আজকে আমি এসেছি আপনাদের সকলের সাথে একটি জেনারেল রাইটিং পোস্ট শেয়ার করতে। আমার লেখার মাধ্যমে আমার চিন্তা ভাবনা গুলো আপনাদের কাছে পৌঁছানোর লক্ষ্যে এই লেখাগুলো শেয়ার করা।
আশা করছি যে আপনারা আপনাদের মূল্যবান মন্তব্যের মাধ্যমেই আমার এই লেখাটি সৌন্দর্য বৃদ্ধি করবেন এবং আপনাদের মতামত ব্যক্ত করবেন। আমি যদি কোনো কিছু ভুল বলে থাকি। তাহলে অবশ্যই আমাকে শুধরে দিতে ভুলবেন না।
আমরা বর্তমানে যে কোনো সমস্যা নিয়েই যদি ডাক্তারের কাছে যাই। তাহলে প্রথমেই আমাদেরকে যে সাজেশনটি দেওয়া হয়। সেটা হচ্ছে টাটকা শাকসবজি, টাটকা ফলমূল কিংবা টাটকা মাছ-মাংস খেতে হবে। অর্থাৎ ডাক্তারদের মূল কথা হলো টাটকা খাবার খেতে হবে। এখন আমার প্রশ্ন হলো, এই বাংলাদেশের মতো একটি জায়গায় আদৌ বর্তমানে টাটকা খাবার পাওয়া যাচ্ছে কিনা?কারণ আমি যদি একটু বিশ্লেষণ করতে যাই। তাহলে দেখতে পাই যে, আমরা মোটামুটি বর্তমানে যা খাচ্ছি তা ৯৯ ভাগই হচ্ছে ভেজালপূর্ণ খাবার।
যেমন মানুষ ডায়রিয়া রোগ থেকে পরিত্রাণ পাওয়ার জন্য কিংবা একটু শরীরে সুস্থতা বোধের জন্য প্রথমে যে খাবারটি খায়, সেটা হচ্ছে স্যালাইন কিংবা ডাবের পানি। যেই দুটিতেই বর্তমানে ভেজাল পাওয়া গিয়েছে!
এরপরে যে কোনো মানুষ একটু অসুস্থ হলে যে খাবারটি খায়। সেটা হচ্ছে পাউরুটি। এখন বর্তমানে সবচেয়ে অস্বাস্থ্যকর খাবার হিসেবে যদি আমি কোনো কিছুকে বিবেচনা করি। তাহলে কিন্তু এই পাউরুটিকেই ধরা যায়। কারণ এটা বানানোর প্রসেস দেখলে আসলে খাওয়ার ইচ্ছেটাই উঠে যায়।
পাউরুটি ও যদি বাদ দেই। তাহলে মানুষ যেটা খেতে একটু পছন্দ করে অসুস্থতার সময় কিংবা শরীরটা সুস্থ রাখার উদ্দেশ্যে সেটা হচ্ছে ফলমূল। আপনি যদি ফলমূলের কথা চিন্তা করেন। তাহলে তো ভেজাল ছাড়া কিছুই আর দেখতে পাবেন না। আমি নিজেই গতকালকে একটি তরমুজ খেয়ে একেবারে অবাক হয়ে গিয়েছি। কারণ তরমুজের কালার এতোটাই লাল ছিলো যে খাওয়ার পরে দেখি হাতের লাল ভাবটা থেকে গিয়েছে। কিন্তু মিষ্টি তার ধারেকাছেও ছিলো না!
তাহলে আপনারাই ভাবুন যে আমরা প্রতিদিন কি খাচ্ছি! কারণ আমি নিজে একটু চিন্তা করে যেটা দেখলাম। সেটা হচ্ছে আমাদের রোজকার খাবারে প্রায় প্রতিটি জিনিসই ভেজাল। তাহলে ডাক্তাররা আসলে কোন অর্থে আমাদেরকে ভেজালহীন খাবার খেতে বলে! কারণ এগুলো তো এখন মোটামুটি দুষ্পাপ্য, তাই না?
এ বিষয়টা আসলেই কষ্টদায়ক। কারণ বাংলাদেশে এখন কোন কিছুতেই ভেজাল মুক্ত নেই। সবকিছুতেই ভেজাল ছড়িয়ে ছিটিয়ে গেছে। বাজার থেকে ফলমূল কিনে নিয়ে সেটা খাওয়ার চিন্তা করলেও মনে হয় যেন বিষ কিনে নিয়ে আসছি ঘরে। তবে আমি চেষ্টা করি বাজারের কেনা ফলমূল গুলো একটু কম খেতে। নিজেদের ঘরের আশেপাশে শাকসবজি গুলোই কিন্তু আমাদের একমাত্র খাবার প্রকৃত উৎস। তবে সবার তো আর সেভাবে করা হয় না। এজন্য নিজ উদ্যোগে কিছু হলেও নিজেদের চাহিদা মেটানোর জন্য করা উচিত বলে আমি মনে করি। আপনার পোস্টটা পড়ে খুবই ভালো লাগলো।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
বর্তমানে অধিকাংশ রোগের উৎস হচ্ছে খাবার। ভেজালযুক্ত খাবারের ছড়াছড়ি চারিদিকে। ডাক্তারের কাছে গেলেই ফরমালিন মুক্ত খাওয়ার খেতে বলে, কিন্তু ফরমালিনমুক্ত খাওয়ার বাজার জুড়েই পাওয়া যায় না। খুবই গুরুত্বপূর্ণ পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে এমন গুরুত্বপূর্ণ পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit