুর নিয়ে যাচ্ছে।সম্ভবত এটি মনসাতলায় ছিল তাই মনে হয় তারা মনসা ঠাকুরকেই বিসর্জন দিতে নিয়ে যাচ্ছিল।আর কিছু ছেলেরা সেইজন্য পথের মাঝে দিশাহীনভাবে নাচও করছিল।জ্যামের মধ্যে আটকে যাওয়াটা কিছুটা অস্বস্তিকর বিষয়।যাইহোক অনেকক্ষণ ধরে নাচানাচি, দাপাদাপি দেখলাম জ্যামে ফেঁসে গিয়ে।তারপর তারা ঠাকুর নিয়ে একটি গলির মধ্যে ঢুকে গেল।এরপর আমরা প্রায় এক ঘন্টা সময় ধরে জ্যামে ফেঁসে যাওয়ার পর সোজা চলে গেলাম স্টেশনে।স্টেশন আমাদের বাড়ি থেকে তিন কিলোমিটার দূরে।আসলে আশেপাশের বিভিন্ন দোকান ও সবজি দোকানও বন্ধ ছিল সেদিন।
যাইহোক আমরা আমাদের প্রয়োজন মিটিয়ে কিছু সবজি বাজার করলাম।যেমন-দেড় কিলো বাঁধাকপি, দেড় কিলো বেগুন ও দুই কিলো আলু কিনে আবার বাড়ির উদ্দেশ্যে রওয়ানা দিলাম।পথে একটি মিষ্টির দোকান থেকে আমরা গরম গরম দুটি করে গুড়ের রসগোল্লা খেয়ে নিলাম।এটি খেতে খুবই মজার।যাইহোক আবারো চলে আসলাম জ্যামে ফেঁসে যাওয়া সেই মনসাতলায়।সেখানে বেশ কিছু খাবারের দোকান বসেছিল কয়েক দিন ধরে।ছোটখাটো মেলা যাকে বলে, ইচ্ছে হলো জিলিপি খাওয়ার।তাই চলে গেলাম মেলার একটি দোকানে।যেখানে ফুলের মতো ডিজাইনে জিলিপি তৈরি করে সাজিয়ে রাখা হয়েছিল ,এছাড়া নরমাল জিলিপি গরম গরম ভাজা হচ্ছিল।তাই আমরা কিছু গরম গরম জিলিপি কিনে নিলাম সঙ্গে এবং কিছু চিনির গজা।চিনির গজা খেতে খুবই ভালো লাগে আমার কাছে।তো অনেক প্রকার খাবার সাজানো ছিল সেখানে তাই ঝটপট কয়েকটি ছবি তুলে চলে আসলাম বাড়িতে।তারপর সবাই মিলে মজা করে খেলাম খাবারগুলো।তো এটাই ছিল আমার জ্যামে আটকে যাওয়ার অনুভূতি।
পোষ্ট বিবরণ:
শ্রেণী | জেনারেল রাইটিং |
---|---|
ডিভাইস | redmi note 10 pro max |
ফটোগ্রাফার | @green015 |
লোকেশন | বর্ধমান |
আমার পরিচয় |
---|
আমি সবসময় ভিন্নধর্মী কিছু করার চেষ্টা করি নিজের মতো করে।কবিতা লেখা ও ফুলের বাগান করা আমার শখ।এছাড়া ব্লগিং, রান্না করতে, ছবি আঁকতে,গল্পের বই পড়তে এবং প্রকৃতির নানা ফটোগ্রাফি করতে আমি খুবই ভালোবাসি।
টুইটার লিংক
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
বাপরে আপু জ্যামে আটকা পড়ে এত কিছু করে ফেললেন? তাহলে তো জ্যামের মাঝেও আপনার সময়টা বেশ ভালোই কেটেছে। আর আমাদের দেশে একবার জ্যামে পড়লে কোথাও যাওয়ার কোন উপায় নেই। আমার কাছে বেশ ভালোই লাগলো আপনার আজকের পোস্টটি। জ্যামে পড়ে যদি এত কিছু করা যায় তাহলে তো জ্যামে পড়ে থাকাই ভালো।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
হি হি,জ্যামের মাঝে কখন কি করলাম আপু!জ্যাম থেকে বেরিয়েই তো সব কিছু করলাম।তাছাড়া আমাদের দেশে গলিগুলি বেশিই থাকে।ধন্যবাদ আপনাকে
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
বাড়িতে নতুন ফসল উঠেছে আর নবান নামে একটি উৎসব পালন করে সেই উৎসবটি আমার শ্বশুরবাড়ি এলাকাতেও হয়ে থাকে। এটি জানি গ্রাম বাংলার একটি ঐতিহ্য। জ্যামে পড়ে
আপনি বেশ কিছুক্ষণ নাচানাচি দেখার সুযোগ
পেয়েছেন। তবে আসলেই এতক্ষণ জ্যামে থাকলে অনেক কষ্ট হয়।সবজি বাজার করলেন আবার এর ফাঁকে গরম রসগোল্লা ও খেয়ে
নিলেন। যাক জ্যামে পড়ার অনুভূতিটা পরে বেশ ভালো লাগলো আপু অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আসলে ঠাকুরকে ভাসানের দিনে অনেক আনন্দ করে আমাদের দেশের মানুষ।ধন্যবাদ আপনাকে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
দিদি আপনি তো দেখছি জ্যামে পরে সময়টা আসলে এনজয় করলেন! জ্যামের ফাকেঁ খাওয়া-দাওয়া, বাজার সব করে ফেললেন দেখছি! ঢাকার জ্যামে পরলে জীবন শেষ হয়ে যায় দিদি। ঘন্টার পর ঘন্টা চলে যায় বাস সামনে যায় না
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ভাইয়া, জ্যামের মধ্যে বাজার কিংবা খাওয়া-দাওয়া কিছুই তো করিনি।জ্যাম থেকে বেরিয়ে অনেকটা পর করেছি,ধন্যবাদ আপনাকে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit