হ্যালো বন্ধুরা!
আসসালামু আলাইকুম।
কেমন আছেন সবাই? আশা করি মহান সৃষ্টিকর্তার অশেষ মেহেরবানীতে আপনারা অনেক অনেক ভাল রয়েছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ আপনাদের দোয়ায় বেশ ভালো আছি। আমাদের সকলের জীবনে অনেক সুন্দর সুন্দর স্মৃতি রয়েছে। দীর্ঘদিন স্মৃতি নিয়ে ভাবনা চিন্তা না করলে অনেক স্মৃতি বিকৃত হয়। আবার কিছু কিছু স্মৃতি রয়েছে যেগুলো নির্দিষ্ট স্থানে পৌঁছালে হঠাৎ মনে আসে। ঠিক তেমনি একটু স্মৃতি স্মরণ করব এই পোস্টে।
নানা নানীর মৃত্যুবরণ করা একযুগ পার হয়ে গেছে। দেখতে দেখতে একযুগ পার হয়ে গেল বিষয়টা ভাবতেও অবাক লাগে। এইতো সেদিন নানীর হাতে খাবার খেলাম। তারপর একদিন হঠাৎ কানে আসলো নানী আর নেই। আর এভাবেই দিনের পর দিন চলে গেল। ২০১৩ সাল অতিক্রম করে এই পর্যন্ত ২৪ সাল পার করে ফেলতে যাচ্ছি। কিন্তু স্মৃতি গুলো যেন এখনো মনের মধ্যে নাড়া দিয়ে যায়। নানা নানি মৃত্যুর পর থেকে তাদের গ্রামে যাওয়া আসাটা অনেকটা কমে গেছে। একদিকে নিজেদের বড় হওয়ার পাশাপাশি শিক্ষা গ্রহণের জন্য বাইরে চলে যাওয়া। গ্রাম ত্যাগ করে শহর মুখী হয়ে ওঠা। স্টাডি লাইফ অতিক্রম করে চাকরি জীবনে পদার্পণ। তাই যেন ইচ্ছে হওয়া সত্বেও আপনজনদের বাড়িতে যাওয়া হয়ে ওঠে না।
তবে বেশ কয়েকটা মাস আগে গ্রামের বাড়িতে উপস্থিত হয়ে,নানিদের গ্রাম ভ্রমণ করতে গিয়ে। আমাদের বাসা থেকে নানীদের বাসা সাত-আট কিলো দূরে। গ্রামটার নাম সিন্দুরকৌটা। আমার সবচেয়ে ভালো লাগার স্থান সেই গ্রাম এর ছোট্ট বাজার। যেখানে তিন রাস্তার মাঝখানে এক বৃদ্ধ বটগাছ এখনো তিন গ্রামের দিকে ডাল মেলে চেয়ে রয়েছে। নানার সাথে ছোটবেলায় এখানে উপস্থিত হয়েছি অনেক। এখানে মাধ্যমিক বিদ্যালয় টা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে নানার জমির উপরে। এখন হয়তো জমি জায়গা আরো বিস্তার করে ফেলেছে। তবে প্রথম পর্যায়ে স্কুলটা আমার নানা জমির উপরে করা হয়। সে থেকে তিন গ্রামের মানুষের লেখাপড়ার জন্য স্কুলটা প্রতিষ্ঠিত হয়ে ওঠে। নানাদের গ্রামে ঘুরতে আসলেই স্কুল মাঠে এসে খেলতাম। এছাড়া বিকেল মুহূর্তে বাজারের উপর বড়া ভাজার সহ বিভিন্ন রকমের খাবার খেতাম।
এখন সবকিছু যেন স্মৃতি হয়ে রয়ে গেছে। ছোটবেলায় যাদের সাথে খেলাধুলা করেছি তারা হয়তো এখন আমাকে চিনবেই না। কার সাথে খেলাধুলা করতাম তাদের কেউ হয়তো এখন চিনতে পারব না। তবে এখনো অনুভবে খুঁজে পাই সেই ছোট্টবেলার স্মৃতিগুলো। বেশ অনেক কিছুর পরিবর্তন হয়েছে এখানে। তবে বেশি পরিবর্তন দেখতে পারলাম রাস্তাঘাটের। ছোটবেলায় রাস্তাগুলো হিয়ারিং ছিল। এখন হাইরোড মত অনেক পরিসরে তৈরি হয়েছে। তবে বটগাছটা এখনো যেন সেই আগের মত তিন রাস্তার দিকে ডাল মিলে। তবে এই বাজারটা তেমন কোন পরিবর্তন হয়নি। শুধু দেখলাম সিন্দুর কোটা গ্রামের দিকে বেশ বড় একটি মার্কেট সৃষ্টি হয়েছে। আর এই সমস্ত জিনিস গুলোই বারবার দেখছিলাম ঘুরছিলাম আর ছোটবেলার স্মৃতিগুলো মনে করছিলাম।
ফটোগ্রাফি | নানাদের গ্রাম |
---|---|
ফটোগ্রাফি ডিভাইস | Huawei mobile |
আমার ঠিকানা | গাংনী-মেহেরপুর |
বর্তমান অবস্থান | ঢাকা সাভার |
ফটোগ্রাফার | @helal-uddin |
ধর্ম | ইসলাম |
দেশ | বাংলাদেশ |
পাশে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আমি মোঃ হেলাল উদ্দিন। আমি একজন বাংলাদেশী মুসলিম নাগরিক। আমার বাসা গাংনী-মেহেরপুরে। আমার বর্তমান ঠিকানা,ঢাকা সাভার বিশ-মাইল। আমি একজন বিবাহিত ব্যক্তি। কর্মজীবনে একজন বেসরকারি চাকরিজীবী।
নানুর বাড়ি ঘুরতে যাওয়ার খুব সুন্দর কিছু স্মৃতি শেয়ার করলেন। আসলে মানুষ মরে যায় স্মৃতিগুলো থেকে যায়। হঠাৎ চোখের সামনে অনেক বছর পার হয়ে যায়। বেশ ভালো লেগেছে আপনার শেয়ার করা ফটোগ্রাফিগুলো এবং স্মৃতি গুলো পড়ে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
একদম ঠিক বলেছেন আপু।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit