জয় দিয়ে শুরু করলো বাংলাদেশ!

---

🌼আসসালামুআলাইকুম সবাইকে🌼

কেমন আছেন সবাই? আশা করছি সবাই ভালো ও সুস্থ্য আছেন । তো সকলের সুস্বাস্থ্য কামনা করে আজকে চলে এলাম আপনাদের সাথে খেলা নিয়ে আলোচনা করতে। আপনারা হয়তো জানেন যে, জিম্বাবুয়ে দল বাংলাদেশ সফরে এসেছে। তাদের সাথে টি-টোয়েন্টি ম্যাচের সিরিজ রয়েছে। আর কদিন পর অবশ্য টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। সে হিসেবে বাংলাদেশের প্লেয়ারদের মাঝে আত্মবিশ্বাস ফিরিয়ে আনার জন্য এখন টি-টোয়েন্টি ম্যাচগুলো খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বলতে গেলে বাংলাদেশের ফেভরিট প্রতিপক্ষ জিম্বাবুয়ে। তো গতকাল বাংলাদেশ ও জিম্বাবুয়ের মধ্যকার প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়। খেলার শুরুতেই টসে জিতে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ ক্রিকেট টিম। প্রথমেই জিম্বাবুয়ের দুই ব্যাটার গাম্বি ও ইরভাইন ব্যাটিং করতে আসে। গাম্বির ব্যাটিং আগে দেখা হয়নি। নতুন জয়েন করেছে জিম্বাবুয়ে টিমে।

_{screenshot from T-Sports}

খেলার শুরুতেই হোচঁট খেয়ে বসে জিম্বাবুয়ে। কারণ মেহেদী হাসান যখন দ্বিতীয় ওভার করতে আসে তখন ইরভাইন আউট হয়ে সাজঘরে ফেরে। তারপর মাঠে খেলতে আসে বেনেট। বেনেটের খেলাও আগে দেখা হয়নি। জিম্বাবুয়ে বেশ কয়েকজন প্লেয়ার নতুন এসেছে। তাদের খেলা দেখা হয়নি। আর বাংলাদেশ টিমেও সাইফুদ্দিনকে নেয়া হয়েছে। সাইফুদ্দিন অনেকদিন দলের বাইরে ছিল। গাম্বি আর বেনেট মিলে খেলাটা কিছুটা গতিশীল রাখার চেষ্টা করছিল। তবে বাংলাদেশের পিচে বাংলাদেশের বোলাররা সবসময় বাড়তি একটা সুবিধা পায়। জিম্বাবুয়ের দলীয় সংগ্রহ যখন ৩৬ রানের তখন গাম্বিকে আউট করে সাজঘরে পাঠায় সাইফুদ্দিন। তারপর মাঠে আসে শন উইলিয়ামস! কিন্তু মাঠে এসেই তাসকিনের বলে বোল্ড আউট হয়ে সাজঘরে চলে যায়। ব্যাটিং করতে নামে ক্যাপ্টেন সিকান্দার রাজা! মেহেদী হাসানের বলে সেও শিকার হয়। শূন্য রান করে মাঠ ছাড়তে হয় সিকান্দার রাজাকে।

_{screenshot from T-Sports}

তারপর বলতে গেলে জিম্বাবুয়ের কেউ তেমনভাবে দাঁড়াতে পারেনি। শেষের দিকে এসে মাডান্ডা ও মাসাকাদজার পার্টনারশিপ এর সুবাধে সব কটি উইকেট হারিয়ে ১২৪ রান করতে সক্ষম হয়! তো এটা বাংলাদেশ টিমের জন্য সহজই ছিল। কারণ ১২০ বলে ১২৪ রান নেয়া কোনো ব্যাপার না। তবে বাংলাদেশ টিমকে আবার বিশ্বাসও করা যায় না! কখন কি করে বসে। ব্যাটিং করতে নামে তানজিদ হাসান ও লিটন দাস। লিটন দাস দ্বিতীয় ওভারেই মোজারাবানির বলে বোল্ড আউট হয়ে সাজঘরে ফিরে! তারপরে মাঠে আসে শান্ত! শান্ত সাকিবকে নিয়ে দেখেশুনে খেলার চেষ্টা করে। মোটামোটি সিংগেল রান নিয়ে খেলতে থাকে। এতে করে চাপটাও কিছুটা বাড়ছিল কারণ। ৫৬ বলে ৫৭ রান কমই! দরকার ছিল ওভার প্রতি প্রায় ছয় রান করে। উইকেট থাকলে জেতা কোনো বিষয় না। তবে বাংলাদেশের দলীয় সংগ্রহ যখন ৫৭ রান তখন শান্ত আউট হয়ে যায়।

_{screenshot from T-Sports}

তারপর মাঠে আসে তৌহিদ হৃদয়। তৌহিদ হৃদয় ও তানজিদ সাকিব দুজনে মিলেই দেখেশুনে খেলতে থাকে। শেষ অবধি দুজনই খেলা জিতিয়ে মাঠ ছাড়ে। এরই মাধ্যমে ৫ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে ১-০ তে এগিয়ে যায় বাংলাদেশ। ম্যান অফ দা ম্যাচ নির্বাচিত হয় তাসকিন আহমেদ। আশা করছি পরের ম্যাচগুলো বাংলাদেশ জিততে পারবে। পরের খেলাগুলো নিয়েও আপনাদের সাথে আলোচনা করবো। সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন, সুস্থ্য থাকুন। আল্লাহ হাফেজ 🌸

---

---

10% beneficary for @shyfox ❤️

ধন্যবাদ সবাইকে

---

---

আমি কে?

^{আমার নাম হায়দার ইমতিয়াজ উদ্দিন রাকিব। সবাই আমাকে ইমতিয়াজ নামেই চিনে। পেশায় আমি একজন ছাত্র। সম্প্রতি আমি ইলেকট্রিক্যাল থেকে ডিপ্লোমা ইন-ইঞ্জিনিয়ারিং শেষ করেছি। এখন বিএসসি এর জন্য প্রিপারেশন নিচ্ছি। পাশাপাশি লেখালেখি করে আসছি গত দু বছর ধরে। ভালো লাগার জায়গা হলো নিজের অনুভূতি শেয়ার করা, আর সেটা আমার বাংলা ব্লগের মাধ্যমেই সম্ভব হয়েছে। যাক,
নিজেকে সবসময় সাধারণ মনে করি। অন্যের মতামতকে গুরুত্ব দেয় এবং তা মেনে চলার চেষ্টা করি। বাংলা ভাষায় নিজের অভিমত প্রকাশ করতে ভালো লাগে। তাছাড়া ফটোগ্রাফি,ব্লগিং,কুকিং,রিভিউ,ডাই ইত্যাদি করতে ভালো লাগে। অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়াতে ভালো লাগে। বাংলাদেশে জন্মগ্রহণ করতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে করি। ভবিষ্যতে প্রিয় মাতৃভূমির জন্য কিছু করতে চাই।}