26-08-2022
১১ ভাদ্র ,১৪২৯ বঙ্গাব্দ
শুক্রবার
আসসালামুআলাইকুম সবাইকে
শুভ সন্ধ্য 🌼। আশা করছি সবাই ভালো আছেন। আপনাদের সাথে ইতিমধ্যে আমাদের কলেজ এর বিদায়ী সংবর্ধনার ১ম ও ২য় পর্ব শেয়ার করেছিলাম। আজকে শেষ পর্বটি শেয়ার করার জন্য চলে এলাম।
২য় পর্বের পর
ফটোসেশন এর পর এবার ক্রেস্ট গ্রহণ করার পালা। ডিপ্লোমা লাইফটাকে স্মরণীয় করে রাখতে প্রতিবছরের ন্যায় এবারো ক্রেস্ট দেয়া হবে। স্যারেরা আমাদের সম্মানপূর্বক ক্রেস্ট দিয়ে থাকে। আসলে আমার খুব ভালো লাগতেছিল। স্যারদের কাছ থেকে কখনো কিছু পায়নি। এবার তাহলে কিছু একটা পাবো। অনামিকা ঘোষণা করে দেয় একজন একজন করে স্যারদের কাছ থেকে ক্রেস্ট গ্রহণ করার জন্য। যাদের নাম বলা হবে তাদেরকে সিরিয়াল মেইনটেইন করে ক্রেস্ট গ্রহণ করার কথা বলা হয়। আসলে ক্রেস্ট সিরিয়াল করা ছিল না। এজন্য একেকজনের কাছে একেক ধরনের ক্রেস্ট চলে যায়। আমার সিরিয়াল যখন আসলো তখন স্যারের কাছে ক্রেস্ট গ্রহণ করে ভালোই লাগতেছিল। তার ক্রেস্ট সহ ক্যামেরাবন্দি করে নিলাম। তারপর এদিকে আরেক গন্ডগোল বেধেঁ যায়। কেক নিয়ে কাড়াকাড়ি শুরু করে দেয়। অবশ্য শেষে আর কেক খাওয়ার সৌভাগ্য হলো না। এতে অবশ্য আমার আফসোস নেই।
ঘড়িতে তখন আড়াইটা বেজে গেছে। ক্ষুধায় পেট যেন মুচড়িয়ে উঠছে। তারপর দুপুরের খাবারে বিরিয়ানী অর্ডার দেয়া ছিল। কিছুক্ষণ পরেই বিরিয়ানী চলে আসে। রনিম আমাদেরকে বলে মাল্টিল্যাব এ গিয়ে বসতে। যথারীতি সবাই সেখানে গিয়ে বসে পড়ি। মাল্টিল্যাব গিয়ে দেখি সাউন্ড বক্স আনা হয়েছে। আমরা সাউন্ড বক্স যে পরিচালনা করে তাকে বললাম গান লাগাতে। উরাধুরা কতক্ষণ গান হয়ে গেল। তবে কিছুক্ষণ এর জন্য বিরতি দেয়া হয় কারণ এখন খাওয়ার পালা। রোলের সিরিয়াল অনুযায়ী সবাইকে একটি করে বিরিয়ানীর প্যাকেট দেয়া। প্যাকেটে ছিল একটি ডিম, মুরগীর রোস্ট আর সস। সবারই খিদায় পেট চৌচির। আমরা খাওয়া শুরু করে দেয়। খাওয়ার পর পেট ঠান্ডা। কিছুক্ষণ রেস্ট নিয়ে এবার ডান্সের পালা। কারণ এখন ডিজে গানের সাথে নাচানাচি শুরু হবে। গান প্লে করতেই সবাই পাগলা ডান্স শুরু করে দেয়। তখন কি আর বসে থাকা যায়? আমিও গিয়ে নাচে যোগদান করলাম। গানের তালে তালে উরাধুরা ড্যান্স শুরু হয়ে গেল।
এদিকে দেখি রঙ দিয়ে মাখামাখি শুরু হয়ে গেছে। আমি এজন্য একটু দূরে দূরে থাকলাম। কারণ এমনিতেই আমার এলার্জিজনিত সমস্যা রয়েছে। সব মেয়েরা দেখি একে অপরের গালে রঙ মাখিয়ে দিচ্ছে। আমার বন্ধুরাও একে অপরকে রঙ লাগিয়ে দিচ্ছে। পাশাপাশি ডান্সও চলছে। আধাঘণ্টা এর মতো নাচানাচি হলো। মেয়েরাও খুব নেচেছিল সেদিন। তারপর সিদ্ধান্ত নেয়া হয় সবাই একসাথে ফটোসেশন করবে। ক্লিটন তার ডিএসএলআর ক্যামেরা নিয়ে এসেছিল। আমরা সবাই পুকুর পাড়ের কাছে চলে যায়। সেখানে সবাই গিয়ে বসে পড়ি। একসাথে বেশ কিছু ফটোগ্রাফি করা হয়। আসলে এই ছবিগুলোই স্মৃতি হয়ে থাকবে। আর কখনো এভাবে একসাথে ছবি তোলা হবে কিনা বলা যায়। কেউ ডিপ্লোমা শেষে উচ্চ শিক্ষা গ্রহণ করবে কেউবা বাহিরের দেশে পাড়ি জমাবে আবার কেউবা কর্মস্থলে প্রবেশ করবে। তবে সেদিন সবাই হ্যাপি মোমেন্টই ছিল। এতোদিন পর সবাই একসাথে হতে পারা।
তারপর আমাদের প্লেন ছিল ইলেকট্রিক্যাল ১৮-১৯ এটা নিজেরা ডিসপ্লে করবো । ইলেকট্রিক্যাল সংক্ষেপে ইটি আর সেশন ১৮-১৯। আমরা সবাই আমাদের তিনতলা ক্লাসরুমের সামনে চলে যায়। সাদা গেঞ্জি পরা লিখবে টি আর পেস্ট কালার টি শার্ট পরা তারা লিখবে ই। আর সাথে মেয়েরা বসে ১৮-১৯ লিখবে। আমি সাদা টি-শার্ট পরে ছিলাম। এজন্য টি আমরা সাদা যারা ছিলাম তারা সবাই বসে বানিয়ে ফেলি। পাশাপাশি বাকিরাও বানিয়ে ফেলে। ক্লিটন তিনতলা ছাদ থেকে ফটোশট করবে। এজন্য আগেই অবশ্য উপরে চলে যায়। আমরা সবাই সোজাভাবে লাইন করে বসলাম। ক্লিটন উপর থেকে ফটোশট করে নিলো। ফাইনালি আমাদের ডিসপ্লে সুন্দরই হয়েছিল আসলে। তারপর সন্ধ্যাও ঘনিয়ে এলো। সবাই খুবই টায়ার্ড হয়ে পরেছে। আমারও খুব টায়ার্ড লাগছিল। যে নাচ নেচেছিলাম টায়ার্ড লাগারই কথা। তারপর আমরা শাহীন চত্বরে বসে বন্ধুদের সাথে কিছুক্ষণ আড্ডা দেয়। বেশিক্ষণ সেখানে থাকিনি। সবার কাছ থেকে বিদায় নিয়ে মেসে চলে আসি।
Device | Canon Eos 4000D |
---|---|
photographer | my friend |
Location | Feni Polytechnic Institute |
Date | 17 August, 2022 |
আশা করি তিনটি পর্বই আপনারা উপভোগ করেছেন। জীবনের দ্বীতীয় অধ্যায়েরও সমাপ্তি হয়ে গেল। তবে সামনে এখনও অনেকটা পথ বাকি। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন। সকলের সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করে আজকের মতো এখানেই বিদায় নিলাম। আল্লাহ হাফেজ।
10% beneficary for @shyfox ❤️
ধন্যবাদ সবাইকে
আমি কে?
আমার নাম হায়দার ইমতিয়াজ উদ্দিন রাকিব। সবাই আমাকে ইমতিয়াজ নামেই চিনে। পেশায় আমি একজন ছাত্র। নিজেকে সবসময় সাধারণ মনে করি। অন্যের মতামতকে গুরুত্ব দেয় এবং তা মেনে চলার চেষ্টা করি। বাংলা ভাষায় নিজের অভিমত প্রকাশ করতে ভালো লাগে। তাছাড়া ফটোগ্রাফি,ব্লগিং,কুকিং,রিভিউ,ডাই ইত্যাদি করতে ভালো লাগে। অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়াতে ভালো লাগে। বাংলাদেশে জন্মগ্রহণ করতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে করি। ভবিষ্যতে প্রিয় মাতৃভূমির জন্য কিছু করতে চাই।
Link
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit