উলট পালট প্রকৃতির যত প্রভাব || Original Photography by @hafizullah

in hive-129948 •  2 days ago 

হ্যালো বন্ধুরা,

কেমন আছেন সবাই? আশা করছি সবাই ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমি খুব একটা ভালো নেই, গত দুইদিন ধরে বেশ ঠান্ডায় জর্জরিত। সত্যি বলতে ঠাণ্ডা-কাশি কিংবা সর্দি, এগুলোকে আমি বেশ সমীহ করে চলি। কারন ভালোবাসা ভালো কিন্তু অতিরিক্ত ভালোবাসা কখনোই ভালো না। ঠান্ডা-কাশি আমাকে আবার একটু বেশীই ভালোবাসে যেটা আমি ইতিপূর্বে কয়েক দিন আগের পোষ্টের মাঝে বলেছিলাম, কেমনে জানি সেটা শুনে ফেলেছে তারপর ভালোবাসার পরশ ছড়িয়ে দিতে বিনা দাওয়াতে চলে আসছে হা হা হা। আসলে আমাদের সকলের জীবনে কিছু না কিছু বিষয়ে একটু ভীতি থাকে, যেমন ঠাণ্ডার প্রতি আমার।

গতকাল প্রায় সারাদিনই বিছানায় শোয়া ছিলাম, একদমই বাজে কেটেছে গতকালের দিনটি আমার। সত্যি বলতে নাক দিয়ে এভাবে ঝর্ণার মতো পানি পড়লে কোন কাজই আমি করতে পারি না, বেশ অসহ্য লাগে, মনে হয় ৭০ টাকার রোজে কামলা রাখি এবং নাকের পানি মোছার দায়িত্ব তাকে দেই হা হা হা। কিন্তু কি আর করা, এই একটা সময় যখন প্রিয় মানুষগুলোর ভালোবাসাও দূরে সরে যায়, একটা টিস্যুও কেউ তখন এগিয়ে দিতে চায় না। এর থেকে কঠিন কিংবা বড় রোগ হলেও প্রিয় মানুষগুলো দূরে সরে না কিন্তু কেন জানি ঠাণ্ডা-সর্দি লাগলেই সবাই উধাও যায়। ব্যাপারটা আমার কাছে বেশ আশ্চার্যজনক মনে হয়, আপনাদের কাছে কি মনে হয় জানি না।

IMG_20240601_151157.jpg

যাইহোক, প্রকৃতির উষ্ণতা হ্রাস বৃদ্ধির সাথে সাথে আমাদের শারীরিক সুস্থতারও হ্রাস বৃদ্ধি ঘটবে এটাই স্বাভাবিক। হঠাৎ যেমন বৃষ্টিপাত বেড়ে যাচ্ছে আবার তারপর হঠাৎই গরমের মাত্রা বেড়ে যাচ্ছে। বৃষ্টি হচ্ছে কিন্তু আগের মতো সেই শীতল বাতাস পাচ্ছি না, প্রকৃতি ও পরিবেশ শীতল হচ্ছে না। যার কারনে উষ্ণতার মাত্রাও হ্রাস পাচ্ছে না। এইতো সেদিন পত্রিকায় দেখলাম আবহাওয়া অফিস হতে জানাচ্ছে, বৃষ্টিপাত বাড়বে কিন্তু গরমের মাত্রা হ্রাস পাবে না। অর্থাৎ বৃষ্টি হবে ঠিকই কিন্তু সেই বৃষ্টির মাঝে শীতলতা থাকবে না, পরিবেশ শীতল হবে না। আমরা কিন্তু ইতিমধ্যে সেটার বেশ প্রমান পাচ্ছি, বৃষ্টি হচ্ছে বাহিরে কিন্তু ঘরে বসে ঘামছি অনবরত, বৃষ্টিময় পরিবেশের সেই শীতলতার অনুভূতি সেটা আর খুঁজে পাচ্ছি না।

IMG_20240601_151146.jpg

IMG_20240601_151147.jpg

অথচ আগে এমনটা ছিলো না, বৃষ্টির সাথে সাথে প্রকৃতি ও পরিবেশ কেমন জানি সজিব ও শীতল হয়ে উঠতো, ভালো লাগার একটা অনুভূতি দারুণভাবে কার্যকর হয়ে যেতো। পরিবেশের সাথে সাথে হৃদয়টাও শান্ত হয়ে যেতো, হৃদয় ও মন চঞ্চল হয়ে উঠতো। ভালো কিংবা পছন্দের খাবারগুলো খাওয়ার চেষ্টা করতাম এবং ভিন্ন স্বাদের সময়গুলোকে আরো বেশী উপভোগ্য করার চেষ্টা করতাম। সব কিছুই কেমন জানি পরিবর্তন হয়ে গেছে, এখন আর সেই অনুভূতিটা খুঁজে পাওয়া যায় না। ভালো লাগার সেই অনুভূতিটা এখন আর জাগ্রত হয় না।

IMG_20240601_151202.jpg

IMG_20240601_151209.jpg

দেখা যাক ঠাণ্ডা-সর্দির এই আদর যত্ন এবার কত দিনের জন্য থাকে, তবে বেশী দিনের জন্য হলে সেটা আমার জন্য হবে বেশ দুঃখজনক কিছু। কারন ঠান্ডা-সর্দি থাকা অবস্থায় ভালো কিছুও আমার কাছে ভালো লাগে না, সব কিছু কেমন জানি অসহ্যকর মনে হয় এবং খুব দ্রুত মেজাজ গরম হয়ে যায়। আর এই কারনেই আমি একটু একা থাকি এই সময়টায়, খুব একটা মনোযোগ দিতে পারি না কাজকর্মে। পরিবেশেগত কারনে হয়তো এমন সমস্যা আমাদের আরো বেশী ফেস করতে হবে সামনে, তার জন্য এখন হতেই মানসিকভাবে প্রস্তুত থাকতে হবে। ভালো থাকবেন সবাই।

IMG_20240601_151137.jpg

IMG_20240601_151139.jpg

তারিখঃ জুন ০১, ২০২৪ইং।
লোকেশনঃ ধামরাই, ঢাকা।
ক্যামেরাঃ রেডমি-৯ স্মার্টফোন।

ধন্যবাদ সবাইকে।
@hafizullah

break .png
Leader Banner-Final.pngbreak .png

আমি মোঃ হাফিজ উল্লাহ, চাকুরীজীবী। বাংলাদেশী হিসেবে পরিচয় দিতে গর্ববোধ করি। বাঙালী সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য লালন করি। ব্যক্তি স্বাধীনতাকে সমর্থন করি, তবে সর্বদা নিজেকে ব্যতিক্রমধর্মী হিসেবে উপস্থাপন করতে পছন্দ করি। পড়তে, শুনতে এবং লিখতে ভালোবাসি। নিজের মত প্রকাশের এবং অন্যের মতামতকে মূল্যায়নের চেষ্টা করি। ব্যক্তি হিসেবে অলস এবং ভ্রমন প্রিয়।

break .png

Banner.png

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

খুব তাড়াতাড়ি আপনার সুস্থতা কামনা করছি ভাই। সর্দি কাশি সাধারণ রোগ বলে মনে হলেও এর প্রভাব খুব মারাত্মক ভাবে পড়ে। তাই সাবধানে থাকুন। প্রকৃতি সত্যিই বড় অগোছালো। আর তাই তার প্রভাব সবার শরীরে পড়ছে৷ এখানেও মানুষের যখন তখন জ্বর হচ্ছে৷ পোস্টে সবুজের ছবিগুলো খুব সুন্দর।

হ্যা, চারপাশে অনেক পরিচিত মানুষই অসুস্থতার কবলে রয়েছে। অনেক ধন্যবাদ

বিশ্বাস করবেন ভাইয়া আপনার পোস্ট পড়ে কি হাসবো না কি কাঁদবো সেটাই ভাবছি। যদিও আপনার বেশ কষ্ট হচ্ছে ঠান্ডা আর সর্দির এত আলিঙ্গনে, তারপরও মজার মাঝে কথাগুলো শেয়ার করেছেন দেখে বেশ মজা পেলাম। সত্যি এখন প্রকৃতি বেশ পরিবর্তন হয়ে গেছে। প্রকৃতি এখন আর বৃষ্টির সময় আগের মত করে শীতলতা ছড়ায় না। জানিনা এই অবস্থা হতে কবে মুক্তি পাবো। ধন্যবাদ এমন সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।

কিছুই বলার নেই, কারন কারো পৌষ মাস আর কারো সর্বনাশ, হি হি হি। মজা পেয়েছেন এটাই হলো বড় কথা। ধন্যবাদ

কি করবো বলেন তো ভাইয়া? এমন মজা করে আপনি আপনার কষ্ট গুলো লিখেছেন তাতে তো আমার বেশ হাসিই আসলো। হাসি বেটা কে তো আর ধরে রাখা যায় না।

ভাইয়া,আপনার মত আমারও ঠান্ডা লাগার বেশ ভালো ভীতি আছে। সত্যি বলতে এই গরমের দিনেও যখন বৃষ্টি হয়,তখন গোসল করলেই আমার ঠান্ডা লেগে যায় মাস্ট। কারণ তখন পানি ঠান্ডা থাকে,আর এটাই হলো সমস্যা।একবার ঠান্ডা লাগলে আর সারতে চায় না। তাই গরমের সময়ে দিনে কয়েকবার গোসল করতে পারলেও,গরমের বৃষ্টির সময় গোসল করতেই ঠান্ডা লেগে যায়। আর ঠান্ডা লাগলে আমার চোখ এবং নাক দুটো দিয়েই একদম গড়গড় করে পানি বের হতে থাকে। যেটা আসলে এতটাই বিরক্তিকর যে ইচ্ছে করে নাক কেটে ফেলি, হাহাহা।যাইহোক সকল পরিস্থিতিতে নিজেদেরকে মানিয়ে নেয়াটাই উত্তম।কারণ পরিস্থিতিকে আমরা হ্যান্ডেল করতে পারবো না,পরিস্থিতিই আমাদের হ্যান্ডেল করবে। ভবিষ্যৎ প্রকৃতি আরও বেশি ভয়ংকর হতে যাচ্ছে।

আমি তো এখন পর্যন্ত একদিনও বৃষ্টিতে ভিজতে পারি নাই এই ঠান্ডার ভয়ে কিন্তু তবুও কিভাবে যেন আবার চলে আসলো। অনেক ধন্যবাদ মন্তব্য করার জন্য।

মনে হয় ৭০ টাকার রোজে কামলা রাখি এবং নাকের পানি মোছার দায়িত্ব তাকে দেই হা হা হা।

ভাই আমারও মাঝেমধ্যে এমনটাই মনে হয় 😂। কারণ আমাকেও সর্দি ঠান্ডা খুবই ভালোবাসে। তাইতো সারাবছর সর্দি ঠান্ডা লেগেই থাকে। যাইহোক আজকে প্রায় সারাদিনই বৃষ্টি হলো,কিন্তু গরম তো সেভাবে কমছে না। মানে সিলিং ফ্যান একেবারে ফুল স্পিডে না ছাড়লে থাকা যায় না গরমে। প্রকৃতির আচরণ পুরোপুরি পরিবর্তন হয়ে গিয়েছে। অবশ্য এটার জন্য আমরাই দায়ী। যাইহোক আপনার দ্রুত সুস্থতা কামনা করছি ভাই। পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।

নাক দিয়ে এভাবে ঝর্ণার মতো পানি পড়লে কোন কাজই আমি করতে পারিনা।

এমনটা আগে আমার হতো।তবে এখন কমই হয়।আপনি এক কাজ করে দেখতে পারেন তিব্বত পমেড নাকের দুপাশে লাগিয়ে ঘুমাবেন।দেখবেন নাকের পানি ভ্যানিস। এমনটা আমি করি।আপনি এ্যাপ্লাই করে দেখতে পারেন।এটা বড়ই অস্বস্তিকর।সত্যি বলতে প্রকৃতির মতো আমরা আমাদের শরীরের মধ্যে ও উল্টা-পাল্টা বিষয় গুলো খুব দেখতে পাই আজকাল।আপনার শেয়ার করা সবুজ প্রকৃতির ফটোগ্রাফি গুলো বরাবরের মতো ভালো ই লাগলো। দোয়া করি খুব দ্রুত সুস্থ হয়ে যাবেন।আপনার সুস্থতা কামনা করছি,আমিন।

ঠাণ্ডা জ্বর একেবারে অস্বস্তিকর। আমার কাছে খুবই বিরক্ত লাগে। আর ঠান্ডার প্রভাব অতিরিক্ত হলে ব‍্যাপার টা একেবারে বাজে হয়। এইরকম আবওহাওয়া ও তাপমাত্রার জন্য এমন অবস্থা অনেকের। ব‍্যাপার টা বেশ অনাকাঙ্খিত। আশাকরি দ্রুতই সুস্থ‍্য হয়ে যাবেন ভাই।