"হ্যালো",
আমার বাংলা ব্লগ বাসি, সবাই কেমন আছেন? আশা করছি সবাই ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন। আমিও আপনাদের দোয়াই এবং আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। সবার সময় ভালো কাটুক এই কামনাই করছি।
সবাইকে আমার নতুন একটি ব্লগে স্বাগতম। গত দুদিন আগে আমি একটি বাস্তব ঘটনা আপনাদের সাথে শেয়ার করেছিলাম। আজ সেই ঘটনার দ্বিতীয় শেয়ার করব।জীবনের এত মায়া আমরা করি অথচ একটু কিছু হলে রাগের বসে সেই জীবন শেষ করতে দুবার ভাবি না। অনেক সময় ভালোবাসার প্রমাণ দিতে গিয়েও নিজের জীবন দিতে হয়। এই ঘটনাটা ঠিক তেমনই।
যাইহোক অক্টোবরের ৫ তারিখ সেই অনাকাঙ্ক্ষিত একটি দিন। যেদিন এই ঘটনা ঘটে যায়। কি হয়েছিল অক্টোবরের পাঁচ তারিখে সেটা জানতে হলে পরের পর্বের জন্য অপেক্ষা করতে হবে। তাড়াতাড়ি চেষ্টা করব পরের পর্বটি শেয়ার করার।
আমার সেই চাচাতো ভাইয়ের নাম ছিল রতন।এলাকা জুড়ে তার খুব নাম ডাক ছিল কারণ সে খুব ভালো ফুটবল খেলতো। রতন এক মেয়েকে পছন্দ করত অনেক আগে থেকেই। অনেক চেষ্টা ঘুরাঘুরি পর রতনের সঙ্গে সেই মেয়ের প্রেম হয়। অক্টোবরের পাঁচ তারিখ রতন শহর থেকে গ্রামে এসেছে। বিকেলে সেই মেয়ের সঙ্গে দেখা করার কথা। শহর থেকে এক গোছা গোলাপ কিনে এনেছে।
মেয়ে আমাদের স্থানীয় বাজারে প্রাইভেট পড়তো। রতন বিকেলে গিয়েছিলো তার সাথে দেখা করতে সাথে। এবার সেখানে দেখা করে আসার সময় সেই মেয়েকে একটা মোবাইল ফোন দিতে চায়।কিন্তু মেয়ে কোনভাবেই রাজি হয় না সেই মোবাইল ফোন নিতে।এ নিয়ে দুজনার মধ্যে শুরু হয়ে যায় মান অভিমানের পালা। এক পর্যায়ে রতন রাগ দেখিয়ে বলে যদি মোবাইল ফোন তুমি না নেও তাহলে আমি নিজের জীবন শেষ করব। এই বলে সে দোকান থেকে বিষ কিনে সেই মেয়ের কাছে যায়।
সেখানে যারা যারা ছিল কেউই বিশ্বাস করতে পারেনি যে রতন সত্যি সত্যি বিষটা খেয়ে নেবে। বোতল দেখে সবাই হাসাহাসি করছিল। এক পর্যায়ে রতন বিষ পান করে।তখন সবাই অবাক হয়ে যায়। এদিকে আমরা সবাই খবরটা পেয়েছি। ওখান থেকেই রতনকে হাসপাতালে নেওয়া হয় এবং চিকিৎসা দেওয়ার পর অনেকটাই সুস্থ হয়।
এবার রতনকে হাসপাতালে তিন দিন থাকতে হয়েছিল। আমরা সবাই একে একে গিয়েছিলাম তার সঙ্গে দেখা করতে। যেহেতু আমার শহরে বাসা তাই দ্রুত শহরে চলে গিয়েছিলাম কখন কি দরকার লাগে সেটা তো আর বলা যায় না। তিনদিন পর রতনকে বাসায় দেওয়া হয়। সবকিছু ঠিকঠাক ছিল হঠাৎ বাসায় ফেরার সাত দিন পর ঘটে যায় সেই অনাকাঙ্ক্ষিত দুর্ঘটনা।
(চলবে)
তো বন্ধুরা আজ এখানেই বিদায় নিচ্ছি। কি সেই অনাকাঙ্ক্ষিত দুর্ঘটনা সেটি আমি পরবর্তী এবং শেষ পর্বে শেয়ার করার চেষ্টা করব। সবাই ভাল থাকবেন এবং সুস্থ থাকবেন। ধন্যবাদ সবাইকে।
❤️আমার পরিচয়❤️
আমি হাবিবা সুলতানা হীরা । জাতীয়তাঃ বাংলাদেশী। পেশাঃ গৃহিণী। শখঃ নতুন নতুন রেসিপি বানাতে ভালো লাগে। তাছাড়া গান গাওয়া, আর্ট করা, ফটোগ্রাফি করা ও বাগান করতে আমি বেশ স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি। আমি স্টিমিটে ২০২০ সালের নভেম্বর মাসে যুক্ত হই।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit