শীতকালে আমাদের প্রথম পিকনিক

in hive-129948 •  12 days ago 

"হ্যালো",

আমার বাংলা ব্লগ বাসি, সবাই কেমন আছেন? আশা করছি সবাই ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন। আমিও আপনাদের দোয়াই এবং আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। সবার সময় ভালো কাটুক এই কামনাই করছি।

দেখতে দেখতে পুরোদমে শীত পড়ে গেল। শীতকাল মানেই নানান রকম পিঠাপুলি এবং শীতের রাতে পিকনিক।তাই আমরা আর দেরি না করে শীতকালের শুরুতেই প্রথম পিকনিক টা সেরে ফেললাম। যদিও শহরে সেভাবে শীত পরেনি কিন্তু গ্রামে পুরোপুরি শীত পড়ে গেছে। আর গ্রামে পিকনিক করার মজাই আলাদা। গ্রামে আসার পর থেকে
সবার সাথে সুন্দর মুহূর্ত কাটে সব সময়। এখানে আমার সবার সাথে খুবই আন্তরিকতা।অনেকদিন থেকেই সবাই বলছিল পিকনিক করতে।কিন্তু আমার সময় হয়ে উঠছিল না। বাড়ির কাজ শেষ হতে না হতেই বাড়ি গোছানো রয়ে গেছিল। আর আমার মনে হয় গোছানোর কাজ অনেক সময় সাপেক্ষ।

1000015005.jpg

1000015006.jpg

অবশেষে গত দুইদিন আগে আমরা পিকনিকের আয়োজন করেছিলাম। সবার থেকে চাঁদা তুলে মুরগি কিনেছিলাম এবং বাড়ি থেকে চাল ডাল সংগ্রহ করে খিচুড়ি রান্না করেছিলাম।আমরা রাতের বেলা পিকনিকের আয়োজন করেছিলাম। এজন্য বিকেল হলেই প্রত্যেকটা বাড়ি থেকে চাল, তেল, মসলা, পেঁয়াজ, আদা, রসুন, কাঁচা মরিচ ইত্যাদি সংগ্রহ করেছিলাম। মনে হচ্ছিল সেই ছোটবেলায় ফিরে গিয়েছি। ছোটবেলায় এরকম পিকনিক কত করেছি।অনেক সময় তো মসলা চাল চুরি করে নিয়ে গিয়ে পিকনিক করেছি তার কোন হিসাব নেই।চুরি করার কারণ হচ্ছে প্রায় প্রায় পিকনিক করতাম আর বাড়ি থেকে সবসময় তো আর পিকনিক করতে দিত না।

1000015007.jpg

1000015008.jpg

1000015009.jpg

1000015002.jpg

1000015003.jpg

1000015004.jpg

যাইহোক যখন বাড়ি বাড়ি থেকে সেই তেল মশলা চাল সংগ্রহ করছিলাম খুবই মজা হচ্ছিল। যাইহোক সবকিছু সংগ্রহ করে আমরা সব কিছু রেডি করে সন্ধ্যার পর রান্না চাপিয়ে দেই।আমাদের পিকনিকে ছিল খিচুড়ি এবং মুরগির মাংস কষা। বাচ্চারা তো ভীষণ খুশি হয়েছিল। তারা তো আমাকে বলেছে এরকম পিকনিক মাঝেমধ্যে এখন করা হবে।এইসব রান্না হয়েছিল আমার বাসার মাটির চুলায় আমি বাসার সামনে ছোট্ট একটা মাটি রান্না ঘর করেছি সেটাতে।

এবার রান্নাবান্না শেষে সবাই মিলে একসাথে খেতে বসেছিলাম। প্রথমেই বাচ্চারা খেতে বসেছিল। আর ওরা বাজী ধরে খাচ্ছিল কে বেশি খেতে পারে। এমনটা আমরাও ছোটবেলায় করেছি। ওদের আনন্দ দেখে খুবই ভালো লাগছিল। এরপর তো সবাই মিলে বলেছে ভাপা পিঠা দিয়ে পিকনিক করবে খুব তাড়াতাড়ি।খুব তাড়াতাড়ি সেই ব্যবস্থাও করে ফেলব।চেষ্টা করব সেই মুহূর্ত আপনাদের সাথে শেয়ার করার। আজ এখানেই বিদায় নিচ্ছি। দেখা হবে পরবর্তীতে নতুন কিছু নিয়ে। সবাই ভালো থাকবেন এবং সুস্থ থাকবেন। ধন্যবাদ সবাইকে।

❤️আমার পরিচয়❤️

আমি হাবিবা সুলতানা হীরা । জাতীয়তাঃ বাংলাদেশী। পেশাঃ গৃহিণী। শখঃ নতুন নতুন রেসিপি বানাতে ভালো লাগে। তাছাড়া গান গাওয়া, আর্ট করা, ফটোগ্রাফি করা ও বাগান করতে আমি বেশ স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি। আমি স্টিমিটে ২০২০ সালের নভেম্বর মাসে যুক্ত হই।

1000000117.png

1000000119.gif

1000000118.png

1000010107.jpg

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  
  ·  12 days ago (edited)

শীতকাল শুরু হতে না হতেই আপনারা পিকনিক করেছেন দেখছি।আসলে পিকনিকে সবাই মিলে খেতে বেশ ভালো লাগে।তাছাড়া পরের বার পিঠা পিকনিক করবেন জেনে ভালো লাগলো।খাবারগুলো বেশ মজাদার হয়েছে দেখে বোঝা যাচ্ছে, ধন্যবাদ আপনাকে।

হ্যাঁ আপু পরেরবার ইচ্ছা আছে ভাপা পিঠা দিয়ে পিকনিক করার। আর খাবারগুলো খুবই মজাদার ছিল। ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যের জন্য।

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

শীতের সময় আসলে দুইটা জিনিস বেশি হয়ে থাকে। একদিকে গ্রামে গ্রামে পিকনিকের আয়োজন চলতে থাকে। আরেকদিকে ওয়াজ মাহফিলের আয়োজন লক্ষ্য করা যায়। যাই হোক ছোটবেলার অনেক স্মৃতি মনে পড়ে গেল আপনাদের এমন সুন্দর পিকনিকের আয়োজন দেখে। আমরা পাড়ার বন্ধুরা মিলে এমন আয়োজন করতাম পাশের শিশু বাগানে। এখন শুধু স্মৃতি হয়ে রয়েছে। আর তো সেভাবে সম্ভব হয়ে ওঠে না। আপনাদের এমন সুন্দর আয়োজন দেখে ভালো লাগলো।

ঠিক বলেছেন যেমন শীতকালে পিকনিকের আয়োজন শুরু হয় তেমনি শুরু হয় ওয়াজ মাহফিল। এই তো দুদিন পরে নানু বাসায় যাব ওয়াজ মাহফিল শুনতে। ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর মন্তব্যের জন্য।

শীত কালের এই পিকনিক সত্যিই ভীষণ মজার ব্যাপার।
আমিও একটা সময় এধরনের পিকনিক করেছি কিন্তু এখনকার সময়ে আর তেমন পিকনিক করা হয় না। যাইহোক আপনাদের এই আনন্দ আয়োজন দেখে সত্যিই ভালো লাগলো। এটা একদমই অন্যরকম আনন্দ।
ধন্যবাদ আপু চমৎকার পোস্ট শেয়ার করার জন্য।

ছোটবেলার দিনগুলো অনেক ভাল ছিল। এখন তো কেমন জানি সব কিছু ফরমাল হয়ে গেছে। ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর মন্তব্যের জন্য।

পিকনিক মানেই ভীষণ আনন্দের জায়গা। চাঁদা তুলে সবকিছু কিনে আনা এবং রান্না করে একসাথে খাওয়ার মজাই আলাদা। আপনাদের পিকনিক দেখতে খুব ভালো লাগছে আপু রান্না গুলো নিশ্চয়ই জিভে জল আনার মত হয়েছিল।

একদম আপু সত্যিই জিভে জল আসার মতই ব্যবস্থা হয়েছিল। সবাই তো খুবই মজা করেছি। বলতে গেলে অনেক বছর পর এমন আনন্দ করেছিলাম সবার সাথে।

শীতকালে অন্যরকম মজার কাজ হচ্ছে সবাই মিলে এভাবে পিকনিক করা! এর সাথে আসলে সকলেরই নস্টালজিয়া কাজ করে! আপনি আপনার কথা লিখেছেন, আর পড়তে পড়তে আমি আমার ছোটবেলার পিকনিকের কথা মনে করছিলাম। খুব মজা করেছেন বড় - ছোট সকলে মিলেই, এই বিষয় টি ভালো লাগলো।

হ্যাঁ আপু সকলে মিলে খুবই মজা করেছি। ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যের জন্য।

পিকনিক ছেলেবেলা আমরা ও করেছি।কিন্তু এখন আর পিকনিক করা হয়না।আপনাদের পিকনিকের আমেজ দেখে আমার ও খুব ভালো লাগলো।সবাই খুব আনন্দ করেছে বাচ্চারা।বাচ্চাদের আনন্দে বড়রাও ভীষণ আনন্দিত। আপনার অনুভূতি গুলো পড়ে খুব ই ভালো লেগেছে আপু।

নিজেরা যতটা খুশি হয়েছিলাম তার থেকে বেশি খুশি হয়েছিলাম বাচ্চাদের আনন্দ দেখে। ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্যের জন্য।

গ্রামের পিকনিক মানেই বাড়ি থেকে চাল ডাল,মসলা সংগ্রহ করে চাঁদা তুলে পিকনিক করা।এই ভাবে পিকনিক খেতে যে কি ভালো লাগে তা বলে বোঝাতে পারবো না।খিচুড়ি ও মুরগীর মাংস দিয়ে পিকনিক করেছেন। অনেক লোভনীয় হয়েছে রেসিপি গুলো।চমৎকার অনুভুতি শেয়ার করেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে পিকনিক অনুভূতি আমাদের সাথে ভাগ করে নিয়েছেন জন্য।

এমন মুহূর্ত সত্যিই অনেক ভালো লাগার। ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যের জন্য।

শীতকাল আসলেই সবাই দেখি রাতের বেলা এরকম পিকনিকের আয়োজন করে। আমার কাছেও বেশ মজা লাগে। তাছাড়া ঠিকই বলেছেন আপু নতুন বাড়ি গোছানো অনেক সময় সাপেক্ষ বিষয়। যাইহোক তারপরও সময় করে যে এত সুন্দর পিকনিকের আয়োজন করেছেন দেখেই তো ভালো লাগছে। খিচুড়িগুলো মনে হয় বেশ মজাদার হয়েছিল?

একসাথে যখন অনেকগুলো মানুষের রান্না হয় তখন সেটা খেতে এমনিতেই অনেক মজার হয় আপু। সত্যি খিচুড়ি যেমন মজা হয়েছিল তেমনি মাংস রান্নাটাও।সব থেকে বড় কথা হচ্ছে আমরা সবাই মিলে খুবই মজা করেছি। ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যের জন্য।

সবাই মিলে পিকনিক করার আনন্দটা সত্যি আলাদা। সবাই মিলে দারুন কিছু মুহূর্ত কাটিয়েছেন এবং খাওয়া-দাওয়া করেছেন। ভালো লাগলো আপনার আজকের এই পোস্ট দেখে। খিচুড়ি আর মাংস দেখে তো খেতে ইচ্ছে করছে। শীতকালে এরকম গরম গরম খিচুড়ি আর মাংস সত্যি দারুন লাগে খেতে।

হ্যাঁ আপু সবাই মিলে খুবই আনন্দ করেছিলাম এবং খুবই ভালো মুহূর্ত কাটিয়েছি।ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্যের জন্য।

শীতকালে পিকনিক খেতে সত্যি অনেক ভালো লাগে। খিচুড়ি আর মাংস দেখেই তো খেতে ইচ্ছে করছে আপু। আর রান্নার কালার টা কিন্তু দারুন এসেছে। সত্যিই আপু এরকম সবাই মিলে পিকনিক করার আনন্দই আলাদা।

রান্না কালার টা যেমন সুন্দর এসেছিল খেতেও খুবই সুস্বাদু হয়েছিল আপু। আমরা সবাই মিলে খুবই আনন্দ করে খেয়েছি। ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্যের জন্য।

আহ আপু আপনার পোস্ট টা দেখে গত বছরের কথা মনে পড়ে গেল আমার। গতবছর শীতে প্রতি মাসে আমরা বন্ধুরা এইরকম পিকনিক করতাম। এবং আমাদের পিকনিকের মেন‍্যু ছিল এইটাই খিচুড়ি এবং মুরগির মাংস ভুনা। আপনার পোস্ট টা দেখে কথাগুলো মনে পড়ে গেল।

পিকনিকে সত্যিই অনেক মজা হয়। বিশেষ করে শীতকালে। আর শীতকালে খিচুড়ি এবং মুরগির মাংস ভুনা খেতে সত্যিই অসাধারণ লাগে। ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর মন্তব্যের জন্য।