অসুস্থ ছেলেকে নিয়ে একটু ঘোরাঘুরি

in hive-129948 •  4 days ago 

"হ্যালো",

আমার বাংলা ব্লগ বাসি, সবাই কেমন আছেন? আশা করছি সবাই ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন। আমিও আপনাদের দোয়াই এবং আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। সবার সময় ভালো কাটুক এই কামনাই করছি।

সবাইকে আমার নতুন একটি ব্লগে স্বাগতম।আসলে সকাল থেকে বেশ ভালই ছিলাম হঠাৎ করে দুপুর বেলা থেকে লক্ষ্য করি ছেলের গায়ে প্রচুর জ্বর। হঠাৎ কোনো লক্ষন ছাড়া এমনটা হওয়ার কারণ বুঝতে পারছি না। হয়তো আবহাওয়া চেঞ্জ হচ্ছে এজন্য। আশেপাশের সবাই অসুস্থ হয়ে পড়ছে। নিজে অসুস্থ হলে কষ্ট করে হলেও থাকা যায় কিন্তু সন্তান অসুস্থ হলে কোনো কিছুই ভালো লাগেনা। বারোটা বাজে বাবুকে গোসল করিয়ে ঘুমিয়ে দিয়েছিলাম। এরপর নিজে গোসল করে কেবলমাত্র দুপুরের খাবার খেতে বসেছি এরমধ্যেই সে ঘুম থেকে উঠে যায় এবং তাকে যখন আমি কোলে নেই তখন বুঝতে পারি তার শরীর খুব গরম।

1000011044.jpg

1000011042.jpg

1000011043.jpg

প্রথমত আমি ভেবেছি হয়তো ঘুম থেকে উঠেছে তাই এমনটা কিন্তু ওর বাবা দেখার পর বলল বাবুর জ্বর। কি আর করার ভাত আর খাওয়া হলো না। বাবুকে নিয়ে খুবই ব্যস্ত হয়ে পড়লাম। কেননা ওর জ্বর হলে কারোর কাছে যেতে চায় না। ঠিকমতো ঔষধ খেতে চায় না। যাইহোক এরপর অনেক চেষ্টা করার পর ওকে ঔষধ দেয়া হয়। কিছুক্ষণ পর জ্বর হালকা কমে। এবার বিপদ বাঁধে যখন ওর বাবা বিকেলে বাহিরে যাচ্ছিল। এমন কান্না শুরু করেছে যে সে বাবার সঙ্গে বাইরে বেড়াতে যাবে।

ওর বাবা তখন আমাকেও যেতে বললেন। রেডি হবো এই সময়টুকু আমাকে দিচ্ছিল না। তাই বাড়িতে পরা জামা পরেই বেড়িয়ে পরি।খুব বেশি দূর যায়নি আমার গ্রামের বাজারের পাশেই সুন্দর একটি রাস্তা আছে সেই রাস্তায় গিয়েছিলাম ঘুরতে।গিয়ে একটু সময় বাবুকে নিয়ে ঘুরে কিছু ফটোগ্রাফি করে চলে আসি বাসায়।ফটোগ্রাফি গুলো দেখলেই বুঝতে পারবেন বাবুর অবস্থা কেমন হয়েছে। এরপর বাজারে এসে বাবু অনেকগুলো নাস্তা নিয়েছিল। যদিও ও একটাও খাবেনা কারণ জ্বর হলে কোনো কিছুই খেতে চায় না কিন্তু বায়না সেটা আর কিভাবে থামাবো বলেন।

যাইহোক সবাই আমার ছেলের জন্য দোয়া করবেন। ও যেন তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে ওঠে। আর আপনারাও সবাই সাবধানে থাকবেন এবং পরিবারের সবাইকে সাবধানে রাখবেন এই সময়টাতে।ভালো থাকবেন সবাই। ধন্যবাদ সবাইকে।

❤️আমার পরিচয়❤️

আমি হাবিবা সুলতানা হীরা । জাতীয়তাঃ বাংলাদেশী। পেশাঃ গৃহিণী। শখঃ নতুন নতুন রেসিপি বানাতে ভালো লাগে। তাছাড়া গান গাওয়া, আর্ট করা, ফটোগ্রাফি করা ও বাগান করতে আমি বেশ স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি। আমি স্টিমিটে ২০২০ সালের নভেম্বর মাসে যুক্ত হই।

1000000117.png

1000000119.gif

1000000118.png

1000010107.jpg

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

আসলে আপু বাচ্চারা অসুস্থ হলে মায়ের কষ্টের শেষ থাকে না। আর বাচ্চারা এমনি অসুস্থ হলে কারো কাছে যেতে চায় না।যাইহোক আপনার বাবু তারাতাড়ি সুস্থ হয়ে উঠবে। আপনি বাচ্চাকে নিয়ে বেশ ভালোই ঘোরাঘুরি করেছেন। ধন্যবাদ আপু।

হ্যাঁ আপু আমার ছেলেটা অসুস্থ হলে কারোর কাছে চায় না। এজন্য আমার বেশি কষ্ট হয়।

বাচ্চার জ্বর হলে বাসার কারও মন ভালো থাকে না। আর মায়ের অবস্থাতো আরও খারাপ হয়ে যায়। কারন জ্বরের এলে বাচ্চারা মা ছাড়া কারও কাছেই যেতে চায় না।কারন সন্তানের একমাত্র আশ্রয় স্থল হলো মা। মনে হচ্ছে সিজন চেঞ্জ এর জন্যই বাবুর জ্বর এসেছে। দোয়া করি বাবু যেনো দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠে।

হ্যাঁ আপু সিজন চেঞ্জের কারণে বাচ্চারা অসুস্থ হয়ে পড়ছে। শুধু বাচ্চারাই না বড়রাও অসুস্থ হয়ে যাচ্ছে। দোয়া রাখবেন আপু যেন বাবু তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে ওঠে।

আপু হঠাৎ আবহাওয়া এমন পরিবর্তনের জন্য বাচ্চাসহ সবাই অসুস্থ হয়ে পড়ছে। আমার ছেলেও অসুস্থ। বাচ্চারা এমনেতেই কিছু খেতে চায় না তারমধ্যে অসুস্থ হলে আরও কিছু খেতে চায় না। এটা ঠিক বলেছেন নিজে অসুস্থ হলে সামলিয়ে নেওয়া যায় কিন্তু বাচ্চা অসুস্থ হলে একদম অবস্থা খারাপ। বাবুকে নিয়ে বাহিরে বের হয়ে খুব ভালো করেছেন। আপনার বাবুর জন্য দোয়া রইল।

আপনার ছেলে দ্রুত সুস্থ হোক আপু এই কামনা করছি। আসলে সন্তান অসুস্থ হলে কোনো কিছুই ভালো লাগেনা। এটা আমি খুব ভালোভাবে বুঝতে পারি আপু।

আবহাওয়া পরিবর্তনের সময়ে বাচ্চাদের জ্বর জ্বালা প্রচুর পরিমাণে হতে থাকে। কালকেও আড্ডার সময় শুভ ভাই বলছিলেন বাবুর জ্বরের কথা। এখন কেমন আছে ও?

এখন মোটামুটি সব কিছু স্বাভাবিক আছে আপু। ওর একটা সমস্যা ও একদমই ঔষধ খেতে চায় না। তাই সারতে একটু সময় লাগে।

সন্তান অসুস্থ থাকলে নিজের কাছে একেবারেই ভালো লাগেনা। আপনার বাবুর অসুস্থতার কথা শুনে অনেক খারাপ লেগে যাবে। তাকে নিয়ে বাহিরে একটু ঘুরাঘুরি করার জন্য বের হয়েছিলেন শুনে অনেক ভালো লাগলো। মাঝেমধ্যে এভাবে বাবুকে নিয়ে বাহিরে বের হবেন। তাহলে ওর কাছেও অনেক ভালো লাগবে। এটাই দোয়া করি আপু, যেন ভালো খুব তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে যায়।

হ্যাঁ আপু মাঝেমধ্যে ওকে বাহিরে নিয়ে যাই ঘুরতে।এতে করে ওর সাথে সাথে আমাদেরও একঘেয়েমি চলে যায়।