হ্যালো বন্ধুরা,
কেমন আছেন সবাই? আশা করছি সবাই ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন। আলহামদুলিল্লাহ, আমি এখনো ভালো আছি এবং সুস্থ আছি। যদিও মানসিক চাপটা আরো বেড়ে গেছে। আসলে এসব বলেও কোন লাভ নেই, একটা বিষয় আমি খুব কাছ হতে দেখেছি এবং বুঝেছি সেটা হলো, পজিটিভ মনের মানুষ যদি একবার নেগেটিভ হয়ে যায় তাহলে তাকে বুঝানো কিংবা পুনরায় পজিটিভ এর পক্ষে নিয়ে আসাটা প্রায় অসম্ভব। বামপন্থী মানুষগুলো যখন ডানপন্থী হয়ে যায়, তখন কিন্তু তারা বুঝে শুনে এবং অনেক কিছু চিন্তা করেই সেটা করে থাকে।
আমি এমন অনেকগুলো মানুষের সঙ্গ পেয়েছিলাম এবং তাদের চিন্তাভাবনা, মতাদর্শ দেখে সত্যি অভিভূত হয়ে গিয়েছিলাম। বাস্তবতা তাদের অনেক কিছু দেখিয়েছে এবং অনেক কিছু শিখতে বাধ্য করেছে, যার কারনে তারা একটা সময় পর নিজের অবস্থান পরিবর্তন করেছেন সানন্দচিত্তে। কিন্তু বিশ্বাস করেন আমার দুর্ভাগ্য চারপাশের পরিস্থিতি এবং পরিবেশ দেখে আমি কিছু শিখতে তো পারি নাই বরং আরো বেশী হতাশ হয়েছি মাঝে মাঝে নিজের অবস্থান ভুল জায়গায় নির্ণয় করে। কেন জানি আমার অবস্থান সর্বদা ভুল জায়গায় হয়ে থাকে।
আমি একটু বেশী বুঝি, একটু কম বুঝি, বুদ্ধি কম, জ্ঞান কম, এমন অনেক বিশেষণে বিশেষায়িত হয়েছি বহুবার। কিন্তু তবুও কেন জানি নিজের অবস্থান এবং নীতি পরিবর্তন করতে রাজী হইনি। কারন ঐ যে যতটুকু শিখেছি এবং যতটুকু বুঝেছি এর বাহিরে কখনো যাওয়ার চেষ্টা করিনি। আমি আমার অবস্থান সর্বদা নিজের গণ্ডির মাঝে রাখার চেষ্টা করছি এবং এখনো সেটা করছি। যদিও মাঝে মাঝে অনাকাংখিতভাবে নিজের গণ্ডি হতে বের হতে গিয়ে অপমান কিংবা লাঞ্ছনার স্বীকার হয়েছিলাম, সেটাও একটা শিক্ষা ছিলো আমার জন্য।
আমি ভালো আছি, খারাপ আছি কিন্তু তবুও নিজের গণ্ডির মাঝে আছি। আমার ভালোর জন্য কেউ হয়তো খুশি হচ্ছে না আবার আমার খারাপের জন্য কেউ হয়তো দুখীও হচ্ছে না, এই বাস্তবতাটা আমাকে প্রতিণিয়ত নিজের অবস্থান ধরে রাখার ব্যাপারে উৎসাহ দিয়ে যাচ্ছে। যাইহোক আমি আমার নীতির কাছে সৎ এবং এটাই আমার আসল শক্তি। হ্যা, খুব কম সংখ্যক মানুষই আমাকে পছন্দ করে। আচ্ছা বলুন তো কেন আমাকে মানুষ পছন্দ করবে? তাদের তো আমি কোন সুবিধা দিতে পারছি না, তাদের পক্ষেও কোন কথা বলতে পারছি না, তাদের কাজেও কোন উৎসাহ দিচ্ছি না বরং সুযোগ পেলে মাঝে মাঝে কিছু নীতি বাক্য শুনিয়ে দিচ্ছি।
সবচেয়ে বড় কথা হলো অপছন্দ হলে কিছু আমি সেখান হতে সরে আসছি এবং সেই সীমানা নিজের জন্য নিষিদ্ধ করে দিয়েছি। কে? কিভাবে আমাকে তাড়াবে? আমি নিজেই তো নিজেকে তাড়িয়ে বেড়াচ্ছি, এখানে নয়তো সেখানে, তারপর ঘুরেফিরে নিজেকে নিজের খাচাঁয় বন্দী রাখছি। হ্যা, জীবনে অনেক কিছুই করতে পরতাম হয়তো কিন্তু কিছুই করতে পারিনি, এটা নিয়ে আমার মনে কোন ধরনের আফসোস নেই, নেই অন্তরের মাঝে কোন ধরনের জ্বালা। তবে কিছুটা হতাশা আছে, সেটা আমাকে নিয়ে নয় বরং আমার পাশে থাকা প্রিয়মানুষগুলোকে নিয়ে, তারা কোন দিনও আমাকে বুঝতে পারলো না এবং বুঝতে চাইলোও না, আফসোস।
Image Taken from Pixabay
ধন্যবাদ সবাইকে।
@hafizullah
আমি মোঃ হাফিজ উল্লাহ, চাকুরীজীবী। বাংলাদেশী হিসেবে পরিচয় দিতে গর্ববোধ করি। বাঙালী সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য লালন করি। ব্যক্তি স্বাধীনতাকে সমর্থন করি, তবে সর্বদা নিজেকে ব্যতিক্রমধর্মী হিসেবে উপস্থাপন করতে পছন্দ করি। পড়তে, শুনতে এবং লিখতে ভালোবাসি। নিজের মত প্রকাশের এবং অন্যের মতামতকে মূল্যায়নের চেষ্টা করি। ব্যক্তি হিসেবে অলস এবং ভ্রমন প্রিয়।
|| আমার বাংলা ব্লগ-শুরু করো বাংলা দিয়ে ||
>>>>>|| এখানে ক্লিক করো ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য ||<<<<<
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
Support @Bangla.Witness by Casting your witness vote
Support @Bangla.Witness by Casting your witness vote
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আসলে কাছের মানুষগুলো যদি আমাদেরকে না বুঝে,তখন সত্যিই খুব কষ্ট লাগে। তাছাড়া এখনকার বেশিরভাগ মানুষ নীতি বাক্য শুনতে একেবারেই পছন্দ করে না। বরং তেল মারতে পারলে,তারা খুব পছন্দ করে। তবে যা-ই হোক না কেনো,নিজের নীতি থেকে সরে আসাটা কখনোই উচিত নয়। যাইহোক পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
এটাই নির্মম বাস্তবতা ভাই, তেল মারাটাও এখন এক ধরনের ফ্যাশন হয়ে দাঁড়িয়েছে। ধন্যবাদ
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit