ট্রেন ভ্রমন|benificiary ১০% @shy-fox 🦊|০১-১০-২০২১ ইং

in hive-129948 •  3 years ago 

আসসালামুআলাইকুম


হ্যালো...!!


আমার বাংলা ব্লগের সকল সদস্যদের জানাই শুভেচ্ছা। আশা করি আপনারা সবাই অনেক ভালো আছেন। আমি আলহামদুলিল্লাহ্‌ ভালো আছি। আজ আমি আপনাদের সাথে আমার ট্রেন ভ্রমণের অভিজ্ঞতা শেয়ার করবো। আমার ট্রেন ভ্রমণের শখ ছিল সেই ছোটবেলা থেকেই। ট্রেন ভ্রমণের মজাই অন্যরকম। আশা করি আমার ট্রেন ভ্রমণের অভিজ্ঞতা আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।

ট্রেন ভ্রমণ

IMG20210930081815.jpg

w3w

Oppo A12

সকাল সকাল নিজেকে ঘুছিয়ে নিলাম। উদ্দেশ্য বাড়ি ফেরা। আর হঠাৎ কলেজ থেকে নোটিশ মার্কশিট দিবে সেজন্য আমাদের যেতে হচ্ছে। সকাল ৯ঃ৩০ টার দিকে ফেনী রেলওয়ে স্টেশনে এসে পোঁছালাম। আগে থেকে টিকেট কাটা ছিলনা। তাই কাউন্টারে গিয়ে যোগাযোগ করে বেশি টাকা দিয়ে হলেও আমরা তিনজন স্ট্যান্ডিং টিকেট কেটে নিলাম। অবশ্য কাউন্টারে গিয়ে কিছুটা দালালদের খপ্পরে পড়ে গেছিলাম। কারণ সেখানে টিকেট বিক্রি করে কিছু লোক। টিকেটগুলো যা বিক্রি করে সব বোয়া বলাই যায়। অনেক কষ্ট করে সবকিছু ব্যবস্থা করে ট্রেনের জন্য অপেক্ষা করতে থাকলাম আমরা। ১০ টার দিকে ট্রেন আসলো ফেনী স্টেশনে। বেশিক্ষণ অপেক্ষা করেনাই সেখানে। তাড়াতাড়ি করে উঠে পড়লাম ট্রেনে। আমরা যে ট্রেনে উঠেছিলাম সে ট্রেনের নাম ছিল বিজয় এক্সপ্রেস। এই ট্রেনটি মূলত চট্রগ্রাম থেকে ভোর বেলা রওয়ানা দিয়ে দেয়।

IMG20210930093935.jpg

IMG20210930123311.jpg

w3w

Oppo A12


আমাদের উদ্দেশ্য কিশোরগঞ্জ। যথারীতি ট্রেন ঠিক সময়ে ছেড়ে দিলো। স্ট্যান্ডিং টিকেট কেটে উঠতে হলো, তাই দাড়িয়েই যেতে হবে তাই আগেই স্থির করে নিয়েছিলাম। ট্রেনের দরজার পাশে দাড়িয়ে যেতে থাকলাম। দরজার পাশে দাড়িয়ে অনেক কিছুই দেখতে পেলাম। বয়ে যাওয়া বাতাস যেন শরীরকে ঠান্ডা করে ফেলছিল। মাঠের পর মাঠ যেন অতিক্রম করে ট্রেন চলেই যাচ্ছিল। ট্রেনের সেই ঝকঝক শব্দের কথাও পড়ে গেছিল। আমরা তিন বন্ধু মিলে একসাথে দাড়িয়ে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বলতে থাকলাম। কথা বলতে বলতে দেখলাম আমরা আরেকটা স্টেশনে চলে এসেছি।

IMG_20210930_235244.jpg

w3w

Oppo A12

স্টেশনের নামটি ছিল লাকসাম স্টেশন। বেশিক্ষণ অপেক্ষা করেনি সেখানে। তবে দেখতে পেলাম। অনেকেই তাড়াহুড়ো করে ট্রেনে উঠে পড়তে। লাকসাম স্টেশনে এসে দেখি আকাশে অনেক রোদ। তাপমাত্রা বেশি মনে হচ্ছিল। আবার ট্রেন যাওয়া শুরু করলো। তবে কিছুক্ষণ পর দেখতে পেলাম তৃতীয় লিঙ্গের দুই-একজন হবে চাদা তুলতেছিল। আমার প্রথমে বিব্রত বোধ করতেছিলাম। আমরা তিনজন ছিলাম একসাথে। তাই ছাত্র হিসেবে আমাদের কাছে বেশি টাকা চায়নি। আমাদের বললো দশটাকা দিয়ে দিতে। কোনো প্যাচগুজ না করে টাকা দিয়ে দিলাম। টাকা নিয়ে তারা চলে গেলো।

IMG20210930103452.jpg

w3w

Oppo A12

ট্রেনে বিশেষ সুবিধার মধ্যে একটি হচ্ছে খাবারের সুবিধা। বিভিন্ন ধরনের খাবার পাওয়া যায়। আরেকটি বিশেষ সুবিধা হচ্ছে ওয়াশরুমের ব্যবস্থা। বাসে সেটা পাওয়া যায়না। ট্রেনের ভিতরে লক্ষ করলাম এক ভদ্রলোক আমড়া বিক্রি করতেছে। দেখে অবশ্য আমার খেতে ইচ্ছে করছিল আমড়া। আমার বন্ধুরাও বললো আমড়া খাবে। তাই পনেরো টাকা দিয়ে তিনটা আমড়া কিনে নিলাম। এই সময়ে আমড়া খাওয়ার অনেক উপকারিতা রয়েছে। আমড়া খেতে ভালোই লাগছিল। আমড়া খাওয়া শেষ করে দরজার পাশে দাড়িয়ে আনমনে প্রকৃতির রূপ দেখতে থাকলাম।

IMG20210930124801.jpg

IMG20210930124758.jpg

w3w

Oppo A12

তারপর হঠাৎ দেখতে পেলাম। নদীর উপরে একটি লোহার তৈরি সেতু। নদীতে ট্রলার চলাফেরা করছে। দেখে খুব ভালো লাগছিল। আর সেতুটি নির্মাণ করা হয়েছে ট্রেন চলাচলের জন্যই। ট্রেন চলন্ত অবস্থায় ছিল তাই সুন্দর করে ছবিটা তুলতে পারিনি। স্টিলের তৈরি এরকম ব্রিজ আমি প্রথম দেখলাম। আবহাওয়াটা অনেক ঠান্ডা অনুভূত হচ্ছিল তখন। দাড়িয়ে থাকতে থাকতে পা অনেক ব্যথা করতেছিল। পরে অবশ্য আমরা বসার জন্য সিট পেয়ে যায়।

IMG_20211001_012238.jpg

w3w

Oppo A12

অবশেষে আমরা আমাদের গন্তব্যে পৌঁছালাম। প্রায় ৪ ঘন্টা জার্নির পর আমরা কিশোরগঞ্জ রেলওয়ে স্টেশনে নামলাম। সবদিক মিলিয়ে আমার আজকের ট্রেন ভ্রমণ স্মৃতি হয়ে থাকবে। বন্ধুদের সাথে স্মরণীয় একটি ট্রেন ভ্রমণ ছিল। আপনাদের সাথে ট্রেন ভ্রমণের অভিজ্ঞতা শেয়ার করে ভালো লাগছে।

ধন্যবাদ

qQb1qbB44WNL4kcw8YRpvpA9rhDMdw5Qkx9ZgyU.png

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

ভাই আমার কাছে মনে হয় স্থল পথে যত যাত্রা আছে তার মধ্যে ট্রেনে সবচাইতে বেস্ট ।অনেক ভালো লাগে যদিও আমি তেমন একটি ট্রেনে উঠি নি হাতে গোনা মাত্র দুই থেকে তিনবার ট্রেনে উঠেছি ।যাইহোক অনেক অনেক ভালোবাসা রইলো আপনার জন্য বুঝাই যাচ্ছে দিনটি অনেক সুন্দর উপভোগ করেছেন আপনি।

একদম ঠিক বলেছেন ভাই। ট্রেন ভ্রমণের মজাই অন্যরকম। আর সাথে যদি থাকে বন্ধুরা তাহলে তো কথাই নেই। আপনাকে ধন্যবাদ ভাই।

ট্রেন ভ্রমণ আমার অনেক ভালো লাগে। ট্রেন চলার শব্দ শুনতে দারুন লাগে আমার। সব থেকে ভালো লাগে জানালা দিয়ে প্রকৃতির দৃশ্য দেখতে।

জি আপু। আপনাকে ধন্যবাদ।

আপনার ট্রেন ভ্রমণ অনেক মজার ছিল ।আপনার পোস্টে ব্যবহৃত ছবিগুলো দেখেই তা আন্দাজ করা যাচ্ছে। আপনার ট্রেন ভ্রমণের সুন্দর মুহূর্ত আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।

আপনাকেও ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যের জন্য।

সত্যি বলতে ঘুরাঘুরির জম্য ট্রেন এবং বাইক এই দুইটাই সব থেকে সুন্দর বাহন আমার কাছে মনে হয়।আমিও ট্রেনে ভ্রমন করি অনেক ভালো লাগে।চারিদিকের প্রকৃতি সুন্দর বাতাস আর ট্রেনের ঝকঝক শব্দ অসাধারন।

জি ভাই ঠিক বলছেন। ট্রেন ভ্রমণের মজাই অন্যরকম।

দেখেই বোঝা যাচ্ছে আপনার ট্রেন যাত্রা টি অতি চমৎকার ছিল। তবে অবশ্যই আমাদের ট্রেনে যাত্রাকালে টিকিট কেটে এবং কোন প্রকার দালালের খপ্পর থেকে নিজেদেরকে বাসে রাখাটাই উত্তম

আমি নিজে অনেকদিন ট্রেন ভ্রমণ করি না। এবং পলিটেকনিকের নোটিশ গুলো হঠাৎ করে দিয়ে দেয়। এবং ছবিগুলি খুব ভালো হয়েছে। খুব ভালো পোস্ট। আপনার জন্য শুভকামনা।।

হুম ঠিক বলেছেন ভাই। ধন্যবাদ আপনাকে।

ট্রেনে জার্নি করতে আমিও বেশ স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি। আপনার ট্রেন জার্নি আমরা খাওয়া বন্ধুর সাথে,,

সব মিলিয়ে খুব ভালো কেটেছে আপনার এই ভ্রমণ। যাত্রা শুভ হোক ধন্যবাদ আপনাকে শুভকামনা আপনার জন্য♥

আপু আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।