শেষ পর্ব | ঢাকা টু বান্দরবান

in hive-129948 •  11 days ago 
আসসালামুআলাইকুম সবাইকে

কেমন আছেন সবাই?আশা করছি সবাই ভালো ও সুস্থ্য আছেন। তো দেখতে দেখতে বান্দরবানের শেষ পর্বে চলে এলাম। আজকের পর্বে নীলাচলের শেষ পর্ব শেয়ার করবো। আশা করছি শেষ পর্বটি উপভোগ করবেন।

৪র্থ পর্বের পর

চিম্বুক পাহাড় পরিদর্শনের পর আমরা গাড়িতে ওয়েট করতে থাকলাম। কারণ অনেকেই জুম্মার নামাজ আদায় করতে মসজিদে গিয়েছিল। নামাজ শেষ করে আবারো আমাদের যাত্রা শুরু হবে। এবার আমাদের শেষ স্পট পরিদর্শন করবো। তার আগে দুপুরে খাবার খেয়ে নিতে হবে। সবাই যখন নামাজ আদায় করে আসলো আমাদের চান্দের গাড়ি নিয়ে গেল বান্দরবান বাসস্ট্যান্ডে।

IMG20241206155341.jpg

IMG20241206155944.jpg

সেখানে দুপুরে খাবার খাওয়ার পর আমাদের শেষ গন্তব্য নীলাচল। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের এ বাংলাদেশের সৌন্দর্য যে কাউকে মুগ্ধ করবে। বাংলাদেশটা আসলেই অনেক সুন্দর! আমার আবারো বাংলাদেশের অন্য কোনো জেলায় ঘুরার ইচ্ছে। বান্দরবান জেলার মানুষ সহজেই প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারে। দুপুরে খাবার শেষ করে আবারো আমরা উঠে গেলাম চান্দের গাড়িতে। খাওয়া শেষ হতে হতে তিনটা বেজে যায়। নীলাচলের প্রধান সৌন্দর্য হলো সূর্যাস্ত। যেতে যেতে লেইট হয়ে গেলে সেটাও মিস। তাই তাড়াহুড়ো আমরা গাড়িতে উঠে বসে পরলাম।

IMG20241206155856.jpg

IMG20241206155800.jpg

তারপর আমাদের গাড়ি নীলাচলের উদ্দেশ্য রওনা দিলো। গাড়ি যতই যাচ্ছিল মনে হচ্ছিল উপরে যাচ্ছে। আমাদের যেতে যেতে সাড়ে তিনটার উপরে বেজে যায়। সূর্য তখনও ছিল। আমাদের গাড়ি একপাশে রেখে আমরা সবাই গেইটে চলে গেলাম। ভিতরে প্রবেশ করতে হলে আবারো টিকেট কাটতে হবে। টিকেট আমাদের কোচিং এর পক্ষ থেৃে সংগ্রহ করা হয়েছিল। জন প্রতি টিকের মূল্য ৫০ টাকা করে। টিকেট সংগ্রহ করে আমরা চলে গেলাম ভিতরে! ভিতরে গিয়ে দেখি মানুষের উপচে পরা ভীড়!

IMG20241206160936.jpg

IMG20241206160829.jpg

যেহেতু শুক্রবার ছুটির দিন ছিল এজন্য মানুষের সমাগমটাও বেশি ছিল। আমরা কয়েকজন মিলে আশেপাশে ঘুরে দেখলাম। সবাই দেখি ফটোগ্রাফি করায় ব্যস্ত! মূলত মানুষ এমন জায়গায় আসে ফটোগ্রাফি করার জন্য। যেদিকে চোখ যায় শুধু পাহাড় পাহাড়! একপাশে গিয়ে দেখি গানের আয়োজন করা হয়েছে। সেখানে এক অন্ধ লোক গান বলে মানুষকে বিনোদন দেয়ার চেষ্টা করছিল। কিছু ছেলেরা শিল্পীর তালের তালে গান বলার চেষ্টা করছিল। আমরা কয়েকজন মিলে উপভোগ করলাম। তারপর চলে গেলাম আরেকটু ভিতরে। সেখানেই মেইন আকর্ষণ। নীলচলের মেইন স্পটে দেখি মানুষের উপচে পড়া ভীড়। মানুষ সিরিয়ালে ধরে বসে আছে ছবি তোলার জন্য। আবার এদিকে দেখি ছোট বাচ্চারা খেলা করছিল।

IMG20241206163300.jpg

IMG20241206155511.jpg

সূর্য ধীরে ধীরে পশ্চিম আকাশে হেলে পরে। নীলচল থেকে সূর্যাস্তের দৃশ্য আসলেই দারুণ। আশেপাশের স্পটগুলো ঘুরে দেখার চেষ্টা করলাম। ভিতরে দেখলাম একটা রেস্টুরেন্ট ছিল। সেখানে মানুষজন গিয়ে খাওয়া-দাওয়া করছিল। আসলে হাটঁতে হাটঁতে পা ব্যথা হয়ে গিয়েছিল। কিছুক্ষণ বসে সেখানে রেস্ট নিলাম। আমরা যেহেতু গাজীপুরে রাতেই ব্যাক করবো তাই সেখানে রাত আটটা অবধি ঘুরতে হবে।

IMG20241206155345.jpg

IMG20241206155954.jpg

সন্ধ্যার পর দেখি মানুষের ভীড় যেন আরও বাড়তে থাকে। খেয়াল করলাম বেশ কিছু দোকান। দোকানগুলো মূলত কাপড়ে বেশি ছিল। আর বাচ্চাদের খেলার জিনিসপত্র ছিল বেশি। আমরা বেশ কয়েকটা দোকান ঘুরে দেখলাম। চাদের দামও করলাম। ৫০০ টাকা করে একেকটা চাদর! দামে মিললো না আসলে। তারপর রাত আটটা অবধি সেখানে থেকে আমরা চলে গেলাম বাসস্টপেজ এ। সেখান থেকেই আমরা বাসে করে গাজীপুর চলে এসেছিলাম।

DeviceOppo A12
Photographer@haideremtiaz
LocationNilachol, Bandarban


10% beneficary for @shyfox ❤️

1000158488.jpg

PUSS COIN:BUY/SELL

C3TZR1g81UNaPs7vzNXHueW5ZM76DSHWEY7onmfLxcK2iNzq2MSXKSji21JRspt4nqpkXPR5ea7deLzvmJtuzVBwdLJUpBqtgAZ5gHtHPbayD2jR3CWqjkJ.png

ধন্যবাদ সবাইকে



WhatsApp Image 2021-12-23 at 19.46.54.jpeg

আমি কে?

IMG_4442.JPG

আমার নাম হায়দার ইমতিয়াজ উদ্দিন রাকিব। সবাই আমাকে ইমতিয়াজ নামেই চিনে। পেশায় আমি একজন ছাত্র। বর্তমানে ডুয়েটে অধ্যয়নরত আছি। পাশাপাশি লেখালেখি করে আসছি গত তিন বছর ধরে। ভালো লাগার জায়গা হলো নিজের অনুভূতি শেয়ার করা, আর সেটা আমার বাংলা ব্লগের মাধ্যমেই সম্ভব হয়েছে। নিজেকে সবসময় সাধারণ মনে করি। অন্যের মতামতকে গুরুত্ব দেয় এবং তা মেনে চলার চেষ্টা করি। বাংলা ভাষায় নিজের অভিমত প্রকাশ করতে ভালো লাগে। তাছাড়া ফটোগ্রাফি,কবিতা লেখা,গল্প লেখা ,রিভিউ,ডাই এবং আর্ট করতে ভালো লাগে। অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়াতে ভালো লাগে। বাংলাদেশে জন্মগ্রহণ করতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে করি। ভবিষ্যতে প্রিয় মাতৃভূমির জন্য কিছু করতে চাই।

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

আসলে শুক্রবার যে কোন ধরনের জায়গায় একটু বেশি ভীড় জমে যায়। আপনি শুক্রবার পাহাড়ের সাথে খুবই সুন্দর একটি সময় উপভোগ করেছেন ভাইয়া। আসলে এখন পর্যন্ত কোন দিন এই পাহাড় গুলো নিজ চোখে দেখা হয়নি। আশা আছে খুব তাড়াতাড়ি বান্দরবান জেলা ঘুরতে যাবো।