আপনারা এই মুহূর্তে উপভোগ করছেন রঙ্গন ফুলের সৌন্দর্য। ফুলের সৌন্দর্য ফুলের কাছেই বেশি মানায়। মানুষের হাতে ফুলের সৌন্দর্য মানায় না। গাছে যখন ফুলটা ফুটেছিল বারবার আমার নজর ফুলের গাছের দিকে ছিল। রঙ্গন ফুল গাছের ডালে ডালে এমন সুন্দর সুন্দর ফুল ফুটে থাকা আমাকে মুগ্ধ করেছিল। সেই মুহূর্তে আমি এই ফুলটাকে চয়েজ করে ফটো ধারণ করেছিলাম। গাছে অনেকগুলো ফুল ছিল। কেন জানি অন্যান্য ফুলের মধ্যে এটা আমার দৃষ্টি আকর্ষণ করছে। তাই সবচেয়ে ভালোলাগার ফুলটা ক্যামেরাবন্দি করেছি। আজকে সে ফুলটা আপনাদের মাঝে উপস্থাপন করলাম।

এটা একটি আর্টিফিশিয়াল গোলাপ ফুল। প্রতিষ্ঠানের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করতে এই ফুলগুলো খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। অনেকে প্রতিষ্ঠানকে সুন্দর করে সাজাতে আর্টিফিশিয়াল ফুল ব্যবহার করে থাকে আবার টবে সত্তিকারের ফুল ব্যবহার করে। যার কাছে যেটা বেশি সুবিধা জনক হয় সে সেই সুবিধাটা গ্রহণ করে থাকে। আমার কাছে আর্টিফিশিয়াল গুলোই সবচেয়ে ভালো মনে হয় প্রতিষ্ঠানের জন্য। একটি সত্যিকারের গাছকে প্রতিষ্ঠানের মধ্যে টিকিয়ে রাখতে অনেকটা ভোগান্তির শিকার হতে হবে যদি সঠিকভাবে পরিচর্যা করতে না পারা যায়। কিন্তু এগুলো শুধু কিনে এনেই সাজিয়ে রাখা। তবে প্রতিষ্ঠান অনুসারে নিজ নিজ সুবিধা। গোলাপ ফুলটা কিন্তু চমৎকার ছিল।

এখন মানুষের মধ্যে জ্ঞানের ব্যাপক বিস্তার ঘটেছে। ফুলের বাগান তৈরি করে ফুলের সৌন্দর্য যেমন বৃদ্ধি করা যায়, বিকল্প পদ্ধতি হিসেবে আর্টিফিশিয়াল ফুল প্রতিষ্ঠানের সামনে স্থাপন করে সৌন্দর্য বৃদ্ধি করা যায়। আমি এই সূর্যমুখী ফুলকে দেখে এটাই উপলব্ধি করেছিলাম। দোকানের সামনে খুব সুন্দর ভাবে এটাকে স্থাপন করেছে। এর কোন পরিচর্যা বা যত্ন নেওয়া লাগে না। তবে রাস্তার ধুলাবালি যখন পশুর পরিমাণ ফুল টাকে ঘিরে ফেলে, তখন একে ঝাড়ু দেওয়া লাগে। প্রথম দেখায় মনে করেছিলাম সত্যিকারের সূর্যমুখী ফুল। কারণ এই সূর্যমুখী ফুলের নিচেই নয়নতারা ফুল ছিল।

টবের উপর ফুল গাছ লাগানোর ব্যাপক চাহিদা রয়েছে পাবলিকের মধ্যে। আমরা আমাদের বাসা বাড়ি প্রতিষ্ঠানের পাঁচিল অথবা ঘরের ছাদের উপর যে কোন জায়গাকে সুন্দরভাবে রাঙিয়ে তুলতে ফুল গাছ ব্যবহার করতে পারি। ঠিক এখানে বাগান বিলাস ফুল টা অনেক সুন্দর ভাবে ফুটে উঠেছে একটি পাঁচিলের উপর। আর এটা চলতি পথের মানুষদের মনোরঞ্জন করছিল।

এখানে নয়ন তারা ফুলটাকে আমি ফটো ধারণ করেছিলাম একটি চিন্তা মাথায় রেখে। গাছের গোড়াটা তারে জালের ভেতরে। কিন্তু ফুলগুলো সব তারের জালের বাইরে। হয়তো ফুলের সৌন্দর্য একটু বৃদ্ধি করার জন্য বাইরে বের করে দেওয়া হয়েছে। অথবা পাশে থাকা বিভিন্ন গাছের চাপে গাছটা নিজেই বাইরে বের হয়ে এসেছে। তবুও ফুল গাছটা নিজের মত ফুল ফুটিয়ে সৌন্দর্য স্থাপন করেছে সেখানে।

এই গাছটার নাম আমারও জানা নেই। তবে এবারই প্রথম গ্রামে ঘুরতে গিয়ে দেখেছিলাম। অনেক সুন্দর গাছের ফুলটা। গাছে অবশ্য অনেক অনেক কাটা ছিল। বিশেষ করে গাছের পাতার উপরে বড় বড় কাঁটা লক্ষ্য করেছি। সবকিছুর মধ্য থেকে ফুলটা এমন সুন্দরভাবে ফুটে উঠেছে। যেন চোখ ধাঁধানো একটি ফুল।

প্রকৃতির সৌন্দর্য প্রতিনিয়ত সৃষ্টি হচ্ছে এবং শেষ হয়ে যাচ্ছে। আমরা কয়জন তার হিসাব রাখি বা স্বচক্ষে দেখি। কিছু কিছু ফুলের গাছে ফুল ফুটে ঝরে যায়। আবার কিছু কিছু ফলের গাছেও ফুল ফুটে ঝরে যায়। আমরা খুব অল্প সংখ্যক মানুষ এগুলো নিয়ে ভেবে থাকি। তবে ভাবনা সৃষ্টি হয়ে যায় যখন বিশেষভাবে কোন কিছু চোখে বাধে। এখানে ডালিম ফুল আমি এতটা উপলব্ধি করেছিলাম অন্য ফুলের মধ্যে এতটা সৌন্দর্য খুঁজতে যায়নি। পাশাপাশি চারটা ফুলের কলি এমন ভাবে হয়ে উঠছে মনে হচ্ছে আপনার আমার সামনে সুন্দর ফুল উপস্থাপন করার জন্য ঠেলাঠেলি শুরু করেছে। কলিগুলো পাশাপাশি অবস্থান করছে। ফুল ফুটলে না জানি পাশাপাশি অবস্থান করবে কিভাবে। আর পাশাপাশি অবস্থান করে ফুল ফুটলে কতটা সুন্দর লাগবে একবার ভেবে দেখুন। আর এই নিয়েছিল আমার আজকের আয়োজন।

আমি মোঃ হেলাল উদ্দিন। আমি একজন বাংলাদেশী মুসলিম নাগরিক। আমার বাসা গাংনী-মেহেরপুরে। আমার বর্তমান ঠিকানা,ঢাকা সাভার বিশ-মাইল। আমি একজন বিবাহিত ব্যক্তি। কর্মজীবনে একজন বেসরকারি চাকরিজীবী।