ওভালে সৌম্যের অসাধারণ এক ইনিংস

---

আসসালামুআলাইকুম সবাইকে

কেমন আছেন সবাই? আশা করছি সবাই ভালো ও সুস্থ্য আছেন। তো ভালো থাকতে পারাটাই সবচেয়ে বড় কথা! যেহেতু শীতের এই সময়টাতে ঠান্ডার পরিমাণ বাড়তে থাকে এজন্য সাবধানে থাকাই ভালো। বিশেষ করে যারা আমার মতো গ্রামে থাকেন। তো সকাল সকাল চলে এলাম আপনাদের মাঝে। বাহিরে আজ তেমন কুয়াশা নেই, হালকা ঠান্ডা অনুভূত হয়েছে। যাক আপনারা যারা খেলাপ্রেমী মানুষ আছেন তারা নিশ্চয় খেলাধুলার খোজঁখবর রাখেন। বাংলাদেশ আর নিউজিল্যান্ড এর মধ্যকার ওয়ানডে সিরিজ হচ্ছে। তো আজকে দ্বিতীয় ওয়ানডে ম্যাচ নিয়ে আলোচনা করবো। আগের ম্যাচে অবশ্য বাংলাদেশে হেরেছিল। তবে আশা ছিল ২য় ম্যাচে বাংলাদেশ কামব্যাক করবে।

_{screenshot from Fox Sports HD}

সেক্সটন ওভাল ম্যাচে এর আগেও বাংলাদেশ খেলেছিল। বলতে গেলে ব্যাটিং পিচ! এভারেইজ রান ৩০০ এর উপরে হয়ে থাকে। তো সে হিসেবে যে টিম আগে ব্যাট করবে তাদেরকে অন্তন ৩০০+ রান করতেই হবে। নয়তো খেলা জেতাটা টাফ! সেদিন টসে জিতে প্রথমেই বোলিং করার সিদ্ধান্ত নেয় নিউজিল্যান্ড! আগের ম্যাচে অবশ্য বোলিং নিয়েছিল! তো শুরুতেই ব্যাটিং এ নামে সৌম্য সরকার ও এনামুল হক বিজয়! আগের ম্যাচে সৌম্য সেভাবে জ্বলে উঠতে পারেনি। তবে এনামুল হক বিজয় ভালো খেলেছিল। শুরুতেই বিজয় দেখেশুনে খুলতে থাকে। মোটামুটি বেশ কয়েকটা ডট বল খেয়ে নেয়। এজন্য কিছুটা চাপে পরে যায়। ১১ রানের মাথায় আউট হয়ে বিজয় সাজঘরে ফিরে। ইনিংস এর প্রথম ব্রেকথ্রো এনে দেয় এডাম মিলনে। তারপর মাঠে আসে নাজমুল শান্ত। শান্ত আগের ম্যাচেও তেমন জ্বলে উঠতে পারেনি। সৌম্য দেখেশুনে বাউন্ডারি মারলেও শান্ত বেশিক্ষণ তার সঙ্গ দিতে পারেনি। তারপর মাঠে আসে লিটন দাস। ভেবেছিলাম লিটন হয়তো ভালো একটা ইনিংস উপহার দিবে। কিন্তু লিটনও ব্যার্থ হয়। পাওয়ারপ্লেতে তিন উইকেট হারিয়ে কিছুটা চাপে পরে যায় বাংলাদেশ।

_{screenshot from Fox Sports HD}

সে চাপটা সামলানোর চেষ্টা করে হৃদয় মাঠে নামার পর! হৃদয়কে নিয়ে ভালোই ব্যাটিং করে। কিন্তু অনাকাঙ্ক্ষিত রান আউট হয়ে সাজঘরে ফিরতে হয় হৃদয়কেও। তারপর মাঠে আসে মি ডিফেন্ডেবল মুশফিকুর রহিম। তারপর মুশফিক আর সৌম্য মিলে খেলাটা চালিয়ে যেতে থাকে। সৌম্য নিজের ব্যক্তিগত হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেয়! মুশফিকুর রহিমও সাথে দারুণ ছন্দে ব্যাট করতে থাকে। একটা পার্টনারশিপ গড়ার দরকার ছিল আর সেটাই করে দুজন মিলে। কিন্তু সেই পার্টনারশিপ ও ভেঙে মুশফিক আউট হওয়ার পর! হাফ সেঞ্চুরির কাছে গিয়ে করা হলো না। দলীয় সংগ্রহ যখন ১৭১ রানের তখন মুশফিক আউট হয়ে সাজঘরে ফেরে। খেলার দায়িত্বটা তখন পুরোপুরি সৌম্যের কাধেঁ। মাঠে নামে মিরাজ! মিরাজকে আরেকটা পার্টনারশিপ গড়ে তুলে। ওভালে পাচঁ বছর পর নিজের ৫ম সেঞ্চুরি করে ফেলে সৌম্য! তারপর থেকে রানের চাকাটা সচল রাখে সৌম্য। তারপর মিরাজও আউট হয়ে যায়। তানজিম সাকিবকে নিয়ে সৌম্য একের পর এক বাউন্ডারি মারতে থাকে। শেষ অবধি সৌম্যের ইনিংস থামে ১৬৯ রানে। আর বাংলাদেশের সংগ্রহ দাড়াঁয় ২৯১ রানের।

_{screenshot from Fox Sports HD}

পিচ বিবেচনায় ২৯১ রানও কম! আর হোম ভেন্যু হিসেবে নিউজিল্যান্ড এর কাছে এই রান তাড়া করাটাও সহজ। তো ব্যাটিং এ নামে ইয়াং ও রাচিন রাবীন্দ্রা! ইনিংসের শুরুটা দারুনভাবে করে দুজন! মোটামুটি একের পর এক বাউন্ডারি মারতে থাকে দুজন! পাওয়ারপ্লেতে ভালো একটা স্কোর দাড়াঁয়! মূলত শুরুটা ভালো হওয়ার কারণে রানের চাকাটাও সচল রাখতে সুবিধা হয়। ১১ তম ওভারে রাবীন্দ্রাকে আউট করে সাজঘরে পাঠায় হাসান মাহমুদ! তারপর মাঠে আসে নিকলস! নিকলস আর ইয়াং মিলেই কাজের কাজ করে দিয়ে যায়! তাদের বড় পার্টনারশিপ দেখে জয়ের আশা বাদই দিতে হলো! দুজনই হাফ সেঞ্চুরি করে বসে। ইয়াং সেঞ্চুরি আগে আউট হওয়ার মাধ্যমে পার্টনারশিপ ভাঙে! নিউজিল্যান্ড এর দলীয় সংগ্রহ তখন ২০৪ রান! তার মানে জয়ের জন্য আর বেশি রান তাড়া করতে হবে না। তারপর নিকলস আর লাথাম মিলে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায়। তার আগে ৯৫ রান করে আউট হয়ে সাজঘরে ফেরে নিকলস! অল্পের জন্য সেঞ্চুরি মিস হলো নিকলসের! শেষ অবধি সাত উইকেটে জিতে যায় নিউজিল্যান্ড! আর এরই মাধ্যমে ২-০ তে সিরিজে এগিয়ে নিউজিল্যান্ড। প্লেয়ার অফ দা ম্যাচ নির্বাচিত করা হয় সৌম্য সরকারকে।

---

---

10% beneficary for @shyfox ❤️

ধন্যবাদ সবাইকে

---

---

আমি কে?

^{আমার নাম হায়দার ইমতিয়াজ উদ্দিন রাকিব। সবাই আমাকে ইমতিয়াজ নামেই চিনে। পেশায় আমি একজন ছাত্র। সম্প্রতি আমি ইলেকট্রিক্যাল থেকে ডিপ্লোমা ইন-ইঞ্জিনিয়ারিং শেষ করেছি। এখন বিএসসি এর জন্য প্রিপারেশন নিচ্ছি। পাশাপাশি লেখালেখি করে আসছি গত দু বছর ধরে। ভালো লাগার জায়গা হলো নিজের অনুভূতি শেয়ার করা, আর সেটা আমার বাংলা ব্লগের মাধ্যমেই সম্ভব হয়েছে। যাক,
নিজেকে সবসময় সাধারণ মনে করি। অন্যের মতামতকে গুরুত্ব দেয় এবং তা মেনে চলার চেষ্টা করি। বাংলা ভাষায় নিজের অভিমত প্রকাশ করতে ভালো লাগে। তাছাড়া ফটোগ্রাফি,ব্লগিং,কুকিং,রিভিউ,ডাই ইত্যাদি করতে ভালো লাগে। অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়াতে ভালো লাগে। বাংলাদেশে জন্মগ্রহণ করতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে করি। ভবিষ্যতে প্রিয় মাতৃভূমির জন্য কিছু করতে চাই।}