লেবু পাতা দিয়ে ব্রিকেট মাছের মাথার রেসিপি || Bengali Recipe by @hafizullah

in hive-129948 •  4 days ago 

রেসিপি (28).jpg

হ্যালো বন্ধুরা,

কেমন আছেন সবাই? আশা করছি সবাই ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন। আলহামদুলিল্লাহ, আমিও ভালো আছি এবং সুস্থ থাকার চেষ্টা করছি। যদিও এবারের শীতের অনুভূতিটা একটু ভিন্নভাবে শুরু হয়েছিলো, সিজন পরিবর্তনের সাথে সাথে চারপাশের মানুষগুলো অসুস্থ হতে থাকে এবং একটা সময় আমি নিজেও অসুস্থ হয়ে পড়েছিলাম। যার কারনে এবারের শীতের শুরুটা খুব একটা সুখকর হয় নাই। তবুও চেষ্টা করছি সব কিছু মানিয়ে আরো বেশী গতিশীল থাকার এবং ভালো থাকার।

সময় ও পরিস্থিতি হয়তো সব সময় একই রকম থাকে না কিন্তু তবুও আমাদের প্রচেষ্টাগুলোকে একই ধারায় অব্যাহত রাখার চেষ্টা করতে হয়। না হলে হয়তো পরিস্থিতির সাথে খাপ খাইয়ে চলা যায় না এবং পরিবর্তিত সময়ের সাথে জীবনের গতি ধরে রাখা যায় না। যাইহোক, আজকে একটা রেসিপি শেয়ার করবো, তবে সেটা একটু ভিন্নভাবে করেছি। পেঁয়াজের সাথে লেবু পাতা দিয়ে ব্রিকেট মাছের মাথা ভুনা করেছি। যদিও আমরা মাছের মাথা দিয়ে বেশীর ভাগ সময় মুড়িঘন্ট খেতে পছন্দ করি। তবে আমি মাঝে মাঝে একটু ভিন্নভাবে সেটা উপভোগ করি যেমন আজকে করেছি। চলুন তাহলে রেসিপিটি দেখি-

রেসিপি (2).jpg

রেসিপির উপকরণঃ

  • ব্রিকেট মাছের মাথা
  • পেঁয়াজ
  • ধনিয়া পাতা
  • কাঁচা মরিচ
  • লেবু পাতা
  • আদা রসুনের পেষ্ট
  • হলুদ গুড়া
  • মরিচ গুড়া
  • ধনিয়া গুড়া
  • জিরা গুড়া
  • লবন
  • তেল।

প্রস্তুত প্রণালীঃ

রেসিপি (3).jpg

রেসিপি (5).jpg

রেসিপি (6).jpg

প্রথমে একটা প্যান চুলায় বসিয়ে তেল গরম করে নিয়েছি, তারপর পেঁয়াজ কুচি দিয়ে হালকা ভেজে নিয়েছি, এরপর আদা রসুনের পেষ্টসহ সকল মসলা দিয়েছি।

রেসিপি (7).jpg

রেসিপি (8).jpg

রেসিপি (9).jpg

তারপর হালকা পানি দিয়েছি এবং মসলাগুলোকে কষা করে নিয়েছি। এরপর ব্রিকেট মাছের মাথার অংশগুলো দিয়েছি এবং মসলার সাথে মাখিয়ে নিয়েছি।

রেসিপি (13).jpg

রেসিপি (17).jpg

রেসিপি (19).jpg

কিছু সময় পর ঝোলের জন্য পানি দিয়েছি এবং বেশ সময় নিয়ে এভাবে রান্না করেছি। ঝোল কিছুটা ঘন হয়ে আসলে লেবুপাতা দিয়েছি এবং কিছু সময়ের জন্য ঢেকে দিয়েছি।

রেসিপি (21).jpg

রেসিপি (24).jpg

তারপর ঢাকনা সরিয়ে আরো কিছুটা সময় রান্না করেছি, এরপর ধনিয়া পাতা ও কাঁচা মরিচ দিয়েছি। তারপর ঝোল শুকিয়ে যাওয়ার আগেই নামিয়ে নিয়েছি।

রেসিপি (25).jpg

ব্যস হয়ে গেলো আজকের বিশেষ রেসিপি, লেবু পাতার সুঘ্রাণে ব্রিকেট মাছের মাথার রেসিপি। এই জাতীয় রেসিপি খেতে কিন্তু দারুণ লাগে আমার কাছে।

ধন্যবাদ সবাইকে।
@hafizullah

break .png
Leader Banner-Final.pngbreak .png

আমি মোঃ হাফিজ উল্লাহ, চাকুরীজীবী। বাংলাদেশী হিসেবে পরিচয় দিতে গর্ববোধ করি। বাঙালী সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য লালন করি। ব্যক্তি স্বাধীনতাকে সমর্থন করি, তবে সর্বদা নিজেকে ব্যতিক্রমধর্মী হিসেবে উপস্থাপন করতে পছন্দ করি। পড়তে, শুনতে এবং লিখতে ভালোবাসি। নিজের মত প্রকাশের এবং অন্যের মতামতকে মূল্যায়নের চেষ্টা করি। ব্যক্তি হিসেবে অলস এবং ভ্রমন প্রিয়।

break .png

Banner.png

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

সিজন চেঞ্জ হলে কমবেশি সবাই একটু অসুস্থ হয়। তারপরও আমাদের সবকিছু মানিয়ে নিতে হয়। যাইহোক আপনি বেশ মজার একটা রেসিপি শেয়ার করেছেন ভাইয়া। বরাবরের মতো ইউনিক রেসিপি শেয়ার করেছেন। লেবু পাতা দিয়ে কখনো কোনো কিছু রান্না করে খাওয়া হয়নি। আপনার লেবু পাতা দিয়ে ব্রিকেট মাছের মাথার রেসিপি শেয়ার করেছেন। লেবুর পাতার ফ্লেভারটা নিশ্চয়ই ভালো লেগেছে খেতে।

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

হ্যাঁ মানুষের সময় সব সময় এক রকম থাকে না তবে সময় যেমনই হোক না কেন নিজের কাজের ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখতে হবে তাহলে জীবনে সফলতা অর্জন করা সম্ভব। যাই হোক ব্রিকেট মাছের মাথা রেসিপি তৈরি করে আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন আর মজার ব্যাপার এর সাথে লেবুর পাতাযুক্ত করেছেন হয়তো রেসিপিতে ভিন্ন একটা ঘ্রাণ পাওয়া যাবে। দেখে অনেক লোভনীয় মনে হচ্ছে, রেসিপিটি আমাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য ধন্যবাদ।

লেবু পাতা দিয়ে ব্রিকেট মাছের মাথার রেসিপি দেখে মজাদার মনে হচ্ছে। তাই খেতে ইচ্ছা করছে। রেসিপি পরিবেশনটা আমার কাছে ভালো লেগেছে। ধাপে ধাপে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।

লেবু পাতা দিয়ে ছোট মাছের রেসিপি খেয়েছি। কিন্তু লেবু পাতা দিয়ে ব্রিকেট মাছের রেসিপি কখনও খাইনি। সাধারণ রেসিপি তে লেবু পাতা দিলে অন‍্যরকম একটা ফ্লেভার পাওয়া যায়। দারুণ তৈরি করেছেন রেসিপি টা ভাই। চমৎকার ছিল। ধন্যবাদ আমাদের সাথে শেয়ার করে নেওয়ার জন্য।।

চরম সত্য কথা হলো এটাই ভাইয়া জীবন যতদিন আছে ব্যস্ততা আমাদের পিছনে লেগেই থাকবে। তারপর আপনার তৈরি করা লেবু পাতা দিয়ে ব্রিগেড মাছের মাথার রেসিপি এর কথা যদি বলি সেতো এক কথায় অসাধারণ হয়েছে। ব্রিগেড মাছ আমারও ভীষণ পছন্দের। পছন্দের একটি মাছের রেসিপি দেখে বেজায় ভালো লাগলো। অবশ্যই চেষ্টা করব আপনার রন্ধন প্রণালী গুলি অনুসরণ করে বাসায় এই রেসিপিটি তৈরি করে খাওয়ার জন্য।

অসুস্থ হয়ে গেলে কিছু ভালো লাগে না। এই বছর শীতের আগে সবাই অসুস্থ হয়ে গেছিল সেটা ঠিক বলছেন আপনি। যেহেতু মাত্র শীতের দিন শুরু আশা করি আপনার ভালো কাটবে শীতের দিনগুলো। আপনি ব্রিকেট মাছের মাথা রান্না করলেন লেবুর পাতা দিয়ে। লেবু পাতায় আলাদা একট সুঘ্রাণ রয়েছে খুব ভালো লাগে। আশা করি রেসিপিটি খেতে খুবই সুস্বাদু ছিল ভাইয়া।

ব্রিকেট এই মাছ আমি কখনো খাইনি মনে হয়।কাতলা মাছের টাইপ হয়তো মাছটি।তবে তো খেতে ভীষণ মজার হওয়ার কথা।তবে লেবু পাতা দিয়ে আমি মাছ খেয়েছি ভীষণ স্বাদের হয়।আপনি আজ লেবু পাতা দিয়ে মাছের মাথা ভেঙ্গে চুরে রান্না করলেন।লেবুর পাতার ঘ্রান আমি এখানেও পাচ্ছি। দারুন মজার রেসিপি শেয়ার করেছেন ভাইয়া।ধাপে ধাপে রেসিপিটি শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ জানাই আপনাকে।

বড় মাছের মাথা এভাবে রান্না করলে খেতে দারুণ লাগে। গত সপ্তাহে বড় সাইজের কাতলা মাছের মাথা এভাবে রান্না করা হয়েছিল আমাদের বাসায়। সাথে লেবু পাতা দেওয়াতে খুব ভালো হয়েছে ভাই। লেবু পাতার সুঘ্রাণে ব্রিকেট মাছের মাথার রেসিপি বেশ মজা করে খেয়েছেন তাহলে। যাইহোক এতো মজাদার একটি রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।

বর্তমান সময় এবং পরিস্থিতির সাথে খাপ খাইয়ে চলার ব্যাপারটা খুব কষ্টসাধ্য হয়ে গেছে।সবকিছু কেমন যেন এলোমেলো হয়ে আছে।তবে যতই এলোমেলো থাক না কেন আজকে আপনার তৈরি রেসিপি দেখে সব সোজা হয়ে গেলো।লেবুর পাতা দিয়ে তরকারি রান্না করে খাওয়া যায় তা আমার জানা ছিল না।আজকে আপনার মাধ্যমে নতুন একটি রেসিপি শিখতে পারলাম।আপনার তৈরি লেবুর পাতা দিয়ে ব্রিকেট মাছের মাথার রেসিপি দেখেই তো মনে হচ্ছে খেতে খুবই সুস্বাদু হয়েছে। তরকারির কালারটা হয়েছে মারাত্মক, জিভেতে জল আনার মত।মজাদার এবং ইউনিক একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি ভাইয়া।

লেবুপাতা দিয়ে ব্রিকেট মাছের মাথা রেসিপিটি দেখে যেমন লোভনীয় লাগছে খেতেও নিশ্চয়ই অনেক সুস্বাদু হয়েছিল। ব্রিকেট মাছ অনেক সুস্বাদু। আর লেবু পাতা যেটা মাসের সঙ্গে অ্যাড করাতে মাছের রেসিপির স্বাদ আরো দ্বিগুণ বেড়ে গেছে। পরিবেশনটা অসাধারন ছিল। অনেক ধন্যবাদ ভাই লোভনীয় একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ।