বাস্তবতা বুঝতে শেখা জরুরি!

in hive-129948 •  2 days ago 

01-02-2025

১৭ মাঘ , ১৪৩১ বঙ্গাব্দ


🌼আসসালামুআলাইকুম সবাইকে🌼


smartphone-2269340_1280.jpg

copyright free jmage from pixabay

কেমন আছেন সবাই? আশা করছি সবাই ভালো ও সুস্থ্য আছেন। তো দিনশেষে সুস্থ্য থাকাটা জরুরি। আপনি সুস্থ্য না থাকলে কোনো কিছুই করতে পারবেন না। এজন্য জীবনটাকে রুটিনের মধ্যে নিয়ে আসা জরুরি। আপনি যদি জীবনের জন্য সঠিক একটা রুটিন তৈরি করতে পারেন তাহলে আমি বিশ্বাস করি আপনি সহজেই সুস্থ্য থাকতে পারবেন। সোস্যাল মিডিয়ার যুগে এসে আমাদের জীবনটা অনেকটা রোবটিক টাইপের হয়ে গেছে। একে তো আমরা অলস হয়ে যাচ্ছি দিনকে দিন। সবকিছুতেই এখন মেশিন টুলসের উপর ডিপেন্ত করছি। আমাদের ব্রেইনটাকে খুবই কম কাজে লাগাচ্ছি যেটা মোটেও ঠিক নয়। আমাদের জীবনটা রুটিনমাফিক না হওয়াতে আমরা এক্টিভলি কোনো কাজ করতে পারি না। দিনকে দিন আমাদের ধৈর্যের সীমা কমে যাচ্ছে। আমাদের ব্রেইন এখন মাল্টিটাস্ক করতে সিগনাল দেয়। কারণ হচ্ছে সোস্যাল মিডিয়া ব্যবহার করার ফলে আমরা যখন কোনো একটা কাজ শুরু করি তখন আমাদের মস্তিষ্ক পরে থাকে সোস্যাল মিডিয়াতে!

কোনে একটা পিকচার আপলোড দিলে আমরা বারবার চেক করি কে কয়টা লাব রিয়েক্ট, কেয়ার রিয়েক্ট দিল! তার মানে আমি যে কাজটা শুরু করেছিলাম সেটা কিন্তু হচ্ছে না। আপনি যে কাজটা ১৫ মিনিটে করে ফেলার কথা আপনি সেটা সম্পন্ন করতে লাগিয়ে দিচ্ছেন ১ ঘন্টা! আপনার টাইম কিন্তু অপচয় হচ্ছে। গুরুত্বপূর্ণ কাজ হলে সেটা যথাসময়ে জমা দিতে না পারলে সেটার জন্য বসের কথা তো শুনতেই হয়। যথচ আপনি যদি কাজটা যথাসময়ে করে ফেলতেন তাহলে কিন্তু কথা শুনতে হতো না।

বাস্তবতা হলো আমাদের লাইফটাকে সোস্যাল মিডিয়ার উপর ডিপেন্ড করে ফেলতেছি! আপনি সারাদিন একের পর এক রিলস দেখেই যাচ্ছেন! আপনার ক্লান্তি বোধও হচ্ছে না। আপনার সামনে ফানি কনটেন্ট, শিক্ষণীয় কনটেন্ট সবই আসছে। এমন একটা ঘুরের মধ্যে আপনি আছেন সেটা থেকে বেরও হতে পারছেন। সোস্যাল মিডিয়া আপনার লাইফটাকে এমনভাবে কনট্রোল করছে আপনি নিজেও কল্পনা করতে পারবেন না। একটা বিষয় দেখেন, এখনকার মানুষ কতো অলস চিন্তা করেন! এক হাতে ফোন চালাতেও এখন অলসতা ফিল করে। বিশেষ করে বড় সাইজের ভিডিও কনটেন্ট দেখবেন এখন মানুষ কম দেখে।

মানুষের ধৈর্যের লেভেল এখন কমে যাচ্ছে। মানুষজন এখন শর্টস ভিডিওতেই কম্পোর্ট ফিল করে। আর ফেইসবুক করলো কি, তারা ঠিক সেই কাজটাই করলো যেটা আপনার জন্য সহজ! আপনি জাস্ট একটা আঙুল দিয়ে একটার পর একটা রিলস দেখে যাচ্ছেন! অথচ আপনার কোনো ক্লান্তি আসছে না। আর আপনি রিলস দেখা বাদও দিতে পারছেন না। কারণ শর্ট ভিডিও এর পাশাপাশি ফানি অথবা শিক্ষণীয় কোনো কনটেন্ট এসে যাচ্ছে আপনার সামনে। সম্প্রতি একটা গবেষণায় বলেছে যে, রিলস দেখাও নাকি একটি রোগ! আমার কাছেও ব্যাপারটা তাই মনে হয়।

রিলসের প্রতি দিনকে দিন মানুষের এতো আকর্ষণ বাড়ছে কেন আমি বুঝি না। মানুষের ব্রেইনের কর্মক্ষমতা কমে যাচ্ছে। বাস্তবতা হলো একটা সময় মানুষজন পড়ালেখার প্রতি ইন্টারেস্ট হারিয়ে ফেলবে। এখনি সেসবের প্রমাণ দেখতে পাচ্ছি। সোস্যাল মিডিয়াটাকে আমাদের যথাযথ উপায়ে ব্যবহার করা উচিত। আপনি যখন রিলস দেখে সময় নষ্ট করছেন ঠিক সেই মোমেন্ট এ কেউ হয়তো তার স্বপ্ন পূরণের জন্য কাজ করে যাচ্ছে। দিনশেষে আপনি অনেক পিছিয়ে আছেন। আপনি জীবনে সাকসেস এতো সহজে হতে পারবেন কি! কারণ জীবনটা আসলে যুদ্ধ ক্ষেত্র।

বাস্তবতা হলো সারাদিন রিলস দেখে আপনার কোনো লাভ হবে না। উল্টো আপনার নিজের ক্ষতি আপনি নিজেই করছেন। সময়কে গুরুত্ব দিন। তাহলে দেখবেন একটা সময় শেষে আপনি সাফল্যের চূড়ায় পৌঁছে যাবেন। বাস্তবতা বুঝতে শিখুন, নিজের জীবনটাকে ভালোবাসুন।



10% beneficary for @shyfox ❤️

1000158488.jpg

PUSS COIN:BUY/SELL

C3TZR1g81UNaPs7vzNXHueW5ZM76DSHWEY7onmfLxcK2iNzq2MSXKSji21JRspt4nqpkXPR5ea7deLzvmJtuzVBwdLJUpBqtgAZ5gHtHPbayD2jR3CWqjkJ.png

ধন্যবাদ সবাইকে



WhatsApp Image 2021-12-23 at 19.46.54.jpeg

আমি কে?

IMG_4442.JPG

আমার নাম হায়দার ইমতিয়াজ উদ্দিন রাকিব। সবাই আমাকে ইমতিয়াজ নামেই চিনে। পেশায় আমি একজন ছাত্র। বর্তমানে ডুয়েটে অধ্যয়নরত আছি। পাশাপাশি লেখালেখি করে আসছি গত তিন বছর ধরে। ভালো লাগার জায়গা হলো নিজের অনুভূতি শেয়ার করা, আর সেটা আমার বাংলা ব্লগের মাধ্যমেই সম্ভব হয়েছে। নিজেকে সবসময় সাধারণ মনে করি। অন্যের মতামতকে গুরুত্ব দেয় এবং তা মেনে চলার চেষ্টা করি। বাংলা ভাষায় নিজের অভিমত প্রকাশ করতে ভালো লাগে। তাছাড়া ফটোগ্রাফি,কবিতা লেখা,গল্প লেখা ,রিভিউ,ডাই এবং আর্ট করতে ভালো লাগে। অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়াতে ভালো লাগে। বাংলাদেশে জন্মগ্রহণ করতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে করি। ভবিষ্যতে প্রিয় মাতৃভূমির জন্য কিছু করতে চাই।

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

দুনিয়ার বুকে টিকে থাকতে হলে প্রথমে নিজেদের মধ্যে ধৈর্য শক্তি বৃদ্ধি করতে হবে। আর এই ধৈর্য শক্তি আমাদের বাস্তবতাকে চেনাতে শেখাবে। তাই আমি মনে করি নিজেদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে হলে অবশ্যই ধৈর্য শক্তি অনেক বেশি প্রয়োজন। এতে করে আমরা আমাদের দুনিয়াটা চিনতে শিখবো।

এটা একদম ঠিক বলেছেন আপু। আগে নিজেদের মধ্যে ধৈর্যশক্তি নিয়ে আসতে হবে।

এটা মোটেও উচিত নয় আমরা যদি আমাদের জীবনটাকে সোশ্যাল মিডিয়ার উপরে নির্ভরশীল করে তুলে তাহলে আমরা অনেক পিছিয়ে যাব। এটা বাস্তব যে আমরা 15 মিনিটের কাজ এক ঘন্টা করে ফেলি। তাহলে এত লেট করে করার ফলে সেটা আমাদের কোন উপকারে আসবে না। আমরা যদি সময়ের কাজ যথাসময়ে করতে পারি তাহলে আমাদের এগিয়ে যাওয়া খুবই সহজ হবে। আমাদেরকে বাস্তবতার সাথে মিল রেখে কাজ করতে হবে পরিস্থিতি বুঝতে হবে। লেখাগুলো আপনি খুব সুন্দর লিখে শেয়ার করলেন।

এটা একদম ঠিক বলেছেন আপু সময়ের কাজ সময়ে করা জরুরি। আর সোস্যাল মিডিয়াটা যথাযথভাবে ব্যবহার করা উচিত আমাদের।

যে যত বেশি বাস্তবতা জানতে শিখবে সে তত জীবনকে চিনতে পারবে। কারণ আমি মনে করি নিজেকে এই দুনিয়ার বুকে ভালো জায়গা করে নিতে হলে অবশ্যই বাস্তবতা জানা প্রয়োজন। খুব ভালো লাগলো আপনার লেখা গুলো পড়তে পেরে।

একদম ঠিক বলেছেন ভাই। বাস্তবতা সম্পর্কে জানা সকলেরই প্রয়োজন বলে মনে করি আমি।

আপনার এই কথার সাথে আমি নিজেও পুরোপুরিভাবে একমত। প্রত্যেকটা মানুষেরই উচিত বাস্তবতাকে বুঝতে শেখা। বাস্তবতার সত্যি একেবারে অন্যরকম। আসলে রিলস দেখে সময় অপচয় না করে বাস্তব জীবনের সাফল্য অর্জন করার জন্য বিভিন্ন কাজ করা উচিত।

বাস্তবতা সবকিছুর থেকেই আলাদা। রিলস দেখে সময় অপচয় তো অনেক করেছি আমরা। তবে আমাদেরকে সব সময় বাস্তবতাকে বুঝতে হবে। যার মাধ্যমে আমরা নিজেদের জীবনে সফলতা অর্জন করতে পারব। আর বাস্তবতার আসল সম্মুখীন হওয়া অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। না হলে আমরা ভালোভাবে এবং সুন্দরভাবে এই পৃথিবীতে টিকে থাকতে পারবো না।