ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদে একদিন

in hive-129948 •  3 months ago  (edited)

23-11-2024

০৮ অগ্রহায়ণ , ১৪৩১ বঙ্গাব্দ


🌼আসসালামুআলাইকুম সবাইকে🌼


কেমন আছেন সবাই? আশা করছি সবাই ভালো ও সুস্থ্য আছেন। তো সকলের সুস্বাস্থ্য জানিয়ে আজকে চলে এলাম আপনাদের মাঝে পাগলা মসজিদে যাওয়ার অনুভূতি শেয়ার করবো। কিশোরগঞ্জ এর ঐতিহাসিল পাগলা মসজিদ সম্পর্কে বাংলাদেশের অধিকাংশ মানুষই জানে। আসলে পাগলা মসজিদের ইতিহাস অনেক পুরনো। বলা হয়ে থাকে, মানুষের মনের আশা পূরণ করার জন্য এখানে অনেকে এসে নামাজ আদায় করে। এছাড়াও অনেকে দান খয়রাত করে থাকে। সপ্তাহের সাতটি দিনই মানুষ এখানে আসে। এটি একইসাথে ইসলামিক ফাউন্ডেশন দ্বারা পরিচালিত হয়। এখানে দানের পরিমাণ অনেক বেশি হয়। প্রায় দু তিন কোটির উপর টাকা হয়। প্রতি মাসে একবার এ টাকার হিসেব করা হয়।

তো যাইহোক, আমার ইচ্ছে ছিল ডুয়েটে চান্স পেলে পাগলা মসজিদে গিয়ে নামাজ আদায় করবো। ডুয়েট পরীক্ষা দিয়েই বাড়িতে চলে আসছিলাম। গতকাল শুক্রবার ছিল। শুক্রবারে মানুষের উপচে পরা ভীড় থাকে মসজিদে। দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে মানুষ আসে নামাজ আদায় করার জন্য। আমাদের বাড়ি থেকে পাগলা মসজিদ কাছেই। অটো দিয়ে গেলে ৩০ মিনিটের মতো সময় লাগে। তো সকাল সাড়ে দশটার দিকে রওয়ানা দিয়ে দেয়। যাওয়ার পথে প্লেন ছিল আত্নীয়স্বজনদের বাড়িতে দেখা করে যায়। আমার খালু ক্যান্সার আক্রান্ত ছিল। যাওয়ার পথে উনাকে দেখলাম। তারপর পাগলা মসজিদ যেতে যেতে বারোটা বেজে যায়। কিন্তু বারোটায় গিয়েও জায়গা পেলাম না।

দুতলা বিল্ডিং বিশিষ্ট মসজিদটি মানুষের উপচে পরা ভীড়। উপরে গিয়ে দেখি মানুষে ভরপুর। কোনো জায়গা পেলাম না। তাই নিচে বাহিরে মুচলা বেছানো হয়। তারউপর রোদের প্রখরও ছিল। কিন্তু সেখানেই গিয়ে বসলাম। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা মানুষজন এখানে এসে একের পর এক ফটোগ্রাফি ও ভিডিও করতে থাকে। তবে কর্তৃপক্ষ থেকে দেখলাম নোটিশ দিয়েছে ফটোগ্রাফি করা যাবে না। কিন্তু বিষয়টা কেউই আমলে নিচ্ছে না। তবে এবার একটা বিষয় দেখলাম। পাগলা মসজিদে অনেক ভলেন্টিয়ার নিয়োগ করা হয়েছে। একেকজন একেক জায়গায় শৃঙ্খলার কাজ করছে। এদিকে আমি হুজুরের খুতবা শুনতে থাকি।

IMG20241122140235.jpg

IMG20241122140251.jpg

IMG20241122125309.jpg

IMG20241122125305.jpg

IMG20241122140228.jpg

IMG20241122125313.jpg

হুজুর আখেরাত নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা করে। খুতবা শেষ হওয়ার পর জুম্মার দু রাকআত নামাজ শুরু হয়। নামাজ আদায় করার পর আমি কয়েক রাকআত নফল নামাজ আদায় করি। নফল নামাজ আদায় করে তার পর বাড়ির দিকে রওয়ানা দিয়ে দেয়।

DeviceOppo A12
Photographer@haideremtiaz
LocationPagla Mosjid, Kishoregonj


10% beneficary for @shyfox ❤️

C3TZR1g81UNaPs7vzNXHueW5ZM76DSHWEY7onmfLxcK2iNzq2MSXKSji21JRspt4nqpkXPR5ea7deLzvmJtuzVBwdLJUpBqtgAZ5gHtHPbayD2jR3CWqjkJ.png

ধন্যবাদ সবাইকে



WhatsApp Image 2021-12-23 at 19.46.54.jpeg

আমি কে?

IMG_4442.JPG

আমার নাম হায়দার ইমতিয়াজ উদ্দিন রাকিব। সবাই আমাকে ইমতিয়াজ নামেই চিনে। পেশায় আমি একজন ছাত্র। সম্প্রতি আমি ইলেকট্রিক্যাল থেকে ডিপ্লোমা ইন-ইঞ্জিনিয়ারিং শেষ করেছি। এখন বিএসসি এর জন্য প্রিপারেশন নিচ্ছি। পাশাপাশি লেখালেখি করে আসছি গত দু বছর ধরে। ভালো লাগার জায়গা হলো নিজের অনুভূতি শেয়ার করা, আর সেটা আমার বাংলা ব্লগের মাধ্যমেই সম্ভব হয়েছে। যাক,
নিজেকে সবসময় সাধারণ মনে করি। অন্যের মতামতকে গুরুত্ব দেয় এবং তা মেনে চলার চেষ্টা করি। বাংলা ভাষায় নিজের অভিমত প্রকাশ করতে ভালো লাগে। তাছাড়া ফটোগ্রাফি,ব্লগিং,কুকিং,রিভিউ,ডাই ইত্যাদি করতে ভালো লাগে। অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়াতে ভালো লাগে। বাংলাদেশে জন্মগ্রহণ করতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে করি। ভবিষ্যতে প্রিয় মাতৃভূমির জন্য কিছু করতে চাই।

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

আপনার ডুয়েটের ফলাফল আমাদের কে অবশ্যই জানাবেন ভাইয়া। আসলে পাগলা মসজিদ বাংলাদেশের মধ্যে একটি জনপ্রিয় মসজিদ। শুক্রবার প্রায় সব গুলো মসজিদের মধ্যে অনেক পরিমাণে ভীড় লেগে যায়। যাইহোক, আপনি মানুষের ভীড় কে উপেক্ষা করে মসজিদে গিয়েছিলেন, দেখে বেশ ভালো লাগলো। আশা করছি আপনার পরীক্ষার ভালো একটি ফলাফল হবে।

আমি ডুয়েটে চান্স পেয়েছি ভাই। দোয়া করবেন আমার জন্য।

বাহ ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদ তো দেখতে খুবই সুন্দর! নাম শুনেছি তবে কখনো দেখার সুযোগ হবে কিনা জানিনা। কিন্তু একটা সুবিধা হলো আপনার ব্লগের মাধ্যমে সবকিছু দেখার সুযোগ হয়ে গেল। ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদে ঘোরাঘুরি করলেন। সুন্দর ফটোগ্রাফির মাধ্যমে আপনার মনের অনুভূতিগুলো আমাদের সাথে শেয়ার করলেন। আপনার আজকের ব্লগটি পড়ে অনেক ভালো লেগেছে।

আপনার ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম আপু। ধন্যবাদ আপনাকে 🌸

এভাবে একজন আরেকজনের মাঝে নতুন কিছু তুলে ধরতে পারে। ঠিক তেমনি আপনার মাধ্যমে অজানা একটি মসজিদ সম্পর্কে ধারণা পেলাম। এত সুন্দর ব্লগটা আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য ধন্যবাদ।

আপনাকেও ধন্যবাদ আপু চমৎকার মন্তব্য করার জন্য।

এই পাগলা মসজিদের নাম শুনেছি বেশ কয়েকবার। টিভিতে অনেক বার দেখেছি। প্রতি মাসে এই মসজিদের দান বাক্স খুললে টাকার পরিমাণ কোটি ছাড়িয়ে যায়। আপনার ইচ্ছা পূরণ হওয়ার পরে এখান গিয়ে নামাজ আদায় করেছেন দেখে বেশ ভালো লাগল।

যায় হোক আর যাই হোক, দুটোর অর্থ আলাদা

ঠিক আছে দাদা 🙏

কিশোরগঞ্জ এর ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদের নাম অনেক শুনেছি। আমাদের এখান থেকে ঈদের সময় অনেকে সেই মসজিদে নামাজ পড়তে যায়। বেশ ভালো লাগলো ফটোগ্রাফি গুলো দেখে। যেহেতু আপনার ইচ্ছে ছিলো ডুয়েটে চান্স পেলে আপনি সেখানে গিয়ে নামাজ আদায় করবেন, সেই ইচ্ছেটা পূরণ করে ফেললেন। যাইহোক পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।

হুমম ভাই অনেকেই নামাজ আদায় করতে আসে এখানে। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ☘️