আবেগের কবিতা || আলোর শহর || Original Poetry by @hafizullah

in hive-129948 •  3 years ago 

long-exposure-g208db77b1_1920.jpg

হ্যালো বন্ধুরা,

আশা করছি সবাই ভালো আছো, আমিও ভালো আছি তবে সাথে একটু প্যারা ফ্রিতে পাচ্ছি। আসলে জীবন মানেই প্যারা, এই প্যারার কোন শেষ নেই। গতকাল যেমন বৃষ্টির কারনে অস্বচ্ছ ও ঘ্রাণহীন পানিতে পা ডুবিয়ে অফিসে আসতে হয়েছিলো, সেটা ছিলো এক ধরনের প্যারা। কিন্তু আজ আবার অন্য ধরনের প্যারা পেলাম। আজকের আকাশ বেশ রৌদ্র উজ্জ্বল সাথে চমৎকার গরম, তাই আজ পেলাম গরমের প্যারা। বেশ গরম লাগছিলো অফিসে আসার সময়। কখন যে ঘুমিয়ে পড়েছিলাম বলতেই পারবো না, হঠাৎ ঘুম ভাঙ্গার পর দেখি দুই স্টপিজ পার হয়ে আসছি, এই বার বুঝেন মানসিক চাপের প্যারা কাকে বলে?

সাথে সাথে বাস হতে নেমে গরম উপেক্ষা করে আবার উল্টো পথে হাঁটা শুরু করলাম, আহ কি শান্তি উত্তপ্ত পরিবেশ সাথে মানসিক অস্থিরতা, প্যারাগুলো যেন ঘাম হয়ে ঝরছিলো। কিন্তু সেই দিকে না তাকিয়ে আমাকে আমার হাঁটার গতি ঠিক রাখতে হয়েছিলো, কারন নির্দিষ্ট সময়ের মাঝে অফিসে যেতে হবে। আহা জীবনটাই দারুণ, চারদিকে শুধু প্যারা আর প্যারা। বৃষ্টি আসুক তার সাথে মেঘকন্যা থাকুক সেখানেও প্যারা থাকবে, রোদ হাসুক সূর্য্য মামা হাসুক তাতেও প্যারা থাকবে, শীত থাকুক কুয়াশায় ঢেকে যাক তাতেও প্যারা সামনে চলে আসবে। তাই প্যারাকে নিয়ে সুখি হওয়ার মানসিকতা তৈরী করতে হবে, না হলে জীবনটাই শুধু প্যারাময় মনে হবে।

যাইহোক, মূল আলোচনায় ফিরে আসছি। কয়েকদিন পূর্বে আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির এ্যাডমিন এবং কোয়ালিটি কন্ট্রোলার @rex-sumon সুমন ভাই শহরের মাঝে নতুনভাবে ফিরে আসার আনন্দে একটা পোষ্ট শেয়ার করেছিলেন আলো ঝলমলে রাতের ঢাকা । আর সেই পোষ্টটা দেখেই হৃদয়ের মাঝে লুকানো অনুভূতিগুলো নতুনভাবে জাগ্রত হয়ে উঠে আবার, কবিতার লেখার একটা ভাব খুঁজে পাই। তারপর একটা কবিতা লেখার চেষ্টা করি। আজ সেই কবিতাটি সুমন ভাইকে উদ্দেশ্য করে উৎস্বর্গ করা হচ্ছে। চলুন তাহলে কবিতাটি পড়ে দেখি-

dhaka-city-g2ab918930_1920.jpg

আলোয় ঝলমলে শহরের জীবনে
সবাই দেখে সবটা আলোকময়,
আলোর পিছনে অন্ধকার হাসে
জীবনের অনুূভূতিগুলো আড়ালে রয় ।

মানুষগুলোর উপরটায় থাকে মুখোশ
মুখোশের আড়ালে মনটা নিশ্চুপ,
হাসিতে উজ্জ্বল থাকা হৃদয়ে
ভেতরটা নির্জীব থাকে অন্ধকারে।

বাস্তবতায় বিশ্বাসী হয় না কেউ
কল্পনার জগতে সবাই তুলে ঢেউ,
সুখ-দুঃখগুলো যেন পাথরের ম্যুরাল
সম্পর্কগুলোর মাঝে অদৃশ্য দেয়াল।

বন্ধনগুলোর আবেগ শুধুই নির্জীব
দেহ খেলায় অনুভূতি আনন্দহীন,
মিছে মায়ায় সাজায় সবাই মেলা
আলোর শহরে চলে শুধুই ছলনা।

চারপাশে লুকায়িত যন্ত্রনার মনস্তাপ
অট্টালিকার বিপরীতে বঞ্চনার আঘাত,
দিনের আলোয় উদ্ভাসিত পরিবেশ
নির্জন অন্ধকারে ক্ষয়িত বিবেক।

তবুও নিয়তির খেলায় শহরের পানে ছুটা
স্বপ্নের আলোয় হৃদয় ভেজানোর প্রচেষ্টা,
ইট-পাথরের দালানের চাপায় বিনষ্ট আবেগ
স্বার্থের ছলনায় হৃদয়ে বাড়ে শুধু উদ্বেগ।

Image taken from Pixabay 1 and 2

ধন্যবাদ সবাইকে।
@hafizullah

break .png
Leader Banner-Final.png
break .png

আমি মোঃ হাফিজ উল্লাহ, চাকুরীজীবী। বাংলাদেশী হিসেবে পরিচয় দিতে গর্ববোধ করি। বাঙালী সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য লালন করি। ব্যক্তি স্বাধীনতাকে সমর্থন করি, তবে সর্বদা নিজেকে ব্যতিক্রমধর্মী হিসেবে উপস্থাপন করতে পছন্দ করি। পড়তে, শুনতে এবং লিখতে ভালোবাসি। নিজের মত প্রকাশের এবং অন্যের মতামতকে মূল্যায়নের চেষ্টা করি। ব্যক্তি হিসেবে অলস এবং ভ্রমন প্রিয়।

break .png

Banner.png

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

Congratulations, your post has been upvoted by @dsc-r2cornell, which is the curating account for @R2cornell's Discord Community.

Manually curated by @jasonmunapasee

r2cornell_curation_banner.png

সাথে সাথে বাস হতে নেমে গরম উপেক্ষা করে আবার উল্টো পথে হাঁটা শুরু করলাম, আহ কি শান্তি উত্তপ্ত পরিবেশ সাথে মানসিক অস্থিরতা, প্যারাগুলো যেন ঘাম হয়ে ঝরছিলো।

ভাইয়া আপনার কবিতাটি পড়ছি আর মনে হচ্ছে যেন আমি দাদাকে দেখছি। আপনি এমনিতেই অনেক ভালো কবিতা লিখেন। কিন্তু দাদা থেকে কিছু টপিক পেয়েছেন সেটা জানি এবং মনে হচ্ছে যেন দাদার বিকল্প কোন দাদা কবিতা লিখেছে। খুবই ভালো লেগেছে, প্রত্যেকটা লাইনে ছিল অসাধারণ। আর আপনি এই কবিতাটি আমাদের প্রিয় সুমন ভাইকে উৎসর্গ করেছেন। আশা করি আমি যতটা খুশি হয়েছি তার থেকে হাজার গুন বেশি খুশি হবেন আমাদের প্রিয় সুমন ভাই। কবিতার কোন লাইনে নিলাম না। কারণ কবিতাটি প্রত্যেকটি লাইনে ছিল আমার কাছে মূল্যবান। আমাদেরকে এত সুন্দর একটি কবিতা উপহার দেওয়ার জন্য, আপনার প্রতি রইল ভালোবাসা অবিরাম ভাইয়া।

আপনার প্রশংসার জন্য ধন্যবাদ, আসলেই আজকের দিনের শুরুটা বেশ অস্থিরতা নিয়ে হয়েছে।

আপনি যে কত ক্লান্ত তা আপনার বাসের মধ্যে ঘুমিয়ে পড়ার বিষয়টি দেখে বোঝা গেল তবে বাসে যাওয়ার সময় যখন গন্তব্য স্থল ছেড়ে চলে যান আবার ব্যাক করার বিষয়টি খুবই খারাপ লেগেছে আমার। এই গরমের মধ্যে আসলেই বাসে যাতায়াত করার কতটা কষ্টকর তার মধ্যে আপনি আরো বেশি কষ্ট পেয়েছেন। যাইহোক সুমন ভাইয়ের ঢাকা আসার গল্প আমিও জেনেছি। সেদিন বৃষ্টিস্নাত তাতে তিনি ঢাকায় ঘোরাঘুরি করেছেন আবার নাকি ঢাকায় যাবেন।
ঢাকাকে নিয়ে আপনি অনেক সুন্দর একটি আবেগের কবিতা লিখেছেন। সত্যি কথা বলতে ঢাকায় যত সমস্যা থাকুক না কেন তবু এটি আমাদের প্রাণের শহর যাদুর শহর। রাতের ঢাকাই আলো ছড়াছড়ি আমার খুবই ভালো লাগে। এই ঢাকা স্বপ্ন গড়ার , স্বপ্নভঙ্গের ঢাকা। কত শত মানুষ প্রতিনিয়ত স্বপ্ন গড়ার লক্ষ্যে ঢাকায় পাড়ি জমাচ্ছে আবার কত শত মানুষ স্বপ্ন ভেঙ্গে নিঃস্ব হয়ে বাড়ি ফিরছে সেই গল্পগুলো অজানায় আছে। আপনার কবিতাটি আমার অনেক ভালো লেগেছে ভাইয়া।

হুম দুর্বল তো মেলা দুর্বল, ভালো মন্দ দাওয়াত দিয়ে খাওয়ালেই কিন্তু দুর্বলতা কেটে যাবে, কিন্তু কি আর করার বোনগুলোতো সুবিধার না, তাই দাওয়াত আসে না হি হি হি।

একদমই যথার্থ বলেছেন আপনি এই শহরটা যেমন একদিকে স্বপ্ন গড়ার ঠিক তেমনি অন্য দিকে স্বপ্ন ভাঙ্গারও। ধন্যবাদ

  ·  3 years ago (edited)

প্যারাকে নিয়ে সুখি হওয়ার মানসিকতা তৈরী করতে হবে,

একদম ঠিক বলেছেন ভাই আমাদের জীবনের চলার পথে হাজারো বাধা, বিপত্তি এমনকি সমস্যা যেন লেগেই থাকে। কিন্তু আমাদেরকে এই ধরনের সকল সমস্যা কাটিয়ে সুখে থাকার মানসিকতা তৈরি করে নিতে হবে। না হলে আমরা তো কখনো এসব থেকে বেরোতেই পারবো না। এত ক্লান্ত এবং পরিশ্রম করার পরও আপনিতেই এত সুন্দর এবং ফ্রেশ মাইন্ড নিয়ে থাকেন বুঝি না‌। আপনার থেকে দেখে শেখা উচিত। তাছাড়া সুমন ভাইয়ের পোস্ট দেখেছিলাম। বিশ্বাস করেন সুমন ভাইয়ের পোস্ট আমার কাছেও বেশ ভালো লেগেছিল এমনকি আপনার আজকের কবিতাটি আমার চিন্তা ধারার মতো। কবিতাটি খুব সুন্দর লিখেছেন। যদিও কবিতা সম্পর্কে ততটা বুঝিনা।

এটাই বাস্তবতা আপু, যে অবস্থায়ই আমরা থাকি না কেন সেখানেই কোন না কোনভাবে প্যারা ঠিক চলে আসবে, তাই প্যারাকে নিয়েই সুখি হওয়ার মানসিকতা তৈরী করতে হবে।

তবুও নিয়তির খেলায় শহরের পানে ছুটা
স্বপ্নের আলোয় হৃদয় ভেজানোর প্রচেষ্টা,

সত্যিই সবাই একটু ভালো করার আশায় বা ভালো থাকার আশাতেই আসে।তবে ভালোথাকাটা হয় কিনা তাতে বিশাল সন্দেহ আছে আমার।

কিন্তু সেই আশা নিরাশায় পরিণত হয়ে যায় একটা সময় পার হওয়ার পর, না ভালো থাকার সেই সুযোগটা আর আসে না।

ঠিকই বলেছেন ভাই, বিশেষ করে যেমনই পরিস্থিতি আসুক না কেন সময়মতো অফিসে পৌঁছাতে হবে এবং আমাদের দৈনন্দিন কাজগুলো করে যেতে হবে। তার মধ্যেও এই শহরের রয়েছে নিজস্ব সৌন্দর্যতা।

মানুষগুলোর উপরটায় থাকে মুখোশ
মুখোশের আড়ালে মনটা নিশ্চুপ,
হাসিতে উজ্জ্বল থাকা হৃদয়ে
ভেতরটা নির্জীব থাকে অন্ধকারে।

পরিস্থিতি যাই হোক না কেন! সব সময় হাসিখুসি থাকতে হয়। কবিতাটির অরেক গভিরতা রয়েছে ভাই, নতুন করে বুঝতে শিখছি এই জীবন কে।

আসলে ভাইয়া সুমন ভাই শহরে এসেছে এবং ঝলমলে শহর নিয়ে সুন্দর একটি পোস্ট করেছিলো। সেই পোষ্টটি আমিও দেখেছি, আসলে আপনি সেই পোষ্টের আলোকে শহরের সৌন্দর্য নিয়ে একটি কবিতা লিখলেন। আসলে আপনার কবিতাটি আমার খুবই ভালো লেগেছে। আসলেই বর্তমানে আপনি খুবই সুন্দর সুন্দর কবিতা লিখেছেন। কবি ভাব আপনার মধ্যে ফুটে উঠেছে। ভালো লাগলো আজকের কবিতাটি।

আলোয় ঝলমলে শহরের জীবনে
সবাই দেখে সবটা আলোকময়,
আলোর পিছনে অন্ধকার হাসে
জীবনের অনুূভূতিগুলো আড়ালে রয় ।

যেখানে যত বেশি আলোর ঝলকানি সেখানে অন্ধকার তত বেশি। আসলে অন্ধকার গুলো আড়াল করতেই এতসব আলোর ঝলকানি। আর এতসব আলোর আয়োজন। তবে যাই হোক ভাইয়া আপনি আমাদের সকলের প্রিয় সুমন ভাইয়ার পোস্ট দেখে অনুপ্রাণিত হয়ে তাকে উৎসর্গ করে একটি কবিতা লিখেছেন পড়ে অনেক ভালো লাগলো। আপনার লেখা কবিতাগুলো সবসময় আমার অনেক ভালো লাগে। আপনি আপনার ব্যস্ততার মাঝেও এত সুন্দর একটি কবিতা লিখে শেয়ার করেছেন এজন্য আপনাকে জানাচ্ছি ধন্যবাদ। সেই সাথে আপনার জন্য শুভকামনা ও ভালোবাসা রইলো। ❤️❤️❤️

ভাই একদিকে পা ভিজিয়ে অফিসে যাওয়া সেই সময় থাকে বৃষ্টির প্যারা ।আবার রোদ্র উজ্জল আকাশ তখন থাকে গরমের প্যারা ।বিশেষ করে আপনি বাসে ঘুমিয়ে একই স্টপিস পার হয়ে অন্য
স্টপিস চলে গেছেন ব্যাপারটা দেখে আমি বুঝতে পেরেছি আপনি খুবই প্যারায় আছেন। আশা করি খুব সহজেই এই অবস্থা থেকে বের হয়ে আসবেন।

আপনার কবিতার নিচের লাইন গুলো আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছে।

চারপাশে লুকায়িত যন্ত্রনার মনস্তাপ
অট্টালিকার বিপরীতে বঞ্চনার আঘাত,
দিনের আলোয় উদ্ভাসিত পরিবেশ
নির্জন অন্ধকারে ক্ষয়িত বিবেক।

আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
Please check my new project, STEEM.NFT. Thank you!
default.jpg

কবিতাটি সুমন ভাইকে উদ্দেশ্য করে উৎস্বর্গ করা হচ্ছে।

কবি ভাইয়ের থেকে প্রাপ্তি 🥰💖🥰

আপনার কবিতার মধ্যে কঠিন বাস্তবতা ফুটে উঠেছে। সত্যিই, এই শহরের আলোকসজ্জার ভিড়ে লুকায়িত হাজারো স্বার্থপরতার ফাঁদ। আমার অভিজ্ঞতা গুলো কেমন হবে জানিনা।

তবে হাজারো প্রতিবন্ধকতা পেরিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা তো করতেই হবে। কারণ আলো ঝলমলে এই ইট পাথরের শহরে স্বপ্ন বুনতে এসেছি। দোয়া রাখবেন ভাই।

বন্ধনগুলোর আবেগ শুধুই নির্জীব
দেহ খেলায় অনুভূতি আনন্দহীন,
মিছে মায়ায় সাজায় সবাই মেলা
আলোর শহরে চলে শুধুই ছলনা।

ভাইয়া অনেক চমৎকার একটি কবিতা লিখেছেন আজ। আসলেই আমাদের বন্ধন গুলো যেন নির্জীব হয়ে যাচ্ছে। অনুভূতিগুলো আনন্দহীন লাগছে। এখন আর সেই সুন্দর আনন্দময় দিন গুলো আমাদের মাঝে ধরা দেয় না। সব যেন মিছে মায়া আর মানুষের ছলনা। আপনার কবিতার ভাবার্থ গুলো প্রকাশ পেয়েছে বাস্তব জীবনের প্রতিচ্ছবি।

আহা জীবনটাই দারুণ, চারদিকে শুধু প্যারা আর প্যারা। বৃষ্টি আসুক তার সাথে মেঘকন্যা থাকুক সেখানেও প্যারা থাকবে,

সত্যি কথা বলেছেন ভাইয়া যত সুখের জীবনই হোক একটা না একটা প্যারা থাকবেই থাকবে। আসলে সত্যি কথা বলতে প্যারা ছাড়া কিন্তু ভাল লাগেনা, আবার বেশি প্যারা হলে সহ্য করতে পারিনা😝

অনেক সুন্দর একটি কবিতা লিখেছেন ভাইয়া।
বাস্তব কিছু কথা কবিতার মাধ্যমে তুলে ধরেছেন।
সত্যি বলতে আমরা সবাই মুখোশধারী মানুষ।
অসম্ভব ভালো লেগেছে ধন্যবাদ ভাইয়া।

একেই প্রচন্ড গরম, তার উপর আবার সময় মত অফিস পৌঁছানোর প্যারা, তারপর আবার বাসে ঘুমিয়ে দুই স্টপিজ পার হয়ে নামার প্যারা তারপর আবার তাড়াতাড়ি অফিস পৌঁছানোর জন্য উল্টো পথে হাঁটা দেওয়ার প্যারা সবমিলিয়ে আপনি বেশ বড়সড় প্যারায় ছিলেন ভাইয়া।

তবে যাইহোক ভাইয়া, আপনি আলোর শহরের বাস্তবধর্মী একটি কবিতা আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন।

মানুষগুলোর উপরটায় থাকে মুখোশ
মুখোশের আড়ালে মনটা নিশ্চুপ,
হাসিতে উজ্জ্বল থাকা হৃদয়ে
ভেতরটা নির্জীব থাকে অন্ধকারে।

কবিতার প্রতিটি লাইন যেন শহরের বাস্তবতা গুলোর সাথে মিলে যায়। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটি কবিতা আমাদের মাঝে উপহার দেওয়ার জন্য। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।

পুরো স্তব্ধ হয়ে পড়লাম ভাই পুরো লেখা। প্রতিটা লাইনে যেন নিজেকে খুঁজে পাচ্ছিলাম। জানিনা এমন কেন হচ্ছিল। এত সাবলীল ভাষায় লিখেছেন ভাই, এটা বেশি মুগ্ধ করে দিয়েছে। আমরা সবাই মুখোশ পরে ঘুরছি ভাই। নিজে প্রতারিত হচ্ছি এবং অন্যকেও প্রতারিত করে যাচ্ছি। এই চমৎকার লেখার অভ্যেস টা চালিয়ে যাবেন ভাই। ভালোবাসা রইলো।

বাহ,সুমন ভাইয়াকে নিয়ে দারুণ অনুভূতি প্রকাশ করেছেন কবিতার মধ্যে ভাইয়া।ছন্দের মিল খুঁজে পেলাম কবিতার প্রতিটা লাইনে ,বেশ ভালো লাগলো।চমৎকার হয়েছে কবিতাটি👌.শহরে রাতের আলোকময় দৃশ্য দেখতে সত্যিই ভালো লাগে।ধন্যবাদ ভাইয়া।

মানুষগুলোর উপরটায় থাকে মুখোশ
মুখোশের আড়ালে মনটা নিশ্চুপ,
হাসিতে উজ্জ্বল থাকা হৃদয়ে
ভেতরটা নির্জীব থাকে অন্ধকারে।

ভাই আপনার বাসের কাহিনি পড়ে খুবই খারাপ লাগলো। আসলে কি আর বলবো প্রতিনিয়ত আমাদের এভাবেই চলতে হয়। এটাই বাস্তবতা। এই শহরে প্রতিটি ক্ষেত্রেই মধ্যবিত্তদের ভুগান্তির যেনো শেষ নেই। জীবন মানেই তো যন্ত্রণা, বেঁচে থাকতে বোধ হয় শেষ হবে না! আপনার কবিতা পড়ে খুব ভালো লাগলো ভাই। শেয়ার করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।

বাস্তবতায় বিশ্বাসী হয় না কেউ
কল্পনার জগতে সবাই তুলে ঢেউ,
সুখ-দুঃখগুলো যেন পাথরের ম্যুরাল
সম্পর্কগুলোর মাঝে অদৃশ্য দেয়াল।

বাস্তবধর্মী কবিতাগুলো আপনার কাছে এসে ধরা দিয়েছে। একটু কুলু পেলেই আপনি লেখা শুরু করে দিতে পারেন। এই গুন টুকু আপনার মধ্যে সব সময় বিরাজ থাক। আমাদের মাঝে নিত্য নূতন বাস্তব ঘটনার শব্দচয়ন করেন। এই কামনায়

তবুও নিয়তির খেলায় শহরের পানে ছুটা
স্বপ্নের আলোয় হৃদয় ভেজানোর প্রচেষ্টা,
ইট-পাথরের দালানের চাপায় বিনষ্ট আবেগ
স্বার্থের ছলনায় হৃদয়ে বাড়ে শুধু উদ্বেগ

অসাধারণ লিখনী ভাইয়া।এত চমৎকার কাব্যশৈলী।যা আমার হৃদয় স্পর্শ করল সরাসরি।মুগ্ধতা ছড়িয়ে গেল প্রাণে।এভাবেই সুন্দর সুন্দর লেখায় সমৃদ্ধ করবেন আমাদের এটাই প্রত্যাশা।♥♥