"হ্যালো",
আমার বাংলা ব্লগ বাসি, সবাই কেমন আছেন? আশা করছি সবাই ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন। আমিও আপনাদের দোয়াই এবং আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। সবার সময় ভালো কাটুক এই কামনাই করছি।
সবাইকে আমার নতুন একটি ব্লগে স্বাগতম। আজ আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করবো একটি প্রেমের কাহিনী।প্রেম ভালোবাসা আমাদের প্রত্যেকের জীবনেই থাকে।কেউ স্বার্থক হয় আবার কেউ হয় ব্যর্থ।সবার উপরে মানুষ সত্য তার উপরে নাই।ভালোবাসায় যখন ধনী গরীব উঁচু নিচু বাধা হয়ে দাঁড়ায় তখন অনেক লড়াই করে হয়ত সেই সম্পর্ক টিকিয়ে রাখা যায়। কিন্তু সেই সম্পর্কে যদি ধর্ম বাধা হয়ে দাঁড়ায় তখন সেটা মোকাবেলা করা অনেকটা কষ্টকর।ঠিক তেমনি একটি সুন্দর ভালোবাসার গল্প আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করবো।
আমি গৌতম কুমার নামের এক শিক্ষকের কাছে প্রাইভেট পড়তাম যখন আমি কলেজে পড়তাম।উনার বাড়িতে আমরা সকালে পড়তে যেতাম।পড়ার রুমের পাশেই উনাদের রান্নাঘর।প্রতিদিন উনার সহধর্মিণীকে রান্না করতে দেখতাম। কিন্ত কখনো উনাকে সিঁদুর পড়তে দেখতাম না।এটা নিয়ে অবশ্য কখনো ভাবি নি কারণ এখন অনেকই সিঁদুর খুব একটা পড়ে না।যাইহোক একদিন আমার এক বান্ধবী পানি খেতে চায়।গৌতম স্যার তখন তার সহধর্মিণীর উদ্দেশ্য বলেন "জান্নাত এক গ্লাস পানি দিও তো।" বিশ্বাস করেন নামটা শুনে অবাক হয়ে গেলাম। কারণ জান্নাত মুসলিম মেয়েদের নাম। স্যার তো হিন্দু।
তখন অনেক আগ্রহ হলো জানার। কলেজ হোস্টেলে ফিরে আমাদের প্রাইভেট আমার এক আপু ঠিক করে দিয়েছিলেন তাকে ব্যাপারটা জিজ্ঞেস করলাম। তখন উনি পুরো ঘটনা আমাদেরকে খুলে বললেন।
গৌতম স্যার কলেজের একজন সহকারি শিক্ষক। আর সেই কলেজের ছাএী ছিলো জান্নাত। জান্নাত দেখতে যেমন সুন্দরী তেমনি পড়াশোনায় খুবই ভালো।অপর দিকে গৌতম স্যারও খুবই ভালো একজন মানুষ। কলেজের অনেক মেয়েই তাকে পছন্দ করে।ক্লাসে ভালো পড়াশোনার জন্য গৌতম স্যার জান্নাতকে খুবই পছন্দ করেন এবং ক্লাসে বেশি তার সাথেই কথা বলেন।এভাবেই কখন যে দুজন দুজনকে ভালোবেসে ফেলেছে বুঝতেই পারেনি।
এভাবেই চলছিলো তাদের সম্পর্ক। কথায় আছে সত্য কখনো চাপা থাকেনা।খুব তাড়াতাড়ি জানাজানি হয়ে যায় তাদের সম্পর্কের কথা।তখন দুজনার বাড়ি থেকেই কড়া নিষেধ যে এ সম্পর্ক যেনো আর না এগোয়।এর মধ্যে জান্নাতের পরিবার জান্নাতের বিয়ে ঠিক করে। এরপর কি হবে? জান্নাত কি ভাবে গৌতমকে বিয়ে করলো জানতে হলে পরের পর্বের জন্য অপেক্ষা করতে হবে।
আজ এখানেই বিদায় নিচ্ছি। দেখা হবে পরবর্তী সময়ে। সবাই ভালো থাকবেন এবং সুস্থ থাকবেন।ধন্যবাদ সবাইকে।
❤️আমার পরিচয়❤️
আমি হাবিবা সুলতানা হীরা । জাতীয়তাঃ বাংলাদেশী। পেশাঃ গৃহিণী। শখঃ নতুন নতুন রেসিপি বানাতে ভালো লাগে। তাছাড়া গান গাওয়া, আর্ট করা, ফটোগ্রাফি করা ও বাগান করতে আমি বেশ স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি। আমি স্টিমিটে ২০২০ সালের নভেম্বর মাসে যুক্ত হই।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আপনার গল্পটি পড়ে অনেক ভালো লাগলো। আসলে আপু ধনী গরীবের প্রেম হয়তো সবাই মেনে নেই কিন্তু ধর্মের ব্যাপারটি সম্পূর্ণ আলাদা। যাইহোক জান্নাত কিভাবে গৌতম স্যারকে বিয়ে করলো জানার অপেক্ষায় থাকলাম। ধন্যবাদ আপনাকে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ধন্যবাদ আপু গল্পটি পড়ে সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ভিন্ন ধরনের একটি গল্প শেয়ার করেছেন আপু। শিক্ষক ও ছাত্রীর প্রেম তবুও দুইজনের ধর্ম আলাদা।দারুন হয়েছে আপু আপনার লেখা গল্পটি।দেখা যাক তাদের মিলন হয় কি না।পরের পর্বের অপেক্ষায় রইলাম ।ধন্যবাদ আপু সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
অসংখ্য ধন্যবাদ আপু সুন্দর একটি মন্তব্যের জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আসলে ভালোবাসা কখন কিভাবে হয়ে যায়, সেটা বলা যায় না। তবে ভিন্ন ধর্মের হলে কোনো পরিবার সেটা মেনে নেয় না। আমার মনে হচ্ছে গৌতম স্যার এবং জান্নাত নিজেরাই বিয়ে করে নিয়েছে। কারণ এছাড়া আর কোনো পথ তাদের সামনে হয়তোবা খোলা ছিলো না। আশা করি পরবর্তী পর্বে বিস্তারিত জানতে পারবো। পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম আপু।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit