নমস্কার
চোরের হাত থেকে সতর্ক থাকুন:
এমন একটা সময় ছিল যখন ডাকাতের উপদ্রব ছিল বেশি।ডাকাতের ভয়ে মানুষ সন্ধ্যার পর থেকে ঘরের বাইরে বের হতো না।এমনকি রাস্তা দিয়ে মানুষ নিরাপদে হাঁটতে পারতো না সমস্ত দামি কিছু লুট হয়ে যেত অথবা প্রাণ দিতেও হতো।তখন ছিঁচকে চোরের সংখ্যা ছিল বেশি।যেমন মানুষের ঘর থেকে থালাবাসন, কাপড়চোপড় ও হাসমুরগি ইত্যাদি চুরি করতো শিদ কাঁটা পদ্ধতির মাধ্যমে।আর এটা গ্রামেই বেশি দেখা যেত গৃহস্থদের মাটির ঘরে।
বর্তমানে সেই শিদকাঁটা চোরের সংখ্যা বা ডাকাতের সংখ্যা অনেকখানি কমে গেলেও নতুন নতুন চোরের অভাব নেই।যদিও ডাকাতের কথা এখন শোনাই যায় না শুধু গল্প হয়েই রইয়ে গেছে।সেই নতুন নতুন চোরেরা আবার বেশ দক্ষ সম্পন্ন,এমনকি ছোট ছোট দলে বিভক্ত।
শুধু গ্রামাঞ্চলেই এই চোরের উপদ্রব দেখা যাচ্ছে তা কিন্তু নয় শহরাঞ্চলেও পুরো প্রস্তুতি নিয়ে চোরের সংখ্যা বেড়েই চলেছে।কয়েকদিন আগে দেখছিলাম, মাঠে এক ছাগল চড়ানো মহিলা বকাবকি করছে।আর সামনেই দুটি ছোট ছেলেমেয়ে হেঁটে যাচ্ছে।উস্কোখুস্কো চেহারার ময়লা পোশাকে, হাতে একটি বাজার করা ব্যাগের মতো রয়েছে।এখনো তাদের শৈশব কাটে নি।মহিলাটি মূলত তাদের দেখেই বকাবকি করছিল।কারন হিসেবে জানতে পারলাম, এখানের অধিকাংশ মানুষ যেহেতু মাঠের কাজে ও গরু ছাগল চড়ানোর কাজে ব্যস্ত থাকে।তখন এই ছেলেমেয়ে মানুষের বাড়ি ঢুকে জিনিসপত্র চুরি করে 11-12টার টাইমে।ওই মহিলাটি তাদের প্রতিবেশী এক মহিলার বাড়ির দরজায় শিকল ধরে টানাটানি করতে দেখেছে তাই সে সবাইকে এই কথা বলে সতর্ক করে দিচ্ছিল।আসলে ভাবতে কষ্ট হয় পরিবেশ ও সমাজ এখন এতটাই নিষ্ঠুর যে শৈশবেও এই বাচ্চাদের এই সমস্ত খারাপ কাজে লিপ্ত হতে হচ্ছে।
এছাড়া মাঝে খবরে দেখছিলাম,60 বছরের উপরে মহিলারা দল গঠন করে শহরের বাড়িতে ভিক্ষার নাম করে বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করছে তারপর সুযোগ বুঝে চুরি করছে তালা ভেঙে।তাই ইট-পাথরের শহরেও নিরাপত্তা নেই।এক্ষেত্রে নিজেদের সতর্কতা অবলম্বন করাটা খুবই জরুরী।যাকে তাকে বিশ্বাস করে সাহায্য করা একদম উচিত নয়।অপরিচিত মানুষের কথার জালে জড়ানো একদম ঠিক নয়।বিশেষ করে বাড়ির মহিলাদের অসতর্কতার জন্য এমন ঘটনা ঘটে।তাই সকলেই সতর্ক থাকুন।
আশা করি আমার আজকের লেখাটি আপনাদের সকলের কাছে ভালো লাগবে।পরের দিন আবার নতুন কোনো বিষয় নিয়ে হাজির হবো আপনাদের মাঝে, ততক্ষণ সকলেই ভালো ও সুস্থ থাকবেন।
পোস্ট বিবরণ:
শ্রেণী | জেনারেল রাইটিং |
---|---|
ডিভাইস | poco m2 |
অভিবাদন্তে | @green015 |
লোকেশন | বর্ধমান |
আমার পরিচয় |
---|
আমি সবসময় ভিন্নধর্মী কিছু করার চেষ্টা করি নিজের মতো করে।কবিতা লেখা ও ফুলের বাগান করা আমার শখ।এছাড়া ব্লগিং, রান্না করতে, ছবি আঁকতে,গল্পের বই পড়তে এবং প্রকৃতির নানা ফটোগ্রাফি করতে আমি খুবই ভালোবাসি।
টুইটার লিংক
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আসলে এখন ছোট বাচ্চারাও চুরির কাজে লিপ্ত হচ্ছে আস্তে আস্তে। আর মহিলাদের যে বিষয়টা বলেছেন এটা কিন্তু একেবারে সত্যি। ভিক্ষার নাম দিয়ে তারা বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে বিভিন্ন তথ্য সংরক্ষণ করে এবং চুরি করার কাজে তা ব্যবহার করে। আপনি অনেক সুন্দর করে আজকের পোস্টটা লিখেছেন যা পড়ে সতর্ক হলাম। আপনারা ও সতর্ক থাকবেন সব সময়।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
একদম আপু,বর্তমান সময়ে সতর্ক থাকাটা ভীষণ জরুরি।ধন্যবাদ আপনাকে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
যেকোনো কিছুর প্রতি আমরা যদি আগে থেকে সতর্ক থাকি, তাহলে এটা আমাদের নিজেদের জন্যই অনেক বেশি ভালো হবে। আসলে এখন চুরি করার বিষয়টা অনেক বেশি বেড়েছে। ছোট বড় সবাই এখন এই কাজের লুপ্ত হয়ে গিয়েছে। আপনি কিন্তু বেশ গুরুত্বপূর্ণ একটা টপিক্স নিয়ে আজকে লিখেছেন যেটা আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
বয়স এখন কোনো বিষয় না হয়ে খারাপ কাজে ব্যবহার হচ্ছে বেশি।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
সত্যি আপু বর্তমান সময়ে চোরের বেশি উৎপাদ বেড়ে গেছে। আসলে ডাকাত বর্তমান নামে চলে কিন্তু কাজে দেয় চোর।বর্তমান ভিক্ষা করার অজুহাত দিয়ে সুযোগ বুঝে চুরি করে নিয়ে যায়।আসলে এই ধরনের চোর থেকে আমাদের সাবধান থাকতে হবে। ধন্যবাদ আপু সচেতনতা মূলক একটা পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
মানুষকে এখন বিশ্বাস করাটা বড় ভুল হয়ে দাঁড়াচ্ছে,ধন্যবাদ।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit