28-04-2022
১৫ বৈশাখ, ১৪২৯ বঙ্গাব্দ
আসসালামুআলাইকুম সবাইকে
কেমন আছেন সবাই? আশা করি ভালো আছেন। আমি মোটামোটি ভালো আছি। মোটামোটি কেন সেই গল্পই শেয়ার করবো আপনাদের সাথে।
আপনাদের সাথে ইতিমধ্যে শপিং করার এক্সপিরিয়েন্স শেয়ার করেছি। কিন্তু শপিং করেছিলাম আমার বন্ধুর জন্য। দেখলাম অনেকেই বলেছেন আমি করেছি ঈদের মার্কেট! যায়হোক গতকাল বাড়িতে এসেছি ইতোমধ্যে জানেন আপনারা। আর এদিকে ঈদেরও বেশিদিন নেই। কিছুদিন পরেই পবিত্র ঈদুল ফিতর। তো বাড়িতে আসতে না আসতেই বন্ধুর ফোন! ফোন দিয়ে বললো ঈদে কি কিনেছি? আমি বললাম কিছু কিনিনাই। তো বললো চল মার্কেট করে আসি। আমি প্রথমে রাজি হয়নি। কারণ আমার হাতে টাকা নেই। ছাত্রাবস্থায় যত ভোগবিলাস কম করা যায় ততই ভালো আমি মনে করি। মেসের খরচ, পড়ালেখার খরচ সামলাতে সামলাতে মাস শেষে দেখা যায় হাতে কোনো টাকা থাকেনা। সামনে ঈদ বাসা ভাড়া, মেসের খরচ, কলেজে জন্য কিছু টাকা দিয়ে হাত একদম ফাকাঁ হয়ে যায়। যায়হোক, মাস শেষে টাকা শেষ হয়ে গেলে আমি নরমালি আমার আম্মার কাছে টাকা চেয়ে থাকি। তো আমার বন্ধু দস্তগীর যখন বললো মার্কেট করবে। আর সে শুধু পাঞ্জাবী কিনবে। আমিও ভাবলাম আমার একটা পাঞ্জাবী কিনা দরকার। কিনলে মন্দ হবেনা। তো রাতে আম্মাকে বললাম আমাকে কিছু টাকা দেয়ার জন্য। আম্মাকে বলি যে কাল দস্তগীরের সাথে শপিং করতে কিশোরগঞ্জ যেতে হবে। তো বললাম কিছু টাকা দেয়ার জন্য আমাকে। আম্মা তখন রাজি হয়ে গেল এবং বললো দস্তগীরের সাথে মার্কেটে যেতে। তো এটা শুনে তো খুশি হয়ে গেলাম। রাতে দস্তগীরকে ফোন দিয়ে বললাম আমাকে কাল নিয়ে যেতে কিশোরগঞ্জ ।
তো খুব তাড়াতাড়ি শুয়ে পড়ি। তারপর সকালে উঠে ফ্রেশ হয়ে পড়ি। কয়েকদিন ধরে বেশ গরম আপনারা হয়তো জানেন। গ্রীষ্মের তাপ যেন বেড়েই চলছে। এই কয়েকদিন সারা বাংলাদেশে তাপমাত্রা বেশি থাকবে যেমনটা নিউজে শুনলাম। তো গরমের মধ্যে নরমাল কাপড়-চোপড় পড়ে বের হওয়াই ভালো। নরমাল কাপড় পড়েই রেডি হয়ে পড়লাম। তারপর দস্তগীরকে ফোন দিয়ে বললাম কখন বের হবে? যখন ফোন দিলাম তখন সে ঘুমাচ্ছে অথচ এদিকে সকাল এগারোটা বেজে গেল। তাড়াতাড়ি বললাম রেডি হয়ে পরতে। আমি কিছুক্ষণ পরেই ওদের বাসায় চলে যায়। ওদের বাসা আবার আমাদের বাড়ি থেকে কাছেই। দস্তগীরকে নিয়ে দুপুর সাড়ে বারোটার দিকে বেরিয়ে পড়ি। মাথার উপরে সূর্য। প্রচন্ড রোদে গা পুড়ে যাচ্ছিল। তাড়াতাড়ি রিকশা করে বাস স্ট্যান্ড চলে গেলাম। বাস স্ট্যান্ড গিয়ে দেখি অলরেডি একটি বাসা দাড়িয়ে আছে। দেড়ি না করে উঠে পড়লাম বাসে। সামনে যেহেতো ঈদ এজন্য বাসে একটু ভীড় থাকবেই। তবে বাসের ভিতরে সিট খালি পেয়েছিলাম। ঝটপট সিটে গিয়ে বসে পড়ি। বাসস্ট্যান্ডে বাস তখন বেশিক্ষণ দাড়াঁইনি। তো বাস দিয়ে গেলে কিশোরগঞ্জ বেশিক্ষণ লাগেনা। ১ টা ১৫ মিনিটের দিকে কিশোরগঞ্জ পৌঁছে যায়।
বাস স্ট্যান্ড থেকে শপিংমল শহরের ভিতরে অবস্থিত । তো অটোতে করে আমরা শহরে চলে গেলাম । ঈদ যেহেতো সামনে এজন্য মার্কেটে এসে দেখি ভীড় অনেক। কিশোরগঞ্জ মার্কেটের বিশেষত্ব হচ্ছে এখানে বেশি মহিলারা মার্কেট করে থাকে। সবসময় মার্কেট পূর্ণ থাকে। তো গরমের মধ্যে এসির সংস্পর্শে যায় কিছুক্ষন। তারপর পাঞ্জাবীর জন্য ভালো একটি শপ আড়ং এ যায়। সেখানে কিছু পাঞ্জাবী দেখি। কিন্তু দাম একটু বেশিই বলা চলে। আমার বাজেট কম ছিল। এজন্য আড়ং এ বেশিক্ষণ থাকতে পারেনি। তারপর আর একটি দোকানে যায়। যেখানে ফিক্সড প্রাইজ ছাড়া। কিশোরগঞ্জ এর দোকান মোটামোটি আমার চেনা পরিচিত । দুই বছর কিশোরগঞ্জ থেকে পড়াশোনা করেছি এজন্য মোটামোটি চেনা পরিচিত আছে । তো পাঞ্জাবীর একটি দোকানে গেলাম। ভালো ভালো কিছু পাঞ্জাবী দেখালো দোকানদার। এখন যেহেতু গরম বেশি এজন্য সুতি কাপড়ের মধ্যে পাঞ্জাবী নিবো। দোকানদার সুতির মধ্যে কিছু পাঞ্জাবী দেখালো। আমার আর বন্ধুর দুজনেরই পছন্দ হয়ে যায় পাঞ্জাবীগুলো।
ফিক্সড প্রাইজ যেহেতু নয় তাই দরদাম করে নিলাম। শুরুতেই দোকানদার আাঠারশত টাকা চেয়ে বসলো! এর আগের পাঞ্জাবী কিনেছি তাই আমি ১০০০ টাকা বললাম। কিন্তু এতে দোকানদার রাজি না। পাঞ্জাবী পছন্দ হয়েছে তাই এতো দর কষাকষি করি নাই। তেরোশত টাকা বললাম দোকানদারকে। এতেও ব্যাটা রাজি না!! তারপর এসে পড়বো দোকান থেকে ঠিক তখন দোকানদার প্যাক করে দুইটা পাঞ্জাবী দিয়ে দিলো। তারপর সারাদিন যেহেতু রোযা রেখেছি এদিকে আসর হয়ে গেছে তাই মার্কেটে বেশিক্ষণ আর থাকিনাই। আমাদের লক্ষ্য ছিল পাঞ্জাবী কিনার। তারপর পাঞ্জাবী নিয়ে আমরা দুজন বাড়িতে চলে আসি।
Device | Oppo A12 |
---|---|
Photographer | @haideremtiaz |
Location | Kishoregonj, Gouranga Bazar |
যায়হোক ধন্যবাদ সবাইকে পোস্টটি পড়ার জন্য। আশা করি পাঞ্জাবী কিনার অভিজ্ঞতা আপনাদের কাছে ভালো লেগেছে। আপনারাও যদি এভাবে পাঞ্জাবী কিনার অভিজ্ঞতা থেকে থাকে তাহলে কমেন্ট করে জানাবেন । সকলের সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করে আজকের মতো এখানেই শেষ করছি।
ধন্যবাদ
আমি কে?
আমার নাম হায়দার ইমতিয়াজ উদ্দিন রাকিব। সবাই আমাকে ইমতিয়াজ নামেই চিনে। পেশায় আমি একজন ছাত্র। নিজেকে সবসময় সাধারণ মনে করি। অন্যের মতামতকে গুরুত্ব দেয় এবং তা মেনে চলার চেষ্টা করি। বাংলা ভাষায় নিজের অভিমত প্রকাশ করতে ভালো লাগে। তাছাড়া ফটোগ্রাফি,ব্লগিং,কুকিং,রিভিউ,ডাই ইত্যাদি করতে ভালো লাগে। অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়াতে ভালো লাগে। বাংলাদেশে জন্মগ্রহণ করতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে করি। ভবিষ্যতে প্রিয় মাতৃভূমির জন্য কিছু করতে চাই।
Link
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আপনার পাঞ্জাবির কালার টা খুবই সুন্দর। আপনি যদি এই পাঞ্জাবি পরেন তাহলে খুবই মানাবে আপনাকে। খুবই ভালো লাগলো আপনার পাঞ্জাবি কেনার অভিজ্ঞতা পোস্টটি পড়ে। আপনার ঈদের মার্কেট তো আমরা দেখে নিলাম এখন শুধু ঈদ আসার সময়। এই বছরে মনে হচ্ছে ভীষণ মজা হবে। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু পোস্টটি পড়ে মতামত দেয়ার জন্য। আপনার জন্য শুভেচ্ছা রইল
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit