সোস্যাল মিডিয়া যখন অভিশাপ!!

in hive-129948 •  13 days ago 

18-03-2025

০৪ চৈত্র , ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
১৮ রমজান, ১৪৪৬ হিজরি


🌼আসসালামুআলাইকুম সবাইকে🌼


watermelon-4748608_1280.jpg

copyright free image from pixabay

কেমন আছেন সবাই? আশা করছি সবাই ভালো ও সুস্থ্য আছেন। তো রমজানের সময়গুলো মনে হচ্ছে খুব দ্রুত চলে যাচ্ছে। দিন দিন তাপমাত্রাও বাড়ছে। আর সারাদিন রোজা রেখে পানির উপরে প্রেসারটাও পরছে বেশি। যেহেতু এখন রমজান মাস চলছে তাই রোজাদারদের আলাদা নজর থাকে বাজারের ফলের উপর। কারণ ফলের তৈরি এক গ্লাস ঠান্ডা শরবত সারাদিনের তৃষ্ণা যেন মিটিয়ে। এমনি এক ফল হলো তরমুজ। তরমুজ গরমের সময়ই বাজারে বেশি পাওয়া যায়। আর গতবারের তুলনায় এবার বাজারের বলতে গেলে অনেকটা স্থিতিশীল রয়েছে। ভোক্তা অধিকার প্রতিনিয়ত কাজ করে যাচ্ছে বাজারের সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে।

যার ফলে আমরা যারা ক্রেতা রয়েছি কিছুটা হলেও স্বস্তিতে থাকতে পারতেছি। গত রমজানে বাজারের পণ্যের বলতে গেলে ঊর্ধ্বগতি ছিল অনেক বেশি। সে তুলনায় বলতে গেলে এবারে কম! তো আপনারা যারা সোস্যাল মিডিয়া ইউজ করেন তারা নিশ্চয় এ কয়দিনে জেনে থাকার কথা সম্প্রতি ঢাকার কারওয়ান বাজারের এক তরমুজ বিক্রেতার তরমুজ বিক্রির কথা বলার ধরণ ব্যাপক ভাইরাল হয়েছে। ঐ কিরে, ঐ কিরে, মধু মধু! কথাটি ব্যাপক ভাইরাল হয়েছে নেট দুনিয়ায়। ভাইরাল হওয়ার পর থেকে নানান ধরনের ভিডিও সোস্যাল মিডিয়াতে দেখতে পাচ্ছি।

তরমুজ বিক্রেতার হাস্যরসাত্নক উপায়ে তরমুজ বিক্রির ধরণ সকলের নজর কেড়েছে। এটা বলা যেতে পারে ব্যবসার নতুন এক কৌশল। সেই তরমুজ বিক্রেতার নাম হলো রনি! ভাইরাল হওয়ার পর থেকে তার দোকানে ক্রেতাদের উপচে পড়া ভীড়। তবে সে ভীড় তরমুজ কেনার জন্য নয়! শুধুমাত্র তার মুখ থেকে সেই ভাইরাল ডায়লগটি শোনার জন্য মানুষজন ভীড় করছে। আর এটাই যেন কাল হয়ে দাঁড়িয়েছে রনির ব্যবসার! ভাইরাল হওয়ার কারণে মানুষজন এসে ভীড় জমাচ্ছে তার দোকানে। ক্রেতারা তরমুজ কেনার বদলে তার কিরে কিরে, মধু মধু কথা শোনার জন্য ভীড় করছে।

ক্রেতারা এসে তার দোকানে ভীড় করছে। সোস্যাল মিডিয়াতে ভিডিও করে শেয়ার করছে তার ভিডিও! এতে তার খুবই ক্ষতি হচ্ছে! রনি দোকানদার দেড় লাখ টাকার তরমুজ কিনেছে। মানুষের এতো ভীড়ের কারণে সে এখন তরমুজ বিক্রি করতে পারছে না। যার ফলে সে ভেঙে পরেছে! দেড় লাখ টাকার তরমুজ নষ্ট হয়ে গেলে তাকে পরিবার নিয়ে পথে নামতে হবে। কারণ একটা ব্যবসা দাড়ঁ করানো খুবই কঠিন। আর সবজি বা ফলমূল এগুলো বেশিদিন সংরক্ষণ করে রাখা যায় না। যতো তাড়াতাড়ি বিক্রি করা যায় ততই ভালো!

আসলে সোস্যাল মিডিয়ার ব্যবহারের ফলে একটা মানুষের জীবনে প্রভাব ফেলে তখন সেটা থেকে বের হয়ে আসাই উচিত! আপনি কিছু না বুঝেই ভিডিও শেয়ার করে দিলেন। অথচ আপনার ভিডিও শেয়ার করার কারণে আরেকজনের ক্ষতি হচ্ছে। আপনি কেনইবা আরেকজনের ক্ষতি করবেন। আমাদের উচিত সোস্যাল মিডিয়া রাইট ওয়েতে ব্যবহার করার। সঠিক ব্যবহারের ফলে যেকোন ভালো কাজ ভাইরাল হবে। আর সেটাই করা উচিত আমাদের। রনি একজন তরমুজ ব্যবসায়ী। তাকে তরমুজ বিক্রি করতে দেন। এতো টাকার তরমুজ নষ্ট হলে এর দ্বায়ভার কি আপনি নিবেন?

আমাদের কোনো ভিডিও করার আগে দশবার ভাবা উচিত। এমনকি কোনে ভিডিও শেয়ার করার আগেও দশবার ভাবা উচিত আমি মনে করি। আর এমন শেয়ার বা ভিডিও আপনি দিবেন না দয়া করে যাতে অন্যের ক্ষতি হয়। সোস্যাল মিডিয়া অনেক বড় একটি জায়গা। ছোট্র ঘটনা এখানে অনেক বড় পরিসরে ছড়িয়ে পরে। এজন্য যেকোন কিছু করার আগে ভেবে করায় ভালো।



10% beneficary for @shyfox ❤️

1000158488.jpg

PUSS COIN:BUY/SELL

C3TZR1g81UNaPs7vzNXHueW5ZM76DSHWEY7onmfLxcK2iNzq2MSXKSji21JRspt4nqpkXPR5ea7deLzvmJtuzVBwdLJUpBqtgAZ5gHtHPbayD2jR3CWqjkJ.png

ধন্যবাদ সবাইকে



WhatsApp Image 2021-12-23 at 19.46.54.jpeg

আমি কে?

IMG_4442.JPG

আমার নাম হায়দার ইমতিয়াজ উদ্দিন রাকিব। সবাই আমাকে ইমতিয়াজ নামেই চিনে। পেশায় আমি একজন ছাত্র। বর্তমানে ইলেকট্রিক্যাল এন্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং এর উপর বিএসসি করছি ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যলয় (ডুয়েট) থেকে অধ্যয়নরত আছি। পাশাপাশি লেখালেখি করে আসছি গত তিন বছর ধরে। ভালো লাগার জায়গা হলো নিজের অনুভূতি শেয়ার করা, আর সেটা আমার বাংলা ব্লগের মাধ্যমেই সম্ভব হয়েছে। নিজেকে সবসময় সাধারণ মনে করি। অন্যের মতামতকে গুরুত্ব দেয় এবং তা মেনে চলার চেষ্টা করি। বাংলা ভাষায় নিজের অভিমত প্রকাশ করতে ভালো লাগে। তাছাড়া ফটোগ্রাফি,কবিতা লেখা,গল্প লেখা ,রিভিউ,ডাই এবং আর্ট করতে ভালো লাগে। অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়াতে ভালো লাগে। বাংলাদেশে জন্মগ্রহণ করতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে করি। ভবিষ্যতে প্রিয় মাতৃভূমির জন্য কিছু করতে চাই।

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

আসলে অতিরিক্ত কোন কিছুই ভালো কিছু বয়ে আনতে পারে না। যখন এই লোক টি সোসিয়াল নেটওয়ার্কের বাইরে ছিল, তখন তার ব্যবসা ছিল বেশ ভালো। কিন্তু যখন সে অনলাইন জগতে ভাইরাল হয়ে যায়, তখন তার ব্যবসা একদম ধ্বংস হয়ে যায়। তবু ও তাকে বাঁচানোর জন্য বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান তার পাশে দাঁড়িয়েছে, এটা আসলেই আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লেগেছে।

একদম ঠিক বলেছেন ভাই। অতিরিক্ত কোনো কিছুই আসলে ভালো না। ভাইরাল হওয়ার পরেই তার ব্যবসার সমস্যা হচ্ছিল।

এই তরমুজ বিক্রির বা ওই ডায়লগ কারী ব্যক্তির ভিডিওটি অনেক ভাইরাল হয়েছে। আমরা সকলেই দেখেছি তবে ওর কান্নাও দেখেছি। এরকম ভাইরাল হওয়ার কারণে সাংবাদিকরা ক্যামেরাম্যানরা সবাই সেখানে ঝড় হয়ে থাকার কারণে তার তরমুজ আর বিক্রি হচ্ছে না।সবাই ভিডিও করতে আসে কেউ কিনতে আসে না।আসলে আপনি সঠিক বলেছেন সোশ্যাল মিডিয়ার অপব্যবহার না করে এটা রাইট ওয়েতে ব্যবহার করা উচিত। ধন্যবাদ সুন্দর একটি ও সময়োপযোগী একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।

একদম ঠিক বলেছেন আপু। আমাদের সোস্যাল মিডিয়াটাকে সঠিক উপায়ে ব্যবহার করা উচি।

সোশ্যাল মিডিয়ার পজিটিভ দিকের পাশাপাশি অনেক নেগেটিভ দিকও রয়েছে। এ বিষয়টা কয়েকদিন ধরেই সোশ্যাল মিডিয়াতে ঘুরছিল। আসলে কোন একটা কনটেন্ট শেয়ার করার আগে আমাদের বিভিন্ন দিক ভাবনা চিন্তা করা উচিত। ভালো লাগলো আপনার লেখা গুলো পড়ে। সবাই এমন ভাবে চিন্তা করলে হয়তো অন্যরকম হতো ব্যাপার গুলো।

হমম একদম। আমাদের উচিত রাইট ওয়েতে সোস্যাল মিডিয়াটাকে ব্যবহার করা।