ডিম দিয়ে পটলের ফ্রাই রেসিপি || Bengali Recipe by @hafizullah

in hive-129948 •  2 years ago 

Recipe Cover-fry.png

হ্যালো বন্ধুরা,

কেমন আছেন সবাই? আশা এবং বিশ্বাস সবাই ভালো আছেন। যদিও অনাকাংখিত ও অপ্রত্যাশিত একটা বিপর্যয় চারদিকে দারুণ একটা সমস্যার সৃষ্টি করেছে। সত্যি বলতে পরিবেশ এখন আর আগের মতো নেই, আমাদের কারণে এবং অনাকাংখিতভাবে সবুজ প্রকৃতির ক্ষতিসাধন করার জন্য, প্রতি বছরই এই রকম অনাকাংখিত পরিস্থিতির সৃষ্টি হচ্ছে। তবে তুলনামূলকভাবে এই বছরের অবস্থা একটু বেশী খারাপ, কারণ অতীতের সকল রেকর্ড ভেঙ্গে বৃষ্টির হওয়ার ক্ষেত্রে এই বছর নতুন রেকর্ড হয়েছে, হয়তো ভবিষ্যতে আরো বেশী পরিমানে বৃষ্টি হয়ে এই রেকর্ডও পরিবর্তন হতে পারে। সে যাইহোক, আমরা যতদিন পর্যন্ত ঠিক না হবো, পরিবেশ এবং আমাদের সত্যিকারের ভালোর বিষয়টি বুঝতে না পারবো, ততোদিন এই রকম অপ্রত্যাশিত এবং অনাকাংখিত বিপর্যয়ের আশংকা দূর হবে না।

যাইহোক, প্রসঙ্গ পরিবর্তন করলাম। বিকল্প কিছু কাংখিত স্বাদ কখনো দিতে পারে না, বুঝলেন না তো বিষয়টি, আচ্ছা একটু বুঝিয়েই বলি। আমরা ছোট বেলায় দেখতাম এবং কাংখিত জিনিষের দাম বৃদ্ধি পাওয়ার সাথে সাথে আমরা বিকল্প অন্য জিনিষটির প্রতি ঝুঁজে যেতাম, চেষ্টা করতাম বিকল্প জিনিষটির মাধ্যমে চাদিহা পূরণ করার এবং কাংখিত স্বাদ পাওয়ার। কিন্তু সেটা কি আদৌ হতো, বা স্বাদের পূর্ণতা আসতো? না সেটা কখনো হতো না, কিন্তু তবুও আর্থিক বিষয়টির প্রতি গুরুত্বারোপ করে আমরা সেই বিকল্পের দিকেই ঝুঁকতাম। যেমন আমি ছোট বেলায় দেখেছি, চিনির দাম হঠাৎ করে বেড়ে যাওয়ার ফলে বাড়ীতে চিনি কেনা বন্ধ করে দিতো এবং চা’সহ যাবতীয় খাবারগুলোতে গুড় ব্যবহার করা হতো। আচ্ছা আপনারা কখনো গুড়ের চা খেয়েছেন? ছোট বেলায় আমি কিন্তু খুব খেতাম, যদিও এখন চা খাই না নানা কারনে।

তখন হয়তো বুঝতাম না তাই সেটা নিয়ে খুব একটা চিন্তা করতাম, বিকল্প কিংবা যে কোন একটা হলেও চলতো। যেমন হালুয়া তৈরী করা হতো গুড় দিয়ে সেটাই খেতাম রুটি দিয়ে। কিন্তু এখন বেশ বুঝতে পারছি সত্যিকার অর্থে কোন কিছুর বিকল্প কোন কিছু হতে পারে না, কারন প্রতিটি জিনিষের আলাদা একটা বৈশিষ্ট্য থাকে, সেটাকে পরিবর্তন করা কিংবা সেই একই রকম স্বাদ পাওয়া অসম্ভব একটা বিষয়। বিকল্প কিছু দ্বারা হয়তো সাময়িক কাজ করা যায় কিন্তু সত্যিকার অর্থে কিংবা বৈশিষ্ট্যের দিক হতে সেটার বিকল্প হয় না। যেমন ধরুন মুলো, বিকল্প অন্য যে কোন সবজি খাওয়া হোক না কেন? মুলোর বিকল্প কিংবা সেই স্বাদ কখনোই পাওয়া যাবে না, কিংবা অসম্ভব। আমি চেষ্টা কিংবা চেক করে দেখেছি, মুলোর স্বাদ পাই নাই। যার কারনে আমার দৃষ্টিভঙ্গি হলো, কোন কিছুর সত্যিকার অর্থে বিকল্প হতে পারে না, হয়তো সাময়িক বোঝাপড়া কিংবা আর্থিক ক্ষতির একটা সমন্বয় করা যায়।

যাইহোক, আমি আমার দৃষ্টিভঙ্গির একটা বিষয় স্পষ্ট করার চেষ্টা করেছি উপরের ব্যাখ্যায়, আশা করছি সেটা আপনারা ভালোই বুঝতে পেরেছেন। তবে আমি আজ একটা দারুণ স্বাদের আনকমন রেসিপি আপনাদের সাথে ভাগ করে নিবো। এটা হলো পটলের রেসিপি, তবে ডিম দিয়ে ফ্রাই করা। এমনিতে আমি পটল ভাজা খুব বেশী পছন্দ করি, বিশেষ করে গরম ভাত কিংবা পোলাও এর সাথে খেতে। তো আজ একটু ভিন্নভাবে পটলের ব্যবহার করেছি ডিমের ব্যবহার নিশ্চিত করে। চলুন তাহলে রেসিপিটি দেখি-

IMG20220610132154_01.jpg

প্রয়োজনীয় উপকরণঃ

  • পটল
  • ডিম
  • পেঁয়াজ
  • কাঁচা মরিচ
  • হলুদ গুড়া
  • মরিচ গুড়া
  • লবন
  • ধনিয়া পাতা
  • তেল।

প্রস্তুত প্রণালীঃ

IMG20220610121700_01.jpg

প্রথমে পটলগুলো মাঝ বরাবর স্লাইস করে ভেতরের অংশটুকু ফেলে দিয়ে একটু ফাঁকা করে নিয়েছি।

IMG20220610132219_01.jpg

IMG20220610132359_01.jpg

তারপর সেগুলোকে হলুদ ও মরিচ গুড়া এবং পরিমান মতো লবন দিয়ে ভালোভাবে মাখিয়ে নিয়েছি।

IMG20220610132559_01.jpg

IMG20220610132621_01.jpg

তারপর একটা বাটিতে ডিম দুটো ভেঙ্গে নিয়েছি এবং তার সাথে পেঁয়াজ ও কাঁচা মরিচের কুচি দিয়ে মিক্স করে নিয়েছি।

IMG20220610133612_01.jpg

IMG20220610133722_01.jpg

একটা প্যান চুলায় বসিয়ে কিছু তেল দিয়ে গরম করেছি তারপর তার উপর মসলা মাখিয়ে রাখা পটলগুলো বসিয়ে দিয়েছি।

IMG20220610134321_01.jpg

IMG20220610134442_01.jpg

এরপর পেঁয়াজ-কাঁচা মরিচ দিয়ে ফেটে রাখা ডিম হতে একটা চামচ দিয়ে পটলের ফাঁকা স্থানটুকু পূরণ করেছি।

IMG20220610134457_01.jpg

IMG20220610134612_01.jpg

তারপর কিছু সময়ের জন্য সেগুলো ঢেকে দিয়েছি যাতে দ্রুত সিদ্ধ হয়ে যায়।

IMG20220610134657.jpg

IMG20220610134908_01.jpg

এরপর ঢাকনা সরিয়ে উল্টে পাল্টে দিয়ে ভালোভাবে পটলগুলো ভেজে নিয়েছি। তারপর নামিয়ে নিয়ে হালকা ধনিয়া পাতা কুচি উপর দিয়ে দিয়েছি।

IMG20220610140804_01.jpg

দেখুন কি রকম হয়েছে আমাদের বিশেষ স্বাদের রেসিপি, ডিম দিয়ে পটলের ফ্রাই। আমি এগুলোর স্বাদ গরম ভাতের সাথে নিয়েছি, দারুণ একটা পূর্ণতা খুঁজে পেয়েছি, না না না মুলোর বিকল্প না বরং নতুন কিছুর স্বাদ। আমার কাছে রেসিপিটি দারুণ লেগেছে, আপনি চেষ্টা করে দেখতে পারেন, হয়তো আপনার কাছেও ভালো লাগবে।

ধন্যবাদ সবাইকে।
@hafizullah

break2.jpg
Leader Banner-Final.pngbreak2.jpg

আমি মোঃ হাফিজ উল্লাহ, চাকুরীজীবী। বাংলাদেশী হিসেবে পরিচয় দিতে গর্ববোধ করি। বাঙালী সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য লালন করি। ব্যক্তি স্বাধীনতাকে সমর্থন করি, তবে সর্বদা নিজেকে ব্যতিক্রমধর্মী হিসেবে উপস্থাপন করতে পছন্দ করি। পড়তে, শুনতে এবং লিখতে ভালোবাসি। নিজের মত প্রকাশের এবং অন্যের মতামতকে মূল্যায়নের চেষ্টা করি। ব্যক্তি হিসেবে অলস এবং ভ্রমন প্রিয়।

break2.jpg

Banner Annivr4.png

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

ভাই আপনি ঠিকই বলেছেন যখন কোন জিনিসের দাম বেড়ে যায় তখন আমরা বিকল্প কিছু চিন্তা করি। আর এই বিকল্প কিছু দিয়ে কিন্তু আসল জিনিসের স্বাদ পাওয়া যায় না। আমরা ছোটবেলা গুজের চা খেতাম, আর এই গুড়ের চা বেশিরভাগ নির্বাচনের সময় তৈরি করা হতো আমাদের গ্রামে। তখন গুড়েন চা আর চিনির চায়ে অনেক পার্থক্য তেমনি যে কোন জিনিসের দাম বাড়বে সেই জিনিস এর বিকল্প অন্য কিছু আমরা ভাবি কিন্তু সেটা আজও সেই স্বাদটা পাওয়া যায় না । বেগুনের দাম বাড়াতে আমরা অন্যকে চপ তৈরি করেছি কিন্তু আমরা বেগুনের চপের স্বাদ পাইনি, যাই হোক আজকে আপনার কথাগুলো খুবই ভাল লাগল এবং আপনি খুবই মজাদার রেসিপি তৈরি করেছেন। ডিম দিয়ে পটলের ফ্রাই রেসিপি একদম অন্যরকম মনে হয়েছে। আমি পরবর্তীতে তৈরি করে দেখবো কতটা মজা হয়। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।

আপনি একদম ঠিক বলেছেন ভাইয়া এখন আর পরিবেশ আগের মতো নেই। পটল ও ডিমের সমন্বয় অনেক মজাদার রেসিপি তৈরি করেছেন আপনি। পটল সব সময় ভাজি ও অন্য ভাবে খেয়েছি । তবে আপনার কাছে নতুন একটি রেসিপি দেখলাম। সত্যি কথা বলতে আপনার কাছ থেকে আমি অনেক রেসিপি শিখেছি। ধন্যবাদ আপনাকে ভাইয়া আপনার জন্য শুভেচ্ছা ও শুভকামনা রইল।

আসলেই কোন জিনিসের বিকল্প কখনোই অন্য কিছু হতে পারে না। হয়তো সাময়িক ভাবে প্রতিস্থাপন করা যায় মাত্র। পরিবেশ নিয়ে আপনার মত আমারও দুশ্চিন্তা হয়তো সামনে আরো খারাপ সময় আসছে। যাইহোক আপনার রেসিপি গুলো দেখে বরাবরই আমার মনে হয় আপনি একটা ফুড ব্লগ করলে পারতেন। কারণ রেসিপি উদ্ভাবনে আপনার যে ক্ষমতা দারুন কিছু হতো এটা দিয়ে। সবচাইতে ভালো লাগলো পটলের বীজ গুলো ফেলে দেয়ায়। আমাদের বাসায় বীজ সহ রান্না করা হয় যার কারণে আমি একেবারেই খেতে পারিনা। দারুন ছিল রেসিপিটি। ধন্যবাদ ভাই

দুশ্চিন্তা করে কোন লাভ নেই আমাদের ভাই কারন সামনে আরো কঠিন সময় আসতেছে, বরং তার জন্য প্রস্তুত থাকা বেশী প্রয়োজন।

পটল ভাজা এমনি খুব মজা হয় আবার তার সাথে যদি ডিম মিশিয়ে ভাজা হয় নিশ্চয় মজা বহু গুন বেড়ে যায়। গুড় এর চা খেতে অনেক মজা হয়, বিশেষ করে টোস্ট দিয়ে খেতে বেশি মজা লাগে আমার কাছে। কিন্তু আমি চা বেশি একটা ভালো বানাতে পারি না। তবে ভাইয়া ডিম দিয়ে পটলের ফ্রাই নিঃসন্দেহে খুব সুস্বাদু হয়েছে। আপনার রেসিপি গুলো সত্যি খুব ভালো লাগে।

হ্যা, পটল ভাজা এমনিতেও খেতে দারুণ লাগে, তবে এই রেসিপির স্বাদটা আরো বেশী ভালো ছিলো।

হাফিজুল্লাহ ভাই মানি নতুন ধরনের ইউনিক রেসিপি। সত্যি কথা বলতে ভাই আজকের রেসিপি আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে। পটল দিয়ে ডিম ভাজি রেসিপি। এক কথায় অসাধারণ। সেই সাথে খুব সুন্দর করে সবকিছু বর্ণনা তুলে ধরেছেন আপনি। যা দেখে অনেক ভালো লাগলো ভাই। ধন্যবাদ আপনাকে এরকম সুন্দর একটি ইউনিক রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য। শুভকামনা রইলো ভাইজান আপনার জন্য।

হা হা হা হা, নতুন কিছুর স্বাদ সব সময়ই ভালো অনুভূতি তৈরী করে ভাই।

জি ভাই আপনি একদম ঠিক বলেছেন আসলে কোন কিছুর পরিপূরক অন্য কিছু হয় না। কিন্তু তবুও আমরা সেটাই চেষ্টা করে যাচ্ছি। আর ছোটবেলা থেকে সেটাই দেখছি হয়তো সামনে সেটাই হবে। তবে যাইহোক আপনি দারুন মজার একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন এভাবে কখনোই ডিমের সাথে পটল ফ্রাই করে খাওয়া হয়নি। তবে রেসিপিটি আমার কাছে খুব ভালো লেগেছে।

হ্যা, কারন আমাদের যখন কোন উপায় থাকে না, তখন আমরা পরিপূরক হিসেবে বিকল্প চিন্তাগুলোকে একটু বেশী প্রধান্য দেয়ার চেষ্টা করি।

জ্বি ভাই একদম ঠিক বলেছেন আসলে ছোটবেলা থেকেই সেটাই দেখে আসছি। আর আমরা সেটা অবল্বন করছি

আচ্ছা আপনারা কখনো গুড়ের চা খেয়েছেন?

আমাদের মত মধ্যবিত্ত ফ্যামিলির মানুষজনদের অনেক কিছু চিন্তা করেই চলাফেরা করতে হয়। বিশেষ করে খাবারের কোন কিছুর দাম বৃদ্ধি পেয়ে গেলে আমরা বিকল্প খোঁজার চেষ্টা করি। তবে গুড় দিয়ে চা খাওয়া হয়নি কখনো। যতই বিকল্প কিছু খোঁজা হোক না কেন সেই খাবারের স্বাদ কখনোই এক হয় না। আপনি মুলো খেতে ভালোবাসেন সেটা আমরা সকলেই জানি। আমিও মুলো খেতে অনেক পছন্দ করি। আশা করছি খুব শীঘ্রই মুলো বাজারে আসবে। তবে যাই হোক আমিও কয়েকদিন থেকে ভাবছিলাম পটল দিয়ে কিছু একটা তৈরি করবো। কিন্তু মাথায় আসছিলনা কি তৈরি করা যায়। আজকে আপনার এই রেসিপি দেখে মজার একটি রেসিপি শিখে নিলাম। পটল ও ডিম দিয়ে তৈরি করা এই রেসিপি আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে। ধন্যবাদ আপনাকে এবং সেইসাথে আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা ও ভালোবাসা রইলো। ❤️❤️❤️

হা হা হা তাহলে এখন নতুন একটা রেসিপি পেয়ে গেলেন, এটা চেক করতে পারেন আবার চাইলে এর মাঝে কিছুটা ব্যতিক্রমও করতে পারেন। যেমন চাউলের ‍গুড়া কিংবা বেসনের ব্যবহার।

বিপর্যয় আমাদের সঙ্গে লেগেই আছে। তবে এটা সত্য বলেছেন ভবিষ্যতে হয়তো এ রেকর্ড ভেঙে নতুন কোন রেকর্ডও করতে পারেন। আর এর জন্য সম্পূর্ণ দায়ী আমরা এবং আমাদের পরিবেশ আর আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন করতে হবে। একটা বিষয় লক্ষ্য করলাম যে আপনি ঠিকই বলেছেন আপনার ছোট থাকতে অনেক কিছুই পরিবর্তন খুঁজতাম, কোন জিনিসের দাম বেড়ে গেলে সেটা বন্ধ করে দিয়ে অন্য কিছু খাওয়ার চেষ্টা করতাম। আপনার এই কথাগুলো হয়তো অনেকের কাছে হালকা মনে হবে। কিন্তু সবগুলো কথাই ছিল গুরুত্বপূর্ণ। আপনি পটল ভাজি খেতে পছন্দ করেন আমিও মোটামুটি পছন্দ করি। কিন্তু আপনি আজকে পটল ভাজি ডিম দিয়ে যে ফ্রাই করেছেন কখনো খাওয়ায় হয়নি। আমার কাছে মনে হচ্ছে সম্পন্ন একটা ইউনিক রেসিপি আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছে। আপনি মানুষটা যেমনি ইউনিক তেমনি আপনার কথাবার্তা চালচলন এবং পোস্টগুলো ও ইউনিক। তাইতো আপনাকে এত ভালোবাসি। আমাদেরকে এত সুন্দর একটি পোষ্ট উপহার দেওয়ার জন্যে আপনার প্রতি রইল ভালোবাসো অবিরাম।

পটল দারুণ একটা সবজি, এটা রান্না করা খেতে যেমন ভালো লাগে ঠিক তেমনি ভাজাও অনেক স্বাদের হয়ে থাকে।

পরিবেশ একমাত্র আমাদের কারনেই বিরুপ আচরন করছে। সত্যি বলতে এই অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতির জন্য প্রত্যক্ষভাবে আমরা দায়ী।

আসলে কোন কিছুর বিকল্প কখনো কোন কিছু হতে পারেনা। শুধুমাত্র চাহিদার অনুপাতে ব্যাবহার করা যায়।

আপনার আজকের রেসিপি দারুন ছিল ভাই।
খেতে ভীষণ সুস্বাদু হয়েছে বোঝাই যাচ্ছে 😋

শতভাগ আমরা দায়ী, যার কারনে আমরাও সবচেয়ে বেশী ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি। হয়তো সামনের দিনগুলোতে আরো বেশী ভয়ংকর হয়ে উঠবে প্রকৃতি।

খবরে দেখলাম ১০০ বছরের রেকর্ড অতিক্রম করেছে নাকি,এবারের বন্যা।যাই হোক গুড়ের চা তে খাই নি।তবে একদিন বানিয়ে খেতে হবে।সব কিছুতেই মূলাকে টান তে হবে,আপনি কি স্বপ্নের ও মূলা দেখন কিনা,আমার জানার ইচ্ছে 😉।এভাবে ডিম দিয়ে কখনো তো পটল ভাজি খাওয়া হয় নি।তবে মনে হচ্ছে খেতে ভালোই হবে।ডিম আছে যেহেতু খেতে ভালো হওয়ার কথা।ধন্যবাদ

হুম, নিত্য নতুন রেকর্ড তৈরী হচ্ছে অনাকাংখিত পরিস্থিতি তৈরীর জন্য, জানি না আর কি কি আমাদের দেখতে হবে।

রেকর্ড পরিমান বৃষ্টি হওয়ার কারণে বাংলাদেশসহ ভারতের অবস্থা খুবই খারাপ।আল্লাহ যেন আমাদের এই বিপদ থেকে খুব শীঘ্রই রক্ষা করেন এই প্রার্থনাই মহান রাব্বুল আলামিনের কাছে।

পটল ভাজি খেতে আমি খুবই পছন্দ করি। কিন্তু কখনো এভাবে ডিম দিয়ে পটল ভাজি করে খাওয়া হয়নি। তাই রেসিপিটি আমার কাছে একদম ইউনিক এবং নতুন মনে হল। আমি বাসায় এটি তৈরি করে খাওয়ার চেষ্টা করব। আপনার তৈরি ডিম দিয়ে পটল ভাজি দেখে মনে হচ্ছে খেতে ভালই সুস্বাদু হবে। সুন্দর এবং মজাদার একটি রেসিপি আমাদের মাঝে এত সুন্দরভাবে উপস্থাপন করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি ভাইয়া।

হুম, প্রকৃতি এখন আগের তুলনায় অনেক বেশী আগ্রাসী হয়ে গেছে, যার কারনে কোন কিছুই নির্দিষ্ট গন্ডির মাঝে থাকছে না আর।

রেসিপিটা দারুন ছিল , মনে হচ্ছে টপাটপ তুলে পটল গুলো খেয়ে নিই। ডিম দেওয়াতে আরও বেশির মজা হয়েছে সিওর।

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
default.jpg

ভাইয়া নতুন একটি রেসিপি শিখলাম। ডিম দিয়ে পটলের ফ্রাই রেসিপি টা আজকেই বাসায় ট্রাই করবো। আমাদের মেসের জন্য সটকাট রেসিপি হবে। ধন্যবাদ ভাইয়া।

পোলাও এর সাথে কখনো পটল ভাজা খাওয়া হয়নি।তবে সাদা ভাতের সাথে খুব মজা লাগে।এভাবে করে কখনো খাওয়া হয়নি,বেশ মজার মনে হচ্ছে।

ছোট বেলায় আমাদের ও এমন হতো ভাই। আগে বাবা দেখতাম সরিষার তেল কিনে আনতো টিন ভরে ভরে। কিন্তু এর দাম যখন নাগাল এর বাইরে চলে গেলো তখন সয়াবিন তেল খাওয়া শুরু। আবার এর দাম যখন বেড়ে গেলো তখন পাম অয়েল ও খাওয়া হয়েছে আমাদের। গুড় এর চা খাইনি। তবে মেসরি বলে আমাদের এইদিক বাচ্চাদের দেয় খাইতে। ওটার চা খেয়েছিলাম একবার। পটল ভাজি কিন্তু আমার সেই লাগে ভাই। তবে এভাবে ডিম দিয়ে ভাজা খাওয়া হয়নি এখনো।

জ্বী ভাই, আমিও ছোট বেলায় এই রকম দেখেছি, যখন সুজি আটার দাম বেশী বেড়ে যেতো তখন আব্বু লাল আটা কিনতেন।

Congratulations, your post has been upvoted by @dsc-r2cornell, which is the curating account for @R2cornell's Discord Community.

Manually curated by @jasonmunapasee

r2cornell_curation_banner.png

সিলেটের পরিস্থিতি দেখলে বুকে কেঁপে ওঠে ভাই। সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাচ্ছে লাখ লাখ মানুষ। ভগবান দ্রুত এই পরিস্থিতি থেকে উদ্ধার করুন।
আর রেসিপি একদম ইউনিট ছিল আজ হাফিজ ভাই 👌👌। এভাবে পটল দিয়ে ডিম কখনো খাওয়া যেতে পারে ভাবিও নি। আমার তো মনে হয় সব বুদ্ধির ক্রেডিট আমাদের ভাবির😅।

ভাই আপনি আসলেই দুর্দান্ত ইউনিক কিছু রেসিপি আমাদের মাঝে নিয়ে আসেন যা দেখে সত্যিই কিছুটা হলেও আশ্চর্য হয়ে পড়ি। সেই সাথে আপনার বেশ কিছু অসাধারণ অসাধারণ অনুভূতি যা আরো বেশি মুগ্ধ করে। চমৎকার একটি রেসিপি আজকে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন সত্যি রেসিপিটি ট্রাই করবো ইনশাআল্লাহ। অসংখ্য ধন্যবাদ আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।

আচ্ছা আপনারা কখনো গুড়ের চা খেয়েছেন? ছোট বেলায় আমি কিন্তু খুব খেতাম, যদিও এখন চা খাই না নানা কারনে।

ভাইয়া ছোটবেলায় যে কি পরিমানে গুড় খেয়েছি তা নিজেও বলতে পারব না। গুড় খাওয়া শেষে ভাত খেতে পারতাম না ঝাল লাগতো অনেক। তবে আমার কাছে কিন্তু এখানো অনেক ভালো লাগে এই গুড়। চিনি থেকে ভালো।

আজকের রেসিপি কিন্তু একদম ইউনিক, নতুন একটা রেসিপি পেলাম। আমি অবশ্যই এটা বাসায় বানিয়ে খাব। দেখেই মনে হচ্ছে অনেক বেশি ভালো লাগবে খেতে। অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।

দারুণ কিছু আবিস্কার করেছেন ভাইয়া।আমার তো দেখেই খেতে মন চাইছে।আমি ও মাঝে মাঝেই নতুন করে রেসিপি বানানোর চেষ্টা করি।
ভাইয়া,গুড় দিয়ে রুটি খেয়েছি ,তবে গুড় দিয়ে চা জেনেই মজা লাগছে।আর আজকের তৈরি রেসিপিটা খুবই লোভনীয় হয়েছে ।ধন্যবাদ ভাইয়া।।

গুড়ের চা আমিও খেয়েছিলাম একবার ভাই। সিলেটে ঘুরতে গিয়েছিলাম। তখন খেয়ছি। বেশ মনে পড়েছে এখন। আপনি একদম ঠিক কথাই বলেছেন ভাই কোন কিছুর বিকল্প দীর্ঘ মেয়েদীভাবে হয় না। হয়তো সাময়িকভাবে কাজ চালিয়ে নেয়া যায়। তবে সেই স্পেছিফিক দ্রব্যের স্বাদ আসে না। যাইহোক অনেক নতুন ইউনিক একটি রেসিপি আমাদের দেখালেন ভাই। পটল দিয়ে ডিম ফ্রাই। ভাল লেগেছে আমার কাছে। বাসায় অবশ্যই বানিয়ে খাব। ধন্যবাদ আপনাকে। ভালবাসা নিবেন।

ভাই আপনার লেখায় আজকে অনেক গুরুত্বপূর্ণ কিছু বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছেন। প্রথমেই আমাদের পরিবেশের এরকম বিরূপ প্রতিক্রিয়ার জন্য আমরা সকলেই বেশ উদ্বিগ্ন। আসলে এই পরিণতির জন্য অনেকাংশে আমরা নিজেরাই দায়ী। আমরা নির্বিচারে গাছ কেটে বনায়ন ধ্বংস করছি। যার ফলে পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হয়ে যাচ্ছে এবং বিভিন্ন সময়ে অতিবৃষ্টি ও প্রবল বন্যার কারণে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছি।
যাই হোক আপনার আজকের ডিম দিয়ে পটলের ফ্রাই রেসিপিটি আমার কাছে একদমই নতুন লেগেছে। যেহেতু ডিম আমার অত্যন্ত প্রিয় তাই আমার কাছে মনে হচ্ছে রেসিপিটি খেতে অনেক সুস্বাদু হবে। আমি খুব দ্রুতই রেসিপিটি করার চেষ্টা করবো। আপনার রেসিপিটির
জন্য ধন্যবাদ।

মাশাআল্লাহ ভাইয়া নতুন একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন।এই প্রথম এই রকম রেসিপি দেখতে পেলাম। দেখতে বেশ দারুন লাগছে। খাইতে মনে হয় আরো বেশি মজা হয়েছে।এই রেসিপি টা দূত বানিয়ে খাব ইনশাআল্লাহ।

আপনি ডিম দিয়ে পটলের ফ্রাই রেসিপিটা অসাধারণ ভাবে তৈরি করেছেন। দেখে আমার লোভ লেগে গেল। আপনি চমৎকার ভাবে এটা আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এই ধরনের রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।