অনাকাঙ্ক্ষিত ঝড়বৃষ্টি

in hive-129948 •  4 months ago 

thunder-4963719_1280.jpg
source

"হ্যালো",

আমার বাংলা ব্লগ বাসি, সবাই কেমন আছেন? আশা করছি সবাই ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন। আমিও আপনাদের দোয়াই এবং আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। সবার সময় ভালো কাটুক এই কামনাই করছি।

সবাইকে আমার নতুন একটি ব্লগে স্বাগতম। অনাকাঙ্ক্ষিত ঝড়বৃষ্টি বলছি কারণ আমরা অনেকেই আছি বৃষ্টি এলে অনেক খুশি হই।কিন্তু কৃষকের জন্য এমত আবহাওয়া মোটেই কাম্য নয়।আমরা বৃষ্টি উপভোগ করি বিভিন্ন ধরনের খাবার রান্না করে কিংবা এক কাপ চা নিয়ে বারান্দায় বসে।আর সেই বৃষ্টিই কৃষকের মুখের হাসি কেরে নেয়।কাল হয়ে দাঁড়ায়। কয়দিন যে পরিমাণে গরম পরেছিলো তাতে এই বৃষ্টি হয়ে এক দিক ভালো হয়েছে।তবে গ্রামের প্রত্যেকটা কৃষকের আহাজারি শুরু হয়েছে।

গত দুইদিন থেকে টানা ঝড়বৃষ্টি শুরু হয়েছিলো।আমাদের বাড়িতে ধানের কাজ চলছে।শুধু আমাদের বাড়িতেই নয় প্রত্যেকটা বাড়িতে ধানের কাজ।যাইহোক গত দুই আগে আবহাওয়া যখন ভালো ছিলো আমার বাবা মাকে বললাম পরশুদিন থেকে ঝড়বৃষ্টি শুরু হবে যেনো ধান সেদ্ধ করা না হয়। এবার গতদিন সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠে দেখি আমার মা বাবা মাথায় হাত দিয়ে বসে হায় হায় করছে।অপরদিকে সেকি ঝড় তুফান। আমি জিজ্ঞেস করলাম, কি হয়েছে? তারা বলল শেষ রাতে আকাশ ভালো দেখে তারা প্রায় ২০ মণ ধান সেদ্ধ করেছে।এটা শোনার পর আমার অনেক রাগ হলো। বারবার নিষেধ করাও পরও কেনো এটা করা হলো।

যাইহোক করেই ফেলেছে বলে তো কাজ নেই।এবার তাদের সাথে আমারও চিন্তা বেড়ে গেলো।অপরদিকে গ্রামে একটু বৃষ্টি বা ঝড় হলেই কারেন্ট চলে যায়।কমিউনিটির কোনো কাজ করতে পারিনি। অবশেষে আজ দুপুরের পর হালকা রোদ উঠাই ধানগুলো রোদে দেওয়া হয়েছে।সবার মনে একটু হলেও সস্তি ফিরে এসেছে।সবাই সবার মতো কাজে লেগে গেছে।তবে এখনো অনেক জায়গায় ঝড়বৃষ্টি হচ্ছে। বিশেষ করে সমুদ্র উপকূলে।সৃষ্টিকর্তা সবার সহায় হউন।সবাইকে হেফাজতে রাখুন।

তো বন্ধুরা আজ এখানেই বিদায় নিচ্ছি। যানিনা কারেন্ট কখন আসবে। সবকিছু স্বাভাবিক হোক এই প্রত্যাশাই ব্যক্ত করছি।সবাই ভালো থাকবেন এবং সুস্থ থাকবেন।ধন্যবাদ সবাইকে।

❤️আমার পরিচয়❤️

আমি হাবিবা সুলতানা হীরা । জাতীয়তাঃ বাংলাদেশী। পেশাঃ গৃহিণী। শখঃ নতুন নতুন রেসিপি বানাতে ভালো লাগে। তাছাড়া গান গাওয়া, আর্ট করা, ফটোগ্রাফি করা ও বাগান করতে আমি বেশ স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি। আমি স্টিমিটে ২০২০ সালের নভেম্বর মাসে যুক্ত হই।

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

এই ঝড় বৃষ্টি কারো আনন্দের কারো কষ্টের-কান্নার। এই কালবৈশখী ঝড়ে অনেকের বাড়ীঘর পড়ে গেছে। ক্ষেত-খামারের ক্ষতি হয়েছে। ১০জন মানুষ জীবন হারিয়েছেন। কৃষকের ক্ষতিটা অনেক বেশী হয়েছে। আপনি ঠিকেই বলেছেন, গ্রামে এখন ধানের কাজ চলছে তারা বেশ বিপদে পড়েছেন। আপনার পোস্টটি বর্তমান সময়ের গ্রামের সঠিক চিত্র আপু। পোস্টটি শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।

ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

আপনি ঠিকই বলেছেন আপু এখন প্রতিটি বাড়িতে ধানের কাজ চলছে আর এই সময় এরকম বৃষ্টি হয়ে প্রতিটি মানুষেরই অনেক ক্ষতি হয়েছে। আপনাদের এলাকার মত আমাদের এলাকাতেও একটু ঝড় বৃষ্টি হলে কারেন্ট চলে যায়। আর তার কারণে কোনো রকম কষ্ট করে পোস্টটি করতে পেরেছিলাম শুধু কালকে। আল্লাহ তাআলা সবাইকে হেফাজত করুক। ধন্যবাদ আপু।

হ্যাঁ কারেন্ট না থাকাই সত্যিই অনেক কষ্ট করে কমিউনিটির কাজ করতে হয়েছে।ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।

টানা দুই দিন ঝড় বৃষ্টির কারণে কৃষকের অনেক ক্ষতি হয়ে গিয়েছে। আমাদের এখানে প্রচুর কলা চাষ হয় কলা গাছ গুলো ভেঙে চুরমার। হাজার হাজার বিঘা কলা গাছ যেগুলো ধ্বংস হয়ে গিয়েছে। কৃষকের মুখের হাসি মুহূর্তের মধ্যেই শেষ। এত কষ্টের প্রাপ্তি যখন শেষ হয়ে যায় আসলেই অনেক খারাপ লাগে। ঘূর্ণিঝড় যেটা মুহূর্তের মধ্যে শেষ করে দিয়েছে খারাপ লাগার বিষয়।

আমাদের এখানেও ধানের অনেক ক্ষতি হয়েছে ভাইয়া।তবে শুধু ধানই নয় অন্যান্য ফসলেরও ক্ষতি হয়েছে।আপনার সুন্দর মন্তব্য পেয়ে লাগলো।

বর্তমানে দেশের পরিস্থিতি গুলো বোঝা বেশ কঠিন হয়ে গেছে। কারণ শীতের পরিমাণ বৃদ্ধি ছিল এই বছর। তাছাড়া গরমের পরিমাণ অনেক বেশি ছিলো। তবে হঠাৎ করে যে ঘূর্ণিঝড় আসবে এত বৃষ্টি হবে সেগুলো আমরা কল্পনা করি নাই। দেশের সব জায়গায় অনেক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। আপনার কথাগুলো শুনে আরও খারাপ লাগলো। আশা করি ধান গুলো শুকাতে পারবেন রোদ হবে।

হ্যাঁ আপু এখন মোটামুটি আবহাওয়া ভালো।কৃষকের মুখে হাসির ছাপ।আশা করছি সব ঠিকঠাক থাকবে।

আপু ঘুর্নিঝড় হবে তাতো অনেক আগে থেকেই আমরা শুনে আসছি।তারপরেও ধান সিদ্ধ দেয়াতে ঝামেলায় পরে যেতেন আজ রোদ না উঠলে।যাক আল্লাহ সহায় হয়েছেন।গ্রামে একটু বাতাস হলেই কারেন্ট চলে যায়। তাইতো কাজ করা সময় মতো সম্ভব হয়না।আশাকরি সবাই নিজ নজ জায়গায় নিরাপদে আছেন।

জ্বি আপু আলহামদুলিল্লাহ সবাই নিরাপদে আছি।এই আবহাওয়ায় ধান নিয়ে সত্যিই বিপদে পরতে হয়েছে।ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্যের জন্য।

আসলে প্রচণ্ড ভ্যাপসা গরমের পরে আমরা স্বস্তির বৃষ্টি প্রত্যাশা করেছিলাম। কিন্তু এরকম ধ্বংসাত্মক ঝড় বৃষ্টি আমরা মোটেও প্রত্যাশা করিনি। কারণ এই ঝড় বৃষ্টিতে আমাদের সারাদেশে প্রচুর পরিমাণে ক্ষতি হয়ে গেছে। যেটা পূরণ করা সত্যিই কঠিন। যাহোক সৃষ্টিকর্তা যেন আমাদের সবাইকে হেফাজত করেন এমনটাই আমি প্রত্যাশা করি।

ঠিক বলেছেন ভাইয়া এমন ঝড়বৃষ্টি মোটেও পত্যাশা করে নি কেউ।কি আর করার। ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর মন্তব্যের জন্য।

ঝড় বৃষ্টি হলেও আমরা কিন্তু ততোটা ক্ষতিগ্রস্ত হইনি, তবে কৃষকেরা প্রচুর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। যাইহোক আপনি নিষেধ করার পরেও, আপনার মা বাবার মোটেই উচিত হয়নি ধান সিদ্ধ করা। এতে করে বেশ ঝামেলায় পরতে হয়েছিল আপনাদেরকে। যাইহোক আল্লাহ তায়ালা এই যাত্রায় আমাদের সবাইকে রক্ষা করেছেন,সেজন্য লাখ লাখ শুকরিয়া আদায় করছি। পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।

আসলে ভাইয়া তাদেরও করার কিছু ছিলো না কারণ এখন তো কাঁচা ধান।আর কাঁচা ধান বেশি দিন রাখা যায়না।যাইহোক এখন আল্লাহর রহমতে সব কিছু ঠিক হয়ে গেছে।

সত্যি আপু আপনার মন খারাপের জন্য আমারও খারাপ লাগছে। কারণ 20 মন ধান অনেক ধান। আজ যদি রোদ না উঠত তাহলে আপনাদের অনেক ক্ষতি হয়ে যেত। যাই হোক সৃষ্টিকর্তার সহায় ছিল বলেই রক্ষা হয়েছে। আশা করি মন খারাপ হওয়ার মতো এই কাজগুলো আর কখনো হবে না।

হ্যাঁ আপু অত টেনশনের পর একটু রোদ উঠাই অনেক ভালো লাগছিলো।তা না হলে অতগুলো ধান নষ্ট হতো।ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্যের জন্য।

আমরা আসলে ঝড় বৃষ্টি হলে যতটুকু উপভোগ করি, তার ঠিক উল্টোটা হয় কৃষকদের সাথে। এই মানুষগুলোর কষ্টের কোন সীমা থাকে না এই দিনগুলোতে এবং ঝড় পরবর্তী সময়েও। তবে আপু, ঝড়ের কথা শোনার পরেও ২০ মণ ধান সেদ্ধ করতে দেওয়া হয়তো কিছুটা ভুল হয়েছিল। যদিও পরবর্তীতে সেই সমস্যা সমাধান হয়েছে। কিন্তু রোদ না হলে তো অনেক বড় ক্ষতি হয়ে যেত আপনাদের। আসলে এই ঝড় হয়ে যাওয়ার কারণে অনেকেরই মাথায় হাত পড়েছে।

জ্বি ভাইয়া বৃষ্টি আমাদের জন্য উপভোগ্য হলেও কৃষকের জন্য ক্ষতির কারণ।যাক অবশেষে সবকিছু সামলিয়ে উঠা গেছে এটাই অনেক। ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর একটা মন্তব্য করার জন্য।

বৃষ্টির দিনে ধান শুকানো খুবই কষ্ট।আপনার বাবা মা না বুঝে ধান সেদ্ধ করেছে।অবশেষে দুপুর বেলায় রোদ উঠার কারণে ধান রোদে দিতে পেরেছে জেনে ভালো লাগলো।সুন্দর কিছু কথা তুলে ধরেছেন আপু।ধন্যবাদ আপু সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।

আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ আপু সুন্দর একটা মন্তব্য করার জন্য।