রেসিপিঃ মাছের মাথা দিয়ে কলমি শাকের ঘন্ট

in hive-129948 •  8 days ago 

"হ্যালো",

আমার বাংলা ব্লগ বাসি, সবাই কেমন আছেন? আশা করছি সবাই ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন। আমিও আপনাদের দোয়াই এবং আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। সবার সময় ভালো কাটুক এই কামনাই করছি।

সবাইকে আমার নতুন একটি রেসিপি ব্লগে স্বাগতম। আজ আমি আপনাদের মাঝে আবারো নতুন একটি রেসিপি নিয়ে হাজির হয়েছি। আজ আমি শেয়ার করব আমার খুব পছন্দের একটা রেসিপি। সেটা হচ্ছে মাছের মাথা দিয়ে কলমি শাকের ঘন্ট। মাছের মাথা দিয়ে যেকোনো শাকের ঘন্ট খেতে আমার কাছে বেশ ভালো লাগে। আমি মাঝেমধ্যেই রান্না করে থাকি। গতদিন বাজার থেকে বেশ টাটকা কলমি শাক কেনা হয়েছিল। আর গ্রামের শাকগুলো একদমই ফরমালিনমুক্ত হয়। শাকগুলো বেশ কচি ছিল তাই ভাবলাম মাছের মাথা দিয়ে অনেক মজা করে ঘন্ট রান্না করব।মাছের মাথা দিয়ে যে কোনো শাকের ঘন্ট রেসিপি টা আমার হাতের বেশ মজার হয় এবং আমার পরিবারের সবাই খুব পছন্দ করে। আশা করছি রেসিপিটা আজকে আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।

1000005017.jpg

1000005018.jpg

তো চলুন বন্ধুরা এই রেসিপিটি রান্না করতে আমার কি কি উপকরণ লেগেছে এবং আমি কিভাবে রান্না করেছি সেই ধাপগুলো আপনাদের সাথে শেয়ার করি।

1000000121.png

উপকরণ
কলমি শাক
রুই মাছের মাথা
পেঁয়াজ কুচি
কাঁচামরিচ ফালি
আদা-রসুন বাটা
চালের গুঁড়া
হলুদ গুঁড়া
পাঁচফোড়ন
লবণ
তেল

1000005015.jpg

1000000122.png

ধাপ-১

প্রথমে কলমি শাকগুলো ছোট ছোট করে কেটে ভালোভাবে ধুয়ে পানি ঝরিয়ে নিয়েছি।

1000005016.jpg

ধাপ-২

এবার মাছে লবণ হলুদ গুঁড়া মাখিয়ে মাছগুলো ভেজে নিয়েছি। যেহেতু আমি অন্য রান্না করবো তাই একটু বেশি করে মাছ ভেজে নিয়েছি।

1000005014.jpg

ধাপ-৩

মাছ ভাজা হয়ে গেলে সব মাছ তুলে নিয়ে মাছের মাথা এবং লেজ ভালোভাবে ভাজনির সাহায্যে ভেঙে নিয়েছি।

1000005013.jpg

ধাপ-৪

মাছ ভাজা গুলো তুলে নিয়ে একই তেলে দিয়েছি পাঁচফোড়ন।

1000005012.jpg

ধাপ-৫

পাঁচফোড়ন দিয়ে নেড়েচেড়ে পেঁয়াজ কুচি এবং কাঁচামরিচ ফালি দিয়ে হালকা বাদামি করে ভেজে নিয়েছি।

1000005011.jpg

ধাপ-৬

এবার পরিমাণ মতো লবণ হলুদ গুঁড়া এবং আদা-রসুন বাটা দিয়ে পেঁয়াজের সঙ্গে মিশিয়ে নিয়ে মশলাটা কিছুক্ষণ কষিয়ে নিয়েছি।

1000005010.jpg

ধাপ-৭

এবার কেটে ধুয়ে রাখা শাকগুলো দিয়ে মসলার সঙ্গে ভালোভাবে নেড়ে চেড়ে মিশিয়ে নিতে হবে।

1000005009.jpg

ধাপ-৮

শাকগুলো সেদ্ধ হওয়া পর্যন্ত ভাজতে হবে।

1000005008.jpg

ধাপ-৯

শাক ভালোভাবে সেদ্ধ হয়ে গেলে চালের গুঁড়ায় সামান্য একটু পানি দিয়ে একটা গোলা বানিয়ে শাকের মধ্যে দিয়ে ভালোভাবে নেড়ে চেড়ে মিশিয়ে নিতে হবে।

1000005007.jpg

ধাপ-১০

এ পর্যায়ে আগে থেকে ভেজে রাখা মাছের মাথা দিয়ে ভালোভাবে নেড়েচেড়ে যখন অনেকটা আঠালো হয়ে যাবে তখন এই রান্নাটি নামিয়ে নিলেই তৈরি মজাদার মাছের মাথা দিয়ে কলমি শাকের ঘন্ট।

1000005006.jpg

❤️ফাইনাল লুক❤️

1000005017.jpg

1000005018.jpg

তো বন্ধুরা এই ছিল আমার আজকের রেসিপি। রেসিপিটি আপনাদের কাছে কেমন লেগেছে অবশ্যই জানাবেন। সত্যি কথা বলতে মাছের মাথা দিয়ে কলমি শাকের ঘন্ট রেসিপিটা খেতে খুবই সুস্বাদু হয়েছিল। আমার বাসার সবাই খুবই মজা করে খেয়েছে। আজ এখানেই বিদায় নিচ্ছি। দেখা হবে পরবর্তীতে নতুন কিছু নিয়ে। সবাই ভালো থাকবেন এবং সুস্থ থাকবেন। ধন্যবাদ সবাইকে।

1000000117.png

1000000118.png

1000000119.gif

❤️আমার পরিচয়❤️

আমি হাবিবা সুলতানা হীরা । জাতীয়তাঃ বাংলাদেশী। পেশাঃ গৃহিণী। শখঃ নতুন নতুন রেসিপি বানাতে ভালো লাগে। তাছাড়া গান গাওয়া, আর্ট করা, ফটোগ্রাফি করা ও বাগান করতে আমি বেশ স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি। আমি স্টিমিটে ২০২০ সালের নভেম্বর মাসে যুক্ত হই।

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

কলমি শাক আমার কাছে মোটামুটি ভালোই লাগে খেতে। তবে মাছের মাথা দিয়ে এরকম ঘন্ট রান্না করে কখনো খাওয়া হয়নি। দেখে মনে হচ্ছে রেসিপিটা খেতে ভীষণ সুস্বাদু হয়েছে। বিভিন্ন ধরনের একটা রেসিপি দেখে বেশ ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপু এত সুস্বাদু একটা রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।

একবার হলেও এভাবে রান্না করে খেয়ে দেখবেন আপু।আশা করছি ভালো লাগবে। ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্যের জন্য।

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

যদিও আমি খুব একটা বেশি মাছ খাই না তবে আপনার রেসিপির পদ্ধতিটি আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছে এবং দেখেও মনে হচ্ছে অনেক সুস্বাদু হয়েছে, আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।

জ্বি আপু রেসিপিটা বেশ সুস্বাদু হয়েছিলো। ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।

কলমি শাক আমি অনেক পছন্দ করি। এটা আমার খুবই প্রিয় একটি শাক। আজকে আপনি আমাদের মাঝে দারুন ভাবে রান্না করে দেখিয়েছেন। অনেক সুন্দর হয়েছে আপনার রান্নার কার্যক্রম। দেখে বেশ ভালো লাগলো আমার। এত সুন্দর ভাবে কলমি শাক রান্না করে দেখানোর জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।

কলমি শাক আমারও পছন্দের। এভাবে কলমি শাক রান্না করলে খেতে খুবই মজার হয়। ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর মন্তব্যের জন্য।

কলমি শাক আমার অনেক পছন্দের তাই ভাড়ির আঙিনায় এক৷ গোছা লাগিয়ে রেখেছি ভেজে খেয়ে খুব ভালো লাগে।আমি কখনো ঘন্ট খেয়ে দেখিনি।অনেক দারুন হয়েছে রেসিপিটা ধন্যবাদ আপু।

এভাবে কলমি শাকের ঘন্ট একবার রান্না করে খাবেন বেশ ভালো লাগে খেতে।

মাছের মাথা দিয়ে কলমি শাকের ঘন্ট তৈরি করা খুবই লোভনীয় রেসিপি আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন আপু। এই রেসিপিটা যে আমার কতটা প্রিয় একটা রেসিপি সেটা আপনাকে আমি বলে বোঝাতে পারবো না। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এমন লোভন রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।

রেসিপিটা আপনার প্রিয় জেনে ভালো লাগলো ভাইয়া। ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।

image.png

কলমি শাক আমার খুবই প্রিয় একটি শাক।দিনভাগ দিনেই কলমি শাখা হয়ে থাকে।তবে সাধারণত ভাজি করেই বেশি খাওয়া হয়।মাঝে মাঝে ঘন্ট ও রান্না করি,তবে সেটা মাছের মাথা দিয়ে নয় আলু বেগুন ডালের বড়া এগুলো দিয়ে নিরামিষ ভাবে ঘন্ট রান্না করি।মাছের মাথা দেওয়াতে নিশ্চয়ই খাবারের স্বাদটা দ্বিগুণ হয়েছে তা বোঝা যাচ্ছে।সুন্দর একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাবি।

বাহ্ কলমি শাকের নতুন একটা রেসিপি জানলাম আপনার কাছে।তবে এভাবে রান্না করলেও খেতে ভালো লাগে।ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।

এর আগে কলমি শাক দিয়ে আমি তরকারি খেয়েছি কিন্তু এই ধরনের মাছের মাথা দিয়ে কলমি শাকের ঘন্ট আমার কাছে নতুন মনে হল। আসলে এই খাবারটি কিন্তু খুবই একটি পুষ্টিকর খাবার। আর আপনি খুব সুন্দর ভাবে এই রেসিপিটা তৈরি বর্ণনা আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটা রেসিপি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।

রেসিপিটি দেখে সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা। এই রেসিপিটি সত্যিই অনেক পুষ্টিকর এবং সুস্বাদু।

বড় একটা টব কিনেছি যেখানে ভেবেছি কলমি শাক লাগাবো। আমার টবে কলমি শাক হলে আপনার শেখানো রেসিপিটি একবার রান্না করবো। আসলে কলমি শাক আমার ভীষণ প্রিয়। কখনো মাছ দিয়ে রান্না করিনি, রসুন আর পোস্ত দিয়ে ভাজা হয় বাড়িতে। এর পরবার মাছের মাথা দিয়ে রান্না করে খাব। কত কি শিখি আপনাদের ব্লগগুলো পড়ে পড়ে।

অবশ্যই আপু একবার হলেও রেসিপিটি রান্না করবেন আশা করছি ভালো লাগবে। কারণ এটা খেতে ভীষণ সুস্বাদু হয়। একদম ঠিক বলেছেন আমার বাংলা ব্লগ থেকে অনেক কিছু শেখার আছে।

এটা আজ রান্না করলাম আপু। হেব্বি হয়েছিল। জনগন হাত চেটে খেয়েছে৷ আপনাকে অনেক ভালোবাসা দিলাম।

মাছের মাথা দিয়ে যেকোনো কিছু রান্না করলে খেতে খুবই ভালো লাগে। আর আপনি তো চমৎকারভাবে এই রেসিপি তৈরির প্রক্রিয়া তুলে ধরেছেন আপু। দেখে মনে হচ্ছে খেতেও দারুণ হয়েছিল। এভাবে রান্না করে খেয়ে দেখব আপু। অনেক ধন্যবাদ জানাচ্ছি আপনাকে।

ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।

আপু ঠিক বলেছেন মাছের মাথা দিয়ে যে কোন শাকের ঘন্ট খেতে ভালোই লাগে। আজকে আপনি মাছের মাথা দিয়ে কলমি শাকের ঘন্ট রেসিপি করেছেন। আর এই ধরনের রেসিপি দিয়ে গরম ভাত এবং রুটি খেতে বেশ মজাই লাগে। আর কমবেশি সবাই সবজি অনেক পছন্দ করে। মজার কলমি শাকের ঘন্ট রেসিপি করে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন।

আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।

কলমি শাক আমার অনেক প্রিয় একটি শাক। সেই শাকের সঙ্গে মাছ মাথা দিয়ে ঘন্ট করেছেন যা দেখে আসলে লোভ সামলাতে পারছি না। এত লোভনিও রেসিপি সবার মাঝে শেয়ার করেছেন দেখে অনেক লোভ লেগে গেল।

রেসিপিটি সত্যিই অনেক সুস্বাদু ছিলো। ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।