বিজয় আমার অহংকার!

in hive-129948 •  2 years ago 

16-12-2022

০২ পৌষ ,১৪২৯ বঙ্গাব্দ


আসসালামুআলাইকুম সবাইকে


victory-day-2289693_1280.jpg

copyright free image from pixabay

কেমন আছেন সবাই? নিশ্চয় খুব ভালো আছেন। আমি প্রতিনিয়ত ভালো থাকার চেষ্টা করে যাচ্ছি। তবে আমি বিশ্বাস করি, একটা সময় ভালো থাকাটা শিখে যাবো। আর ভালো থাকতে পারাটা যদি শিখে যেতে পারেন, তাহলে আমি বলবো আপনি অনেক স্ট্রং মাইন্ডেড একজন মানুষ! ভালো থাকাটাও যে বেশ কঠিন কাজ! কেউ ভালো নেই! কোনো না কোনো সমস্যা পিছনে লেগে আছেই, লেগে থাকবেও সেটা। সমস্যাহীন যে পৃথিবী হয় না! যাক, কোথা চলে গেলাম!

একজন নাগরিকের অহংকার তার মায়ের ভূমি বা মাতৃভূমি! মা যেখানে বড় হয়েছে। আলো-বাতাস পেয়েছে। আর আমরাও সেই মায়ের সন্তান। এ দেশের বিশুদ্ধ বাতাস উপভোগ করি, উপভোগ করি সোনালী বিকেল, গোধূলী সন্ধ্যা, সূর্যাস্তের শীতল সন্ধ্যা! এই মুহূর্তগুলো কিন্তু উপভোগ করা যেত না! যদি না এ দেশ স্বাধীন হতো। প্রাণভরে নিঃশ্বাস নিতেও পারতাম না। সেদিনের আকাশটা পুরো কালো মেঘে চেয়ে ছিল। কোথাও সোনালী সূর্য দেখা যায়নি। প্রাণ বাচাঁনোর তাড়নায় তখন সবাই ব্যস্ত ছিল! ভিটামাটি ছেড়ে সবাই পাড়ি জমিয়েছিল দূর দূরান্তে। চোখে মুখে চিন্তার ভয়! স্বৈরাচারী শাসকগোষ্ঠী পাকিস্তানের অত্যাচারের আতঙ্ক! পাকিস্তান সেদিন হত্যা করেছিল ত্রিশ লক্ষ্য মানুষকে, নারীদের সম্রমহানি করেছিল।

সেই শাসকগোষ্ঠীর কাছ থেকে সাধারণ জনগণকে বাচাঁনোর জন্য রুখে দাড়িয়েছিল আমজনতা। লোকমত নির্বিশেষে সবাই সেদিন ঐক্যবদ্ধভাবে লড়াই করে গিয়েছিল। দীর্ঘ নয়মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ! আমাদের প্রতিবেশী দেশ ভারও সেদিন সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছিল। রেসকোর্স ময়দানের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সেই ৭ই মার্চের ভাষণের পর থেকে সাধারণ জনগণ ঐক্যবদ্ধ হয়! শেখ মুজিবের ঘোষণা অনুযায়ী সবাইকে একসাথে লড়ে যাওয়া কথা বলেছিল। তাদের চোখে-মুখে ছিল স্বৈরাচারী শাসকগোষ্ঠীর কাছ থেকে স্বাধীনতা চিনিয়ে আনার অনুপ্রেরণা। সবাই নিজ নিজ জায়গা থেকে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। জন্মভূমি থেকে শত্রুকে দূর করার জন্য লড়ে গিয়েছিল তারা।

১৯৭১ সালের ১৬ ই ডিসেম্বর! জেনারেল নিয়াজী যখন আত্নসমর্পণ করে। তখন পৃথিবীর ভূখণ্ডে জন্ম হলো নতুন একটি রাষ্ট্রের! নাম বাংলাদেশ। সেদিন আনন্দ উল্লাসে মেতেছিল পুরো বাংলাদেশ। স্বাধীনতার পতাকা উড়েছিল আকাশে। কিন্তু দেশটাকে স্বাধীন করতে গিয়ে যারা শহীদ হয়েছেন তাদের অবদান কি আমরা ভুলতে পারি? তাদের অসামান্য অবদানের জন্যই আমরা পেলাম স্বাধীন একটি দেশ, স্বাধীন একটি ভূখন্ড! পেয়েছি স্বাধীনতা। আমরা স্বাধীন জাতি! এর থেকে গর্বের কি হতে পারে।। স্বাধীনতার দীর্ঘ ৫০ বছর পর আমি শ্রদ্ধা জানাই সেসসব শহীদদের যাদেী আত্নত্যাগের বিনিময়ে পেলাম এ বাংলা। আমি শ্রদ্ধা জানাই, মা-বোনদের যারা যুদ্ধে শহীদ হয়েছেন, অনেকেই নির্যাতনের শিকার হয়েছিলেন।

আজকের এ দিনে আমরা পেয়েছিলাম স্বাধীন একটি দেশ। এই মুহুর্তটা কিন্তু গর্বের, আনন্দের! আমরা বাঙালিরা তাইতো এই দিনটাকে স্মরণীয় করে রাখার জন্য প্রতিবছর ব্যাপক উৎসাহ ও উদ্দীপনার মধ্যে দিয়ে পালন করে থাকি। শহীদদের প্রতি সম্মান জানিয়ে আমরা দিবসটি পালন করে থাকি। আগামী প্রজন্মও এ দিবসটি ব্যাপক উৎসাহ ও উদ্দীপনার মধ্যে দিয়ে পালন করবে আমি বিশ্বাস করি। আমি মুক্তিযুদ্ধ দেখিনি, শুনেছি ছেলে হারানোর ব্যথা! শুনেছি মায়ের বীরত্বের কথা। দীর্ঘ ৫০ বছর পেরিয়ে গেল!

দেশ কি এখনও স্বাধীন হয়েছে? এখনও তো লুটে খাচ্ছে, চুষে খাচ্ছে গরিবের রক্ত! স্বাধীনদেশে যেখানে ভাতের জন্য একবেলা ঘুরে ঘরে বেড়াতে হয়, তাহলে সে দেশ স্বাধীন হলো কি করে! দূর্নীতির করাল গ্রাস থেকে এ দেশ বাচঁবে কবে? যতদিন না এ দেশ দূর্নীতিগ্রস্ত থেকে যাবে, এক বেলা ভাতের জন্য না খেয়ে মারা ততদিন এ দেশ স্বাধীন নয়! আমি বিশ্বাস করি, স্বাধীন দেশ পুনরায় স্বাধীন হবে। যেখানে থাকবে না কোনো অন্যায়-অত্যাচার। সমাজের প্রতিটা মানুষ পাবে সমান অধিকার। বিজয়ের দিনে আমি স্বপ্ন দেখি আগামী সোনার বাংলাদেশের! যেখানে থাকনে ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত। বাংলাদেশ আমার অহংকার!

যাক, আর বেশি কথা বাড়ালাম না! সবাইকে মহান বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। আপনাদের জীবন হোক রঙিন এমনটাই প্রত্যাশা করছি। ভালো থাকুন, সুস্থ্য থাকুন। আল্লাহ হাফেজ 🌼



10% beneficary for @shyfox ❤️

C3TZR1g81UNaPs7vzNXHueW5ZM76DSHWEY7onmfLxcK2iNzq2MSXKSji21JRspt4nqpkXPR5ea7deLzvmJtuzVBwdLJUpBqtgAZ5gHtHPbayD2jR3CWqjkJ.png

ধন্যবাদ সবাইকে



WhatsApp Image 2021-12-23 at 19.46.54.jpeg


VOTE @bangla.witness as witness

witness_proxy_vote.png

OR

SET @rme as your proxy


witness_vote.png

আমি কে?

IMG20210908180509.jpg

আমার নাম হায়দার ইমতিয়াজ উদ্দিন রাকিব। সবাই আমাকে ইমতিয়াজ নামেই চিনে। পেশায় আমি একজন ছাত্র। নিজেকে সবসময় সাধারণ মনে করি। অন্যের মতামতকে গুরুত্ব দেয় এবং তা মেনে চলার চেষ্টা করি। বাংলা ভাষায় নিজের অভিমত প্রকাশ করতে ভালো লাগে। তাছাড়া ফটোগ্রাফি,ব্লগিং,কুকিং,রিভিউ,ডাই ইত্যাদি করতে ভালো লাগে। অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়াতে ভালো লাগে। বাংলাদেশে জন্মগ্রহণ করতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে করি। ভবিষ্যতে প্রিয় মাতৃভূমির জন্য কিছু করতে চাই।

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
image.png
please click it!
image.png
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)

The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

নয় মাস যুদ্ধের পর আজকের এই দিনে আমরা বিজয় পেয়েছি। লক্ষ লক্ষ শহীদ প্রান দিয়েছিলো দেশটাকে স্বাধীন করার জন্য।তবে এটা ঠিক আজকের দেশটা দূর্নীতির চাদরে ঢাকা।আমাদের দেশটা এখন আগের মত ভালো নেই। যাক হোক কথাগুলো বেশ ভালো লাগলো। ধন্যবাদ

জি আপু বর্তমানে দেশটা দূর্নীতিতে ঢেকে গেছে। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু

ভালো লিখেছেন ভাইয়া। ভালো থাকাটা শেখা আসলে আমাদের দরকার। তাছাড়া মুক্তিযুদ্ধের পুরো কাহিনী খুব সংক্ষেপে আপনি এখানে উপস্থাপন করেছেন । যা পরে অনেকেই অনেক কিছু জানতে পারবে। ঠিকই বলেছেন ভাইয়া স্বাধীন দেশ হলেও এখনো অনেক লোক স্বাধীনতার জন্য যুদ্ধ করে যাচ্ছে। নিজেদের সকলের এই অন্য বস্ত্র বাসস্থান যেদিন নিশ্চিত হবে সেদিনই আবারও দ্বিতীয় স্বাধীনতা দিবস হবে । ভালো লাগলো আপনার লেখাটি পড়ে। ধন্যবাদ আপনাকে।

আপনার ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম আপু। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু 🌼

আমরা মানুষ কোন পর্যায়ে চলে গেছি যে আমাদের ভালো থাকাটা শিখতে হচ্ছে। বিজয় বা স্বাধীনতা অনেক সংগ্রামের পর অর্জন করা যায়। কিন্তু বিজয় অর্জন করেই কী লাভ বলেন ভাই যদি মানুষ জান মালের নিরাপত্তা না থাকে। না থাকে বাক স্বাধীনতা। দেশটা এখন দূর্নিতীবাজদের কাছে যেন ব‍্যবসাক্ষেএ। আপনাকে বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা।।

একদম! খুব বাজে অবস্থায় যাচ্ছি আসলে আমরা। বিজয় অর্জন করার পরও এখনও স্বাধীনতা নেই!