শেষ পর্বঃ বাস জার্নির নতুন এক অভিজ্ঞতা

in hive-129948 •  2 years ago 

24-03-23

১০ চৈত্র, ১৪২৯ বঙ্গাব্দ


আসসালামুআলাইকুম সবাইকে


২য় পর্বের পর

IMG20230313150349.jpg

রেস্টুরেন্ট ছিল ভিতরে দুটা! দুইটাই নাইসলি ডেকোরেটেড ছিল। ফ্রেশ হওয়ার ব্যবস্থাও ছিল ভালো। ফ্রেশ হয়ে নেই সেখানেই! লং জার্নির মাঝে একটু ব্রেক দিলে ভালোই হয়! না হয় তো মাথা ঝিমিয়ে যায়! আর বাসে বা ট্রেনে বসে থাকলে মাথা ভার হয়ে যায়। আমার এমনটা হয়ে যায়। যাক ফ্রেশ হয়ে আমরা সুইটসে চলে গেলাম। অনেকেই দেখছি দইয়ের একপিস মিষ্টি নিচ্ছে। শাওনের কাছ থেকে জানতে পারলাম এই মিষ্টি খেতেও ভীষণ মজার। আমরা দুই পিস অর্ডার দিলাম। কিন্তু মানুষের সংখ্যা মোটামোটি ভালোই ছিল তবে প্লেটের শর্ট পরে যায়। এটা অবশ্য আমার কাছে ভালো লাগেনি। আমি আর শাওন কিছুক্ষণ দাড়িঁয়ে থাকি। এদিকে সময়ও বেশি নেই।

পাচঁ মিনিট পর আমাদের মিষ্টি দেয়া হলো। মিষ্টির সাথে দুধের একটা ফ্লেভারের! মুখে দিতেই নিমিষেই শেষ। খেতে অসম্ভব ভালো লেগেছিল আমার কাছে। আমাদের দুজনের খাওয়া শেষ হয়ে গেলে বিল পে করি। পার পিস মিষ্টির দাম ৬০ টাকা করে। সে তুলনায় ঠিকই আছে। খাওয়া শেষ করে বের হয়ে পরি। গিয়ে দেখি বাসের সামনে অনেকেই দাড়িঁয়ে আছে। বাস যেখানে দাড়িঁয়ে ছিল তার আশেপাশে আরও দোকানপাট খেয়াল করলাম। তবে বেশিরভাগ দোকান তখন বন্ধ ছিল । বিকেলের দিকে নরনালি বন্ধ থাকে। অনেকেই রিসোর্টে এসে ফটোগ্রাফি করছে। স্টলের মতো করে ছোট ছোট কিছু দোকান ছিল। কিছুক্ষণ পর এনাউন্স করে আমাদের বাস ছেড়ে যাবে, সবাইকে বাসে উঠে যেতে বলে।

একে একে বাসের সব যাত্রী উঠে পরে বাসে। কিছুক্ষণ পর বাস চলতে শুরু করে। বাস ছাড়ার কিছুক্ষণ পর অবশ্য আমি ঘুমিয়ে যায়। ঐ দিন এতো ঘুম পেয়েছিল, কি বলবো! নরমালি জার্নিতে এতো ঘুম কখনো হয়নি। ঢাকার কাছাকাছি আসতেই ঘুম ভেঙে যায়। শাওন আমাকে বলেই ফেলে, "আজ এতো ঘুম! " ঢাকা এসে পরেছে। কাচপুর ব্রিজ পার হয়েছে। যাত্রা বাড়ির ভিতর দিয়ে যাবে বাস! ভেবেছিলাম সেখানে নেমে যাবো। অনেকদিন হলো আপুদের বাসায় যাওয়া হয়না। যাত্রাবাড়ী থেকে কাছেই ছিল। কিন্তু কোচিং খোলা ছিল তাই আর স্বায় দিল না।

IMG20230313150339.jpg

ঢাকার ভিতরে যেতেই যেন জ্যামের কবলে আস্তে আস্তে পরতে থাকে বাস। ঢাকা শহরে জ্যামের মধ্যে পরলে অবস্থা শেষ! এজন্যই আমি বাসে জার্নি করি না! শুধুমাত্র জ্যামের ভয়ে। যদিও এবার শাওনের জন্য রাজি হয়েছিলাম। বনশ্রী পার হয়ে বাস একটি মসজিদের সামনে গিয়ে থামে। আসরের আযান দিয়েছে। বাসের হেল্পার আমাদের বলে, "যারা যারা নামাজ পরবে তারা পরে নিতে পারেন! " ভাবলাম আসরের নামাজ আদায় করে নেই। অযু করলে ঘুম ঘুম ভাবটাও চলে যাবে। মসজিদে গিয়ে আসরের নামাজ আদায় করে নেই। নামাজ আদায় করে আবার বাসে উঠি। কিছুক্ষণ পর বাস আবার শুরু করে তার যাত্রা। হাতিরঝিলের কাছে আসতেই যেন জ্যামের পরিমাণটাও বাড়তে থাকে। আস্তে আস্তে বাস চলতে থাকে। সন্ধ্যাও হয়ে গেছে। বাসের জানালার পাশ দিয়ে খেয়াল করলাম এ আই ইউ বি টি ভার্সিটির একটি পোস্টার টাঙানো। আমার এক বড় ভাই এ ভার্সিটিতে পড়াশোনা করছে। পোস্টারে ডিরেকশন দেয়া ছিল কোন দিকে ভার্সিটি অবস্থিত।

শাওনের কাছে জানতে পেরেছিলাম সামনে কানাডিয়ান ভার্সিটিও আছে। বেশিরভাগ ভার্সিটি ঢাকার ভিতরে পরেছে। সামনে যেতেই দেখলাম কানাডিয়ান ভার্সিটি। বিএসসি করা যায়। তবে খরচ আছে যেটা জানতে পেরেছিলাম! আরেকটু সামনে আগাতে অবশ্য দেখেছিলাম যমুনা ফিউচার পার্ক! নতুন ফ্লোর করছে। এরিয়া অনেক বড় হচ্ছে। বসুন্ধরা সিটি থেকে কয়েকগুণ বড়! শাওনের কাছ থেকে জানতে পেরেছিলাম, এক ফ্লোরই হেটেঁ শেষ করা যাবে না। এর আগেও অবশ্য যমুনা ফিউচার পার্ক আমি দেখেছিলাম! বাহির থেকে এতোটাও বুঝা যায় না।

তবে সব থেকে ভালো লেগেছিল নিকুঞ্জতে এসে! মনে হচ্ছি অন্য দেশে এসে পরেছি। প্রত্যেকটি এপার্টমেন্টের ডিজাইন যে কাউকে মুগ্ধ করবে। ঢাকা শহরের মধ্যে মনে হয় এই এলাকাটাই অনেক সুন্দর। পুরো সাজানো গোছানো। দেখে অবশ্য ভালোই লেগেছিল। বাস চলন্ত অবস্থায় যে কয়টা দেখেছিলাম। তবে সব থেকে ঝামেলায় পরেছিলাম টঙ্গীতে এসে। পুরো জ্যামে পরে যায় বাস। ঢাকা শহরের জ্যাম যে কেমন তা হয়তো আপনারা জানেন। দশ মিনিটে একটু একটু করে আগায়! ; যাক, ফাইনালি জ্যামের মধ্যেই বাস টঙ্গী পর্যন্ত আসতে পেরেছিল। আর সেখানেই আমরা নেমে পরেছিলাম।

DeviceOppo A12
Photographer@haideremtiaz
Locationw3w
Date13 March, 2023

শেষ



10% beneficary for @shyfox ❤️

C3TZR1g81UNaPs7vzNXHueW5ZM76DSHWEY7onmfLxcK2iNzq2MSXKSji21JRspt4nqpkXPR5ea7deLzvmJtuzVBwdLJUpBqtgAZ5gHtHPbayD2jR3CWqjkJ.png

ধন্যবাদ সবাইকে



WhatsApp Image 2021-12-23 at 19.46.54.jpeg


VOTE @bangla.witness as witness

witness_proxy_vote.png

OR

SET @rme as your proxy


witness_vote.png

আমি কে?

IMG20210908180509.jpg

আমার নাম হায়দার ইমতিয়াজ উদ্দিন রাকিব। সবাই আমাকে ইমতিয়াজ নামেই চিনে। পেশায় আমি একজন ছাত্র। নিজেকে সবসময় সাধারণ মনে করি। অন্যের মতামতকে গুরুত্ব দেয় এবং তা মেনে চলার চেষ্টা করি। বাংলা ভাষায় নিজের অভিমত প্রকাশ করতে ভালো লাগে। তাছাড়া ফটোগ্রাফি,ব্লগিং,কুকিং,রিভিউ,ডাই ইত্যাদি করতে ভালো লাগে। অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়াতে ভালো লাগে। বাংলাদেশে জন্মগ্রহণ করতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে করি। ভবিষ্যতে প্রিয় মাতৃভূমির জন্য কিছু করতে চাই।

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

image.png

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.