শত ব্যস্ততার মধ্যেও প্রিয়জনের জন্য পছন্দের খাবার বানিয়ে দেওয়া

in hive-129948 •  2 months ago 

"হ্যালো",

আমার বাংলা ব্লগ বাসি, সবাই কেমন আছেন? আশা করছি সবাই ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন। আমিও আপনাদের দোয়াই এবং আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। সবার সময় ভালো কাটুক এই কামনাই করছি।

সবাইকে আমার নতুন একটি ব্লগে স্বাগতম। এখন যখন লিখতে বসেছি প্রায় রাত 11:30 টা বাজে। আমি মাত্র গোসল সেরে লিখতে বসেছি। একদমই ইচ্ছে করছিল না লিখতে। প্রচুর ক্লান্ত এবং ঘুম পাচ্ছিল। কিন্তু সময়ের কাজ সময় না করলে পরে আর মন বসে না। বিশেষ করে আজকের দিনটায় খুবই ব্যস্ত ছিলাম। সকাল থেকে একটুও রেস্ট করার সময় পায়নি। কারণ বাড়িতে আজ প্রায় অনেকগুলো মিস্ত্রি ছিল। রঙের মিস্ত্রি, রাজমিস্ত্রি এবং বাহিরে বারান্দা করা হচ্ছিল টিনের মিস্ত্রি। সব মিলিয়ে নিঃশ্বাস ফেলার সময় পায়নি। যাইহোক এরই মধ্যে আবার প্রিয়জনের আবদার মেটাতে হয়। যেমন স্বামী সন্তান সবার।

1000006944.jpg

1000006945.jpg

1000006943.jpg

আজ দুপুর বেলা যেহেতু অনেকগুলো মিস্ত্রি ছিল বাসায় তাই তাদের জন্য রান্না বান্নাও করতে হচ্ছিল।তাই অনেকটা সময় লাগছিল। এদিকে আমার বরমশায়ের খুদা লেগেছে সাথে ছেলে বলছে তারও কিছু খেতে হবে।তাই ভাবলাম ঝটপট তাদের জন্য নুডলস বানিয়ে দেই কারণ এটা তাদের দুজনেরই পছন্দের খাবার। খুবই কম সময়ের মধ্যে আমি তাদের খাবারটা বানিয়ে দিয়েছিলাম।

ঘরে গাজর ছিল ভাবলাম আজকে একটু তাদেরকে গাজর দিয়ে মজা করে নুডলস বানিয়ে দিই। তারা খুবই মজা করে খেয়েছিল। আসলে শত ব্যস্ততার মাঝেও যখন প্রিয়জনের মুখে হাসি ফোটাতে পারি তখন ভালোলাগাটা অন্যরকমের হয়।তাদের এই হাসি মুখগুলো আমার কাছে খুব ভালো লাগে। জানিনা কবে এই ব্যস্ততা কাটিয়ে উঠতে পারব। তবে অনেকটা একঘেয়েমি চলে এসেছে আর ভালো লাগছে না। ঠিকভাবে পোস্ট লেখার মতো বিষয়ে এখন খুঁজে পেতে আমার অনেক কষ্ট হয়। রেসিপি করতে পারছি না বাহিরে কোথাও ঘোরাঘুরি করতে পারছি না সব সময় বাসার কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়েছি।

ভাবলাম যেহেতু তাদের জন্য আমি রান্না করেছি সেটার রেসিপি শেয়ার না করলেও অন্তত খাবারের ফটোগ্রাফি দিয়ে আমি এই মুহূর্তটা লিখতে পারি। সেই ভেবে লিখতে বসেছি। আশা করছি আপনাদের কাছে ভালো লেগেছে। হয়তো খুব তাড়াতাড়ি সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে পুনরায় কাজে ফিরব। আজ এখানেই বিদায় নিচ্ছি দেখা হবে পরবর্তীতে সবাই ভালো থাকবেন এবং সুস্থ থাকবেন। ধন্যবাদ সবাইকে।

❤️আমার পরিচয়❤️

আমি হাবিবা সুলতানা হীরা । জাতীয়তাঃ বাংলাদেশী। পেশাঃ গৃহিণী। শখঃ নতুন নতুন রেসিপি বানাতে ভালো লাগে। তাছাড়া গান গাওয়া, আর্ট করা, ফটোগ্রাফি করা ও বাগান করতে আমি বেশ স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি। আমি স্টিমিটে ২০২০ সালের নভেম্বর মাসে যুক্ত হই।

1000000117.png

1000000118.png

1000000119.gif

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

এধরনের রেসিপি দেখলে আসলে অনেক লোভ লেগে যায় কারণ এগুলো তো আসলে মুখোচোক খাবার। আর এধরনের খাবার দেখলেই খেতে ইচ্ছা করে। এত সুন্দর একটি মোখরোচক খাবার আমাদের সামনে উপস্থাপন করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ আপু।

ধন্যবাদ আপু সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য। এ ধরনের মুখরোচক খাবার গুলো আমার কাছে খেতেও বেশ ভালো লাগে।

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

শত ব্যস্ততার মধ্যেও প্রিয়জনের জন্য পছন্দের খাবার বানিয়ে দেওয়ার মধ্যে অন্যরকম অনুভূতি কাজ করে। এবং সেই খাবারটি যখন প্রিয় মানুষ তৃপ্তি সহকারে খায়। তখনকার অনুভূতিটা আরো বেশি তীব্র হয়।

জ্বি আপু প্রিয় মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে পেরে খুব ভালো লাগছিলো।

এটা সত্যি বলেছেন আপু অনেক ব্যস্ততার মাঝেও প্রিয়জনের আবদার পূরণ করতে পারলে মনের কাছে অনেক ভালো লাগে। নুডুলস রেসিপিটা আমি অনেক বেশি পছন্দ করি খুব ভালো লাগে আমার কাছে। অনেক সুন্দর একটি রেসিপি তৈরি প্রক্রিয়া আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।

সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ ভাইয়া।

এরকম ধরনের নুডুলস খেতে আমারও খুবই পছন্দ। আমাদের এখানে ম্যাগি পাওয়া যায়। ম্যাগি দিয়ে এরকম বানায়। মাঝে মাঝে মনে হয় বিশ্বের সেরা খাবার ম্যাগি। হা হা হা৷ আপনার নুডুলসটিও দেখতে বেশ হয়েছে ভাবি৷ খেতেও নিশ্চই দারুণ হয়েছিল।

হ্যাঁ আপু এই নুডুলসটি খেতে খুবই ভালো হয়েছিল আর আমার ছেলে এবং আমার বর খুবই মজা করে খেয়েছিলেন।

নুডুলস খুবই লোভনীয় লাগছে। এই ধরনের খাবারগুলো খেতে সবাই পছন্দ করে। আর আপনি আপনার প্রিয় মানুষের জন্য চমৎকার করে নুডুলস তৈরি করেছিলেন। খুবই ভালো লেগেছে আপনার এই পোস্ট দেখে।

ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।

একদম ঠিক বলছেন আপু শত ব্যস্ততার মাঝেও যখন প্রিয়জনের কাছে পছন্দের খাবার গুলো দেওয়া যায় তখন সবচেয়ে বেশি ভালো লাগে। আপনি তো দেখছি অনেক ব্যস্ত ছিলেন সারাদিন। তার মাঝেও খুব মজাদার একটি রেসিপি তৈরি করেছিলেন। ভাইয়া আর বাবুর জন্য। নুডুলসের কালার দেখে বেশ ভালো লাগলো।

শুধু সেই দিনটা না আপু প্রত্যেকটা দিনই আমার খুবই ব্যস্ততায় কাটছে। তারপর চেষ্টা করি তাদের মুখে হাসি ফোটানোর এবং তাদের পছন্দের খাবার গুলো রান্না করার। আপনার সুন্দর মন্তব্য পেয়ে ভালো লাগলো আপু।

সত্যিই প্রিয় মানুষের জন্য যদি কোন কিছু করা যায় তাহলে সেখানেই আমাদের শান্তি। আপনার কষ্ট হলেও আপনি যেহেতু প্রিয় মানুষের জন্য এই রেসিপি তৈরি করেছেন তাহলে সেই রেসিপি খেয়ে প্রিয় মানুষের মুখের হাঁসি দেখলে আপনার সকল কষ্ট দূর হয়ে যাবে।

ঠিক বলেছেন দাদা প্রিয় মানুষের মুখে হাসি দেখলে সব কষ্ট দূর হয়ে যায়। তাই যখন শত ব্যস্ততার মাঝেও তাদের পছন্দের খাবার বানিয়ে দিয়ে তাদের মুখে হাসি ফোটাতে পেরেছিলাম তখন খুবই ভালো লাগছিল।

আসলে আপু কাছের মানুষগুলো যখন কিছু আবদার করে শত ব্যস্ততার মাঝেও তাদের সে আবদার একটা মেটাতে পারলে অনেক বেশি তৃপ্তি লাগে। ভাইয়া আর বাবু আবদারে তাদের জন্য নুডুলস রান্না করেছেন জেনে খুবই ভালো লাগে।

হ্যাঁ আপু কাছের মানুষগুলো যখন কিছু আবদার করে তখন ব্যস্ত থাকলেও তাদের আদর পূরণ করার চেষ্টা করা উচিত। এতে করে তারা খুশি হবে এবং নিজেও আত্মতৃপ্তি পাওয়া যায়। ধন্যবাদ আপু সুন্দর একটি মন্তব্যের জন্য।

আসলে প্রিয়জনদের জন্যে কিছু করতে পারলে সেটা অনুভূতিটাই আলাদা। আপনি আপনার বর এর জন্য তার প্রিয় খাবার নুডলস বানিয়ে পরিবেশন করেছেন দেখে অনেক ভালো লাগলো। আসলে সবাই যদি এমন হতো তাহলে হয়তো কোন বরদের আর দুঃখ থাকতো না। ধন্যবাদ আপু আপনাকে।

আপু আপনার পোস্ট পড়ে বুঝতে পারলাম আপনি খুব ব্যস্ত। আর ব্যস্ততার মাঝেও প্রিয়জনের জন্য নুডলস রেসিপি করেছেন।আসলে প্রিয় মানুষ যখন বলে কিছু বানানোর জন্য শত ব্যস্ততার মাঝেও তৈরি করে ফেলে। আর নুডুলস খেতে কমবেশি সবাই খুব পছন্দ করে।

আপু কতটা ব্যস্ত সেটা হয়তো বলে বোঝাতে পারবো না। তারপরও তাদের পছন্দের খাবারগুলো বানিয়ে দিতে পেরে বেশ ভালো লেগেছিল এবং তাদের খুশি দেখে আমিও অনেকটা খুশি হয়ে গিয়েছিলাম। ধন্যবাদ আপু সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।

আসলে জীবনে ব্যস্ততা থাকবে তবে শত ব্যস্ততার মাঝেও প্রিয় জনের জন্য খাবার তৈরি করা হলো ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ। ভাইয়া আর বাবুর আবদারে তাদের জন্য নুডুলস রান্না করেছেন জেনে ভালো লাগলো। বেশ সুন্দর নুডুলস তৈরি করেছেন আপনি। নুডুলস খুবই লোভনীয় লাগছে। ধন্যবাদ আপনাকে আপু।

সুন্দর একটি মন্তব্য পেয়ে ভালো লাগলো ভাইয়া। অসংখ্য ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যের মাধ্যমে পাশে থাকার জন্য।