কলেজ জীবন শেষ করার পর , যখন আমি ভার্সিটিতে উঠলাম। তখন আমার বিয়ে হয়ে গেল। তারপর থেকে আমার আর কলেজ জীবনের কোনো বান্ধবীর সঙ্গে দেখা হয়নি। দেখা হবেই বা কিভাবে কারন আমার ঠিকানা তো পরিবর্তন হয়ে গিয়েছে। কারণ আমি এখন অন্য একজনের ঘরের বউ।
মেয়েদের জীবন আসলে ভীষণ অদ্ভুত । তাদের নির্দিষ্ট কোন ঠিকানা থাকে না। তাদের ঠিকানা হয় শুধুমাত্র ঘর পরিবর্তন করে। আজ হয়তো বাবার ঘরে আছে, অন্য দিন হয়তো স্বামীর ঘরে চলে যাবে। যাইহোক এজন্যই মেয়েদের ঠিকানা কোন নির্দিষ্ট নয়।
আমার বাবা কৃষক মানুষ হলেও, আমাকে পড়াশোনার প্রতি একটুও আগ্রহ দেখিয়েছিল। কারন আমি যে গ্রামে বড় হয়েছি, সেখান থেকে মোটামুটি নারী শিক্ষারহার নেই বললেই চলে। তাও আমাকে বাবা শখ করে সেই জয়পুরহাট সরকারি কলেজে পড়িয়ে ছিল। যাইহোক কলেজ জীবনের কথা অন্য আরেকদিন বলব। তবে আজ বলবো সুইটির কথা।
সুইটি আমার শুধু বান্ধবীই ছিলোনা, সুইটি আমার ছিল সেই কলেজ জীবনের প্রথম পরিচিত মানুষ। যার সঙ্গে, আমি একই রুমে থেকেছি দীর্ঘ আড়াই বছর। সত্যি কথা বলতে গেলে কি, পুরো কলেজ জীবনটা তার সঙ্গে আমার এমন অতপ্রত ভাবে কেটে গিয়েছিল, যে তাকে আমি কোনভাবেই ভুলতে পারিনি কোন সময় কিন্তু আমার বিবাহ পরবর্তী সময়ে আমার সাংসারিক ব্যস্ততার কারণে তার সঙ্গে কিছুটা দূরত্ব বেড়ে যায় কিন্তু আমাদের কথা প্রতিনিয়ত হতো মোবাইলে ও সোশ্যাল মিডিয়াতে।
বিয়ের পরে আমার পড়াশোনার জীবনে অনেকটা ভাটা পড়ে যায়। কারণ সংসার সামলিয়ে পড়াশোনা করা অনেকটা কষ্টকর। তাই মোটামুটি পড়াশোনাকে ইস্তফা দিয়েছি। যাইহোক আজকে সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে যখন, সোশ্যাল মিডিয়াতে টাইমলাইন চেক করছিলাম। হঠাৎ একটা নোটিফিকেশন দেখতে পারলাম। যে নোটিফিকেশনটা আমার চোখে পড়েছে,তা দেখে আমি বাকরুদ্ধ হয়েছি।
সুইটি মারা গিয়েছে, এটা আমি কোনোভাবেই মেনে নিতে পারছি না। কারণ মেনে নেয়ার মত না, এই রকম সদা হাস্যজ্জল তরুণী একটা মেয়ে হুট করে মারা যাবে। আমি কোনোভাবেই মেনে নিতে পারছি না। আমি নিজেকে সামলাতে পারছিনা। আমি তাড়াতাড়ি শুভকে বললাম আমাকে গাড়ির ব্যবস্থা করে দাও আমি ওকে শেষবারের জন্য হলেও দেখতে চাই। আমি কোন কথা শুনতে চাই না, আমি সুইটি কে দেখতে চাই। ..............চলবে
প্রথমেই ধন্যবাদ জানাই আপু আপনি পড়াশোনার প্রতি আগ্রহ দেখিয়েছেন এবং তা আপনার আব্বুর মাধ্যমেই সম্ভব হয়েছে। তবে একটা বিষয় খারাপ লাগছে সুইটি মারা গিয়েছে তার আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি। সৃষ্টিকর্তা যেন তাদের জান্নাত দান করেন আমিন।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য করার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
খুব খারাপ লাগলো সুইটি আপুর মৃত্যুর খবর শুনে।
আজকাল চারপাশটাও যেনো শুধু মৃত্যুর মিছিল আর আমরা সেই মিছিলে অংশগ্রহণ করার জন্য অপেক্ষা করছি মাত্র।
কষ্ট পাইয়েন না আপু।
জানি শান্তনা নিয়ে লাভ নেই তবুও নিজেকে শক্ত রাখুন।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য করার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আসলে আপনার পোস্টটি প্রথম দিকে যখন পড়লাম তখন মনে হল আপনি আপনার বান্ধবীদের নিয়ে কোনো ভালো একটা মুহূর্তের কথা শেয়ার করবেন কিন্তু যখন পড়তে পড়তে নিচের দিকে গেলাম পুরাই শক খেয়ে গেলাম। আসলে এরকম অপমৃত্যু কোনোভাবেই মেনে নেয়া যায়না। কিন্তু বিধাতার বিধান কেউ খন্ডাতে পারে না জন্ম নিলে একদিন সবাইকে যেতেই হবে। যাইহোক খুব খারাপ লাগলো পরবর্তী পর্বের জন্য অপেক্ষায় রইলাম।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ধন্যবাদ মন্তব্য করার জন্য। শুভেচ্ছা রইলো আপনার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit