মজাদার চটপটি রেসিপি 🥘

in hive-129948 •  6 days ago 

"হ্যালো",

আমার বাংলা ব্লগ বাসি, সবাই কেমন আছেন? আশা করছি সবাই ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন। আমিও আপনাদের দোয়াই এবং আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। সবার সময় ভালো কাটুক এই কামনাই করছি।

সবাইকে আমার নতুন একটি রেসিপি পোস্ট এ স্বাগতম। আজ আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করব মজাদার চটপটি রেসিপি। আমি একদম ঘরে তৈরি করা মসলা দিয়ে চটপটি বানিয়েছি এবং কিভাবে বানিয়েছি সেটা আপনাদের সাথে ধাপে ধাপে শেয়ার করব। বিকেল হলে পরিবারের সদস্যদের বায়না থাকে তাদের বিভিন্ন ধরনের খাবার তৈরি করে খাওয়াতে হবে। সত্যি কথা বলতে আমার তাদেরকে রান্না করে খাওয়াতে ভালোই লাগে আর পরিবারের জন্য কিছু করতে পারলে অন্যরকম অনুভূতি সৃষ্টি হয়। আমি বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করে থাকি গতকাল সন্ধ্যায় তৈরি করেছিলাম চটপটি রেসিপি। বাসায় চটপটির মসলা ছিল না আমি ঘরে থাকা মসলা দিয়েই চটপটির মসলা তৈরি করেছিলাম। আপনাদের সাথে রেসিপিটি শেয়ার করছি। আশা করছি ভাল লাগবে।

1000015397.jpg

1000015398.jpg

1000015079.png

উপকরণ
চটপটির ডাল
ডিম
আলু
কাঁচামরিচ কুচি
পেঁয়াজ কুচি
তেঁতুলের টক
ফুচকা
শসা
লেবু
শুকনা মরিচ
পাঁচফোড়ন
জিরা
ধনিয়া

1000015396.jpg

1000000122.png

ধাপ-১

প্রথমে চটপটি ডালগুলো প্রায় ছয় ঘন্টার মতো ভিজিয়ে রেখেছিলাম এরপর ভালোভাবে ধুয়ে নিয়েছি।

1000015395.jpg

ধাপ-২

এরপর ডালগুলো প্রেসার কুকারে দিয়ে সামান্য পানি দিয়ে তার সাথে কয়েকটা আলু দিয়ে ভালোভাবে সেদ্ধ করে নিয়েছি।

1000015394.jpg

ধাপ-৩

এবার কয়েকটি শুকনা মরিচ,গোটা জিরা, গোটা ধনিয়া এবং সামান্য পাঁচফোড়ন শুকনা কড়াইয়ে টেলে নিয়ে ব্লেন্ডার করে চটপটির মসলা তৈরি করে নিতে হবে।

1000015393.jpg

ধাপ-৪

এবার সেদ্ধ ডিম, সেদ্ধ আলু টুকরো করে কেটে নিয়েছি,একটি শসা কুচি করে নিয়েছি এবং কাঁচামরিচ পিেয়াজ কুচি এবং সাথে এক টুকরো লেবু নিয়েছি। এবং তেঁতুলের টক রেডি করে নিয়েছি। সাথে কয়েকটা ফুচকা ভেজে নিয়েছি।

1000015392.jpg

ধাপ-৫

এবার সেদ্ধ চটপটির ছোলা একটি বাটিতে নিয়ে দিয়েছি পরিমাণ মতো তেঁতুলের টক।

1000015391.jpg

ধাপ-৬

এবার দিয়েছি সেদ্ধ আলুর ডিমের এবং সেই চটপটির মসলাটা।

1000015390.jpg

ধাপ-৭

এবার শসা কুচি, পেঁয়াজ কুচি এবং কাঁচামরিচ কুচি দিয়ে ওপরে একটি ফুচকা ভেঙে দিলেই তৈরি মজাদার চটপটি।

1000015389.jpg

1000015397.jpg

একে একে বেশ কয়েকটি বাটি সাজিয়ে নিয়ে সবার সামনে পরিবেশন করেছি। খেতে ভীষণ মজার হয়েছিল এবং সবাই খুবই মজা করে খেয়েছে। আমি খুবই সহজভাবে এবং ঘরোয়া পদ্ধতিতে এই চটপটি রেসিপিটা রান্না করেছি। আপনাদের কাছে কেমন লেগেছে রেসিপিটি অবশ্যই জানাবেন। আজ এখানেই বিদায় নিচ্ছি। দেখা হবে পরবর্তীতে নতুন কিছু নিয়ে।সবাই ভালো থাকবেন এবং সুস্থ থাকবেন। ধন্যবাদ সবাইকে।

❤️আমার পরিচয়❤️

আমি হাবিবা সুলতানা হীরা । জাতীয়তাঃ বাংলাদেশী। পেশাঃ গৃহিণী। শখঃ নতুন নতুন রেসিপি বানাতে ভালো লাগে। তাছাড়া গান গাওয়া, আর্ট করা, ফটোগ্রাফি করা ও বাগান করতে আমি বেশ স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি। আমি স্টিমিটে ২০২০ সালের নভেম্বর মাসে যুক্ত হই।

1000000117.png

1000000119.gif

1000000118.png

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

এত মজাদার চটপটি রেসিপি শেয়ার করেছেন দেখে তো অনেক লোভ লাগলো। চটপটি খেতে আমি অনেক বেশি পছন্দ করি। আমার কিন্তু খুব লোভ লেগে গিয়েছে এটা দেখে। চটপটি দেখলে সাথে সাথে খেয়ে ফেলতে ইচ্ছে করে আমার। নিশ্চয়ই অনেক মজা করে খেয়েছেন এটা। মাঝে মধ্যে পরিবারের সবাই মিলে এভাবে কোনো কিছু তৈরি করে খেতে ভালো লাগে।

হ্যাঁ আপু এই চটপটি খেতে ভীষণ মজাদার হয়েছিল আমরা খুবই মজা করে খেয়েছি। ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যের জন্য।

এই ধরনের রেসিপি দেখলে আসলে লোভ সামলিয়ে রাখা অনেক কঠিন। চটপটি আমার ভীষণ পছন্দের। আপনার রেসিপি টা দেখে তো খেতে ইচ্ছে করছে আপু। খুবই লোভনীয় লাগছে দেখতে। চটপটির সবগুলো ধাপ খুব সুন্দরভাবে উপস্থাপন করেছেন। সম্পূর্ণভাবে ঘরোয়া মশলা দিয়ে তৈরি করেছেন দেখে ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপু।

আসলে আপু বাসায় চটপটির মশলা ছিল না তাই ঘরোয়া ভাবে মশলা তৈরি করে চটপটি বানিয়েছি। খেতে ভীষণ মজাদার হয়েছিল। ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যের জন্য।

এ ধরনের রেসিপি দেখলে জিভের জল আটকানো দায় হয়ে পড়ে। কি সুন্দর করে বানিয়েছেন আপনি বাড়িতেই। আমারও মাঝেমধ্যে খুব খেতে লোভ হয়, আগে দোকান থেকে কিনেই খেতাম। কখনো নিজের বাড়িতে বানাইনি। তবে এখন যেখানে থাকি সেখানে তো দোকান থেকে পাওয়া যায় না খুব একটা। তাই ভাবছি এরকম সুন্দর চটপটি আমিও একদিন বাড়িতে বানিয়ে নেব। দেখতে তো দারুন হয়েছে আপনার চটপটি।

হ্যাঁ আপু বাসায় খুব সহজে চটপটি বানানো যায়। অবশ্যই বাসায় বানিয়ে খাবেন ভালো লাগবে। ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যের জন্য।

অত্যন্ত লোভনীয় একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন আপু। আপনার এই রেসিপি তৈরির বর্ণনা গুলো পড়ে আমার খুবই ভালো লেগেছে। একই সাথে সব থেকে বেশি ভালো লেগেছে ডালগুলো সুন্দরভাবে প্রস্তুত করে দেওয়াটা। দারুন একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া আপনাকে সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।

মজার মজার খাবার খেতে পছন্দ করে না এরকম মানুষ তো একেবারে কম রয়েছে। আমার তো মনে হয় একটাও নেই। আমরা সবাই কিন্তু মজার মজার খাবার খেতে অনেক পছন্দ করি। এ ধরনের রেসিপি গুলো দেখলেই খেতে ইচ্ছে করে শুধু। তেমনি আপনার চটপটি রেসিপিটা দেখে আমার অনেক লোভ লেগেছে। আর ইচ্ছে করছে খেয়ে নিতে। ধন্যবাদ সুন্দর একটি চটপটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য।

সত্যি কথা বলতে ভাইয়া এমন লোভনীয় রেসিপি খেতে আমিও ভীষণ পছন্দ করি। সত্যিই মজার ছিল এই চটপটি। ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যের জন্য।

চটপটি শীতকালের অন্যতম একটি খাবার। আপনি দেখছি বাসায় বসে মজাদার চটপটি রেসিপি তৈরি করেছেন। আপনার তৈরি করা চটপটি রেসিপি টি দেখে লোভ লেগে গেল আপু। আপনি দেখছি আজকে খুবই সুন্দর করে সাজিয়ে গুছিয়ে মজাদার চটপটি রেসিপি তৈরি করেছেন। আপনার তৈরি করা মজাদার চটপটি রেসিপি টি দেখে মনে হচ্ছে বেশ মজাদার হয়েছিল।

হ্যাঁ ভাইয়া এই চটপটি খেতে ভীষণ মজাদার হয়েছিল। ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যের জন্য।

বাইরের চটপটি থেকে বাসায় তৈরি চটপটি খেতে আমার কাছে বেশি ভালো লাগে। আর আমিও চেষ্টা করি বাসার সবাইকে কিছু না কিছু তৈরি করে খাওয়াতে।আমিও বিকেল বেলার নাস্তায় বিভিন্ন রকম জিনিস তৈরি করে থাকি আপু। সবার আবদারে দারুন একটা রেসিপি করেছেন এবং আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ।

একদম ঠিক বলেছেন আপু বাসায় বানানো যে কোনো খাবারই অনেক স্বাস্থ্যকর এবং মজাদার হয়। আমিও সবসময় চেষ্টা করি ধরনের খাবার বাসায় বানিয়ে খাওয়ার। ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।

মজাদার চটপটি রেসিপি টা দারুন সুন্দর বানিয়েছেন। দেখেই তো খাবার লোভ হচ্ছে। খেতে নিশ্চয়ই খুব সুন্দর হয়েছিল। এমন চটপটি রেসিপি মাঝে মাঝে খেতে বেশ ভালো লাগে। সবমিলিয়ে দারুন একটি রান্নার ধাপে ধাপে উপস্থাপন করলেন এই ব্লগের মাধ্যমে।

হ্যাঁ ভাইয়া চটপটি খেতে ভীষণ মজার হয়েছিল। ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যের জন্য।

রান্না করে খাওয়াতে আপনার ভালো লাগে জেনে খুশি হলাম। আপনি আজকে চমৎকার সুন্দর করে চটপটি রেসিপি করেছেন। অনেক লোভনীয় হয়েছে আপনার চটপটি রেসিপিটি। খেতে অনেক সুস্বাদু হয়েছে তা রেসিপিটি দেখেই বুঝতে পারছি। ধাপে ধাপে চটপটি রন্ধন প্রণালী চমৎকার সুন্দরভাবে আমাদের সঙ্গে ভাগ করে নেয়ার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।

হ্যাঁ আপু চটপটি খেতে ভীষণ সুস্বাদু হয়েছিল। বাসার সবাই খুবই মজা করে খেয়েছি। ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যের জন্য।

মজাদার চটপটি রেসিপি দেখে খেতে ইচ্ছা করছে। চটপটি আমি খুবই পছন্দ করি। আর আপনার রেসিপি পরিবেশন দেখে খুবই সুস্বাদু মনে হচ্ছে। তাই খেতে ইচ্ছা করলো।

অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া রেসিপিটি দেখে সুন্দর একটা মন্তব্য করার জন্য।

বাইরে চটপটি খাওয়ার চেয়ে নিজে বাসায় তৈরি করে চটপটি খেলে স্বাস্থ্যের জন্য ভালো হয়। আপনি দেখতেছি চটপটি রেসিপি করেছেন বাসায়। তবে আপু চটপটি রেসিপি ছোট বড় সবাই খেতে খুব পছন্দ। তবে আপনার চটপটি রেসিপি দেখে আমার জিভে জল এসে গেল খাবার জন্য। নিশ্চয় চটপটি রেসিপি খেয়ে অনেক মজা পেয়েছেন।

এইটা ঠিক বলেছেন ভাইয়া বাহিরের খাবারের চেয়ে বাসায় তৈরি যে কোনো খাবারই বেশ স্বাস্থ্যকর। বাসার সবাই খুবই মজা করে খেয়েছি ভাইয়া। ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।

চটপটি বেশ মুখরোচক একটা খাবার। তবে বাড়িতে খুব একটা তৈরি করা হয় না। সাধারণত বাইরে গিয়েই খাওয়া হয় বেশি। এটার কারণ এটা তৈরি করতে অনেক উপাদান লাগে এবং বেশ ঝামেলার। আপনি বেশ দারুণ তৈরি করেছেন চটপটি টা আপু। দেখে বেশ লোভনীয় লাগছে। ধন্যবাদ আপনাকে।।

কি বলেন ভাইয়া চটপটি বাসায় বানানো খুবই সহজ। আমি যেভাবে বানিয়েছি অবশ্যই একদিন বানিয়ে খেয়ে দেখবেন ভালো লাগবে। ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যের জন্য।