মুচমুচে ফুলকপি ফ্রাই রেসিপি || Bengali Recipe by @hafizullah

in hive-129948 •  9 days ago 

IMG20250201192127.jpg

হ্যালো বন্ধুরা,

কেমন আছেন সবাই? আশা করছি সবাই ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন। আলহামদুলিল্লাহ, আমিও ভালো আছি এবং সুস্থ আছি। ব্যস্ততার সাথে দারুণ সময় উপভোগ করছি। ঈদ যত ঘনিয়ে আসছে, ব্যস্ততা যেন ততো আঁকড়ে ধরতে চেষ্টা করছে। কারণ ঈদের ছুটিতে যাওয়ার আগে হাতে থাকা কাজগুলো দ্রুততার সাথে সম্পন্ন করতে হবে, কারণ ঈদের আগে কাজ সম্পন্ন করে বিল আনা চাই। এটা আমাদের সমাজে মোটামুটি প্রতিষ্ঠিত একটা সত্য হয়ে গেছে। আর এই সত্যটির বাস্তবায়নের জন্য কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বেশ ঘাম ঝরাতে হয়। তবে আমি যেহেতু ডেস্কে কাজ করি সেহেতু আমার দৌড়া-দৌড়ি কিছুটা কম হয়, হি হি হি।

যাইহোক, আজকে একটা রেসিপি শেয়ার করবো, রেসিপি মানেই স্বাদের কিছু। অবশ্য এই রেসিপিটিও আমার প্রিয় একটা রেসিপি। যদিও এটা বেশ আগেই তৈরী করা হয়েছিলো। আজকে ফটো ঘেটে দেখি এটা শেয়ার করার সুযোগ হয়নি। যদিও এই সময়ের জন্যও এটা পারফেক্ট রেসিপি। কিন্তু এখন তো বাজারে ফুলকপি পাওয়া যায় না, আমাদের এদিকে পাওয়া যায় না কিন্তু গ্রামীণ অঞ্চলে পাওয়া যায় কিনা সেটা আমার জানা নেই। যাইহোক, শীতকালে বাজারে ফুলকপি আসার পর বেশ কয়েকবার এই রেসিপিটির স্বাদ নেয়া হয় আমার, বাড়ির সবাইও বেশ পছন্দ করেন। স্বাদের জিনিষ সবার পছন্দ হবে সেটাই তো স্বাভাবিক বিষয়, হি হি হি।

fulkopi (2).jpg

রেসিপির উপকরণঃ

  • ফুলকপি
  • ডিম
  • বেসন
  • চালের গুড়া
  • গরম মসলা গুড়া
  • হলুদ গুড়া
  • মরিচ গুড়া
  • লবন
  • তেল।

প্রস্তুতি পর্বঃ

fulkopi (3).jpg

fulkopi (4).jpg

প্রথমে ফুলকপিগুলোকে ছোট ছোট টুকরা করে নিয়েছি, তারপর একটা পাত্রে নিয়ে হালকা সিদ্ধ করে নিয়েছি একটু লবন দিয়ে।

fulkopi (7).jpg

fulkopi (10).jpg

fulkopi (12).jpg

তারপর ভাব দেয়া ফুলকপিগুলো একটা প্লেটে নিয়েছি, ডিমসহ সকল উপকরণ দিয়ে ভালোভাবে মাখিয়ে নিয়েছি।

fulkopi (13).jpg

fulkopi (14).jpg

fulkopi (16).jpg

এরপর একটা প্যান চুলায় বসিয়ে তেল ঢেলে গরম করেছি। তারপর মসলা মাখানো ফুলকপির টুকরাগুলো গরম তেলে ছেড়ে, উল্টে পাল্টে নিয়ে ভালোভাবে ভেজে নিয়েছি।

fulkopi (1).jpg

ব্যস হয়ে গেলো ভিন্ন স্বাদের ফুলকপির ফ্রাই, ঝাল সস কিংবা চাটনি দিয়ে গরম গরম খেতে ভীষণ ভালো লাগে।

ধন্যবাদ সবাইকে।
@hafizullah

break .png
Leader Banner-Final.pngbreak .png

আমি মোঃ হাফিজ উল্লাহ, চাকুরীজীবী। বাংলাদেশী হিসেবে পরিচয় দিতে গর্ববোধ করি। বাঙালী সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য লালন করি। ব্যক্তি স্বাধীনতাকে সমর্থন করি, তবে সর্বদা নিজেকে ব্যতিক্রমধর্মী হিসেবে উপস্থাপন করতে পছন্দ করি। পড়তে, শুনতে এবং লিখতে ভালোবাসি। নিজের মত প্রকাশের এবং অন্যের মতামতকে মূল্যায়নের চেষ্টা করি। ব্যক্তি হিসেবে অলস এবং ভ্রমন প্রিয়।

break .png

Banner.png

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

আসলে বর্তমানে চাকরিজীবী সবাই অনেক বেশি ব্যস্ততার মধ্যে দিন কাটাচ্ছে। কারণ সামনেই যেহেতু ঈদ তাই কাজের প্রেসারও বেশি। আমি তো প্রথমে ভাবছিলাম, এই সময় আবার আপনি ফুলকপি পাইলেন কই। পরে দেখি এই রেসিপিটা আরো অনেক আগের ছিল। যদিও আমাদের এদিকে এখনো পর্যন্ত ফুলকপি পাওয়া যাচ্ছে। কারণ আমাদের এক আত্মীয়ের ক্ষেতে এখনো অনেক ফুলকপি আছে। কিন্তু এই সময়টাতে ফুলকপি আমার কাছে একেবারেই ভালো লাগে না খেতে। কারণ গরম পড়ছে অনেক বেশি। ফুলকপি শীতকালেই বেশি মজাদার। মুচমুচে ফুলকপি ফ্রাই রেসিপি টা দেখে আমার তো খুব লোভ লেগে গিয়েছে। দেখে তো মনে হচ্ছে খুব মজাদার ছিল।

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

বেশ লোভনীয় রেসিপি। শীতকালে ফুলকপির এই ধরনের পকোড়া গুলোকে তে খুবই ভালো লাগে। আপনি ফুলকপিটা সিদ্ধ করে পকোড়া বানিয়েছেন। এটা খুবই স্বাস্থ্যকর। কারণ অনেক সময় ফুলকপির ভেতরে ছোটখাটো পোকামাকড় থেকেই যায় তা বাইরে থেকে দেখা যায় না। তাই সামান্য সিদ্ধ করে নিলে বা গরম জলে ডুবিয়ে রাখলে প্রথমত বিষমুক্ত করা যায় দ্বিতীয়ত পোকামাকড় থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
সমস্ত উপকরণ যখন মাখিয়ে নিলেন তার উপর থেকে সামান্য পরিমাণ এই ধরন দুই তিন টেবিল স্পুন গরম তেল মানে যেই তেলটা গরম করছেন ফুলকপি ভাজার জন্য সেই তেলটা একটু দিয়ে মাখিয়ে নিবেন।এতে করে পকোড়ার স্বাদ আরো ভালো হয়।

আচ্ছা, নতুন একটা টিপস পেলাম। পরবর্তীতে অবশ্যই এটা মাথায় রাখবো, স্বাদ বাড়ানো বলে কথা হি হি হি। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।

ফুলকপির ফ্রাই খেতে খুবই সুস্বাদু।আমার কাছে ফুলকপির ফ্রাই খেতে খুবই ভালো লাগে।আপনি খুব সুন্দর ভাবে রেসিপিটি ধাপে ধাপে তুলে ধরেছেন।রেসিপিটি দেখে খুবই ভালো লাগলো। আমিও ফুলকপি সংরক্ষণ করে রেখেছিলাম রমজানের জন্য। কিন্তু অসুস্থতার কারনে একদিন তৈরি করেছিলাম।আবার দেখি তৈরি করবো। খেতে কিন্তু দারুন লাগে এই মুচমুচে ফুলকপির ফ্রাই। ধন্যবাদ রেসিপিটি শেয়ার করার জন্য।

দারুণ লোভনীয় ফুলকপির পকোড়া রেসিপি শেয়ার করেছেন আমাদের সঙ্গে। ধাপে ধাপে যেভাবে সম্পূর্ণ রেসিপিটি শেয়ার করেছেন তাতে এটি বানানো আরো সহজ হয়ে গেছে। ডিম বেসন দিয়ে এমন পকোড়ার ছবি দেখলে আমাদের জিভে জল তো আসবেই৷

প্রথমে সেটাই ভাবছিলাম এই সময় আবার ফুলকপি কোথা থেকে আসলো পরবর্তীতে আপনার পোস্ট পড়ে জানতে পারলাম এটা অনেক আগে তৈরি করা ছিল। তবে ছবি দেখে চোখ বন্ধ করে বলে দেয়া যাচ্ছে খেতে অনেক সুস্বাদু হয়েছিল। রেসিপিটি কিভাবে তৈরি করতে হয় সেটা পর্যায়ক্রমে আমাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া।

আসল খেলা তো এখানেই হি হি হি, পোষ্ট না পড়লেই কট খেয়ে যাবে অনেকেই হা হা হা। ধন্যবাদ

অনেকেই ভাববে ইফতার উপলক্ষে রেসিপি তৈরি করেছেন হা হা হা।

অনেক আগে তৈরি করা ফুলকপির পাকোড়া রেসিপি দেখে তো লোভ লেগে গেল ভাইয়া। ফুলকপির পাকোড়া খেতে দারুণ লাগে। আপনার পাকোড়া রেসিপি যে খেতে দুর্দান্ত হয়েছিল তা ফটোগ্রাফি দেখেই বোঝা যাচ্ছে। পাকোড়া রেসিপি তৈরি করার সম্পূর্ণ প্রসেস চমৎকারভাবে শেয়ার করলেন ভাইয়া। চমৎকার এবং লোভনীয় রেসিপিটি ধাপে ধাপে শেয়ার করে নেওয়ার জন্য ধন্যবাদ জানাই।

সত্যি কথা বলতে আমি এমন করে ফুলকপি ফ্রাই কখনো খাইনি। তবে আপনার এই রেসিপিটি দেখে মনে হচ্ছে অনেক বেশি সুস্বাদু হয়েছে আপনি অনেক সুন্দর করে ধাপে ধাপে আমাদের মাঝে পুরো রেসিপিটি শেয়ার করেছেন অনেক ধন্যবাদ।

শীতকালে বিকালের নাস্তা হিসাবে এই রেসিপিটি প্রায়ই করা হয়। খেতে বেশ মজা। আমারতো বেশ পছন্দ এই পাকোড়াটি। বাসার সাবারও বেশ পছন্দ। আমি অবশ্য বেসনের গোলায় ডুবিয়ে তবেই ফ্রাই করি। মজাদার ফুল কপির পাকোড়া রেসিপিটি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ ভাইয়া।।

আমাদের এখানেও এখন ফুলকপি পাওয়া যায় না। আপনি এই রেসিপিটা আগে তৈরি করেছিলেন বলে শেয়ার করতে পেরেছেন। যাইহোক ফুলকপি ফ্রাই খেতে আসলেই দারুণ লাগে। এই রেসিপিটা শীতকালে মাঝেমধ্যে খাওয়া হয় আমার। বেশ ভালো লাগলো রেসিপিটা দেখে। এতো মজাদার একটি রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।

অনেকরকম ফ্রাই খেয়েছি। আবার ফুলকপির অনেক রকম রেসিপি খেয়েছি। কিন্তু ফুলকপি ফ্রাই এটা কখনও খাইনি। এটা বেশ দারুণ ছিল। চমৎকার তৈরি করেছেন ভাই ফুলকপি ফ্রাই টা। এবং রেসিপি টা খুবই সুন্দর উপস্থাপন করেছেন। সবমিলিয়ে দারুণ ছিল।