বন্ধুদের সাথে ইফতার

in hive-129948 •  last year 

18-04-23

০৪ বৈশাখ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ


আসসালামুআলাইকুম সবাইকে


কেমন আছেন সবাই? আশা করছি গরমের মধ্যে ভালো থাকার চেষ্টা করছেন আমার মতো, হাহা! বড় কথা হলো ভালো থাকতে পারলেই হলো। তবে গরমে কি আর ভালো থাকা যায়! রেকর্ড টেম্পারেচার এবার বাংলাদেশে! সামনে যে তাপমাত্রা বাড়বে সেটারও কোনো সন্দেহ নেই। তবে তাপমাত্রা যতই বাড়ুক, আমরা মানুষ আমাদের তো বেচেঁ থাকতেই হবে সব কিছুকে মানিয়ে নিয়ে! পরিবেশের সাথে মানিয়ে নেয়াটাই হলো বড় কথা!

IMG20230403182201.jpg

যাক, দেখতে দেখতে রমজানুল মোবারক মাসও চলে যাচ্ছে! জীবনে গুনাহ কি মাফ করাতে পারলাম তা আল্লাহ তায়ালাই ভালো জানেন! রমজান মাস হচ্ছে গুনাহ মাফের মাস! যে পাপী বান্দা এ মাসে আল্লাহ তায়ালার কাছে তওবা করে সে হয়তো গুনাহ মাফ করাতে পারে। যাক, রোজার দিন আমরা মুসলিম ধর্মাবলম্বী যারা আছি সবাই ইফতার করে থাকি। সারাদিন রোযা রাখার পর সন্ধ্যায় আমরা ইফতার করি! কেউ হয়তো পরিবারের সাথে, কেউ আবার বন্ধুদের সাথে, কেউ আবার মুদির দোকানে বসে ইফতার করে থাকে।

IMG20230403181951.jpg

আমি যেহেতু একজন ছাত্র! সেই হিসেবে মেসেই থাকা হয়! আর মেসে ইফতার করা হয়! কিন্তু আমি যে মেসে থাকি সেখানে সবার ইফতার আলাদা আলাদা পাত্রে করে দেয়া হয়! কেউ কারো সাথে শেয়ার করে ইফতার করা হয় না! কিন্তু ইফতারের আয়োজনটা আরো জমে যেত যদি সবাই মিলে ইফতার করা হতো। যেহেতু মিল হিসেবে করা হয় তাই এমন ব্যবস্থাই করা হয়েছে!

আমি যে মেসে থাকি ঠিক তার পাশের মেসে আবার দুই ফ্রেন্ড থাকে! একই সাথে পড়াশোনা করছি। ওদের সাথেই থাকার কথা ছিল আমার। কিন্তু তখন আমি এসে সিট পায় নি! যাক, গত শনিবারে হঠাৎ করেই মামু ফোন দিয়ে বলে ইফতারের দাওয়াত রাখার জন্য! যেহেতু ইফতারের দাওয়াত দিয়েছে তাই আর না করে নি। বন্ধুদের সাথে একসাথে ইফতার করার মুহূর্তটাই অন্যরকম। বিকেল বেলা আমাকে মামু ফোন দিয়ে বললো চলে আসার জন্য। আমি আবার মিল দিয়ে রেখেছিলাম ইফতারের! ঐ খানে ইফতার করলে এখানে ইফতার করা হবে না! তাই সন্ধ্যার ইফতার আমি নিয়ে মামুদের এখানে চলে গিয়েছিলাম।

IMG20230403182100.jpg

IMG20230403182011.jpg

আমি ঠিক ইফতারের দশ মিনিট আগে গিয়েছিলাম। গিয়ে তো দেখি সবাই কাজ নিয়ে ব্যস্ত! যেহেতু ফ্রেন্ড সার্কেল তো আমি শুধু বসে বসে যদি দেখি তাহলে তো ব্যাপারটা কেমন দেখায়! মামুর কাজে আমিও সাহায্য করলাম! ইফতারে শরবত না হলে তো জমবে না! শরবত থাকতেই হবে! লেবু ছিল, সেগুলো কেটে নিলাম! এছাড়া তরমুজ ছিল, তরমুজও স্লাইস করে কেটে নিয়েছিলাম! পেয়ারাগুলোও কেটে নিয়েছিলাম! একটু তাড়াতাড়ি করতে হয়েছিল কাজগুলো। অন্যদিকে আরও কয়েকজন মুড়ি মাখা নিয়ে ব্যস্ত ছিল। ইফতারে আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হলো ছোলা আর মুড়ি! সাথে তো বেগুনী, পেয়াজু আছেই।

সবকিছু আজান দেয়ার আগেই সম্পন হয়েছিল। আজান দিতেই আমরা খেজুর দিয়ে ইফতার শুরু করলাম। তারপর শরবত। এই গরমে শরবত না খেলে শেষ! সারাদিন যে তাপমাত্রা ছিল, ঠান্ডা শরবত না হলে শরীর একদম নিস্তেজ হয়ে যেত! ইফতার করা ফাকেঁ আমরা কথাও বলতেছিলাম! যেহেতু বন্ধুদের সাথে অনেকদিন পর ইফতার করলাম! অনেক কথাই লুকিয়ে ছিল। আমরা সবাই আবার এডমিশন ক্যান্ডিডেট ! আলাপচারিতার এক পর্যায়ে এক বন্ধুর কথা শুনে সবারই হাসি পাচ্ছিল। বন্ধুদের সাথে থাকলে একটু তো মজা হবেই!

DeviceOppo A12
Photographer@haideremtiaz
Locationw3w
Date15 April, 2023

যাক, ইফতার শেষ করে নামাজ আদায় করে আমার মেসে চলে এসেছিলাম! এই ছিল বন্ধুদের সাথে ইফতার করার কিছু মুহূর্ত! সকলের সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করে আজকের মতো এখানেই বিদায় নিচ্ছি! আল্লাহ হাফেজ 🌼🦋



10% beneficary for @shyfox ❤️

C3TZR1g81UNaPs7vzNXHueW5ZM76DSHWEY7onmfLxcK2iNzq2MSXKSji21JRspt4nqpkXPR5ea7deLzvmJtuzVBwdLJUpBqtgAZ5gHtHPbayD2jR3CWqjkJ.png

ধন্যবাদ সবাইকে



WhatsApp Image 2021-12-23 at 19.46.54.jpeg


VOTE @bangla.witness as witness

witness_proxy_vote.png

OR

SET @rme as your proxy


witness_vote.png

আমি কে?

IMG20210908180509.jpg

আমার নাম হায়দার ইমতিয়াজ উদ্দিন রাকিব। সবাই আমাকে ইমতিয়াজ নামেই চিনে। পেশায় আমি একজন ছাত্র। নিজেকে সবসময় সাধারণ মনে করি। অন্যের মতামতকে গুরুত্ব দেয় এবং তা মেনে চলার চেষ্টা করি। বাংলা ভাষায় নিজের অভিমত প্রকাশ করতে ভালো লাগে। তাছাড়া ফটোগ্রাফি,ব্লগিং,কুকিং,রিভিউ,ডাই ইত্যাদি করতে ভালো লাগে। অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়াতে ভালো লাগে। বাংলাদেশে জন্মগ্রহণ করতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে করি। ভবিষ্যতে প্রিয় মাতৃভূমির জন্য কিছু করতে চাই।

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
image.png
please click it!
image.png
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)

The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.

image.png

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

ভাই আপনি আজকে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন বন্ধুদের সাথে ইফতারি করেন। আসলে বন্ধুদের সাথে ইফতারি করার মজাই বেশ আলাদা। আমিও বেশ কিছুদিন আমাদের মেসে সবাই মিলে একসাথে ইফতারি করতাম। আসলে সবাই মিলে একসাথে যখন খেতাম তখন বেশ ভালোই লাগতো। ধন্যবাদ ভাই এত সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।

জি ভাই! এই রমজান মাসে বন্ধুদের সাথে একদিন ইফতার করার সুযোগ পেলাম। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।

বন্ধুদের সাথে ইফতার কথাটি পড়তেই বুকের মধ্যে কেমন যেন একটি পরশ বাতাস ছুড়ে দিল।।
আমরাও শেষ রোজার দিনে বন্ধুদের সাথে একটি ইফতার পার্টির আয়োজন করেছে এখনো সবাই ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছি একত্র না হওয়া পর্যন্ত শান্তি হচ্ছে না।।
আপনারা তো দেখছি অনেক সুন্দর লোভনীয় খাবার দিয়ে সবাই অনেক মজা করে ইফতার পার্টি করবেন ভালো লাগলো অনেক।।

করে ফেলুন বন্ধুদের সাথে ইফতার! ঈদ তো চলে আসছেই! আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া

বন্ধুদের সঙ্গে একত্রে ইফতার করার মজাই আলাদা। বন্ধুদের সঙ্গে ইফতার করতে সত্যিই অনেক বেশি ভালো লাগে আর এরকম সত্যিকারের বন্ধু যদি সবসময় পাশে থাকে তাহলে তো আর তুমি কথাই নেই। রমজান মাসে আসলেই অনেক বেশি গরম পরছে আর এই গরমের সময় বেঁচে থাকাটা যেন খুবই কষ্টসাধ্য হয়ে পড়ছে। যাইহোক আপনাদের কাটানো এই সুন্দর মুহূর্তটা দেখে খুবই ভালো লাগলো। শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।

জি ভাই! গরমের কথা আর কি বলবো! খুবই খারাপ অবস্থা বলতে পারেন। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই

আপনার এই পোস্ট দেখে আমার ঢাকায় থাকাকালীন মেস লাইফের কথা মনে পড়ে গেল। বন্ধুদের সাথে আমিও এভাবে ইফতারি করতাম খুবই ভালো লাগতো বিষয়গুলো। আপনিও দেখছি মুহূর্তটা অনেক সুন্দরভাবে অতিবাহিত করছেন।

জি ভাইয়া! বন্ধুদের সাথে ইফতার করার মজাটাই অন্যরকম। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া 🦋🌼

এভাবে আসলে বন্ধুদের সাথে ইফতার করার মজাটাই অন্যরকম। একা একা ইফতার করার থেকে সবাই মিলে ইফতার করলে আমার কাছে বেশ ভালো লাগে। আর এই রমজানে গরমের কথা আর কি বলব। বন্ধুদের সাথে ইফতার করার খুব সুন্দর মুহূর্ত কাটিয়েছেন। এই সুন্দর মুহূর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।

গরমের কথা না বলাই ভালো! যে হারে গরম পরেছে, বেচেঁ থাকা কঠিন! আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ 🦋

পরিবেশের সাথে মানিয়ে নেয়াটা এখন বড় সংগ্রামের মনে হচ্ছে ভাইয়া।যাইহোক আমাদের বাংলা তো এইবার গরমে রাজস্থানকেওহার মানিয়ে দিয়েছে।যাইহোক আপনারা ফল,মুড়ি মাখা দিয়ে ইফতার করেছেন জেনে ভালো লাগলো।বন্ধুরা মিলে এভাবে বেশ আনন্দে কাটে,ধন্যবাদ আপনাকে।

জি দিদি! এবারের গরম বেশ পরেছে। রেকর্ড টেম্পারেচার এবার।