নিমিষেই সব শেষ!

in hive-129948 •  11 months ago 

15-03-2024

০১ চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ


🌼আসসালামুআলাইকুম সবাইকে🌼


কেমন আছেন সবাই? আশা করছি সবাই ভালো আছেন। তো ভালো থাকতে পারাটাই হলো সবচেয়ে বড় বিষয়। তবে আপনি শুধু ভালো থাকলেই কি হবে! আপনার আশেপাশে যারা আছে তাদের খোজঁখবর নেয়ার দায়িত্ব কিন্তু আপনার। আপনার পাশেই আপনার প্রতিবেশি হতে পারে সে না খেয়ে আছে অথবা অসুস্থতায় ভুগছে। কিন্তু আপনি তাদের খোজঁই নিলেন না! আসলে আমাদের মানসিকতার ব্যাপক পরিবর্তন হয়েছে। আগে নিজের ভালোটা নিয়েই ব্যস্ত আমরা। আমাদেরটুকু পেয়ে গেলেই আমরা খুশি হয়ে যায়। রমজান মাসে অনেক মানুষই না খেয়ে ইফতার করে! আমাদের উচিত তাদেরকেও ইফতারের দাওয়াত দেয়া। ইফতারের ব্যবস্থা করে দিতে পারলে আরও বেশি ভালো। তবে আজকের বিষয় সেখানে না।

IMG20240315075951.jpg

গতকাল আমি বাড়িতে গিয়েছিলাম। মূলত একটা জবের ভাইবা আছে। আমার কাগজপত্র আবার সব বাড়িতে। তো রোজা রেখে জার্নি করাটাও কঠিন। কাল সন্ধ্যার দিকে রওয়ানা দিয়েছিলাম বাড়ির উদ্দেশ্য। গাজীপুর থেকে নান্দাইল যেতে তিনঘন্টার মতো লাগে। তো ভালোভাবেই বাড়িতে গেলাম। অনেকদিন পর মনে হচ্ছিল নান্দাইলে পা দিলাম। নান্দাইল শহরের চিত্র প্রতিনিয়তই পরিবর্তন হচ্ছে। যেহেতু রমজান মাস এজন্য নয়টার সময়ই দোকানপাঠ বন্ধ করে দেয়। সবাই তারাবি নামাজ আদায় করতে মসজিদে চলে যায়। আমি যখন বাজার দিয়ে যাচ্ছিলাম তখন দেখলাম রাস্তাঘাটের পাশে মোটামুটি সব দোকানপাঠই বন্ধ। তো সারাদিন রোজা রেখে একেবারে ক্লান্ত হয়ে গিয়েছিোম। বাড়িতে গিয়ো ফ্রেশ হয়ে রাতের খাবার খেয়ে শুয়ে পরলাম।

ঠিক রাত দুইটার সময় হঠাৎ করেই আমার মায়ের ফোনে আমার ফুফু ফোন দেয়! ফোন দিয়ে বলে যে বাজারে আগুন লেগেছে। নান্দাইল বাজারের পাঠমহল থেকে শুরু করে মোটামুটি বেশ কয়েকটি দোকানে আগুন লেগে যায়। আমার ফুফু কান্না করে দেয়ার মতো অবস্থা! কারণ ফুফুর বাসা আবার নান্দাইল বাজারে। আমার মা বলেছিল ফুফুকে আমাদের বাড়িতে চলে আসার জন্য। কিন্তু রাত হয়েছিল এজন্য আসেনি। তবে স্বস্তির খবর ছিল ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট তখনই চলে আসে। আমার মা রাতেই আমাকে বলে যে বাজারে আগুন লেগেছে! আমি তা শুনেই উঠে বসি। আসলে এমন ঘটনাগুলো মারাত্মক!

IMG20240315075949.jpg

IMG20240315075946.jpg

অবশেষে জানতে পেরেছিলাম ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা এক ঘন্টার অভিযানে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়। তবে ততোক্ষণে অনেক ক্ষয়ক্ষতি হয়ে যায়। বেশ কয়েকটি স্বর্ণালঙ্কার, মনিহারি ও সার ও কীটনাশকের দোকান একদম পুড়ে ছাই হয়ে যায়। আমি আতঙ্কে ছিলাম কারণ আমার বন্ধুর বাবার দোকানটাও সেখানে ছিল। মনে মনে যেটা ভাবছিলাম সেটাই হলো! সকালে গিয়ে দেখি আমার বন্ধু তপুদের দোকানটাও ছাই হয়ে গিয়োছে। এটা দেখার পর আমার খুবই খারাপ লাগলো। আমার বন্ধু তপু বুটেক্সে পড়াশোনা করছে। তার বাবার একটি মাত্র দোকান, সেটা অনেক কষ্টে দাড়ঁ করিয়েছিল। কিন্তু আগুনের লোলিহান শিখা নিমিষেই গ্রাস করে দিল।

সব কয়টি দোকান মিলে প্রায় এক কোটি টাকার মতো ক্ষতি হয়েছে। হয়তো এ ক্ষতিটা কখনো পূরণ হবে না। তবে নিমিষেই যে স্নপ্নগুলো মাটির সাথে মিশে গেল সেটা স্পষ্ট। বর্তমানে বাংলাদেশে এমন ঘটনা প্রতিনিয়ত ঘটছে। কতোশত প্রাণ, জিনিসপত্র ক্ষয়ক্ষতি হচ্ছে। আসলে আমাদের সঠিক জ্ঞান দেয়া হয়না আগুন নেবানোর জন্য! আর আমরা এসব আমলেও নেয় না। আমাদের উচিত এসব অস্বাভাবিক দূর্ঘটনায় সতর্ক থাকা। ছোট্র একটি ভুল যে অনেক বড় ক্ষতির কারণ হতে পারে সেটার জন্য আগে থেকেই পদক্ষেপ নেয়া জরুরি।

DeviceOppo A12
Photographer@haideremtiaz
LocationNandail,Mymensingh


10% beneficary for @shyfox ❤️

C3TZR1g81UNaPs7vzNXHueW5ZM76DSHWEY7onmfLxcK2iNzq2MSXKSji21JRspt4nqpkXPR5ea7deLzvmJtuzVBwdLJUpBqtgAZ5gHtHPbayD2jR3CWqjkJ.png

ধন্যবাদ সবাইকে



WhatsApp Image 2021-12-23 at 19.46.54.jpeg

আমি কে?

IMG-20211205-WA0092.jpg

আমার নাম হায়দার ইমতিয়াজ উদ্দিন রাকিব। সবাই আমাকে ইমতিয়াজ নামেই চিনে। পেশায় আমি একজন ছাত্র। সম্প্রতি আমি ইলেকট্রিক্যাল থেকে ডিপ্লোমা ইন-ইঞ্জিনিয়ারিং শেষ করেছি। এখন বিএসসি এর জন্য প্রিপারেশন নিচ্ছি। পাশাপাশি লেখালেখি করে আসছি গত দু বছর ধরে। ভালো লাগার জায়গা হলো নিজের অনুভূতি শেয়ার করা, আর সেটা আমার বাংলা ব্লগের মাধ্যমেই সম্ভব হয়েছে। যাক,
নিজেকে সবসময় সাধারণ মনে করি। অন্যের মতামতকে গুরুত্ব দেয় এবং তা মেনে চলার চেষ্টা করি। বাংলা ভাষায় নিজের অভিমত প্রকাশ করতে ভালো লাগে। তাছাড়া ফটোগ্রাফি,ব্লগিং,কুকিং,রিভিউ,ডাই ইত্যাদি করতে ভালো লাগে। অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়াতে ভালো লাগে। বাংলাদেশে জন্মগ্রহণ করতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে করি। ভবিষ্যতে প্রিয় মাতৃভূমির জন্য কিছু করতে চাই।

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
image.png
please click it!
image.png
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)

The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

image.png

খুব খারাপ লাগছে ছবিগুলো দেখে। আসলে এভাবে এতগুলো দোকান পুড়ে ছাই হয়ে গেল। কত শত স্বপ্ন যে মাটিতে মিশে গেল তার সীমা নেই। তাছাড়া আপনার ফুফুর বাড়ি নান্দাইল বাজারেই ছিল সেখানে যদি কিছু হত তাহলে হয়তো খুব বেশি খারাপ হয়ে যেত। তবে আপনার বন্ধুর বাবার দোকান পুড়ে গিয়েছে সেটা দেখাই যাচ্ছে। এর ক্ষতিপূরণ কখনোই সম্ভব নয়। তবে কোথা থেকে আগুনের উৎপত্তি হয়েছে সেটা কি জানা গিয়েছে?

এটা এখনও জানা যায়নি আপু! তবে ধারণা করেছে বিদ্যুৎ এর কারণে হয়েছে

ঠিক বলেছেন ভাই, এমন অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা প্রতিনিয়ত ঘটে চলেছে। এই ঘটনাগুলো সম্পর্কে আমাদের কিছুটা হলেও জ্ঞান থাকা দরকার এবং বিশেষভাবে সতর্ক থাকা দরকার। তা না হলে দিনকে দিন এমন অগ্নি কান্ডের ভয়াবহতা কত মানুষকে নিঃস্ব করে দেবে তার কোন সঠিক হিসাব থাকবে না। খুবই খারাপ লাগলো ভাই অগ্নিকাণ্ডের এমন তান্ডব লীলা দেখে। আর এই তান্ডব লীলায় আপনার বন্ধু তপুদের দোকান একদম ছাই হয়ে গেছে। এমন দুর্ঘটনাগুলো মেনে নেওয়া সত্যিই কঠিন। যাইহোক ভাই, পুড়ে যাওয়া দোকানের মালিকেরা ও আপনার বন্ধুর বাবা যেন এই অগ্নিকাণ্ডের শোক থেকে বেরিয়ে আসতে পারে এই প্রত্যাশা করছি।

আমিও ভাই সে প্রত্যাশাই করছি ☘️

অগ্নিকাণ্ডের এই ঘটনা গুলো আসলেই মারাত্মক ৷ আজকাল প্রায় শোনা যাচ্ছে এমন দূর্ঘটনা কথা ৷ এই দূর্ঘটনায় নিমিষেই শেষ হয়ে যাচ্ছে মানুষের জীবন , সম্পদ ৷ যাই হোক , সতর্ক থাকতে হবে আমাদের ৷ আপনাদের নান্দাইল বাজারে আগুন লেগেছে এবং আপনার বন্ধুর বাবার দোকান সহ আরো কয়েকটা দোকান পুড়ে গেছে জেনে খুবই খারাপ লাগলো ৷

Posted using SteemPro Mobile

আসলেই ভাই, আমাদের সতর্ক থাকা জরুরি। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে ☘️

ডাকাতি হলেও কিছু থাকে,কিন্তু আগুন লাগলে নিমিষেই সব শেষ হয়ে যায়। কতো মানুষের স্বপ্ন শেষ হয়ে গেলো।চারিদিকে শুধু আগুন আর আগুন লাগছে। আমরা আসলেই অসতর্ক। আগুন নিভানোর জন্য আমাদের পর্যাপ্ত জ্ঞান অবশ্যই থাকা উচিত। আপনার বন্ধুর বাবার দোকান পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে, জেনে ভীষণ খারাপ লাগলো ভাই। যাইহোক পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।

এটা ঠিক বলেছেন ভাইয়া! ডাকাতি হলেও কিছু থাকে কিন্তু আগুন লাগলে সব পুড়ে ছাই হয়ে যায়।

প্রতিনিয়ত প্রতিটি মুহূর্তেই আমাদের দেশে মারাত্মক ঘটনাগুলো ঘটেই যাচ্ছে। আসলে কিছুই বুঝতে পারতেছি না সৃষ্টিকর্তা কিভাবে বা কেন করতেছেন এমন মারাত্মক ঘটনা গুলো আমাদের সাথে। হয়তো এগুলো মানুষকে শিক্ষা দেওয়ার জন্য করে থাকছেন। বর্তমান সময়ে মানুষ গুলো এত অমানবিক হয়ে গেছে। কেউ কাউকে পাশে ফিরে তাকানোর সময় দেয় না। কিংবা কেউ কারও জন্য চিন্তা ভাবনা করে না। এইতো দেখতে পাচ্ছেন এক নিমিষেই লক্ষ লক্ষ টাকার জিনিস পড়ে ছাই হয়ে গেল। কিন্তু মানুষের অহংকার কমে না।

আসলেই আপু, মানুষের দাম্ভিকতা ঠিক থেকে যায়। এমন ঘটনাগুলো থেকে আমাদের শিক্ষা নেয়া জরুরি।