কেমন আছেন সবাই? আশা করছি সবাই অনেক অনেক ভালো ও সুস্থ্য আছেন। তো আমিও ভালো আছি। আজকের দিনটি আমাদের জন্য তথা পুরো বাংলাদেশের জন্য তাৎপর্যপূর্ণ একটি দিন। ১৯৭১ সালের এই দিনে আমরা বাংলাদেশ নাম স্বাধীন একটা রাষ্ট্র পেয়েছিলাম। তৎকালীন পশ্চিম পাকিস্তানের দোসরদের হাত থেকে বিজয় ছিনিয়ে আনে বাংলার দামাল ছেলেরা। মুক্তিযুদ্ধে আমাদের প্রতিবেশী দেশ ভারত সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয়। যেটা বাংলাদেশের মানুষ কখনো ভুলতে পারবে না। আজকে আমরা ৫৩ তম বিজয় দিবস উদযাপন করলাম। এ যেন এক নতুন বাংলাদেশ। ১৯৭১ এর পর ২০২৪ এ এসে যেন মনে হচ্ছে নতুন বাংলাদেশ পেয়েছি আমরা। বাংলার সর্বস্তরের মানুষ আজকের দিনটি যথেষ্ট উৎসাহ ও উদ্দীপনার মধ্যে দিয়ে পালন করেছে।
আজকে সারা বাংলাদেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রঙিন আলোকসজ্জায় সাজানো হয়েছে! রাত হলেই প্রতিষ্ঠানের সৌন্দর্য ভেসে উঠছে। তারমধ্যে আমাদের ভার্সিটিতেও দেখলাম রঙিন আলোয় সাজানো হয়েছে। পুরো ভার্সিটি জুড়ে আলোকসজ্জা! আমার দেখে খুবই ভালো লাগছিল। ভার্সিটির বড় ভাইয়েরা আমাদের আগে থেকেই বলে দিয়েছিল আমাদের ফার্স্ট ইয়ারের ছাত্র যারা তাদের মধ্যে যারা গাজীপুরে আছে তাদের সবাইকে ভার্সিটিতে উপস্থিত থাকতে হবে। রাত বারোটাই ভার্সিটির ভিতর একটা আনন্দ মিছিল হবে। তারপর সেটা ডুয়েটের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এসে থামবে। আর সেখানে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে সকল শহীদদের স্মরণ করা হবে। আমরা ফার্স্ট ইয়ারের যারা ছিলাম তারা সন্ধ্যার কিছুক্ষণ পরেই ভার্সিটিতে এসে হাজির হয়!
ভার্সিটিতে আসার পর দেখি পুরো ক্যাম্পাস লাইটিং করা হয়েছে আমরা কয়েকজন মিলে ভার্সিটির এ মাথা থেকে অপর মাথা অবধি হেটেঁ ভার্সিটির আলোকসজ্জা উপভোগ করলাম। এদিকে দেখলাম বড় ভাইয়েরা ক্রিকেট খেলার আয়োজন করা হয়েছে । প্রথম বর্ষ থেকে চতুর্থ বর্ষ পর্যন্ত সবাই এ খেলায় থাকবে। আমাদের ফার্স্ট ইয়ারের গ্রুপ দুইটা ' এ ' এবং ' বি '। তো আমরা যেহেতু ভার্সিটিতে নতুন তাই ভার্সিটির অনেক কিছুই অজানা ছিল। তারপর কিছু বড় ভাই আমাদের বললো আমাদের জন্য রাত বারোটায় একটা প্রোগ্রাম আছে এবং রাতের খাবারের ব্যবস্থাও করা হয়েছিল। এছাড়াও চতুর্থ বর্ষের বড় ভাইদের সাথে আমাদের পরিচয় করিয়ে দেয় সিনিয়র এক বড় ভাই। পরিচয় পর্ব শেষে ক্রিকেট খেলা শুরু হয়। ম্যাচ শুরু হয় আমাদের গ্রুপের টিম দিয়ে। প্রথম ম্যাচেই আমরা গ্রুপ পর্ব থেকেই বাদ হয়ে যায়।
তারপর খেলা শেষ হতে হতে রাত ১১:৫০ মিনিট বেজে যায়। ১১:৫৫ মিনিটে আমাদের শহীদ মিনার উপস্থিত থাকার কথা বলা হয়েছিল। তারপর বড় ভাইয়েরা একটা আনন্দ রেলির আয়োজন করে! যেটা ডুয়েটের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে গিয়ে শেষ হয়। তারপর বারোটা বাজতেই শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয় সকল শহীদদের! শহীদমিনারে সবাই জুতা রেখে প্রবেশ করে তারপর ফটোসেশন করা হয়। অবশেষে খাবার দিয়ে সবাই প্রোগ্রাম সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়। প্রথমবার ভার্সিটিতে বিজয় দিবস উদযাপন করে বেশ ভালো লাগছিল আসলে।
Device | Oppo A12 |
---|---|
Photographer | @haideremtiaz |
Location | DUET |
10% beneficary for @shyfox ❤️
ধন্যবাদ সবাইকে
আমি কে?
আমার নাম হায়দার ইমতিয়াজ উদ্দিন রাকিব। সবাই আমাকে ইমতিয়াজ নামেই চিনে। পেশায় আমি একজন ছাত্র। বর্তমানে ডুয়েটে অধ্যয়নরত আছি। পাশাপাশি লেখালেখি করে আসছি গত তিন বছর ধরে। ভালো লাগার জায়গা হলো নিজের অনুভূতি শেয়ার করা, আর সেটা আমার বাংলা ব্লগের মাধ্যমেই সম্ভব হয়েছে। নিজেকে সবসময় সাধারণ মনে করি। অন্যের মতামতকে গুরুত্ব দেয় এবং তা মেনে চলার চেষ্টা করি। বাংলা ভাষায় নিজের অভিমত প্রকাশ করতে ভালো লাগে। তাছাড়া ফটোগ্রাফি,কবিতা লেখা,গল্প লেখা ,রিভিউ,ডাই এবং আর্ট করতে ভালো লাগে। অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়াতে ভালো লাগে। বাংলাদেশে জন্মগ্রহণ করতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে করি। ভবিষ্যতে প্রিয় মাতৃভূমির জন্য কিছু করতে চাই।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
Twitter share
Puss tweet
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
বিজয় দিবস উপলক্ষে আপনাদের ভার্সিটির ক্যাম্পাস অনেক সুন্দর করে সাজানো হয়েছে দেখে অনেক ভালো লাগলো। লাইটিং দেখে খুবই সুন্দর লাগলো। আর সবাই মিলে অনেক সুন্দর সময় কাটিয়েছেন বুঝতেই পারছি ভাইয়া। দারুন মুহূর্ত গুলো শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
বিজয় দিবস উপলক্ষে ভার্সিটিতে ছোট্ট একটা আয়োজন করা হয়েছে দেখে ভালো লাগলো। বেশ ভালোই উদযাপন করেছেন। বারোটা বাজে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানোর বিষয়টা অনেক ভালো ছিল। অনেক সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফিও করেছেন দেখে ভালো লেগেছে। ভালো লেগেছে আমার কাছে পুরো মুহূর্তটা।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ভার্সিটিতে প্রথমবারের মতো বিজয় দিবস উদযাপন করা হয়েছিল দেখে খুব ভালো লাগলো। মুহূর্তটা অনেক ভালো ছিল এটা তো পুরো পোস্ট পড়েই বুঝতে পারলাম। বারোটা বাজতেই আপনারা শহীদদের স্মরণে ফুল দিয়েছিলেন এটা ভেবেই তো ভালো লাগছে। মুহূর্তটা সবার মাঝে ভাগ করে নিলেন দেখে খুব ভালো লাগলো।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit