23-04-2023
১০ বৈশাখ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
আসসালামুআলাইকুম সবাইকে
প্রথমেই সবাইকে ঈদের শুভেচ্ছা! আশা করছি প্রিয়জনদের সাথে আপনাদের ঈদ উদযাপন সুন্দর হয়েছে। ঈদের আনন্দ পরিবার, আত্নীয়স্বজনদের সাথে ভাগাভাগি করে নিয়েছেন। দীর্ঘ একটি মাস সিয়াম সাধনার পর যখন ঈদ আসে তখন মনে আলাদা একটি অনুভূতি কাজ করে। একমাস রোযা, নামাজ আদায় করতে হয়েছে যথাযথভাবে। ঈদের দিন আর রোযা রাখতে হবে না। আল্লাহ তায়ালার সন্তুষ্টির জন্য একটি মাস আমরা মুসলিম যারা আছি তারা রোযা পালন করে থাকি। ঈদের দিনের অনুভূতিটা অন্যরকম। যারা রোযা রাখেনি বা নামাজ আদায় করতে পারেনি তাদের কাছে আবার আরেক রকমের অনুভূতি। তবে ঈদ মানেই খুশি-হাসি-আনন্দ। তাই ঈদের আনন্দটা সবার সাথে শেয়ার করার মুহূর্তটাই অন্যরকম।
ছোট বেলায় ঈদ আসলেই নতুন জামা নিয়ে বেরিয়ে যেতাম মাঠে যাওয়ার জন্য। ঈদের আগে তো চাদঁ দেখে খুশির সীমা থাকতো না। হাতে মেহেদী দেয়া থেকে শুরু করে খেলাধুলাও করা হতো। কিন্তু বয়স বাড়ার সাথে সাথে সবকিছুরই পরিবর্তন হয়েছে। ঈদের উদযাপন করার অনুভূতিটাও পাল্টে যাচ্ছে। আগে তো ঈদ আসলেই অনেক সালামি পেতাম। আর এখন উল্টো সালামি দেয়া লাগে ছোটদের। তবে গত দুই বছর ধরে দাদার কাছ থেকে সালামি পাচ্ছি। অথচ আর কারো কাছ থেকে পায় না। দাদার কাছ থেকে সালামি পাওয়ার অনুভূতিটাই অন্যরকম, সেটা আর কি বলবো।
গত দুদিন ধরেই ঈদ নিয়ে নানা ধরনের তথ্য নিউজ পোর্টালগুলোতে খেয়াল করছিলাম। কেই বলছিল শুক্রবারে সৌদি আরবের সাথে ঈদ হবে। আর কেউ বলতেছিল শনিবারে ঈদ হবে। ফাইনালি শাওয়াল মাসের চাদঁ শুক্রবার সন্ধ্যায় দেখা গিয়েছিল। আর শনিবারে আমাদের ঈদ। ছোটবেলার সেই চাদঁ দেখার অনুভূতি অনেক আগেই হারিয়ে ফেলেছি। এখন আর চাদঁ দেখার ইচ্ছে জাগে না। শুধু জানতে পারি ঈদ হবে কাল বা পরশু! তবে ছোট বাচ্চাদের হৈ-হুল্লোড় অবশ্য আমাকে মনে করিয়ে দেয় ফেলে আসা সেই দিনগুলোর কথা।
যাক, ঈদের দিন তেমন কোনো প্ল্যানই ছিল না। বন্ধুরা যেহেতু সবাই গ্রামে অবস্থান করছে তাই তাদের সাথে ঈদ উপলক্ষেই তাদের সাথে দেখা হয়। গ্রামে ঈদের নামাজ মসজিদে হয়ে থাকে। করোনার সময় থেকে মসজিদভিত্তিক হয়েছিল ঈদের নামাজ। তারপর থেকে মসজিদেই ঈদের নামাজ আদায় করা হয়। আমাদের বাড়ির কাছেই খান বাড়ি জামে মসজিদ। যেহেতু ঈদুল ফিতরের নামাজ তাই একটু দেরিতেই দেয়া হয়। সকাল ৯:৩০ টার দিকে ঈদের নামাজ দেয়া হয়েছিল। আর আমাদের প্রধান ঈদগাহ মাঠ আলিয়া মাদ্রাসায় সকাল ১০ টায় দেয়া হয়েছিল। কিন্তু মাঠে আর যাওয়া হয়না। মসজিদেই নামাজ আদায় করা হয়।
সকাল সকাল ফ্রেশ হয়ে চলে গেলাম খান বাড়ি জামে মসজিদে। অনেক মুসল্লির সমাগম সেখানে। কিন্তু আমার সমবয়সী কাউকে পেলাম না। একাই ঈদের নামাজ আদায় করতে হলো। নামাজ আদায় করে সোজা বাড়িতে চলে এসেছিলাম। তারপর বিকালবেলা বন্ধু কয়েকজন প্লেন করেছিল বাইক দিয়ে ঘুরবে। কিন্তু বাইক সবারটাই ব্যস্ত, হাহা! আর বাইক দিয়ে ঘুরা হলো না। অটো রিকশা নিয়ে চলে গেলাম আমাদের এলকার পাশেই মনোরম পরিবেশে একটি জায়গা কলিমার বন এখানে। চারিদিকে খোলা মাঠ। সবুজ ধানক্ষেত চারপাশে। ঠিক তার মাঝ দিয়েই চলে গেছে রাস্তা। এপারের মানুষ ওপারে চলাচল করে এ রাস্তা দিয়েই।
আকাশ তখন ঘন কালো মেঘে রূপ নিয়েছিল। বৃষ্টি নামবে নামবে এমন একটা অবস্থা! কিন্তু বৃষ্টি নামবে না। সাথে বাতাস অনেক। এমন ওয়েদার কার না ভালো লাগে! অনেকেই দেখলাম ঘুরতে এসেছে এখানে। আমরা পাচঁ বন্ধু মিলে সেখানে কিছুক্ষণ হেটেঁ হেটেঁ আড্ডা দিয়েছিলাম সাথে কিছু ফটোগ্রাফি করা হলো। কলিমার বনের সুন্দর রূপ ধারন করে যখন বর্ষার মৌসুম আসে। রাস্তা পর্যন্ত পানি চলে আসে। চারিদিকে শুধু পানি আর পানি। আপনি এই দৃশ্য দেখলে অবশ্যই এখানে আসতে বাধ্য! অন্যরকম একটা পরিবেশের সৃষ্টি হয়। গ্রামের এই সৌন্দর্যের জন্যই গ্রামকে মানুষজন এতো পছন্দ করে।
Device | Oppo A12 |
---|---|
Photographer | @haideremtiaz |
Location | w3w |
Date | 22 April, 2023 |
যাক, সেখানে আর বেশিক্ষণ থাকা হয়নি। দেখতে দেখতে সন্ধ্যাও হয়ে গিয়েছিল। তারপর আমরা হাটঁতে হাটঁতে চলে এসেছিলাম বাড়িতে। ঈদের দিনের বিকেলটা এভাবেই কেটে যায় আসলে। তবে যেটুকু সময় বন্ধুদের সাথে ছিলাম ভালো একটা সময় পার করেছিলাম। আজকের মতো এখানেই বিদায় নিলাম তাহলে । আল্লাহ হাফেজ 🍃
10% beneficary for @shyfox ❤️
ধন্যবাদ সবাইকে
VOTE @bangla.witness as witness
OR
আমি কে?
আমার নাম হায়দার ইমতিয়াজ উদ্দিন রাকিব। সবাই আমাকে ইমতিয়াজ নামেই চিনে। পেশায় আমি একজন ছাত্র। নিজেকে সবসময় সাধারণ মনে করি। অন্যের মতামতকে গুরুত্ব দেয় এবং তা মেনে চলার চেষ্টা করি। বাংলা ভাষায় নিজের অভিমত প্রকাশ করতে ভালো লাগে। তাছাড়া ফটোগ্রাফি,ব্লগিং,কুকিং,রিভিউ,ডাই ইত্যাদি করতে ভালো লাগে। অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়াতে ভালো লাগে। বাংলাদেশে জন্মগ্রহণ করতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে করি। ভবিষ্যতে প্রিয় মাতৃভূমির জন্য কিছু করতে চাই।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ঈদ মোবারক ভাইয়া। খুব সুন্দর ঈদ উদযাপন করলেন খুব ভাল লাগলো জেনে।বিকেলে বন্ধুদের সাথে অটোতে করে কলিমার বনে গেলেন।খুব সুন্দর প্রকৃতি ফটোগ্রাফি দেখে বেশ বুঝতে পারছি। আর ওয়েদারটাও বেশ ভাল ছিল।তাইতো খুব সুন্দর সময় কাটিয়েছেন জেনে খুব ভাল লাগলো। শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
জি আপু! ওয়েদারটা উপভোগ করার মতো ছিল। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু 😍
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ঈদ মোবারক ভাইয়া। পাঁচ বন্ধু মিলে খুব সুন্দর কিছু মুহূর্ত কাটিয়েছেন। কলিমার বন জায়গাটা খুবই সুন্দর। আর ওয়েদারটাও দারুন ছিল। আপনাদের এদিকে ঈদের দিন দেখছি বাতাস আবার আকাশ মেঘলা, গাজিপুরে তো বাইরে বের হওয়া যাচ্ছিল না এমন রোদ ছিল। যাইহোক, ফটোগ্রাফি গুলো দেখে ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপনাকে মুহূর্তগুলো শেয়ার করার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
হুমম। গাজীপুরে শুনেছিলাম বেশ রোদ ছিল। গ্রামের দিকে একটা ঠান্ডা ঠান্ডা ভাব ছিল। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit