আজ - বুধবার
হাই! বন্ধুরা
আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি অনেক ভাল আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ আপনাদের দোয়ায় অনেক ভালো আছি। আজকে আমি আপনাদের মাঝে উপস্থিত হলাম ফোর টুয়েন্টি নাটকের ৩৪ পর্বের মধ্য থেকে ০২ তম পর্ব রিভিউ করে শেয়ার করার জন্য। আশা করি আমার এই রিভিউ পোস্ট আপনাদের অনেক ভালো লাগবে।
নাম | ফোর টুয়েন্টি |
---|---|
রচনা ও পরিচালনা | মুস্তাফা সরয়ার ফারুকী |
অভিনয়ে | লুৎফর রহমান জর্জ,মোশাররফ করিম,নুসরাত ইমরোজ তিশা,সোহেল খান,মারজুক রাসেল |
দেশ | বাংলাদেশ |
ভাষা | আঞ্চলিক বাংলা |
ধরণ | কমেডি,ড্রামা |
পর্বের সংখ্যা | ৩৪ |
রিভিউ | ০২ তম পর্ব |
দৈর্ঘ্য | ২৩ মিনিট |
প্ল্যাটফর্ম | ইউটিউব @ChanneliClassictv চ্যানেল |
চরিত্রেঃ
- মোশাররফ করিম
- লুৎফর রহমান জর্জ,
- সোহেল খান
- নুসরাত ইমরোজ তিশা
- মারজুক রাসেল
এখানে মন্টু এবং কেসলো আর ওদের বাসায় থাকতে দিতে চেয়েছে সেই লোকটি। তারা চা খেতে বসেছিল। উনি বলল দুই কাপ চার এ তিন কাপ করে দে। এবং মন্টুকে কেসলো বলে চিনি বেশি দিবা দুধ বেশি দিবা। এভাবে তারা চা খেতে খেতে গল্প করতে লাগলো।
অন্যদিকে যে মিছিলের সভাপতি তাকে বলে যে আবার নতুন করে মিছিল করা লাগবে। তবে এবার অন্য স্লোগান দেওয়ার কথা শিখিয়ে দিবেন। স্লোগানটি হলো "জিন্না ভাইয়ের মৃত্যু চাই"তো উনি বলেন এবার লোক বেশি জোগাড় করতে পারে নাই শুধুমাত্র ৬০-৭০ জন জোগাড় করেছি। তো অপরজন বলে এত কম কেন এবার তো মৃত্যু চাইছি তাই বেশি হবার কথা। কম হলো এক দেড়শ লোক লাগবে।
তারপর আবার মন্টু ও কেসলো চায়ের দোকানে বসে ছিল। তারপর অপরিচিত একটা লোক আসলো। লোকটিকে দেখে কেসলো বলে আমরা ঢাকাতে নতুন এসেছি কিছু চিনি না ভয়ে ভয়ে এ কথা বলে। বলার পর লোকটি কেসলো কে জিজ্ঞেস করে তোমাদের বাসা কোথায় তো মন্টু বলে কেটুনে। এটা শোনার পর লোকটি বলল ও তোমরা কেটুনে থাকো। সে বলে আমিও নাগরে থাকি। জিজ্ঞেস করে আপনি কি কাজ করেন এখানে উনি বলে আমি রাইটারের কাজ করি। এটা শুনে কেসলো বলে নাগরের লোকজন সব শিক্ষিত হয়ে গেছে আর আমরা কেটুনের লোকজন সব অশিক্ষিত। তারপর তারা কথাবার্তা শেষ করার পর মিছিলে যোগ দেয়।
মিছিলে যোগ দেওয়ার শেষে। যখন টাকা চাইতে যাই তখনো টাকা কম দেয়। তারপর মন্টু আর কেসলো কথা কাটাকাটি করে চলে আসে।
তারপর মন্টু এবং কেসলো রাতের বেলা রেল স্টেশনের উপর শুয়ে ছিল। হঠাৎ তাদের সাথে কি যে হলো তারা নিজেরাও বুঝতে পারল না। তাদেরকে পুলিশে ধরে নিয়ে গেল।
অতঃপর যে লোকটির সাথে তারা গল্প করছিল চায়ের দোকানে। সে ছিল থানার রাইটার। তার মাধ্যমে তারা ছাড়া পেয়ে যায়।
ছাড়া পাবার পর তারা আবার সেই বাসায় থাকতে যেতে চাই সকাল বেলা। কিন্তু সে তাদের রাখতে চায় না। কারণ বলে আজকে রাতে কেন আসো নাই। বিভিন্ন কথা শুনিয়ে দেয়। তারপর তিনি আবার বাসায় থাকতে দিতে রাজি হয়ে যায়। কিন্তু বলে এগারোটার পরে বাসায় ঢুকবে। তাই ওরা দুজন সেই মতোই এগারো টার পর বাসায় ঢুকে। বাসায় ঢোকার পর ওদের যে রুম দেওয়া হয় রুমটি খুবই ছোট ছিল। তাই তারা পাশের রুমে চলে যাই। তার জন্য তাদের অনেক রকম কথা শুনাই বকাঝকা করার পর আবার সেই রুমে ঘুমাতে বলে।
সকাল যেই ছয়টা বাজে তখনই তাদের ডাকাডাকি শুরু করে দেয়। বলে যে বাসার মালিক দেখে ফেলবে। আর তোদের পাঁচটার সময় বাসা ছেড়ে যাবার কথা কিন্তু এখন ছয়টা বাজে তাড়াতাড়ি ওঠ। এমন ভাবে অনেকক্ষণ ডাকাডাকি করার পর তারা রুম থেকে বেরিয়ে যায়। তারপর আবার সকাল হতে না হতেই বাড়ির মালিক অনেক ঝামেলা শুরু করে। বলে বাসায় চুরি হয়েছে। এগুলা বলেন ঝামেলা করে তারপর সে চলে যায়।
তারপর দুপুর বেলার দিকে মন্টু এবং কেসলো বাড়ির দিকে যাই। তারা রুমে ঢুকে এবং লোকটি তাদের ঢুকতে দেয় না। পরে বাহিরে বের করে নিয়ে আসে। তারপর মন্টু এবং কেসলো বলে আপনি আমাদের জিনিস চুরি করছেন। তো লোকটি প্রথমে বলতে চাইছিল না যে সে ঢাকনাটি চুরি করেছে। মন্টু আবার তাকে ভয় দেখাচ্ছিল বলে যে আপনি যদি না বলেন তাহলে ফারুককে বলে দিব। আর আমি সবটা জানি যে আপনি ঢাকানাটি চুরি করেছেন এবং বিক্রি করে দিয়েছেন। আর সেটি ৬০০ টাকা দিয়ে বিক্রি করেছেন।পরে উনি বলে দেয় যে হ্যাঁ আমি চুরি করেছি। বলার পর মন্টু বলে আচ্ছা ঠিক আছে টাকাগুলো আমরা তিনজন ভাগ করে নিব। আপনি ২০০ টাকা এবং আমরা দুজন 200 টাকা করে। প্রথমে শর্ত মানতে চাইছিল না কিছুক্ষণ বলার পর সে শর্ত মানে। মন্টু তো তাকে আরো কয়েকটি শর্ত দিল সেগুলোও সে মেনে নিল।
নাটকটিতে বিশেষ করে ফুটে উঠেছে মন্টু এবং কেসলোকে বাড়িতে থাকতে দিয়েছিল তার কথা। কারণ সে যে ঢাকনাটি চুরি করেছে এটা সে সত্যি কথা বলে দিয়েছে। এজন্য নাটকটি বেশি ফুটে উঠেছে। এরকম সততা ভালো লাগে। এমনিতেই আমার মোশারফ করিমের নাটক অনেক বেশি পছন্দ করে থাকি। যাইহোক নাটকের দ্বিতীয় পর্ব আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লেগেছে। আশা করি পরবর্তী পর্বগুলো অনেক সুন্দর হবে।
সাথে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
পুনরায় কথা হবে পরবর্তী কোন নাটক রিভিউতে, ততক্ষণ ভালো থাকুন। আল্লাহ হাফেজ। |
---|
বেশ দারুন একটি নাটক আমাদের মাঝে আপনি রিভিউ করে দেখানোর চেষ্টা করেছেন। এই নাটকটা আমি খুবই পছন্দ করে থাকি। অসাধারণ একটা নাটক এটা। নাটকের মধ্যে রয়েছে অন্যরকম হাসি আনন্দ ও ভালোলাগার কথা। অনেক সুন্দর ভাবে রিভিউ করে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
জ্বি আপু নাটকটি অনেক মজার।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
নাটকের নাম দেখেই বোঝা যাচ্ছে নাটকটি অনেকটা ফানি টাইপের। যদিও এই নাটকটি দেখা হয়নি। তবে আপনার পোস্ট পড়ে খুবই ভালো লাগলো ভাইয়া। অনেক সুন্দর করে রিভিউ উপস্থাপন করেছেন আপনি।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
জি আপু আপনি ঠিক বলেছেন। নাটকটি আসলে অনেক ফানি টাইপের।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আমার দেখা প্রিয় নাটকগুলোর মধ্যে ছিল এই নাটকটা। বেশ অনেকগুলো পর্ব নিয়ে সৃষ্টি এই নাটক। এই নাটকের বেশ কিছু পর্বের হাস্য রহস্যকর কথাবাত্রা অভিনয় আমাকে মুক্ত করে। নাটকের একটি পর্ব আমাদের মাঝে রিভিউ করে উপস্থাপন করার জন্য ধন্যবাদ।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
জ্বী ভাইয়া মোশারফ করিমের প্রত্যেকটা নাটক অনেক সুন্দর।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
মোশাররফ করিমের নাটক এক সময় অনেক দেখতাম।কিন্তু কিছু কিছু ভালো অভিনেতা এসে এখন আর এগুলো নাটক দেখা হয় না। তবে মোশাররফ করিম মানে বিনোদন,তার প্রতি টা নাটক খুবই ভালো লাগে। যাইহোক সুন্দর একটি নাটকের রিভিউ শেয়ার করছেন। আপনাকে অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit